alt

চিঠিপত্র

চিঠিপত্র : নদী রক্ষায় চাই সচেতনতা

: বুধবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২১

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

নদী রক্ষায় চাই সচেতনতা

সুদূর অতীতকাল থেকে বর্তমান পর্যন্ত বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য, পণ্য লেনদেন ইত্যাদির জন্য সবচেয়ে সহজলভ্য ও সাশ্রয়ী যাতায়াত মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে জলপথ। স্থলপথ-রেলপথ-আকাশপথ এসব কিছুর চেয়ে জলপথই সব লেনদেন পরিচালনার ক্ষেত্রে প্রথম ও প্রধান মাধ্যম হিসেবে কাজ করে এসেছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অসংখ্য সাগর-হ্রদ-নদ-নদী ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে এবং বহু দেশের বহু নদ-নদীকে ঘিরে ঐতিহাসিক অনেক ঘটনাও রয়েছে যা সেসব নদী ও দেশকে বিশ্বের নিকট বহুল আলোচিত করে তুলেছে।

বিশ্বজুড়ে যত দেশে যত বিশ্বখ্যাত নদ-নদীই থাকুক না কেন নদীমাতৃক দেশ হিসেবে পৃথিবীর বুকে একমাত্র বাংলাদেশই পরিচিতি লাভ করেছে। ১,৪৭,৫৭০ বর্গ কিলোমিটার আয়তন বিশিষ্ট এই ছোট দেশটির বুকে শাখা-প্রশাখাসহ বয়ে চলছে সাত শতাধিক নদ-নদী। বিপুল পরিমাণ জলরাশি নিয়ে ২৪,১৪০ কিলোমিটার জায়গা দখল করে দেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে অসংখ্য নদ-নদী। নদীমাতৃক এই দেশ তার জলরাশির সুন্দর লীলা-খেলায় সকলের মন জয় করে নিয়েছে। বহু লেখক-কবি-সাহিত্যিক তাদের লেখনিতে বাংলার নদ-নদীর চির তারুণ্যকে শৈল্পিকভাবে উপস্থাপন করেছেন। তাদের লেখনীর মিষ্টি ভাষার বর্ণনায় স্থান করে নিয়েছে বাংলার বুকে বয়ে চলা সৌন্দর্যে পরিপূর্ণ এই জলরাশি।

অতীতে বাংলাদেশের নদ-নদী যতটা মনোঃমুগ্ধকর ছিল বর্তমানে যেন ধীরে ধীরে তা মানুষের নজর আড়ালে চলে যাচ্ছে। এক সময় সবার আকর্ষণ কেড়ে নেয়া নদ-নদীগুলো বর্তমানে সাধারণ জলাশয়ে পরিণত হয়েছে। আর এর পেছনে বিদ্যমান অসংখ্য কারণ। বর্তমান সময়ে নদ-নদীগুলোর ওপর চলছে অযাচিত অত্যাচার। মানুষের অমানবিক-পৈষাচিক আচরণের শিকার হতে রেহাই পাচ্ছে না নদ-নদীগুলোও। অনিয়ন্ত্রিতভাবে চলছে নদী দূষণ, নদী ভরাট ইত্যাদি। নদ-নদীর কিনারে বিভিন্ন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান নির্মাণ ও নদীর পানিতে নানা বর্জ্য ফেলার ফলে ধীরে ধীরে নদীর পানিগুলো মানুষের ব্যবহারের অনুপোযোগী হয়ে যাচ্ছে। নদী তীরবর্তী বসবাসকারী লোকজন যাদের পানির প্রয়োজন মেটানোর জন্য সরাসরি নদীর পানি ব্যবহার করতে হয় তাদের স্বাস্থ্য সেসব দূষিত পানির দ্বারা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

দেশের উন্নয়নের তাগিদে শুধু একপাক্ষিক প্রচেষ্টাই যথেষ্ট নয় বরং সরকারের পাশাপাশি জনগণের মাঝেও সচেতনতা একান্ত কাম্য। ইচ্ছা মতো অবাধে নদ-নদীর পানিতে দূষিত পদার্থ ফেলা থেকে বিরত থাকতে হবে। তাছাড়া নদ-নদীর পাশে নির্মিত বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে তাদের বর্জ্য ফেলার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় শোধনাগার (ইটিপি) স্থাপন করতে হবে। নদী খননের উদ্যোগ নিতে হবে এবং নদী ভরাট ও দূষণ রোধে সর্বদা আইনের কঠোর প্রয়োগ চালিয়ে যেতে হবে। সবার মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধিকরণের মাধ্যমে বাংলাদেশ যে একটি নদীমাতৃক দেশ এই সুখ্যাতি প্রাপ্তির ধারা অব্যাহত রাখার আশা করা যায়।

আতিয়া ফাইরুজ ঐশী,

শিক্ষার্থী,

শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট,

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।

মনিরুদ্দিন লেন প্রশস্ত করুন

ঢাকার মেরাদিয়ায় মনিরউদ্দিন লেন একটি সরু রাস্তা যা বনশ্রীর ই ব্লকের ৭ নং রাস্তার সঙ্গে মিশেছে। হাজারো মানুষ রাস্তাটি নিয়মিত ব্যবহার করে। রাস্তাটি প্রস্থে কোথাও ৬ ফুট, কোথাও ৯ ফুট, কোথাও-বা ১১ ফুট। এ রাস্তায় একটি রিকশা আরেকটি রিকশাকে পাশ কাটিয়ে চলতে গেলেই ধাক্কা লাগে। আগুন লাগলে বা কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি, অ্যাম্বুলেন্স বা ওয়াসার পানিবাহী গাড়ি এ রাস্তায় প্রবেশ করতে পারবে না।

রাস্তাটির দুপাশে এখনও বহুতল ভবন নির্মিত হয়নি। রয়েছে কিছু খালি জায়গা, টিনের বাড়ি, রিকশা গ্যারেজ, দোকান। ফলে রাস্তাটি এখনও খুব অনায়সে প্রশস্তকরণের সুযোগ রয়েছে। কাজেই এলাকার জনসাধারণের চলাচলের সুবিধা এবং সহজে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি, অ্যাম্বুলেন্স ও ওয়াসার গাড়ি ঢোকার কথা বিবেচনা করে সড়কটি অন্তত ১৫ ফুট প্রশস্ত করার উদ্যোগ নেয়া উচিত।

রবিউস সামস, রেজা বেপারী, ফারজানা ইসলাম, রেবেকা সামদা

মনিরউদ্দিন লেন, মেরাদিয়া, খিলগাঁও

ছবি

বেকারত্ব নিরসনে কুটির শিল্পের ভূমিকা

দুর্যোগ পূর্ববর্তী প্রস্তুতি

ছবি

সোনালি পাটের প্রয়োজনীয়তা

কালীকচ্ছের ধর্মতীর্থ বধ্যভূমিতে স্মৃতিসৌধ নির্মাণের দাবি

চিঠি : হলে খাবারের মান উন্নত করুন

চিঠি : স্বাস্থ্য শিক্ষা বিষয়ে ডিপ্লোমাধারীদের বৈষম্য দূর করুন

চিঠি : শিক্ষার মান উন্নয়ন চাই

চিঠি : সড়ক আইন বাস্তবায়ন করুন

চিঠি : রাস্তায় বাইক সন্ত্রাস

চিঠি : কঠিন হয়ে পড়ছে ক্যাম্পাস সাংবাদিকতা

চিঠি : ডিসেম্বরের স্মৃতি

চিঠি : টেকসই ও সাশ্রয়ী ক্লিন এনার্জি

চিঠি : নকল গুড় জব্দ হোক

চিঠি : সড়কে বাড়ছে লেন ঝরছে প্রাণ

চিঠি : ঢাকাবাসীর কাছে মেট্রোরেল আশীর্বাদ

চিঠি : কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন জরুরি

চিঠি : পরিচ্ছন্ন ক্যাম্পাস চাই

চিঠি : তারুণ্যের শক্তি কাজে লাগান

চিঠি : এইডস থেকে বাঁচতে সচেতন হোন

চিঠি : অতিথি পাখি নিধন বন্ধ হোক

চিঠি : হাসুন, সুস্থ থাকুন

চিঠি : হাতি দিয়ে চাঁদাবাজি বন্ধ হোক

চিঠি : রাজনীতিতে তরুণ সমাজের অংশগ্রহণ

চিঠি : মাদককে ‘না’ বলুন

চিঠি : পুনরুন্নয়ন প্রকল্প : পাল্টে যাবে পুরান ঢাকা

চিঠি : শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ান

চিঠি : চন্দ্রগঞ্জে ফায়ার সার্ভিস স্টেশন চাই

চিঠি : বাড়ছে বাল্যবিয়ে

চিঠি : টিকটকের অপব্যবহার রোধ করতে হবে

চিঠি : আত্মবিশ্বাস ও আস্থা

চিঠি : শিক্ষকরা কি প্রকৃত মর্যাদা পাচ্ছে

চিঠি : শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সম্প্রীতি চাই

চিঠি : সকালে ও বিকেলে মেট্রোরেল চলুক

চিঠি : অতিথি পাখি নিধন বন্ধ করতে হবে

চিঠি : ঢাবি’র কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার আধুনিকায়ন করা হোক

চিঠি : নিত্যপণ্যের দাম

tab

চিঠিপত্র

চিঠিপত্র : নদী রক্ষায় চাই সচেতনতা

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

বুধবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২১

নদী রক্ষায় চাই সচেতনতা

সুদূর অতীতকাল থেকে বর্তমান পর্যন্ত বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য, পণ্য লেনদেন ইত্যাদির জন্য সবচেয়ে সহজলভ্য ও সাশ্রয়ী যাতায়াত মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে জলপথ। স্থলপথ-রেলপথ-আকাশপথ এসব কিছুর চেয়ে জলপথই সব লেনদেন পরিচালনার ক্ষেত্রে প্রথম ও প্রধান মাধ্যম হিসেবে কাজ করে এসেছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অসংখ্য সাগর-হ্রদ-নদ-নদী ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে এবং বহু দেশের বহু নদ-নদীকে ঘিরে ঐতিহাসিক অনেক ঘটনাও রয়েছে যা সেসব নদী ও দেশকে বিশ্বের নিকট বহুল আলোচিত করে তুলেছে।

বিশ্বজুড়ে যত দেশে যত বিশ্বখ্যাত নদ-নদীই থাকুক না কেন নদীমাতৃক দেশ হিসেবে পৃথিবীর বুকে একমাত্র বাংলাদেশই পরিচিতি লাভ করেছে। ১,৪৭,৫৭০ বর্গ কিলোমিটার আয়তন বিশিষ্ট এই ছোট দেশটির বুকে শাখা-প্রশাখাসহ বয়ে চলছে সাত শতাধিক নদ-নদী। বিপুল পরিমাণ জলরাশি নিয়ে ২৪,১৪০ কিলোমিটার জায়গা দখল করে দেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে অসংখ্য নদ-নদী। নদীমাতৃক এই দেশ তার জলরাশির সুন্দর লীলা-খেলায় সকলের মন জয় করে নিয়েছে। বহু লেখক-কবি-সাহিত্যিক তাদের লেখনিতে বাংলার নদ-নদীর চির তারুণ্যকে শৈল্পিকভাবে উপস্থাপন করেছেন। তাদের লেখনীর মিষ্টি ভাষার বর্ণনায় স্থান করে নিয়েছে বাংলার বুকে বয়ে চলা সৌন্দর্যে পরিপূর্ণ এই জলরাশি।

অতীতে বাংলাদেশের নদ-নদী যতটা মনোঃমুগ্ধকর ছিল বর্তমানে যেন ধীরে ধীরে তা মানুষের নজর আড়ালে চলে যাচ্ছে। এক সময় সবার আকর্ষণ কেড়ে নেয়া নদ-নদীগুলো বর্তমানে সাধারণ জলাশয়ে পরিণত হয়েছে। আর এর পেছনে বিদ্যমান অসংখ্য কারণ। বর্তমান সময়ে নদ-নদীগুলোর ওপর চলছে অযাচিত অত্যাচার। মানুষের অমানবিক-পৈষাচিক আচরণের শিকার হতে রেহাই পাচ্ছে না নদ-নদীগুলোও। অনিয়ন্ত্রিতভাবে চলছে নদী দূষণ, নদী ভরাট ইত্যাদি। নদ-নদীর কিনারে বিভিন্ন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান নির্মাণ ও নদীর পানিতে নানা বর্জ্য ফেলার ফলে ধীরে ধীরে নদীর পানিগুলো মানুষের ব্যবহারের অনুপোযোগী হয়ে যাচ্ছে। নদী তীরবর্তী বসবাসকারী লোকজন যাদের পানির প্রয়োজন মেটানোর জন্য সরাসরি নদীর পানি ব্যবহার করতে হয় তাদের স্বাস্থ্য সেসব দূষিত পানির দ্বারা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

দেশের উন্নয়নের তাগিদে শুধু একপাক্ষিক প্রচেষ্টাই যথেষ্ট নয় বরং সরকারের পাশাপাশি জনগণের মাঝেও সচেতনতা একান্ত কাম্য। ইচ্ছা মতো অবাধে নদ-নদীর পানিতে দূষিত পদার্থ ফেলা থেকে বিরত থাকতে হবে। তাছাড়া নদ-নদীর পাশে নির্মিত বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে তাদের বর্জ্য ফেলার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় শোধনাগার (ইটিপি) স্থাপন করতে হবে। নদী খননের উদ্যোগ নিতে হবে এবং নদী ভরাট ও দূষণ রোধে সর্বদা আইনের কঠোর প্রয়োগ চালিয়ে যেতে হবে। সবার মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধিকরণের মাধ্যমে বাংলাদেশ যে একটি নদীমাতৃক দেশ এই সুখ্যাতি প্রাপ্তির ধারা অব্যাহত রাখার আশা করা যায়।

আতিয়া ফাইরুজ ঐশী,

শিক্ষার্থী,

শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট,

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।

মনিরুদ্দিন লেন প্রশস্ত করুন

ঢাকার মেরাদিয়ায় মনিরউদ্দিন লেন একটি সরু রাস্তা যা বনশ্রীর ই ব্লকের ৭ নং রাস্তার সঙ্গে মিশেছে। হাজারো মানুষ রাস্তাটি নিয়মিত ব্যবহার করে। রাস্তাটি প্রস্থে কোথাও ৬ ফুট, কোথাও ৯ ফুট, কোথাও-বা ১১ ফুট। এ রাস্তায় একটি রিকশা আরেকটি রিকশাকে পাশ কাটিয়ে চলতে গেলেই ধাক্কা লাগে। আগুন লাগলে বা কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি, অ্যাম্বুলেন্স বা ওয়াসার পানিবাহী গাড়ি এ রাস্তায় প্রবেশ করতে পারবে না।

রাস্তাটির দুপাশে এখনও বহুতল ভবন নির্মিত হয়নি। রয়েছে কিছু খালি জায়গা, টিনের বাড়ি, রিকশা গ্যারেজ, দোকান। ফলে রাস্তাটি এখনও খুব অনায়সে প্রশস্তকরণের সুযোগ রয়েছে। কাজেই এলাকার জনসাধারণের চলাচলের সুবিধা এবং সহজে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি, অ্যাম্বুলেন্স ও ওয়াসার গাড়ি ঢোকার কথা বিবেচনা করে সড়কটি অন্তত ১৫ ফুট প্রশস্ত করার উদ্যোগ নেয়া উচিত।

রবিউস সামস, রেজা বেপারী, ফারজানা ইসলাম, রেবেকা সামদা

মনিরউদ্দিন লেন, মেরাদিয়া, খিলগাঁও

back to top