alt

সম্পাদকীয়

ফিটনেসছাড়া ফেরিগুলো চলছে কীভাবে

: শুক্রবার, ২৬ নভেম্বর ২০২১

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) ৫৩টি ফেরির মধ্যে ৫০টিরই ফিটনেস সনদ নেই। এছাড়া ২৯টি ফেরিতে নেই কোন রাডার ব্যবস্থা, চারটিতে রাডার থাকলেও সেগুলো নষ্ট। পানির গভীরতা মাপার যন্ত্র ‘ইকো-সাউন্ডার’ আছে মাত্র ১২টিতে। এর মধ্যে সাতটিই নষ্ট। সম্প্রতি নৌ-মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে জমা দেওয়া এক তদন্ত প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। দেশের বিভিন্ন রুটে ফেরি দুর্ঘটনা তদন্তে সাত সদস্যবিশিষ্ট এ কমিটি গঠন করা হয়।

এটা জেনে আমরা বিস্মিত হচ্ছি না যে, ৫৩টি ফেরির মধ্যে ৫০টিরই ফিটনেস নেই। বরং ৩টি ফেরির ফিটনেস আছে কীভাবে সেটাই বিস্ময়কর। সড়ক পরিবহন খাতের মতো নৌপরিবহন খাতও নানান অনিয়ম ও বিশৃঙ্খলায় জর্জরিত বলে দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ রয়েছে। তদন্তের ফলে সেই অভিযোগের ভিত্তি পেল। জানা গেল, ফিটনেস ছাড়াই নাগরিকদের জান-মালের ঝুঁকি নিয়ে চলছে এসব ফেরি।

বিভিন্ন সময়ই ফেরি দুর্ঘটনার খবর মেলে। চলতি বছরের জুলাই-আগস্ট মাসে নির্মাণাধীন পদ্মা সেতুর পিলারে ফেরি পাঁচবার ধাক্কা দেয়। সর্বশেষ গত ২৭ অক্টোবর মানিকগঞ্জের পাটুরিয়ায় রো রো ফেরি আমানত শাহ ডুবে যায়।

দেশের বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী এসব ফিটনেসহীন ফেরির সমস্যার অন্ত নেই। কিছু ফেরির বিভিন্ন পাম্পের লিকেজ ও ইঞ্জিন রুমের তলায় পানি জমে আছে। কোনটার মূল ইঞ্জিনের এগজস্ট পাইপ উন্মুক্ত রয়েছ। এসব পাইপ এসবেস্টস ক্লথ বা অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল অথবা অন্য কোন তাপনিরোধক দিয়ে ঢেকে রাখার কথা। উন্মুক্ত থাকলে এগজস্ট পাইপে আগুন লাগাতে পারে। কিন্তু সেদিকে নজর নেই। লুব ওয়েল বরাদ্দ দেয়া হলেও ইঞ্জিনে তা নিয়মিত পরিবর্তন করা হয় না। ফলে অগ্নিকান্ডসহ নানান দুর্ঘটনার ঝুঁকিতে রয়েছে আরও অনেক ফেরি।

আর্থিক ও প্রশাসনিক অনিয়ম এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের গাফিলতির কারণেই মূলত ফেরিগুলোর এ অবস্থা। এতে কমে যাচ্ছে ফেরিগুলোর ইঞ্জিনের আয়ুষ্কাল ও সক্ষমতাও। কিন্তু এসবের দায় নেয়ার কেউ নেই।

জনস্বার্থে ফেরিগুলোর ফিটনেস নিশ্চিত করতে হবে। এক্ষেত্রে সব অনিয়ম-দুর্নীতির অবসান ঘটাতে হবে। রাষ্ট্রায়ত্ত নৌপরিবহনে জনসাধারণের জান-মালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি দেশে চলাচলরত অন্যান্য বেসরকারি নৌযানগুলোর ফিটনেসও নিশ্চিত করা জরুরি।

ডায়রিয়া প্রতিরোধে চাই জনসচেতনতা

ফিটনেসবিহীন গণপরিবহন সড়কে চলছে কীভাবে

গোবিন্দগঞ্জে নিয়মনীতি উপেক্ষা করে গাছ কাটার অভিযোগ আমলে নিন

নিষেধাজ্ঞা চলাকালে জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা জরুরি

অগ্নিনির্বাপণ সরঞ্জাম ব্যবহারে চাই সচেতনতা

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

ভোলাডুবা হাওরের বোরো খেতের পানি নিষ্কাশনে ব্যবস্থা নিন

কিশোর গ্যাংয়ের প্রশ্রয়দাতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে

আদমজী ইপিজেড সড়ক মেরামতে আর কত কালক্ষেপণ

নদ-নদীর নাব্য রক্ষায় কার্যকর ব্যবস্থা নিন

চকরিয়ায় পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

গরমে দুর্বিষহ জনজীবন

ভালুকায় খাবার পানির সংকট নিরসনে ব্যবস্থা নিন

সড়কে চাই সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা

লঞ্চ চালাতে হবে নিয়ম মেনে

নতুন বছররে শুভচ্ছো

বিষ ঢেলে মাছ নিধনের অভিযোগ আমলে নিন

ঈদের আনন্দ স্পর্শ করুক সবার জীবন

মীরসরাইয়ের বন রক্ষায় সমন্বিত উদ্যোগ নেয়া জরুরি

স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ানো জরুরি

কৃষকরা কেন তামাক চাষে ঝুঁকছে

রেলক্রসিংয়ে প্রাণহানির দায় কার

আর কত অপেক্ষার পর সেতু পাবে রানিশংকৈলের মানুষ^

পাহাড়ে ব্যাংক হামলা কেন

সিসা দূষণ রোধে আইনের কঠোর বাস্তবায়ন জরুরি

হার্টের রিংয়ের নির্ধারিত দর বাস্তবায়নে মনিটরিং জরুরি

রইচপুর খালে সেতু নির্মাণে আর কত অপেক্ষা

রাজধানীকে যানজটমুক্ত করা যাচ্ছে না কেন

জেলেরা কেন বরাদ্দকৃত চাল পাচ্ছে না

নিয়মতান্ত্রিক সংগঠনের সুযোগ থাকা জরুরি, বন্ধ করতে হবে অপরাজনীতি

ঢাকা-ময়মনসিংহ চার লেন সড়কের ক্ষতিগ্রস্ত অংশে সংস্কার করুন

শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে

স্লুইসগেটের ফাটল মেরামতে উদ্যোগ নিন

পরিবেশ দূষণ বন্ধে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে

রংপুর শিশু হাসপাতাল চালু হতে কালক্ষেপণ কেন

দেশে এত খাবার অপচয়ের কারণ কী

tab

সম্পাদকীয়

ফিটনেসছাড়া ফেরিগুলো চলছে কীভাবে

শুক্রবার, ২৬ নভেম্বর ২০২১

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) ৫৩টি ফেরির মধ্যে ৫০টিরই ফিটনেস সনদ নেই। এছাড়া ২৯টি ফেরিতে নেই কোন রাডার ব্যবস্থা, চারটিতে রাডার থাকলেও সেগুলো নষ্ট। পানির গভীরতা মাপার যন্ত্র ‘ইকো-সাউন্ডার’ আছে মাত্র ১২টিতে। এর মধ্যে সাতটিই নষ্ট। সম্প্রতি নৌ-মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে জমা দেওয়া এক তদন্ত প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। দেশের বিভিন্ন রুটে ফেরি দুর্ঘটনা তদন্তে সাত সদস্যবিশিষ্ট এ কমিটি গঠন করা হয়।

এটা জেনে আমরা বিস্মিত হচ্ছি না যে, ৫৩টি ফেরির মধ্যে ৫০টিরই ফিটনেস নেই। বরং ৩টি ফেরির ফিটনেস আছে কীভাবে সেটাই বিস্ময়কর। সড়ক পরিবহন খাতের মতো নৌপরিবহন খাতও নানান অনিয়ম ও বিশৃঙ্খলায় জর্জরিত বলে দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ রয়েছে। তদন্তের ফলে সেই অভিযোগের ভিত্তি পেল। জানা গেল, ফিটনেস ছাড়াই নাগরিকদের জান-মালের ঝুঁকি নিয়ে চলছে এসব ফেরি।

বিভিন্ন সময়ই ফেরি দুর্ঘটনার খবর মেলে। চলতি বছরের জুলাই-আগস্ট মাসে নির্মাণাধীন পদ্মা সেতুর পিলারে ফেরি পাঁচবার ধাক্কা দেয়। সর্বশেষ গত ২৭ অক্টোবর মানিকগঞ্জের পাটুরিয়ায় রো রো ফেরি আমানত শাহ ডুবে যায়।

দেশের বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী এসব ফিটনেসহীন ফেরির সমস্যার অন্ত নেই। কিছু ফেরির বিভিন্ন পাম্পের লিকেজ ও ইঞ্জিন রুমের তলায় পানি জমে আছে। কোনটার মূল ইঞ্জিনের এগজস্ট পাইপ উন্মুক্ত রয়েছ। এসব পাইপ এসবেস্টস ক্লথ বা অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল অথবা অন্য কোন তাপনিরোধক দিয়ে ঢেকে রাখার কথা। উন্মুক্ত থাকলে এগজস্ট পাইপে আগুন লাগাতে পারে। কিন্তু সেদিকে নজর নেই। লুব ওয়েল বরাদ্দ দেয়া হলেও ইঞ্জিনে তা নিয়মিত পরিবর্তন করা হয় না। ফলে অগ্নিকান্ডসহ নানান দুর্ঘটনার ঝুঁকিতে রয়েছে আরও অনেক ফেরি।

আর্থিক ও প্রশাসনিক অনিয়ম এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের গাফিলতির কারণেই মূলত ফেরিগুলোর এ অবস্থা। এতে কমে যাচ্ছে ফেরিগুলোর ইঞ্জিনের আয়ুষ্কাল ও সক্ষমতাও। কিন্তু এসবের দায় নেয়ার কেউ নেই।

জনস্বার্থে ফেরিগুলোর ফিটনেস নিশ্চিত করতে হবে। এক্ষেত্রে সব অনিয়ম-দুর্নীতির অবসান ঘটাতে হবে। রাষ্ট্রায়ত্ত নৌপরিবহনে জনসাধারণের জান-মালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি দেশে চলাচলরত অন্যান্য বেসরকারি নৌযানগুলোর ফিটনেসও নিশ্চিত করা জরুরি।

back to top