চতুর্থ স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা ও পুষ্টি সেক্টর কর্মসূচির আওতায় ২০১৭ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত ১ হাজার ৬৫৬ কোটি ৭২ লাখ টাকা ব্যয়ে যক্ষ্মা ও এইডস রোগ নির্মূলে কর্মসূচি গ্রহণ করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এ কর্মসূচি বাস্তবায়নে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তেমন কোন পরিকল্পনা নেই বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
কর্মসূচি বাস্তবায়নের নামে যথাযথ অনুমোদন ছাড়াই দুর্নীতির মাধ্যমে একক উৎস থেকে অতিরিক্ত দামে ওষুধ সংগ্রহেরও অভিযোগ রয়েছে। সম্প্রতি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের উদ্যোগে টিবি-লেপ্রোসি অ্যান্ড এইডস/এসটিডি প্রোগ্রাম শীর্ষক অপারেশনাল প্লান বাস্তবায়ন কমিটির সভায় এসব অভিযোগ উঠে আসে। এ নিয়ে আজ শনিবার গণমাধ্যমে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের মোট ২২টি দেশে যক্ষ্মার প্রকোপ বেশি। দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ষষ্ঠ। সর্বশেষ ২০২০ সালে দেশে নতুন যক্ষ্মা রোগী শনাক্ত হয় ২ লাখ ৯২ হাজার ৯৪০ জন। সরকারের হিসেবে জানা যায়, প্রতি বছর যক্ষ্মায় দেশে প্রায় ৩৯ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। সে হিসেবে প্রতিদিন মারা যায় ১০৭ জন।
জাতীয় এইডস নিয়ন্ত্রণ-এসটিডি কর্মসূচির তথ্যমতে, ২০২০ সাল পর্যন্ত দেশে এইডস সংক্রমিত মানুষের অনুমিত সংখ্যা প্রায় ১৪ হাজার। এ পর্যন্ত শনাক্ত হয়েছে ৮ হাজার ৩২ জন, আর মারা গেছে এক ৩৮৩ জন। এদের মধ্যে ২০২০ সালেই মারা গেছে ১৪১ জন এবং শনাক্ত হয়েছে ৬৫৮ জন। দিন আশঙ্কাজনকভাবে বাড়ছে শনাক্ত ও মৃত্যুর হার।
যক্ষ্মা ও এইডস রোগ নির্মূলে গৃহীত কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রশ্ন হচ্ছে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট বিভাগ সেটি উপলব্ধি করছে কিনা। কর্মসূচি বাস্তবায়নের বাকি আছে মাত্র ছয় মাস। এখনও চলতি অর্থবছরের পরিকল্পনাই করা হয়নি। সংশ্লিষ্টদের গদাইলস্করি চাল দেখে মনে হয়, দেশ থেকে যক্ষ্মা ও এইডসের মতো ভয়াবহ রোগগুলো নির্মূলে তারা গুরুত্ব দিচ্ছে না। তাদের এমন উদাসীনতা ও অবহেলা জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি সৃষ্টি করছে। আমরা চাই না কারও উদাসীনতা বা অবহেলায় কর্মসূচিটি বিঘ্নিত হোক।
চলতি অর্থবছরের যতটুক সময় আছে এর মধ্যে পরিকল্পনা করে কর্মসূচি বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিতে হবে। এতদিনেও কেন এই পরিকল্পনা করা হলো না সেটা খতিয়ে দেখে সংশ্লিষ্টদের কাজে স্বচ্ছতা ও জাবাবদিহিতা আদায় করা জরুরি।
শনিবার, ২৭ নভেম্বর ২০২১
চতুর্থ স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা ও পুষ্টি সেক্টর কর্মসূচির আওতায় ২০১৭ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত ১ হাজার ৬৫৬ কোটি ৭২ লাখ টাকা ব্যয়ে যক্ষ্মা ও এইডস রোগ নির্মূলে কর্মসূচি গ্রহণ করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এ কর্মসূচি বাস্তবায়নে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তেমন কোন পরিকল্পনা নেই বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
কর্মসূচি বাস্তবায়নের নামে যথাযথ অনুমোদন ছাড়াই দুর্নীতির মাধ্যমে একক উৎস থেকে অতিরিক্ত দামে ওষুধ সংগ্রহেরও অভিযোগ রয়েছে। সম্প্রতি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের উদ্যোগে টিবি-লেপ্রোসি অ্যান্ড এইডস/এসটিডি প্রোগ্রাম শীর্ষক অপারেশনাল প্লান বাস্তবায়ন কমিটির সভায় এসব অভিযোগ উঠে আসে। এ নিয়ে আজ শনিবার গণমাধ্যমে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের মোট ২২টি দেশে যক্ষ্মার প্রকোপ বেশি। দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ষষ্ঠ। সর্বশেষ ২০২০ সালে দেশে নতুন যক্ষ্মা রোগী শনাক্ত হয় ২ লাখ ৯২ হাজার ৯৪০ জন। সরকারের হিসেবে জানা যায়, প্রতি বছর যক্ষ্মায় দেশে প্রায় ৩৯ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। সে হিসেবে প্রতিদিন মারা যায় ১০৭ জন।
জাতীয় এইডস নিয়ন্ত্রণ-এসটিডি কর্মসূচির তথ্যমতে, ২০২০ সাল পর্যন্ত দেশে এইডস সংক্রমিত মানুষের অনুমিত সংখ্যা প্রায় ১৪ হাজার। এ পর্যন্ত শনাক্ত হয়েছে ৮ হাজার ৩২ জন, আর মারা গেছে এক ৩৮৩ জন। এদের মধ্যে ২০২০ সালেই মারা গেছে ১৪১ জন এবং শনাক্ত হয়েছে ৬৫৮ জন। দিন আশঙ্কাজনকভাবে বাড়ছে শনাক্ত ও মৃত্যুর হার।
যক্ষ্মা ও এইডস রোগ নির্মূলে গৃহীত কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রশ্ন হচ্ছে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট বিভাগ সেটি উপলব্ধি করছে কিনা। কর্মসূচি বাস্তবায়নের বাকি আছে মাত্র ছয় মাস। এখনও চলতি অর্থবছরের পরিকল্পনাই করা হয়নি। সংশ্লিষ্টদের গদাইলস্করি চাল দেখে মনে হয়, দেশ থেকে যক্ষ্মা ও এইডসের মতো ভয়াবহ রোগগুলো নির্মূলে তারা গুরুত্ব দিচ্ছে না। তাদের এমন উদাসীনতা ও অবহেলা জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি সৃষ্টি করছে। আমরা চাই না কারও উদাসীনতা বা অবহেলায় কর্মসূচিটি বিঘ্নিত হোক।
চলতি অর্থবছরের যতটুক সময় আছে এর মধ্যে পরিকল্পনা করে কর্মসূচি বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিতে হবে। এতদিনেও কেন এই পরিকল্পনা করা হলো না সেটা খতিয়ে দেখে সংশ্লিষ্টদের কাজে স্বচ্ছতা ও জাবাবদিহিতা আদায় করা জরুরি।