alt

সম্পাদকীয়

নারীর সুরক্ষায় আইনের কঠোর প্রয়োগ ঘটাতে হবে

: বুধবার, ২৪ নভেম্বর ২০২১

বৈশ্বিক মহামারী নভেল করোনাভাইরাস চলাকালে গত অর্থবছরে দেশে ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের ঘটনা বেড়েছে ১৭ দশমিক ৭৬ শতাংশ। মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানিয়েছেন, ২০২০-২১ অর্থবছরে ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের মোট ২১ হাজার ৭৮৯টি ঘটনা ঘটেছে, তার আগের অর্থবছরে সংখ্যাটি ছিল ১৮ হাজার ৫০২।

বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা এতদিন বলে আসছিল যে, মহামারীকালে দেশে ধর্ষণ ও নারী নির্যাতন বেড়েছে। সরকারের দেয়া পরিসংখ্যান থেকেও এখন একই তথ্য মিলল। গণমাধ্যমে নারী নির্যাতন ও ধর্ষণের খবর প্রায় প্রতিদিনই প্রকাশিত হয়। তবে অনেক ঘটনায় লোকচক্ষুর অন্তরালে থেকে যায়। খুব কম খবরই গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। বৈশ্বিক মহামারী করোনার মধ্যেও নির্যাতন-ধর্ষণ বন্ধ হয়নি বরং বেড়েছে। শারীরিক নির্যাতনের পাশাপাশি নারীরা মানসিক নির্যাতনেরও শিকার হচ্ছে।

নারী নির্যাতন প্রতিরোধে দেশে অনেক আইন আছে। ধর্ষণের সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদন্ডের বিধান রেখে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধন করা হয়েছে। বাস্তবে এই আইনের ইতিবাচক প্রভাব দেখা যাচ্ছে না। দেশে ধর্ষণ কমেনি। নারী নিজ পরিবারেই নির্যাতিত হচ্ছে বেশি। নারীর প্রতি সমাজে বিদ্যমান নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির কারণে নারী নির্যাতন বন্ধ করা যাচ্ছে না।

নির্যাভতনের বেশিরভাগ ঘটনায় আইনি প্রতিকার মেলে না। নির্যাতন-সংক্রান্ত মামলা বছরের পর বছর ঝুলে থাকে। অথচ ১০০ দিনের মধ্যে নির্যাতনের বিচার হওয়ার কথা। এক হিসাব অনুযায়ী, নারী নির্যাতনের ঘটনায় মামলা করার পর ১০ শতাংশের বেশি সাজা নিশ্চিত হয় না। অপরাধীদের সাজা নিশ্চিত করা না গেলে অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে না।

শুধু আইন করাই যথেষ্ট নয়, এর কঠোর প্রয়োগ ঘটানো জরুরি। আইন প্রয়োগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষ নিজ নিজ দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করলে নারী নির্যাতনের ঘটনার বিচার নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। নারীর প্রতি সব রকম সহিংসতা বন্ধে সবাইকে আরও সোচ্চার হতে হবে। নারীর সুরক্ষায় যেসব আইন আছে, সে সবের যথাযথ প্রয়োগ করতে হবে।

চকরিয়ায় পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

গরমে দুর্বিষহ জনজীবন

ভালুকায় খাবার পানির সংকট নিরসনে ব্যবস্থা নিন

সড়কে চাই সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা

লঞ্চ চালাতে হবে নিয়ম মেনে

নতুন বছররে শুভচ্ছো

বিষ ঢেলে মাছ নিধনের অভিযোগ আমলে নিন

ঈদের আনন্দ স্পর্শ করুক সবার জীবন

মীরসরাইয়ের বন রক্ষায় সমন্বিত উদ্যোগ নেয়া জরুরি

স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ানো জরুরি

কৃষকরা কেন তামাক চাষে ঝুঁকছে

রেলক্রসিংয়ে প্রাণহানির দায় কার

আর কত অপেক্ষার পর সেতু পাবে রানিশংকৈলের মানুষ^

পাহাড়ে ব্যাংক হামলা কেন

সিসা দূষণ রোধে আইনের কঠোর বাস্তবায়ন জরুরি

হার্টের রিংয়ের নির্ধারিত দর বাস্তবায়নে মনিটরিং জরুরি

রইচপুর খালে সেতু নির্মাণে আর কত অপেক্ষা

রাজধানীকে যানজটমুক্ত করা যাচ্ছে না কেন

জেলেরা কেন বরাদ্দকৃত চাল পাচ্ছে না

নিয়মতান্ত্রিক সংগঠনের সুযোগ থাকা জরুরি, বন্ধ করতে হবে অপরাজনীতি

ঢাকা-ময়মনসিংহ চার লেন সড়কের ক্ষতিগ্রস্ত অংশে সংস্কার করুন

শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে

স্লুইসগেটের ফাটল মেরামতে উদ্যোগ নিন

পরিবেশ দূষণ বন্ধে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে

রংপুর শিশু হাসপাতাল চালু হতে কালক্ষেপণ কেন

দেশে এত খাবার অপচয়ের কারণ কী

রায়গঞ্জে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাতায়াতের দুর্ভোগ দূর করুন

প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার বাইরে থাকা জনগোষ্ঠী নিয়ে ভাবতে হবে

জলাশয় দূষণের জন্য দায়ী কারখানার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

নদী থেকে অবৈধভাবে বালু তোলা বন্ধ করুন

বহরবুনিয়া স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ভবন নির্মাণে আর কত বিলম্ব

মশার উপদ্রব থেকে নগরবাসীকে মুক্তি দিন

সিলেট ‘ইইডি’ কার্যালয়ের অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ

পাহাড় কাটা বন্ধ করুন

স্বাধীনতার ৫৪ বছর : মানুষের আশা-আকাক্সক্ষা কতটা পূরণ হলো

চিকিৎসক সংকট দূর করুন

tab

সম্পাদকীয়

নারীর সুরক্ষায় আইনের কঠোর প্রয়োগ ঘটাতে হবে

বুধবার, ২৪ নভেম্বর ২০২১

বৈশ্বিক মহামারী নভেল করোনাভাইরাস চলাকালে গত অর্থবছরে দেশে ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের ঘটনা বেড়েছে ১৭ দশমিক ৭৬ শতাংশ। মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানিয়েছেন, ২০২০-২১ অর্থবছরে ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের মোট ২১ হাজার ৭৮৯টি ঘটনা ঘটেছে, তার আগের অর্থবছরে সংখ্যাটি ছিল ১৮ হাজার ৫০২।

বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা এতদিন বলে আসছিল যে, মহামারীকালে দেশে ধর্ষণ ও নারী নির্যাতন বেড়েছে। সরকারের দেয়া পরিসংখ্যান থেকেও এখন একই তথ্য মিলল। গণমাধ্যমে নারী নির্যাতন ও ধর্ষণের খবর প্রায় প্রতিদিনই প্রকাশিত হয়। তবে অনেক ঘটনায় লোকচক্ষুর অন্তরালে থেকে যায়। খুব কম খবরই গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। বৈশ্বিক মহামারী করোনার মধ্যেও নির্যাতন-ধর্ষণ বন্ধ হয়নি বরং বেড়েছে। শারীরিক নির্যাতনের পাশাপাশি নারীরা মানসিক নির্যাতনেরও শিকার হচ্ছে।

নারী নির্যাতন প্রতিরোধে দেশে অনেক আইন আছে। ধর্ষণের সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদন্ডের বিধান রেখে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধন করা হয়েছে। বাস্তবে এই আইনের ইতিবাচক প্রভাব দেখা যাচ্ছে না। দেশে ধর্ষণ কমেনি। নারী নিজ পরিবারেই নির্যাতিত হচ্ছে বেশি। নারীর প্রতি সমাজে বিদ্যমান নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির কারণে নারী নির্যাতন বন্ধ করা যাচ্ছে না।

নির্যাভতনের বেশিরভাগ ঘটনায় আইনি প্রতিকার মেলে না। নির্যাতন-সংক্রান্ত মামলা বছরের পর বছর ঝুলে থাকে। অথচ ১০০ দিনের মধ্যে নির্যাতনের বিচার হওয়ার কথা। এক হিসাব অনুযায়ী, নারী নির্যাতনের ঘটনায় মামলা করার পর ১০ শতাংশের বেশি সাজা নিশ্চিত হয় না। অপরাধীদের সাজা নিশ্চিত করা না গেলে অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে না।

শুধু আইন করাই যথেষ্ট নয়, এর কঠোর প্রয়োগ ঘটানো জরুরি। আইন প্রয়োগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষ নিজ নিজ দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করলে নারী নির্যাতনের ঘটনার বিচার নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। নারীর প্রতি সব রকম সহিংসতা বন্ধে সবাইকে আরও সোচ্চার হতে হবে। নারীর সুরক্ষায় যেসব আইন আছে, সে সবের যথাযথ প্রয়োগ করতে হবে।

back to top