জনসংখ্যার বিবেচনায় ঢাকা বিশ্বের একাদশতম বৃহত্তম মহানগরী। রাজধানীর জনসংখ্যা দুই কোটি ছুঁই ছুঁই। এর বাইরে প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নানা কাজে আসা-যাওয়া করে অনেকে। দেশের বাইরে থেকেও উল্লেখযোগ্যসংখ্যক মানুষ রাজধানী আসছে। শহরে বসবাসরত ও বহিরাগত মিলিয়ে প্রায় ৫০ লাখ মানুষ প্রতিদিন চলাচল করে।
এত মানুষের জন্য ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকায় মোট গণশৌচাগার রয়েছে মাত্র ১০১টি। ঢাকায় পথচারী ও বস্তির বাসিন্দারা এখনও স্বাস্থ্যসম্মত শৌচাগার সুবিধা পাচ্ছেন না। একটি শৌচাগার ভাগাভাগি করে ব্যবহার করতে হয় বহু বস্তিবাসীকে। এ পরিসংখ্যান থেকেই বোঝা যায় রাজধানীতে গণশৌচাগারের অবস্থা কত করুণ।
রাজধানীতে গণশৌচাগারের এমন হতশ্রী অবস্থার মধ্য গতকাল শুক্রবার পালিত হয়েছে বিশ্ব শৌচাগার দিবস। এবার দিবসটির প্রতিপাদ্য ছিল, শৌচাগারের মূল্যায়ন।
রাজধানীবাসীকে দিনের অনেকটা সময় নানা কাজে ঘরের বাইরে অবস্থান করতে হয়। এ সময়ই সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়তে হয় তাদের। ঘরের বাইরে গেলে গণশৌচাগারের সংকটের কারণে নানা সমস্যা পোহাতে হয়। এক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পরে নারী, শিশু ও প্রতিবন্ধীরা।
শৌচাগারের মতো জনগুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় বছরের পর বছর কর্তৃপক্ষের নজর এড়িয়ে যায় কীভাবে-সেটা ভেবে আমরা বিস্মিত হই। রাজধানীতে গণশৌচাগার যে স্থাপন করা হচ্ছে না তা নয়। কিন্তু সেগুলো প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। আবার যেসব গণশৌচাগার আছে, তার বেশিরভাগই ব্যবহারের অনুপযোগী। দুর্বল ব্যবস্থাপনার কারণে এগুলো কাক্সিক্ষত সেবা দিতে পারছে না। শৌচাগার ইজারা দিয়ে সিটি করপোরেশনের রাজস্ব আয় বাড়লেও সেবার মানের দিকে তাদের নজর নেই বলে অভিযোগ নগরবাসীর।
গণশৌচাগার নিয়ে রাজধানীর বাসিন্দারা একবারেই স্বস্তিতে নেই। বিষয়টিকে হালকাভাবে নেয়ার সুযোগ নেই। ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে মানসম্মত গণশৌচাগারের সংখ্যা বাড়াতে হবে। বিশেষ করে, ঘনবসতি বা বস্তি এলাকা এবং বেশি লোক সমাগম হয় এমন স্থানে প্রয়োজনীয়সংখ্যক গণশৌচাগার স্থাপন করতে হবে। সেগুলোকে নগরবাসীর চাহিদা অনুযায়ী ব্যবহারের উপযোগী করতে হবে। পাশাপাশি বিদ্যমান গণশৌচাগারগুলো সংস্কার করতে হবে।
বস্তিবাসীদের প্রয়োজনের কথা ভুললে চলবে না। তাদের স্বাস্থ্যসম্মত শৌচাগার সুবিধা দিতে সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগ প্রয়োজন।
শনিবার, ২০ নভেম্বর ২০২১
জনসংখ্যার বিবেচনায় ঢাকা বিশ্বের একাদশতম বৃহত্তম মহানগরী। রাজধানীর জনসংখ্যা দুই কোটি ছুঁই ছুঁই। এর বাইরে প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নানা কাজে আসা-যাওয়া করে অনেকে। দেশের বাইরে থেকেও উল্লেখযোগ্যসংখ্যক মানুষ রাজধানী আসছে। শহরে বসবাসরত ও বহিরাগত মিলিয়ে প্রায় ৫০ লাখ মানুষ প্রতিদিন চলাচল করে।
এত মানুষের জন্য ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকায় মোট গণশৌচাগার রয়েছে মাত্র ১০১টি। ঢাকায় পথচারী ও বস্তির বাসিন্দারা এখনও স্বাস্থ্যসম্মত শৌচাগার সুবিধা পাচ্ছেন না। একটি শৌচাগার ভাগাভাগি করে ব্যবহার করতে হয় বহু বস্তিবাসীকে। এ পরিসংখ্যান থেকেই বোঝা যায় রাজধানীতে গণশৌচাগারের অবস্থা কত করুণ।
রাজধানীতে গণশৌচাগারের এমন হতশ্রী অবস্থার মধ্য গতকাল শুক্রবার পালিত হয়েছে বিশ্ব শৌচাগার দিবস। এবার দিবসটির প্রতিপাদ্য ছিল, শৌচাগারের মূল্যায়ন।
রাজধানীবাসীকে দিনের অনেকটা সময় নানা কাজে ঘরের বাইরে অবস্থান করতে হয়। এ সময়ই সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়তে হয় তাদের। ঘরের বাইরে গেলে গণশৌচাগারের সংকটের কারণে নানা সমস্যা পোহাতে হয়। এক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পরে নারী, শিশু ও প্রতিবন্ধীরা।
শৌচাগারের মতো জনগুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় বছরের পর বছর কর্তৃপক্ষের নজর এড়িয়ে যায় কীভাবে-সেটা ভেবে আমরা বিস্মিত হই। রাজধানীতে গণশৌচাগার যে স্থাপন করা হচ্ছে না তা নয়। কিন্তু সেগুলো প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। আবার যেসব গণশৌচাগার আছে, তার বেশিরভাগই ব্যবহারের অনুপযোগী। দুর্বল ব্যবস্থাপনার কারণে এগুলো কাক্সিক্ষত সেবা দিতে পারছে না। শৌচাগার ইজারা দিয়ে সিটি করপোরেশনের রাজস্ব আয় বাড়লেও সেবার মানের দিকে তাদের নজর নেই বলে অভিযোগ নগরবাসীর।
গণশৌচাগার নিয়ে রাজধানীর বাসিন্দারা একবারেই স্বস্তিতে নেই। বিষয়টিকে হালকাভাবে নেয়ার সুযোগ নেই। ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে মানসম্মত গণশৌচাগারের সংখ্যা বাড়াতে হবে। বিশেষ করে, ঘনবসতি বা বস্তি এলাকা এবং বেশি লোক সমাগম হয় এমন স্থানে প্রয়োজনীয়সংখ্যক গণশৌচাগার স্থাপন করতে হবে। সেগুলোকে নগরবাসীর চাহিদা অনুযায়ী ব্যবহারের উপযোগী করতে হবে। পাশাপাশি বিদ্যমান গণশৌচাগারগুলো সংস্কার করতে হবে।
বস্তিবাসীদের প্রয়োজনের কথা ভুললে চলবে না। তাদের স্বাস্থ্যসম্মত শৌচাগার সুবিধা দিতে সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগ প্রয়োজন।