alt

চিঠিপত্র

চিঠিপত্র : অপসংস্কৃতি রোধ করুন

: বুধবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২১

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

অপসংস্কৃতি রোধ করুন

বাংলার আবহমান সংস্কৃতিকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে ইন্টারনেট ও ভিনদেশি চ্যানেল। টেলিভিশন, সিনেমার যে সব ছবি দেখানো হচ্ছে তার অধিকাংশই আমাদের মন-মানসিকতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। অথচ এ সব অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ ছবি আমাদের তরুণ-তরুণীদের অতি প্রিয় হয়ে গেছে। তাদের এ আচার-আচরণ যেমন কুরুচিপূর্ণ তেমনি অপসংস্কৃতির সহায়ক। আমাদের তরুণ সমাজ আজ এ অপসংস্কৃতির স্রোতে গা ভাসিয়ে দিয়েছে। সত্য ও সুন্দরকে ত্যাগ করে তরুণ সমাজ উগ্র জীবনযাপনে উৎসাহিত হয়ে উঠেছে এবং চরম অবক্ষয়ের মাঝে জীবনবোধ খুঁজে বেড়াচ্ছে। এসবের প্রভাবে ব্যাপকহারে ঘটছে শ্লীলতাহানি, ধর্ষণ, পরকীয়া, পারিবারিক কলহ, হত্যা, এসিড নিক্ষেপ, সন্ত্রাসী কার্যকলাপ।

এ অবস্থার পরিবর্তন জরুরি। প্রয়োজন দেশীয় চ্যানেলগুলোর মানসম্মত অনুষ্ঠান সম্প্রচার ও বিজ্ঞাপন প্রচারে বাড়াবাড়ি কমানো। ভিনদেশি আগ্রাসী চ্যানেলগুলো বন্ধ করে দেয়া অথবা নিয়ন্ত্রণে আনা উচিত। অপসংস্কৃতির আগ্রাসনে বন্ধের জন্য সবচেয়ে কার্যকর উপায় হচ্ছে সুস্থ ও নিজস্ব সাংস্কৃতিক আন্দোলন জোরদার করা। মা-বাবা ও গুরুজনদের দায়িত্বশীল হতে হবে। সবাইকেই সংস্কৃতিমনা সচেতন মানুষ হতে হবে।

দেলোয়ার হোসেন রনি

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়।

শিক্ষা ক্ষেত্রে যেন আমরা পিছিয়ে না যাই

করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে শিক্ষা ও শিক্ষার্থীরা গভীর অনিশ্চয়তায় পড়েছে। প্রায় এক বছর ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ। কবে খুলবে, তা কেউ জানে না। কারণ, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি। শিক্ষা কার্যক্রমে সক্রিয় অংশগ্রহণ করতে না পারায় অনেক শিক্ষার্থীই পাঠাভ্যাস থেকে দূরে সরে যাচ্ছে।

অনেক অভিভাবকদের কাছেই শোনা গেছে যে তাদের ছেলেমেয়েরা বাসায় পড়তে চায় না। ঘরের বাইরে বের হতে না পারায় শিক্ষার্থীদের ওপর মানসিক চাপ বাড়ছে।

নতুন প্রজন্ম শিক্ষা অর্জন করে দেশের সম্পদে পরিণত হবে এটা আমাদের প্রত্যাশা। কিন্তু আগে তো তাকে সুস্থভাবে বেড়ে উঠার সুযোগ দিতে হবে। শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীর পারস্পরিক যোগসূত্র স্থাপন করে ঘরে বসেও পড়ালেখা চালিয়ে যাওয়া সম্ভব। অভিভাবক নিবিড় পরিচর্যা ও পর্যবেক্ষণ করবেন তার সন্তান নিয়মিত পড়ার টেবিলে বসে কিনা।

বিটিভি পূর্ব নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী পাঠদান কার্যক্রম চালাচ্ছে। অনলাইনে শিক্ষক বাতায়নে বিভিন্ন শ্রেণীর বিভিন্ন পাঠদান ভিডিও জ্ঞানমূলক, বিশ্লেষণমূলক পোস্ট আপলোড করা হচ্ছে। এগুলো সংগ্রহ করে লেখাপড়া চালিয়ে যেতে হবে। এই ক্রান্তিকালে শিক্ষার্থীর পাশে থাকা শিক্ষকের দায়িত্ব। এ দায়িত্ব তাদের সঠিকভাবে পালন করতে হবে।

শিক্ষার্থীকে পরীক্ষা নির্ভর না হয়ে জ্ঞান অর্জনের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করা জরুরি। নিয়মিত অধ্যয়নই শিক্ষার্থীর প্রধান কাজ। অভিভাবক, শিক্ষকের নির্দেশনা মেনে ঘরে বসেও মেধাবী শিক্ষার্থী হয়ে গড়ে উঠা সম্ভব। এই প্রাকৃতিক বিপর্যয় হয়তো খুব শিগগির কেটে যাবে। শিক্ষা ক্ষেত্রে যেন আমরা পিছিয়ে না যাই সেই দিকটা বিবেচনায় আনতে হবে।

তামিম সিফাতুল্লাহ

রাজশাহী

করোনার ছুটি ফিরিয়ে দিয়েছে শৈশব

করোনা মহামারী আমাদের জীবনযাত্রায় পরিবর্তন এনেছে। স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি মাথায় রেখে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ। দীর্ঘদিন থেকে আমরা বাসায় অবস্থান করছি। অনলাইনে ক্লাস করা ছাড়া বাকি সময় সবাই যার যার পছন্দমতো ব্যয় করছে।

এই অবসর আমাদের যেন সোনালি অতীতে নিয়ে গেছে। শৈশবে যেমন খাওয়া-দাওয়া ও খেলাধুলা ছাড়া আমাদের কোন কাজ ছিল না এই লকডাউনের প্রথম ৩-৪ মাস আমাদের ঠিক তেমনি কেটেছে। আমরা যার যার পরিবারে অবস্থান করছি। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সময় কাটিয়েছি। ছেলেবেলায় যেমন পাঠ্যবইয়ের নিচে লুকিয়ে গল্পের বই পড়ার প্রবণতা ছিল লকডাউনে আমাদের সেই অভ্যাস অনেকেরই হয়েছে। তবে এখন আর আগের মতো লুকিয়ে পড়তে হয় না। বই পড়া দেখলে সবাই খুশিই হয়।

সানজিদা ইয়াসমিন লিজা

আইন বিভাগ, ২য় বর্ষ

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়

ছবি

বেকারত্ব নিরসনে কুটির শিল্পের ভূমিকা

দুর্যোগ পূর্ববর্তী প্রস্তুতি

ছবি

সোনালি পাটের প্রয়োজনীয়তা

কালীকচ্ছের ধর্মতীর্থ বধ্যভূমিতে স্মৃতিসৌধ নির্মাণের দাবি

চিঠি : হলে খাবারের মান উন্নত করুন

চিঠি : স্বাস্থ্য শিক্ষা বিষয়ে ডিপ্লোমাধারীদের বৈষম্য দূর করুন

চিঠি : শিক্ষার মান উন্নয়ন চাই

চিঠি : সড়ক আইন বাস্তবায়ন করুন

চিঠি : রাস্তায় বাইক সন্ত্রাস

চিঠি : কঠিন হয়ে পড়ছে ক্যাম্পাস সাংবাদিকতা

চিঠি : ডিসেম্বরের স্মৃতি

চিঠি : টেকসই ও সাশ্রয়ী ক্লিন এনার্জি

চিঠি : নকল গুড় জব্দ হোক

চিঠি : সড়কে বাড়ছে লেন ঝরছে প্রাণ

চিঠি : ঢাকাবাসীর কাছে মেট্রোরেল আশীর্বাদ

চিঠি : কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন জরুরি

চিঠি : পরিচ্ছন্ন ক্যাম্পাস চাই

চিঠি : তারুণ্যের শক্তি কাজে লাগান

চিঠি : এইডস থেকে বাঁচতে সচেতন হোন

চিঠি : অতিথি পাখি নিধন বন্ধ হোক

চিঠি : হাসুন, সুস্থ থাকুন

চিঠি : হাতি দিয়ে চাঁদাবাজি বন্ধ হোক

চিঠি : রাজনীতিতে তরুণ সমাজের অংশগ্রহণ

চিঠি : মাদককে ‘না’ বলুন

চিঠি : পুনরুন্নয়ন প্রকল্প : পাল্টে যাবে পুরান ঢাকা

চিঠি : শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ান

চিঠি : চন্দ্রগঞ্জে ফায়ার সার্ভিস স্টেশন চাই

চিঠি : বাড়ছে বাল্যবিয়ে

চিঠি : টিকটকের অপব্যবহার রোধ করতে হবে

চিঠি : আত্মবিশ্বাস ও আস্থা

চিঠি : শিক্ষকরা কি প্রকৃত মর্যাদা পাচ্ছে

চিঠি : শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সম্প্রীতি চাই

চিঠি : সকালে ও বিকেলে মেট্রোরেল চলুক

চিঠি : অতিথি পাখি নিধন বন্ধ করতে হবে

চিঠি : ঢাবি’র কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার আধুনিকায়ন করা হোক

চিঠি : নিত্যপণ্যের দাম

tab

চিঠিপত্র

চিঠিপত্র : অপসংস্কৃতি রোধ করুন

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

বুধবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২১

অপসংস্কৃতি রোধ করুন

বাংলার আবহমান সংস্কৃতিকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে ইন্টারনেট ও ভিনদেশি চ্যানেল। টেলিভিশন, সিনেমার যে সব ছবি দেখানো হচ্ছে তার অধিকাংশই আমাদের মন-মানসিকতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। অথচ এ সব অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ ছবি আমাদের তরুণ-তরুণীদের অতি প্রিয় হয়ে গেছে। তাদের এ আচার-আচরণ যেমন কুরুচিপূর্ণ তেমনি অপসংস্কৃতির সহায়ক। আমাদের তরুণ সমাজ আজ এ অপসংস্কৃতির স্রোতে গা ভাসিয়ে দিয়েছে। সত্য ও সুন্দরকে ত্যাগ করে তরুণ সমাজ উগ্র জীবনযাপনে উৎসাহিত হয়ে উঠেছে এবং চরম অবক্ষয়ের মাঝে জীবনবোধ খুঁজে বেড়াচ্ছে। এসবের প্রভাবে ব্যাপকহারে ঘটছে শ্লীলতাহানি, ধর্ষণ, পরকীয়া, পারিবারিক কলহ, হত্যা, এসিড নিক্ষেপ, সন্ত্রাসী কার্যকলাপ।

এ অবস্থার পরিবর্তন জরুরি। প্রয়োজন দেশীয় চ্যানেলগুলোর মানসম্মত অনুষ্ঠান সম্প্রচার ও বিজ্ঞাপন প্রচারে বাড়াবাড়ি কমানো। ভিনদেশি আগ্রাসী চ্যানেলগুলো বন্ধ করে দেয়া অথবা নিয়ন্ত্রণে আনা উচিত। অপসংস্কৃতির আগ্রাসনে বন্ধের জন্য সবচেয়ে কার্যকর উপায় হচ্ছে সুস্থ ও নিজস্ব সাংস্কৃতিক আন্দোলন জোরদার করা। মা-বাবা ও গুরুজনদের দায়িত্বশীল হতে হবে। সবাইকেই সংস্কৃতিমনা সচেতন মানুষ হতে হবে।

দেলোয়ার হোসেন রনি

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়।

শিক্ষা ক্ষেত্রে যেন আমরা পিছিয়ে না যাই

করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে শিক্ষা ও শিক্ষার্থীরা গভীর অনিশ্চয়তায় পড়েছে। প্রায় এক বছর ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ। কবে খুলবে, তা কেউ জানে না। কারণ, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি। শিক্ষা কার্যক্রমে সক্রিয় অংশগ্রহণ করতে না পারায় অনেক শিক্ষার্থীই পাঠাভ্যাস থেকে দূরে সরে যাচ্ছে।

অনেক অভিভাবকদের কাছেই শোনা গেছে যে তাদের ছেলেমেয়েরা বাসায় পড়তে চায় না। ঘরের বাইরে বের হতে না পারায় শিক্ষার্থীদের ওপর মানসিক চাপ বাড়ছে।

নতুন প্রজন্ম শিক্ষা অর্জন করে দেশের সম্পদে পরিণত হবে এটা আমাদের প্রত্যাশা। কিন্তু আগে তো তাকে সুস্থভাবে বেড়ে উঠার সুযোগ দিতে হবে। শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীর পারস্পরিক যোগসূত্র স্থাপন করে ঘরে বসেও পড়ালেখা চালিয়ে যাওয়া সম্ভব। অভিভাবক নিবিড় পরিচর্যা ও পর্যবেক্ষণ করবেন তার সন্তান নিয়মিত পড়ার টেবিলে বসে কিনা।

বিটিভি পূর্ব নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী পাঠদান কার্যক্রম চালাচ্ছে। অনলাইনে শিক্ষক বাতায়নে বিভিন্ন শ্রেণীর বিভিন্ন পাঠদান ভিডিও জ্ঞানমূলক, বিশ্লেষণমূলক পোস্ট আপলোড করা হচ্ছে। এগুলো সংগ্রহ করে লেখাপড়া চালিয়ে যেতে হবে। এই ক্রান্তিকালে শিক্ষার্থীর পাশে থাকা শিক্ষকের দায়িত্ব। এ দায়িত্ব তাদের সঠিকভাবে পালন করতে হবে।

শিক্ষার্থীকে পরীক্ষা নির্ভর না হয়ে জ্ঞান অর্জনের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করা জরুরি। নিয়মিত অধ্যয়নই শিক্ষার্থীর প্রধান কাজ। অভিভাবক, শিক্ষকের নির্দেশনা মেনে ঘরে বসেও মেধাবী শিক্ষার্থী হয়ে গড়ে উঠা সম্ভব। এই প্রাকৃতিক বিপর্যয় হয়তো খুব শিগগির কেটে যাবে। শিক্ষা ক্ষেত্রে যেন আমরা পিছিয়ে না যাই সেই দিকটা বিবেচনায় আনতে হবে।

তামিম সিফাতুল্লাহ

রাজশাহী

করোনার ছুটি ফিরিয়ে দিয়েছে শৈশব

করোনা মহামারী আমাদের জীবনযাত্রায় পরিবর্তন এনেছে। স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি মাথায় রেখে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ। দীর্ঘদিন থেকে আমরা বাসায় অবস্থান করছি। অনলাইনে ক্লাস করা ছাড়া বাকি সময় সবাই যার যার পছন্দমতো ব্যয় করছে।

এই অবসর আমাদের যেন সোনালি অতীতে নিয়ে গেছে। শৈশবে যেমন খাওয়া-দাওয়া ও খেলাধুলা ছাড়া আমাদের কোন কাজ ছিল না এই লকডাউনের প্রথম ৩-৪ মাস আমাদের ঠিক তেমনি কেটেছে। আমরা যার যার পরিবারে অবস্থান করছি। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সময় কাটিয়েছি। ছেলেবেলায় যেমন পাঠ্যবইয়ের নিচে লুকিয়ে গল্পের বই পড়ার প্রবণতা ছিল লকডাউনে আমাদের সেই অভ্যাস অনেকেরই হয়েছে। তবে এখন আর আগের মতো লুকিয়ে পড়তে হয় না। বই পড়া দেখলে সবাই খুশিই হয়।

সানজিদা ইয়াসমিন লিজা

আইন বিভাগ, ২য় বর্ষ

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়

back to top