সড়ক-মহাসড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে দেশে আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। বিভিন্ন সময়ে গঠিত নানা কমিটি সুপারিশ করেছে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নিয়েছে অনেক সিদ্ধান্ত। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। অতীতে আদালতকে নির্দেশনা দিতে দেখা গেছে। কিন্তু সড়কে শৃঙ্খলা ফেরেনি, নিশ্চিত করা যায়নি নিরাপত্তা। সড়কে এখনও ঝরছে প্রাণ। নিরাপদ সড়কের দাবিতে আবারও শিক্ষার্থীদের পথে নামতে হয়েছে।
নিরাপদ সড়কের লক্ষ্যে আইন আছে কিন্তু বিধিমালা নেই। সুপারিশ বা সিদ্ধান্ত মাঠে বাস্তবায়ন করা হয় না। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশনা বা আদালতের নির্দেশনাও উপেক্ষিত রয়ে যায়। সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে মানুষের ক্ষোভ চরমে উঠলে পুরোনো নির্দেশনা বা সিদ্ধান্তই নতুন রূপে হাজির হয়। তবে বাস্তবায়নের অভাবে সড়কের বিশৃঙ্খলা দূর করা সম্ভব হয় না।
অভিযোগ রয়েছে, পরিবহণ মালিক-শ্রমিকদের কাছে সরকার জিম্মি হয়ে পড়েছে। যে কারণে শক্ত কোন আইন করা যায় না, আইন করলেও বিধিমালা তৈরির কাজ শেষ হয় না। পরিবহণ মালিক-শ্রমিকরা কোন আদেশ-নির্দেশেরই তোয়াক্কা করে না। তারা অন্যায় সুবিধা আদায়ের জন্য ইচ্ছেমতো ধর্মঘট ডেকে সাধারণ মানুষকে প্রায়ই জিম্মি করে।
পরিবহন মালিকরা রাজনৈতিক প্রভাবশালী ব্যক্তি। যখন যে দল ক্ষমতায় আসে তখন সে দলের সঙ্গে তারা সখ্য গড়ে তোলে। সরকারের ভেতরে থেকেই তারা সরকারের বিরুদ্ধে চাপ সৃষ্টি করে। তাদের চাপের কাছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নতি স্বীকার করতে হয়। যতদিন না এ চক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া যাবে, ততদিন সড়কে শৃঙ্খলা ফিরবে না।
আমরা চাই, সড়কে মৃত্যুর মিছিল বন্ধ হোক। সড়ক দুর্ঘটনা হয়তো পুরোপুরি বন্ধ করা যাবে না, তবে মৃত্যু কমিয়ে আনা সম্ভব। এজন্য পুরো পরিবহন খাতকে শৃঙ্খলার মধ্যে আনতে হবে। সড়ক আইন বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় বিধিমালা দ্রুত প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করতে হবে। এক্ষেত্রে কোন চক্রের কাছে নতি স্বীকার করা যাবে না। গণপরিবহনের মালিক-শ্রমিকরা যেন সড়ক পরিবহন আইন মেনে চলে সেটা নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য নিয়মিত মনিটর করা জরুরি।
শনিবার, ২৭ নভেম্বর ২০২১
সড়ক-মহাসড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে দেশে আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। বিভিন্ন সময়ে গঠিত নানা কমিটি সুপারিশ করেছে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নিয়েছে অনেক সিদ্ধান্ত। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। অতীতে আদালতকে নির্দেশনা দিতে দেখা গেছে। কিন্তু সড়কে শৃঙ্খলা ফেরেনি, নিশ্চিত করা যায়নি নিরাপত্তা। সড়কে এখনও ঝরছে প্রাণ। নিরাপদ সড়কের দাবিতে আবারও শিক্ষার্থীদের পথে নামতে হয়েছে।
নিরাপদ সড়কের লক্ষ্যে আইন আছে কিন্তু বিধিমালা নেই। সুপারিশ বা সিদ্ধান্ত মাঠে বাস্তবায়ন করা হয় না। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশনা বা আদালতের নির্দেশনাও উপেক্ষিত রয়ে যায়। সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে মানুষের ক্ষোভ চরমে উঠলে পুরোনো নির্দেশনা বা সিদ্ধান্তই নতুন রূপে হাজির হয়। তবে বাস্তবায়নের অভাবে সড়কের বিশৃঙ্খলা দূর করা সম্ভব হয় না।
অভিযোগ রয়েছে, পরিবহণ মালিক-শ্রমিকদের কাছে সরকার জিম্মি হয়ে পড়েছে। যে কারণে শক্ত কোন আইন করা যায় না, আইন করলেও বিধিমালা তৈরির কাজ শেষ হয় না। পরিবহণ মালিক-শ্রমিকরা কোন আদেশ-নির্দেশেরই তোয়াক্কা করে না। তারা অন্যায় সুবিধা আদায়ের জন্য ইচ্ছেমতো ধর্মঘট ডেকে সাধারণ মানুষকে প্রায়ই জিম্মি করে।
পরিবহন মালিকরা রাজনৈতিক প্রভাবশালী ব্যক্তি। যখন যে দল ক্ষমতায় আসে তখন সে দলের সঙ্গে তারা সখ্য গড়ে তোলে। সরকারের ভেতরে থেকেই তারা সরকারের বিরুদ্ধে চাপ সৃষ্টি করে। তাদের চাপের কাছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নতি স্বীকার করতে হয়। যতদিন না এ চক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া যাবে, ততদিন সড়কে শৃঙ্খলা ফিরবে না।
আমরা চাই, সড়কে মৃত্যুর মিছিল বন্ধ হোক। সড়ক দুর্ঘটনা হয়তো পুরোপুরি বন্ধ করা যাবে না, তবে মৃত্যু কমিয়ে আনা সম্ভব। এজন্য পুরো পরিবহন খাতকে শৃঙ্খলার মধ্যে আনতে হবে। সড়ক আইন বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় বিধিমালা দ্রুত প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করতে হবে। এক্ষেত্রে কোন চক্রের কাছে নতি স্বীকার করা যাবে না। গণপরিবহনের মালিক-শ্রমিকরা যেন সড়ক পরিবহন আইন মেনে চলে সেটা নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য নিয়মিত মনিটর করা জরুরি।