মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
সম্ভাবনাময় কৃষি পর্যটন
কৃষি পর্যটন হলো অবকাশযাপনের এমন এক ধরন যেখানে খামারগুলোতে আতিথেয়তার আয়োজন করা হয়। অবকাশকালীন কর্মকান্ডের মধ্য থেকে কৃষি পদ্ধতি সম্পর্কে বাস্তব জ্ঞান আহরণ, ফল ও সবজি ক্রয়, ঘোড়ায় চড়া, মধু আহরণ, আঞ্চলিক পণ্য অথবা হস্তশিল্প সামগ্রী দেখা এবং ক্রয়ের সুযোগ তৈরি করে। এক কথায় কৃষির আদ্যোপান্ত জানার সুযোগ তৈরি করে কৃষি পর্যটন।
কৃষি পর্যটনে সারা বিশ্বের সবচেয়ে এগিয়ে আছে আমেরিকা ও ফিলিপিন?। তাছাড়াও উল্লেখযোগ্য ফ্রান্স, নিউজিল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া পর্তুগাল, নেপাল, উগান্ডা, আয়ারল্যান্ড, আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া, এমনকি আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারতেও ইতোমধ্যে কৃষি পর্যটন বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। ফ্রান্সের প্যারিস থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত লাকুলুয়ে দো সারজি নামক একটি জায়গায় ৪০ হেক্টর জমি নিয়ে গড়ে উঠেছে এক বিশাল ফার্ম। ফার্মটিতে অর্গানিক পদ্ধতিতে বিভিন্ন রকমের শাকসবজি, ফল-মূল, ফুল, ফসল ইত্যাদি উৎপাদন করা হয়। উৎপাদিত সব পণ্য-সামগ্রী এই ফার্ম থেকে নিয়ে গিয়ে শহরে বিক্রি করে। শহর থেকে অনেক পর্যটক এখানে বেড়াতে আসেন। তারা নিজের পছন্দমতো ফল খেতে পারেন আবার নিজেদের প্রয়োজন অনুযায়ী নিয়ে যেতে পারেন। নেয়ার সময় কাউন্টারে ওই পণ্যটির নির্ধারিত মূল্য পরিশোধ করে দিয়ে যান। ফার্মটির মধ্যে আছে খামার, রেস্তোরাঁ, বাজার, দোকানপাট।
সব বয়সী মানুষের মধ্যেই গ্রাম ও প্রকৃতির প্রতি আকর্ষণ থাকে। ইট পাথরের শহর ছেড়ে, যান্ত্রিকতা থেকে মুক্তি পেতে চায় মানুষ। পুকুরে সাঁতার কাটতে চায়, নিজ হাতে মাছ ধরতে চায়, গাছে উঠে ফল পাড়তে চায়। এসব আনন্দই পূর্ণতা পায় কৃষি পর্যটনে।
নতুন প্রজন্মকে কৃষির সঙ্গে সম্পৃক্ত করতে, মাটির সংস্পর্শে আনতে, এবং সবুজের সঙ্গে সখ্যতা তৈরি করতে কৃষি পর্যটন হতে পারে অন্যতম মাধ্যম। ইতোমধ্যে আমাদের দেশেও অপরিকল্পিতভাবে বেশকিছু কৃষি পর্যটন ক্ষেত্র গড়ে উঠেছে যেমন রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের আম বাগান, দিনাজপুরের লিচু বাগান, স্বরূপকাঠি পেয়ারা বাগান, যশোরের ফুলের বাগান, নরসিংদীর লটকন বাগান এমন আরও অসংখ্য কৃষি পর্যটন। দেশীয় পর্যটকেদের কাছে ভ্রমণের জন্য এই জায়গাগুলো ইতোমধ্যে বেশ পরিচিতি লাভ করে ফেলেছে। যথাযথ পদক্ষেপের মাধ্যমে এই ক্ষেত্রগুলোর আরও সমৃদ্ধ করা সম্ভব।
রিম্পা খাতুন
ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া
ধর্মের নামে চাঁদাবাজি বন্ধ হোক
মসজিদ, মাদরাসা কিংবা এতিমখানার উন্নয়নের জন্য অনেক সময় সাহায্য সংগ্রহ চাওয়া হয়ে থাকে এবং সাধারণ ধর্মপ্রাণ মানুষ এতে টাকা পয়সা দিয়ে সাহায্য করেন। কিন্তু আজকাল একদল ভন্ড সাধারণ মানুষের ধর্মানুভূতিকে পুঁজি করে রীতিমতো চাঁদাবাজি করছেন।
সম্প্রতি আমি একটি ট্রেনে ভ্রমণ করি। যাত্রাপথে ট্রেনের বগিতে পায়জামা পাঞ্জাবি পরিহিত জনৈক এক ব্যক্তি নিজেকে স্থানীয় একটি মাদরাসার শিক্ষক দাবি করে মাদরাসার উন্নয়নের জন্য সাহায্য চায়। দীর্ঘদিন ধরে অনেকের কাছে মসজিদ-মাদরাসার নাম ভাঙিয়ে টাকা নেয়ার অভিযোগ শুনে আসছিলাম। তাই পরখ করার জন্য একপর্যায়ে আমরা উনাকে মাদরাসার নাম বলতে বলি ও সাহায্য গ্রহণ সাপেক্ষে টাকা গ্রহণের রশিদ দিতে বলি। উনি রশিদ দেখাতে ব্যর্থ হন এবং অসংলগ্ন ও সন্দেহজনক কথাবার্তা বলতে শুরু করেন। একপর্যায়ে ট্রেনে থাকা বাকি সবাই উনার ভন্ডামি ধরে ফেললে দ্রুত পরের স্টেশনে নেমে যান।
ধর্মের নামে কেউ যেন প্রতারণা না করতে পারে সেজন্য কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। এ ব্যাপারে সবাইকে সচেতন হতে হবে।
মুশফিকুর রহমান ইমন
গোপালপুর, টাঙ্গাইল।
মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
শুক্রবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২১
সম্ভাবনাময় কৃষি পর্যটন
কৃষি পর্যটন হলো অবকাশযাপনের এমন এক ধরন যেখানে খামারগুলোতে আতিথেয়তার আয়োজন করা হয়। অবকাশকালীন কর্মকান্ডের মধ্য থেকে কৃষি পদ্ধতি সম্পর্কে বাস্তব জ্ঞান আহরণ, ফল ও সবজি ক্রয়, ঘোড়ায় চড়া, মধু আহরণ, আঞ্চলিক পণ্য অথবা হস্তশিল্প সামগ্রী দেখা এবং ক্রয়ের সুযোগ তৈরি করে। এক কথায় কৃষির আদ্যোপান্ত জানার সুযোগ তৈরি করে কৃষি পর্যটন।
কৃষি পর্যটনে সারা বিশ্বের সবচেয়ে এগিয়ে আছে আমেরিকা ও ফিলিপিন?। তাছাড়াও উল্লেখযোগ্য ফ্রান্স, নিউজিল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া পর্তুগাল, নেপাল, উগান্ডা, আয়ারল্যান্ড, আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া, এমনকি আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারতেও ইতোমধ্যে কৃষি পর্যটন বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। ফ্রান্সের প্যারিস থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত লাকুলুয়ে দো সারজি নামক একটি জায়গায় ৪০ হেক্টর জমি নিয়ে গড়ে উঠেছে এক বিশাল ফার্ম। ফার্মটিতে অর্গানিক পদ্ধতিতে বিভিন্ন রকমের শাকসবজি, ফল-মূল, ফুল, ফসল ইত্যাদি উৎপাদন করা হয়। উৎপাদিত সব পণ্য-সামগ্রী এই ফার্ম থেকে নিয়ে গিয়ে শহরে বিক্রি করে। শহর থেকে অনেক পর্যটক এখানে বেড়াতে আসেন। তারা নিজের পছন্দমতো ফল খেতে পারেন আবার নিজেদের প্রয়োজন অনুযায়ী নিয়ে যেতে পারেন। নেয়ার সময় কাউন্টারে ওই পণ্যটির নির্ধারিত মূল্য পরিশোধ করে দিয়ে যান। ফার্মটির মধ্যে আছে খামার, রেস্তোরাঁ, বাজার, দোকানপাট।
সব বয়সী মানুষের মধ্যেই গ্রাম ও প্রকৃতির প্রতি আকর্ষণ থাকে। ইট পাথরের শহর ছেড়ে, যান্ত্রিকতা থেকে মুক্তি পেতে চায় মানুষ। পুকুরে সাঁতার কাটতে চায়, নিজ হাতে মাছ ধরতে চায়, গাছে উঠে ফল পাড়তে চায়। এসব আনন্দই পূর্ণতা পায় কৃষি পর্যটনে।
নতুন প্রজন্মকে কৃষির সঙ্গে সম্পৃক্ত করতে, মাটির সংস্পর্শে আনতে, এবং সবুজের সঙ্গে সখ্যতা তৈরি করতে কৃষি পর্যটন হতে পারে অন্যতম মাধ্যম। ইতোমধ্যে আমাদের দেশেও অপরিকল্পিতভাবে বেশকিছু কৃষি পর্যটন ক্ষেত্র গড়ে উঠেছে যেমন রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের আম বাগান, দিনাজপুরের লিচু বাগান, স্বরূপকাঠি পেয়ারা বাগান, যশোরের ফুলের বাগান, নরসিংদীর লটকন বাগান এমন আরও অসংখ্য কৃষি পর্যটন। দেশীয় পর্যটকেদের কাছে ভ্রমণের জন্য এই জায়গাগুলো ইতোমধ্যে বেশ পরিচিতি লাভ করে ফেলেছে। যথাযথ পদক্ষেপের মাধ্যমে এই ক্ষেত্রগুলোর আরও সমৃদ্ধ করা সম্ভব।
রিম্পা খাতুন
ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া
ধর্মের নামে চাঁদাবাজি বন্ধ হোক
মসজিদ, মাদরাসা কিংবা এতিমখানার উন্নয়নের জন্য অনেক সময় সাহায্য সংগ্রহ চাওয়া হয়ে থাকে এবং সাধারণ ধর্মপ্রাণ মানুষ এতে টাকা পয়সা দিয়ে সাহায্য করেন। কিন্তু আজকাল একদল ভন্ড সাধারণ মানুষের ধর্মানুভূতিকে পুঁজি করে রীতিমতো চাঁদাবাজি করছেন।
সম্প্রতি আমি একটি ট্রেনে ভ্রমণ করি। যাত্রাপথে ট্রেনের বগিতে পায়জামা পাঞ্জাবি পরিহিত জনৈক এক ব্যক্তি নিজেকে স্থানীয় একটি মাদরাসার শিক্ষক দাবি করে মাদরাসার উন্নয়নের জন্য সাহায্য চায়। দীর্ঘদিন ধরে অনেকের কাছে মসজিদ-মাদরাসার নাম ভাঙিয়ে টাকা নেয়ার অভিযোগ শুনে আসছিলাম। তাই পরখ করার জন্য একপর্যায়ে আমরা উনাকে মাদরাসার নাম বলতে বলি ও সাহায্য গ্রহণ সাপেক্ষে টাকা গ্রহণের রশিদ দিতে বলি। উনি রশিদ দেখাতে ব্যর্থ হন এবং অসংলগ্ন ও সন্দেহজনক কথাবার্তা বলতে শুরু করেন। একপর্যায়ে ট্রেনে থাকা বাকি সবাই উনার ভন্ডামি ধরে ফেললে দ্রুত পরের স্টেশনে নেমে যান।
ধর্মের নামে কেউ যেন প্রতারণা না করতে পারে সেজন্য কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। এ ব্যাপারে সবাইকে সচেতন হতে হবে।
মুশফিকুর রহমান ইমন
গোপালপুর, টাঙ্গাইল।