বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) ৫৩টি ফেরির মধ্যে ৫০টিরই ফিটনেস সনদ নেই। এছাড়া ২৯টি ফেরিতে নেই কোন রাডার ব্যবস্থা, চারটিতে রাডার থাকলেও সেগুলো নষ্ট। পানির গভীরতা মাপার যন্ত্র ‘ইকো-সাউন্ডার’ আছে মাত্র ১২টিতে। এর মধ্যে সাতটিই নষ্ট। সম্প্রতি নৌ-মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে জমা দেওয়া এক তদন্ত প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। দেশের বিভিন্ন রুটে ফেরি দুর্ঘটনা তদন্তে সাত সদস্যবিশিষ্ট এ কমিটি গঠন করা হয়।
এটা জেনে আমরা বিস্মিত হচ্ছি না যে, ৫৩টি ফেরির মধ্যে ৫০টিরই ফিটনেস নেই। বরং ৩টি ফেরির ফিটনেস আছে কীভাবে সেটাই বিস্ময়কর। সড়ক পরিবহন খাতের মতো নৌপরিবহন খাতও নানান অনিয়ম ও বিশৃঙ্খলায় জর্জরিত বলে দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ রয়েছে। তদন্তের ফলে সেই অভিযোগের ভিত্তি পেল। জানা গেল, ফিটনেস ছাড়াই নাগরিকদের জান-মালের ঝুঁকি নিয়ে চলছে এসব ফেরি।
বিভিন্ন সময়ই ফেরি দুর্ঘটনার খবর মেলে। চলতি বছরের জুলাই-আগস্ট মাসে নির্মাণাধীন পদ্মা সেতুর পিলারে ফেরি পাঁচবার ধাক্কা দেয়। সর্বশেষ গত ২৭ অক্টোবর মানিকগঞ্জের পাটুরিয়ায় রো রো ফেরি আমানত শাহ ডুবে যায়।
দেশের বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী এসব ফিটনেসহীন ফেরির সমস্যার অন্ত নেই। কিছু ফেরির বিভিন্ন পাম্পের লিকেজ ও ইঞ্জিন রুমের তলায় পানি জমে আছে। কোনটার মূল ইঞ্জিনের এগজস্ট পাইপ উন্মুক্ত রয়েছ। এসব পাইপ এসবেস্টস ক্লথ বা অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল অথবা অন্য কোন তাপনিরোধক দিয়ে ঢেকে রাখার কথা। উন্মুক্ত থাকলে এগজস্ট পাইপে আগুন লাগাতে পারে। কিন্তু সেদিকে নজর নেই। লুব ওয়েল বরাদ্দ দেয়া হলেও ইঞ্জিনে তা নিয়মিত পরিবর্তন করা হয় না। ফলে অগ্নিকান্ডসহ নানান দুর্ঘটনার ঝুঁকিতে রয়েছে আরও অনেক ফেরি।
আর্থিক ও প্রশাসনিক অনিয়ম এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের গাফিলতির কারণেই মূলত ফেরিগুলোর এ অবস্থা। এতে কমে যাচ্ছে ফেরিগুলোর ইঞ্জিনের আয়ুষ্কাল ও সক্ষমতাও। কিন্তু এসবের দায় নেয়ার কেউ নেই।
জনস্বার্থে ফেরিগুলোর ফিটনেস নিশ্চিত করতে হবে। এক্ষেত্রে সব অনিয়ম-দুর্নীতির অবসান ঘটাতে হবে। রাষ্ট্রায়ত্ত নৌপরিবহনে জনসাধারণের জান-মালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি দেশে চলাচলরত অন্যান্য বেসরকারি নৌযানগুলোর ফিটনেসও নিশ্চিত করা জরুরি।
শুক্রবার, ২৬ নভেম্বর ২০২১
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) ৫৩টি ফেরির মধ্যে ৫০টিরই ফিটনেস সনদ নেই। এছাড়া ২৯টি ফেরিতে নেই কোন রাডার ব্যবস্থা, চারটিতে রাডার থাকলেও সেগুলো নষ্ট। পানির গভীরতা মাপার যন্ত্র ‘ইকো-সাউন্ডার’ আছে মাত্র ১২টিতে। এর মধ্যে সাতটিই নষ্ট। সম্প্রতি নৌ-মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে জমা দেওয়া এক তদন্ত প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। দেশের বিভিন্ন রুটে ফেরি দুর্ঘটনা তদন্তে সাত সদস্যবিশিষ্ট এ কমিটি গঠন করা হয়।
এটা জেনে আমরা বিস্মিত হচ্ছি না যে, ৫৩টি ফেরির মধ্যে ৫০টিরই ফিটনেস নেই। বরং ৩টি ফেরির ফিটনেস আছে কীভাবে সেটাই বিস্ময়কর। সড়ক পরিবহন খাতের মতো নৌপরিবহন খাতও নানান অনিয়ম ও বিশৃঙ্খলায় জর্জরিত বলে দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ রয়েছে। তদন্তের ফলে সেই অভিযোগের ভিত্তি পেল। জানা গেল, ফিটনেস ছাড়াই নাগরিকদের জান-মালের ঝুঁকি নিয়ে চলছে এসব ফেরি।
বিভিন্ন সময়ই ফেরি দুর্ঘটনার খবর মেলে। চলতি বছরের জুলাই-আগস্ট মাসে নির্মাণাধীন পদ্মা সেতুর পিলারে ফেরি পাঁচবার ধাক্কা দেয়। সর্বশেষ গত ২৭ অক্টোবর মানিকগঞ্জের পাটুরিয়ায় রো রো ফেরি আমানত শাহ ডুবে যায়।
দেশের বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী এসব ফিটনেসহীন ফেরির সমস্যার অন্ত নেই। কিছু ফেরির বিভিন্ন পাম্পের লিকেজ ও ইঞ্জিন রুমের তলায় পানি জমে আছে। কোনটার মূল ইঞ্জিনের এগজস্ট পাইপ উন্মুক্ত রয়েছ। এসব পাইপ এসবেস্টস ক্লথ বা অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল অথবা অন্য কোন তাপনিরোধক দিয়ে ঢেকে রাখার কথা। উন্মুক্ত থাকলে এগজস্ট পাইপে আগুন লাগাতে পারে। কিন্তু সেদিকে নজর নেই। লুব ওয়েল বরাদ্দ দেয়া হলেও ইঞ্জিনে তা নিয়মিত পরিবর্তন করা হয় না। ফলে অগ্নিকান্ডসহ নানান দুর্ঘটনার ঝুঁকিতে রয়েছে আরও অনেক ফেরি।
আর্থিক ও প্রশাসনিক অনিয়ম এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের গাফিলতির কারণেই মূলত ফেরিগুলোর এ অবস্থা। এতে কমে যাচ্ছে ফেরিগুলোর ইঞ্জিনের আয়ুষ্কাল ও সক্ষমতাও। কিন্তু এসবের দায় নেয়ার কেউ নেই।
জনস্বার্থে ফেরিগুলোর ফিটনেস নিশ্চিত করতে হবে। এক্ষেত্রে সব অনিয়ম-দুর্নীতির অবসান ঘটাতে হবে। রাষ্ট্রায়ত্ত নৌপরিবহনে জনসাধারণের জান-মালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি দেশে চলাচলরত অন্যান্য বেসরকারি নৌযানগুলোর ফিটনেসও নিশ্চিত করা জরুরি।