দক্ষিণাঞ্চলে ফায়ার সার্ভিস নানান সংকটে ভুগছে। সেখানে প্রথম শ্রেণীর ৩টি এবং দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণীর ৩৫টি ফায়ার স্টেশন ছাড়াও রয়েছে দুটি রিভার ফায়ার স্টেশন। এসব প্রতিষ্ঠানে অনুমোদিত জনবল ৯৭৫ জন। তবে কর্মরত আছেন কমবেশি সাড়ে ৭০০ জন। বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় ফায়ার সার্ভিসের থাকা ১৬টি অ্যাম্বুলেন্সের বেশিরভাগই বিকল। এ নিয়ে গতকাল শনিবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
অগ্নি-দুর্ঘটনার পাশাপাশি অনেক প্রাকৃতিক দুর্যোগেও ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সেবার প্রয়োজন পড়ে। ফায়ার সার্ভিসের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানে জনবল ও অবকাঠামো সংকটের বিষয়টি উদ্বেগের। শুধু বরিশালেই নয়, দেশের অন্যান্য স্থানেও প্রতিষ্ঠানটির আধুনিক সরঞ্জাম ও জনবল সংকটে ধুঁকছে। দেশে বড় কোন অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটলে প্রতিষ্ঠানটির দুর্বলতা প্রকাশ পায়।
ফায়ার সার্ভিসের সর্বোচ্চ সেবা নিশ্চিত করতে হলে এর সক্ষমতা ও সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে হবে। দক্ষিণাঞ্চলের ফায়ার সার্ভিসে যে জনবল সংকট রয়েছে তা দূর করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ অবিলম্বে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে- সেটা আমাদের আশা। সেখানকার অ্যাম্বুলেন্সগুলোও সংস্কার করতে হবে। অবকাঠামোগত দুর্বলতা কাটিয়ে প্রতিষ্ঠানটি যেন কাক্সিক্ষত সেবা দিতে পারে সেই প্রচেষ্টা চালাতে হবে।
বরিশালের আগৈলঝাড়া, পটুয়াখালীর দুমকি ও রাঙ্গাবালীতে এখনো ফায়ার সার্ভিস সেবা পৌঁছেনি বলে জানা গেছে। এসব এলাকার বাসিন্দা যেন কোন দুর্যোগ বা দুর্ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসের সেবা থেকে বঞ্চিত না হয়- সেই বিষয়ে সজাগ থাকতে হবে।
নদ-নদীবেষ্টিত দক্ষিণাঞ্চলের দুটি নৌ-ফায়ার স্টেশনের সংস্কারও জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছে। জানা গেছে, সেখানকার অগ্নি-নির্বাপণী নৌযান ৩০ বছরের পুরনো। সেগুলো চালানো হচ্ছে জোড়াতালি দিয়ে। জোড়াতালির ব্যবস্থা দিয়ে অগ্নি-দুর্ঘটনা মোকাবিলা করা আদৌ কি সম্ভব- সেটা একটা প্রশ্ন। জোড়াতালির অপসংস্কৃতির অবসান ঘটিয়ে নৌ-ফায়ার স্টেশন আধুনিকায়ন করার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে- আমরা এমনটাই দেখতে চাই।
রোববার, ২১ নভেম্বর ২০২১
দক্ষিণাঞ্চলে ফায়ার সার্ভিস নানান সংকটে ভুগছে। সেখানে প্রথম শ্রেণীর ৩টি এবং দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণীর ৩৫টি ফায়ার স্টেশন ছাড়াও রয়েছে দুটি রিভার ফায়ার স্টেশন। এসব প্রতিষ্ঠানে অনুমোদিত জনবল ৯৭৫ জন। তবে কর্মরত আছেন কমবেশি সাড়ে ৭০০ জন। বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় ফায়ার সার্ভিসের থাকা ১৬টি অ্যাম্বুলেন্সের বেশিরভাগই বিকল। এ নিয়ে গতকাল শনিবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
অগ্নি-দুর্ঘটনার পাশাপাশি অনেক প্রাকৃতিক দুর্যোগেও ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সেবার প্রয়োজন পড়ে। ফায়ার সার্ভিসের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানে জনবল ও অবকাঠামো সংকটের বিষয়টি উদ্বেগের। শুধু বরিশালেই নয়, দেশের অন্যান্য স্থানেও প্রতিষ্ঠানটির আধুনিক সরঞ্জাম ও জনবল সংকটে ধুঁকছে। দেশে বড় কোন অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটলে প্রতিষ্ঠানটির দুর্বলতা প্রকাশ পায়।
ফায়ার সার্ভিসের সর্বোচ্চ সেবা নিশ্চিত করতে হলে এর সক্ষমতা ও সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে হবে। দক্ষিণাঞ্চলের ফায়ার সার্ভিসে যে জনবল সংকট রয়েছে তা দূর করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ অবিলম্বে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে- সেটা আমাদের আশা। সেখানকার অ্যাম্বুলেন্সগুলোও সংস্কার করতে হবে। অবকাঠামোগত দুর্বলতা কাটিয়ে প্রতিষ্ঠানটি যেন কাক্সিক্ষত সেবা দিতে পারে সেই প্রচেষ্টা চালাতে হবে।
বরিশালের আগৈলঝাড়া, পটুয়াখালীর দুমকি ও রাঙ্গাবালীতে এখনো ফায়ার সার্ভিস সেবা পৌঁছেনি বলে জানা গেছে। এসব এলাকার বাসিন্দা যেন কোন দুর্যোগ বা দুর্ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসের সেবা থেকে বঞ্চিত না হয়- সেই বিষয়ে সজাগ থাকতে হবে।
নদ-নদীবেষ্টিত দক্ষিণাঞ্চলের দুটি নৌ-ফায়ার স্টেশনের সংস্কারও জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছে। জানা গেছে, সেখানকার অগ্নি-নির্বাপণী নৌযান ৩০ বছরের পুরনো। সেগুলো চালানো হচ্ছে জোড়াতালি দিয়ে। জোড়াতালির ব্যবস্থা দিয়ে অগ্নি-দুর্ঘটনা মোকাবিলা করা আদৌ কি সম্ভব- সেটা একটা প্রশ্ন। জোড়াতালির অপসংস্কৃতির অবসান ঘটিয়ে নৌ-ফায়ার স্টেশন আধুনিকায়ন করার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে- আমরা এমনটাই দেখতে চাই।