রাজধানীর বায়ুদূষণ মারাত্মক পর্যায়ে পৌঁছেছে অনেক আগেই। অতীতেও বিভিন্ন বৈশ্বিক মানদন্ডে দূষণের তালিকায় ঢাকার অবস্থান ছিল উপরের দিকে। বৈশ্বিক বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ারের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত ২১ নভেম্বরও দূষণের তালিকায় শীর্ষস্থানে ছিল রাজধানী ঢাকা। এর আগেও কয়েকবার বায়ুদূষণের তালিকায় শীর্ষে ছিল ঢাকা।
উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে বায়ুদূষণ শুধু ঢাকার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই। আশেপাশের জেলা মানিকগঞ্জ ও গাজীপুরেও এ দূষণ ছড়িয়ে পড়ছে। বায়ুদূষণে বিশ্বের শীর্ষ ১০০ শহরের তালিকায় বাংলাদেশেরই রয়েছে চারটি এলাকা।
২০২০ সালের শীর্ষ ১০০ দূষিত শহরের তালিকা প্রকাশ করেছে আইকিউ এয়ার। তালিকায় ১৬ নম্বরে রয়েছে রাজধানীর পার্শ্ববর্তী শহর মানিকগঞ্জ। তাছাড়া ঢাকা, ঢাকার আজিমপুর ও গাজীপুরের শ্রীপুর রয়েছে যথাক্রমে ২৩, ৬০ ও ৬১ নম্বরে।
যে কোন দেশের উন্নয়নের শুরুর দিকে অনেক ধরনের দূষণ ঘটে বা মারাত্মক দূষণের শিকার হয়। সড়ক উন্নয়ন, ইউলুপ ও উড়ালসেতু নির্মাণ, মেট্রোরেল নির্মাণ, পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থার জন্য রাজধানীতে খোঁড়াখুঁড়ি এখন নিত্যনৈমত্তিক ব্যাপার। এসব উন্নয়ন জনস্বার্থে গুরুত্বপূর্ণ হলেও কোন কাজই নির্ধারিত সময়ে শেষ হয় না বলে অভিযোগ। তাছাড়া ঢাকাসহ দেশের বড় বড় শহরে ড্রেনের ময়লাগুলো রাস্তার পাশে জমিয়ে রাখা হয়। একসময় এগুলো শুকিয়ে ধূলিকতায় পরিণত হয়ে দূষিত হয় বায়ু। সিটি করপোরেশনের ময়লার গাড়িগুলো অধিকাংশ সময় না ঢেকেই ময়লা বহন করে। ফলে বায়ুদূষণ ঘটছে প্রতিনিয়তই।
ঢাকার আশপাশসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যত্রতত্র গড়ে উঠেছে ইটভাটা। ছাড়পত্রবিহীন এসব ইটভাটা বায়ুষণের জন্য ৫৮ শতাংশ দায়ী। এসব ইটভাটা নিয়ন্ত্রণে সরকারের তেমন কোন পদক্ষেপ চোখে পড়ে না।
রাজধানীসহ সারাদেশে প্রতিনিয়ত তৈরি হচ্ছে নতুন নতুন ভবনসহ বিভিন্ন অবকাঠামো। এগুলো নির্মাণের ক্ষেত্রে মানা হচ্ছে না ইমারত নির্মাণবিধি। সংশ্লিষ্টদের এসব তদারকের কার্যকরী ব্যবস্থা নিতেও দেখা যায় না।
ধোঁয়া ও ধুলা বাতাসে ক্ষুদ্র কণা ছড়ায়, যা মানব স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। দীর্ঘদিন এসব উপাদানের ভেতর দিয়ে চলাচল করলে হৃদরোগ, হাঁপানি ও ফুসফুসের ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকি থাকে।
বায়ুদূষণের পেছনে একাধিক কারণ রয়েছে। এ সমস্যা সমাধানে একটি সামগ্রিক পরিকল্পনা নেয়া দরকার। বায়ুদূষণ রোধে সমন্বিতভাবে উদ্যোগ নিতে না পারলে সামনের দিনগুলোতে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করবে। দূষণ এলাকায় বসবাসকারী মানুষের স্বাস্থ্য হুমকির মুখে পড়বে।
দূষণ রোধে পরিবেশ অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন সংস্থা নানা প্রকল্প নিয়ে থাকে। দূষণবিরোধী কর্মকান্ডে জনগণকে সম্পৃক্ত করতে হবে।
শুক্রবার, ২৬ নভেম্বর ২০২১
রাজধানীর বায়ুদূষণ মারাত্মক পর্যায়ে পৌঁছেছে অনেক আগেই। অতীতেও বিভিন্ন বৈশ্বিক মানদন্ডে দূষণের তালিকায় ঢাকার অবস্থান ছিল উপরের দিকে। বৈশ্বিক বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ারের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত ২১ নভেম্বরও দূষণের তালিকায় শীর্ষস্থানে ছিল রাজধানী ঢাকা। এর আগেও কয়েকবার বায়ুদূষণের তালিকায় শীর্ষে ছিল ঢাকা।
উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে বায়ুদূষণ শুধু ঢাকার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই। আশেপাশের জেলা মানিকগঞ্জ ও গাজীপুরেও এ দূষণ ছড়িয়ে পড়ছে। বায়ুদূষণে বিশ্বের শীর্ষ ১০০ শহরের তালিকায় বাংলাদেশেরই রয়েছে চারটি এলাকা।
২০২০ সালের শীর্ষ ১০০ দূষিত শহরের তালিকা প্রকাশ করেছে আইকিউ এয়ার। তালিকায় ১৬ নম্বরে রয়েছে রাজধানীর পার্শ্ববর্তী শহর মানিকগঞ্জ। তাছাড়া ঢাকা, ঢাকার আজিমপুর ও গাজীপুরের শ্রীপুর রয়েছে যথাক্রমে ২৩, ৬০ ও ৬১ নম্বরে।
যে কোন দেশের উন্নয়নের শুরুর দিকে অনেক ধরনের দূষণ ঘটে বা মারাত্মক দূষণের শিকার হয়। সড়ক উন্নয়ন, ইউলুপ ও উড়ালসেতু নির্মাণ, মেট্রোরেল নির্মাণ, পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থার জন্য রাজধানীতে খোঁড়াখুঁড়ি এখন নিত্যনৈমত্তিক ব্যাপার। এসব উন্নয়ন জনস্বার্থে গুরুত্বপূর্ণ হলেও কোন কাজই নির্ধারিত সময়ে শেষ হয় না বলে অভিযোগ। তাছাড়া ঢাকাসহ দেশের বড় বড় শহরে ড্রেনের ময়লাগুলো রাস্তার পাশে জমিয়ে রাখা হয়। একসময় এগুলো শুকিয়ে ধূলিকতায় পরিণত হয়ে দূষিত হয় বায়ু। সিটি করপোরেশনের ময়লার গাড়িগুলো অধিকাংশ সময় না ঢেকেই ময়লা বহন করে। ফলে বায়ুদূষণ ঘটছে প্রতিনিয়তই।
ঢাকার আশপাশসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যত্রতত্র গড়ে উঠেছে ইটভাটা। ছাড়পত্রবিহীন এসব ইটভাটা বায়ুষণের জন্য ৫৮ শতাংশ দায়ী। এসব ইটভাটা নিয়ন্ত্রণে সরকারের তেমন কোন পদক্ষেপ চোখে পড়ে না।
রাজধানীসহ সারাদেশে প্রতিনিয়ত তৈরি হচ্ছে নতুন নতুন ভবনসহ বিভিন্ন অবকাঠামো। এগুলো নির্মাণের ক্ষেত্রে মানা হচ্ছে না ইমারত নির্মাণবিধি। সংশ্লিষ্টদের এসব তদারকের কার্যকরী ব্যবস্থা নিতেও দেখা যায় না।
ধোঁয়া ও ধুলা বাতাসে ক্ষুদ্র কণা ছড়ায়, যা মানব স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। দীর্ঘদিন এসব উপাদানের ভেতর দিয়ে চলাচল করলে হৃদরোগ, হাঁপানি ও ফুসফুসের ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকি থাকে।
বায়ুদূষণের পেছনে একাধিক কারণ রয়েছে। এ সমস্যা সমাধানে একটি সামগ্রিক পরিকল্পনা নেয়া দরকার। বায়ুদূষণ রোধে সমন্বিতভাবে উদ্যোগ নিতে না পারলে সামনের দিনগুলোতে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করবে। দূষণ এলাকায় বসবাসকারী মানুষের স্বাস্থ্য হুমকির মুখে পড়বে।
দূষণ রোধে পরিবেশ অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন সংস্থা নানা প্রকল্প নিয়ে থাকে। দূষণবিরোধী কর্মকান্ডে জনগণকে সম্পৃক্ত করতে হবে।