মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
অসহায় শিক্ষার্থীরা
গত মার্চ মাস থেকে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে আছে। অথচ এতে কারোর বিন্দুমাত্র মাথাব্যথা নেই। দেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছাড়া সবই চলছে। অফিস খুলেছে, কলকারখানা চলছে, শপিংমলে ভিড় হচ্ছে। কিন্তু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ। সেখানে যাওয়াও বারণ। কেন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে এতো দ্বিধা? করোনার সংক্রমণ কি শুধু স্কুল-কলেজেই হয়?
করোনার দুর্যোগে বিভিন্ন সংগঠনের বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়েছে, সেমিনার হয়েছে, ওয়াজ মাহফিল হয়েছে। কোথাও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বালাই ছিল না। দেখলাম অমর একুশে বইমেলা আগের মতোই আয়োজন করার জন্য লেখক এবং প্রকাশক জোর দাবি তুলেছেন। অবশ্যই তাদের যুক্তি আছে। পাবলিক পরিবহন, হাটবাজার, শপিংমল, সিনেমা হল সবকিছুই তো খোলা। তাহলে বইমেলা কেন আগের মতো করা যাবে না? আমার বিশ্বাস লেখক এবং প্রকাশকের কথামতোই এবারের বইমেলা অনুষ্ঠিত হবে।
সেখানে শিক্ষার্থীরা অবহেলিত। স্কুল-কলেজ খুলে দেয়া হচ্ছে না। বন্ধুদের সঙ্গে দেখা হচ্ছে না। ক্লাসে বসে নির্বিঘ্নে লেখাপড়া করার সুযোগ হচ্ছে না। বোধদয় হোক শিক্ষক সমাজের, লেখক সমাজের এবং শিক্ষা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের। শিক্ষার দ্বার উন্মুক্ত হোক।
মো. শফিউল্লাহ
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া
শিশুর জন্য চাই সুস্থ বিনোদন
শিশুর সঠিক বিনোদনই তার পরিপূর্ণ বিকাশে সহায়তা করে। আর এ বিনোদন ঘরে-বাইরে সবখানেই প্রয়োজন। এখন বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে প্লে-জোন রয়েছে। সেখানে শিশুদের জন্য রয়েছে ভার্চুয়াল গেম। গাড়ি চালানো, বিমানে চড়া, শত্রুর বিরুদ্ধে লড়াই করা অথবা সাফারি পার্কে প্রাণীদের জগতে ঘুরে বেড়ানো-সবই আছে। তবে সব কিছুই ভার্চুয়াল। কিছুদিন আগে একজন অভিভাবক অভিযোগ করেন, প্লে-জোনে এমন কিছু খেলা আছে যেগুলো অনেকটা জুয়ার মতো। এক ধাপের পর আরেক ধাপে যেতে পারলে ডিসকাউন্ট। অপরদিকে গেম স্টোর বা প্লে-জোনের সার্ভিসম্যানদের অধিকাংশেরই নেই প্রশিক্ষণ। তারা জানে না কোন বয়সের শিশুদের জন্য কোন ধরনের খেলা উপযোগ। কোন শিশুর জন্য কোন ধরনের গেম উপযোগী সে বিষয়ে অভিভাবকরাও সচেতন নন। ওই সব গেইম আদৌ শিশুদের খেলার উপযোগী কিনা সেটা তারা বিবেচনা করেন না।
শিশুরা যে ঘরে বসে হিন্দি-বাংলা সিরিয়াল দেখছে, সেটাও ভালো লক্ষণ নয়। সিরিয়াল কিংবা হিন্দি সিনেমায় শিশুদের জন্য অসামঞ্জস্যপূর্ণ দৃশ্য ও সংলাপ থাকে। তবে শুধু এমন বিনোদন থেকে শিশুদের দূরে রাখলেই সমস্যার সমাধান হবে না। তার জন্য চাই সুস্থ শিক্ষামূলক বিনোদন। সেই বিনোদন মোবাইল ফোনে ইউটিউবের কার্টুন কিংবা অ্যানিমেশন ছবি না।
শিশু কী দেখবে আর কী দেখবে না, তা সুচিন্তিতভাবে নির্ধারণ করতে হবে। নির্মল বিনোদন ও শিক্ষণীয় উপকরণ বাড়াতে হবে। পরিবারের সবাই মিলে শিশুকে সময় দিতে হবে, গল্প করতে হবে তার সাথে। এমন সব খেলা তালিকায় রাখতে হবে, যা বুদ্ধি, কল্পনাশক্তি, পর্যবেক্ষণ ক্ষমতা, কায়িক শ্রম, অন্যের সঙ্গে যোগাযোগে উৎসাহিত করে। বাচ্চাদের দলবদ্ধ খেলা খেলতে অভ্যাস করাতে হবে। এতে যোগাযোগ করার ক্ষমতা বাড়বে। যেহেতু বই পড়ার চেয়ে ভালো অভ্যাস আর কিছু হতে পারে না, তাই শিশুদের মধ্যে ছোট থেকেই বই পড়ার অভ্যাস তৈরি করতে হবে। তবেই শিশুদের জন্য সুস্থ বিনোদন নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
আসাদুল্লাহ আল-গালিব
শিক্ষার্থী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে মনোযোগ দিতে হবে
মহাবিশ্বের সব সৃষ্টির মধ্যে মানুষ পেয়েছে স্বঘোষিত নেতৃত্ব। পৃথিবীর সব জীবের মধ্যে বাস্তুতান্ত্রিক যে শৃঙ্খলা বজায় আছে সেটি যদি কোনক্রমে সম্পূর্ণরূপে ভেঙে পড়ে তাহলে পুরো বিশ্বজগৎ ধ্বংসের চূড়ান্ত পর্যায়ে ধাবিত হবে। অর্থাৎ নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার্থেই সব জীবের বিকাশ, বংশবৃদ্ধিতে আমাদের যথাযথ গুরুত্ব দিতে হবে। পাশাপাশি জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণেও অধিকতর মনোযোগ দিতে হবে।
প্রত্যেক জীবের এ পৃথিবীতে বেঁচে থাকার পূর্ণ অধিকার আছে। জাতিসংঘের বিশ্বপ্রকৃতির ঘোষণাপত্রে এ চিন্তাধারা স্বীকৃতি পেয়েছে। এটিকে নীতি বাক্য মেনে নিয়ে সবাইকে জীববৈচিত্র্য রক্ষায় নিরলস কাজ করে যেতে হবে।
আকিজ মাহমুদ
মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
শুক্রবার, ০৮ জানুয়ারী ২০২১
অসহায় শিক্ষার্থীরা
গত মার্চ মাস থেকে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে আছে। অথচ এতে কারোর বিন্দুমাত্র মাথাব্যথা নেই। দেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছাড়া সবই চলছে। অফিস খুলেছে, কলকারখানা চলছে, শপিংমলে ভিড় হচ্ছে। কিন্তু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ। সেখানে যাওয়াও বারণ। কেন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে এতো দ্বিধা? করোনার সংক্রমণ কি শুধু স্কুল-কলেজেই হয়?
করোনার দুর্যোগে বিভিন্ন সংগঠনের বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়েছে, সেমিনার হয়েছে, ওয়াজ মাহফিল হয়েছে। কোথাও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বালাই ছিল না। দেখলাম অমর একুশে বইমেলা আগের মতোই আয়োজন করার জন্য লেখক এবং প্রকাশক জোর দাবি তুলেছেন। অবশ্যই তাদের যুক্তি আছে। পাবলিক পরিবহন, হাটবাজার, শপিংমল, সিনেমা হল সবকিছুই তো খোলা। তাহলে বইমেলা কেন আগের মতো করা যাবে না? আমার বিশ্বাস লেখক এবং প্রকাশকের কথামতোই এবারের বইমেলা অনুষ্ঠিত হবে।
সেখানে শিক্ষার্থীরা অবহেলিত। স্কুল-কলেজ খুলে দেয়া হচ্ছে না। বন্ধুদের সঙ্গে দেখা হচ্ছে না। ক্লাসে বসে নির্বিঘ্নে লেখাপড়া করার সুযোগ হচ্ছে না। বোধদয় হোক শিক্ষক সমাজের, লেখক সমাজের এবং শিক্ষা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের। শিক্ষার দ্বার উন্মুক্ত হোক।
মো. শফিউল্লাহ
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া
শিশুর জন্য চাই সুস্থ বিনোদন
শিশুর সঠিক বিনোদনই তার পরিপূর্ণ বিকাশে সহায়তা করে। আর এ বিনোদন ঘরে-বাইরে সবখানেই প্রয়োজন। এখন বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে প্লে-জোন রয়েছে। সেখানে শিশুদের জন্য রয়েছে ভার্চুয়াল গেম। গাড়ি চালানো, বিমানে চড়া, শত্রুর বিরুদ্ধে লড়াই করা অথবা সাফারি পার্কে প্রাণীদের জগতে ঘুরে বেড়ানো-সবই আছে। তবে সব কিছুই ভার্চুয়াল। কিছুদিন আগে একজন অভিভাবক অভিযোগ করেন, প্লে-জোনে এমন কিছু খেলা আছে যেগুলো অনেকটা জুয়ার মতো। এক ধাপের পর আরেক ধাপে যেতে পারলে ডিসকাউন্ট। অপরদিকে গেম স্টোর বা প্লে-জোনের সার্ভিসম্যানদের অধিকাংশেরই নেই প্রশিক্ষণ। তারা জানে না কোন বয়সের শিশুদের জন্য কোন ধরনের খেলা উপযোগ। কোন শিশুর জন্য কোন ধরনের গেম উপযোগী সে বিষয়ে অভিভাবকরাও সচেতন নন। ওই সব গেইম আদৌ শিশুদের খেলার উপযোগী কিনা সেটা তারা বিবেচনা করেন না।
শিশুরা যে ঘরে বসে হিন্দি-বাংলা সিরিয়াল দেখছে, সেটাও ভালো লক্ষণ নয়। সিরিয়াল কিংবা হিন্দি সিনেমায় শিশুদের জন্য অসামঞ্জস্যপূর্ণ দৃশ্য ও সংলাপ থাকে। তবে শুধু এমন বিনোদন থেকে শিশুদের দূরে রাখলেই সমস্যার সমাধান হবে না। তার জন্য চাই সুস্থ শিক্ষামূলক বিনোদন। সেই বিনোদন মোবাইল ফোনে ইউটিউবের কার্টুন কিংবা অ্যানিমেশন ছবি না।
শিশু কী দেখবে আর কী দেখবে না, তা সুচিন্তিতভাবে নির্ধারণ করতে হবে। নির্মল বিনোদন ও শিক্ষণীয় উপকরণ বাড়াতে হবে। পরিবারের সবাই মিলে শিশুকে সময় দিতে হবে, গল্প করতে হবে তার সাথে। এমন সব খেলা তালিকায় রাখতে হবে, যা বুদ্ধি, কল্পনাশক্তি, পর্যবেক্ষণ ক্ষমতা, কায়িক শ্রম, অন্যের সঙ্গে যোগাযোগে উৎসাহিত করে। বাচ্চাদের দলবদ্ধ খেলা খেলতে অভ্যাস করাতে হবে। এতে যোগাযোগ করার ক্ষমতা বাড়বে। যেহেতু বই পড়ার চেয়ে ভালো অভ্যাস আর কিছু হতে পারে না, তাই শিশুদের মধ্যে ছোট থেকেই বই পড়ার অভ্যাস তৈরি করতে হবে। তবেই শিশুদের জন্য সুস্থ বিনোদন নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
আসাদুল্লাহ আল-গালিব
শিক্ষার্থী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে মনোযোগ দিতে হবে
মহাবিশ্বের সব সৃষ্টির মধ্যে মানুষ পেয়েছে স্বঘোষিত নেতৃত্ব। পৃথিবীর সব জীবের মধ্যে বাস্তুতান্ত্রিক যে শৃঙ্খলা বজায় আছে সেটি যদি কোনক্রমে সম্পূর্ণরূপে ভেঙে পড়ে তাহলে পুরো বিশ্বজগৎ ধ্বংসের চূড়ান্ত পর্যায়ে ধাবিত হবে। অর্থাৎ নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার্থেই সব জীবের বিকাশ, বংশবৃদ্ধিতে আমাদের যথাযথ গুরুত্ব দিতে হবে। পাশাপাশি জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণেও অধিকতর মনোযোগ দিতে হবে।
প্রত্যেক জীবের এ পৃথিবীতে বেঁচে থাকার পূর্ণ অধিকার আছে। জাতিসংঘের বিশ্বপ্রকৃতির ঘোষণাপত্রে এ চিন্তাধারা স্বীকৃতি পেয়েছে। এটিকে নীতি বাক্য মেনে নিয়ে সবাইকে জীববৈচিত্র্য রক্ষায় নিরলস কাজ করে যেতে হবে।
আকিজ মাহমুদ