alt

চিঠিপত্র

চিঠিপত্র : সড়ক হোক নিরাপদ

: রোববার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২১

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

সড়ক হোক নিরাপদ

একটি দেশের টেকসই উন্নয়নের পূর্বশর্ত হলো সাশ্রয়ী ও নিরাপদ যোগাযোগ ব্যবস্থা। দেশে সড়ক পরিবহন খাতে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি নেই। গাড়ির চালক ও পথচারী উভয়কেই দক্ষ ও সচেতন করতে হবে। আইনের সুষ্ঠ প্রয়োগ করতে হবে। ট্রাফিক ব্যবস্থার উন্নয়ন করতে হবে। জাতীয় স্বার্থেই সড়কের নিরাপত্তা জরুরি। আসুন ট্রাফিক আইন মেনে চলি। সড়কে সতর্ক হয়ে চলাচল করি। সড়ক হোক নিরাপদ, বেঁচে থাকুক হাজারো প্রাণ- এটাই আমাদের প্রত্যাশা।

মো. ওমর ফারুক

ঢাকা কলেজ, ঢাকা।

মানবিক পৃথিবী প্রয়োজন

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি বিষয় প্রায়ই নজরে আসছে। সেটা হলো, চিড়িয়াখানায় জ্যান্ত খরগোশ সাপের খাবার হিসেবে দেয়া হচ্ছে। এ বিষয়টি নতুন না হলেও খুব কষ্টের । মায়াময় এ পৃথিবীতে কে না বাঁচতে চায়! জলজ্যান্ত একটি প্রাণীকে অন্য প্রাণীর খাবার হিসেবে দেয়ার বিষয়টি একদমই মানবিক নয়।

বন্য প্রাণী সংরক্ষণ আইন ও প্রাণীর অধিকার বিবেচনা করে এ বিষয়গুলো বিস্তর ভাবা প্রয়োজন। সাপ যদি মৃত খাবার খায় তবে জীবিত প্রাণী এভাবে না দেয়ার জন্য অনুরোধ রইলো। এ বিষয়ে কোন আইন বা গবেষণার প্রয়োজন হলে সেটিও পরিবেশ, বন, জলবায়ু মন্ত্রণালয় চিন্তা করবে- সেটাই প্রত্যাশা।

কয়েকদিন আগে গাজীপুরের তরুণ মেহেদী হাসান তার ফেসবুক ওয়ালে লিখেছিলেন বনের মধ্যে গাড়ির গতিসীমা বেঁধে দেয়ার জন্য। কারণ মধুপরের গড়ে প্রায়ই মেছো বাঘ, বন বিড়াল, বানরসহ অন্যান্য প্রাণী সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যায়। গাড়ির গতি কম থাকলে এদের প্রাণ রক্ষা করা সম্ভব।

নদী ভ্রমণের সময় যাতে মাইক না বাজানো হয় সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। কারণ নির্দিষ্ট তরঙ্গের বাইরে ভাইব্রেশনাল সাউন্ড জলে প্রবেশ করলে জলজ প্রাণীর ক্ষেত্রেও তা ক্ষতিকর হতে পারে। সুতরাং বনের ভেতরে, নদীতে আলাদা শব্দের মাত্রা নির্দিষ্ট করে প্রজ্ঞাপন জারি করা উচিত। বনের ভেতর গাড়ি চললে হর্ণ সম্পূর্ণ বন্ধ রাখার বিধান করা হোক। বন্য প্রাণী ও বনের সুরক্ষায় কার্যকরী চিন্তার পাশাপশি গবেষণা বাড়ানোও খুব প্রয়োজন।

সাঈদ চৌধুরী

প্রাত : ভ্রমণ

শরীর ঠিক রাখা এবং স্বাস্থ্য-উদ্ধারের এক সহজ-সরল উপায় মর্নিং ওয়াক। আজকাল মানুষের স্বাস্থ্য সচেতনতা বেড়েছে। বহু মানুষই নিজের থেকে অথবা চিকিৎসকের পরামর্শে প্রাতভ্রমণকে দৈনন্দিন রুটিনের অন্তর্ভুক্ত করে ফেলেছে। প্রতিদিন সকালে পাড়ায়-মহল্লায় ক্লাবের মাঠে, পার্কে, জলাশয়ের পাশে, সুসজ্জিত বাগানে, বোটানিক্যাল গার্ডেনে প্রচুর মানুষ বেরিয়ে পড়েন হাঁটতে। মর্নিং ওয়াক না হলে, অনেকেই সেটিকে দিনের ছন্দপতন বলে মনে করেন। মর্নিং ওয়াকের মাধ্যমে অনেকেই ব্লাড শুগার, প্রেশার ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হন।

মর্নিং ওয়াকের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক রয়েছে, আর তা হলো-পারস্পরিক কুশল বিনিময়, পরিবারের খোঁজ-খবর আদান প্রদান, সামাজিক-রাজনৈতিক আলাপ-আলোচনায় প্রাণময় হয়ে ওঠে প্রভাতী ভ্রমণের সময়কালে। এই ডিজিটাল, ফেসবুক ও আত্মমগ্নতার যুগে প্রাতঃকালীন বা প্রভাতী ভ্রমণের আসরগুলো যেন সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জিয়নকাঠি, সমাজবোধে উত্তরণের আলোকবর্তিকা।

লিয়াকত হোসেন খোকন

রূপনগর, ঢাকা।

ছবি

বেকারত্ব নিরসনে কুটির শিল্পের ভূমিকা

দুর্যোগ পূর্ববর্তী প্রস্তুতি

ছবি

সোনালি পাটের প্রয়োজনীয়তা

কালীকচ্ছের ধর্মতীর্থ বধ্যভূমিতে স্মৃতিসৌধ নির্মাণের দাবি

চিঠি : হলে খাবারের মান উন্নত করুন

চিঠি : স্বাস্থ্য শিক্ষা বিষয়ে ডিপ্লোমাধারীদের বৈষম্য দূর করুন

চিঠি : শিক্ষার মান উন্নয়ন চাই

চিঠি : সড়ক আইন বাস্তবায়ন করুন

চিঠি : রাস্তায় বাইক সন্ত্রাস

চিঠি : কঠিন হয়ে পড়ছে ক্যাম্পাস সাংবাদিকতা

চিঠি : ডিসেম্বরের স্মৃতি

চিঠি : টেকসই ও সাশ্রয়ী ক্লিন এনার্জি

চিঠি : নকল গুড় জব্দ হোক

চিঠি : সড়কে বাড়ছে লেন ঝরছে প্রাণ

চিঠি : ঢাকাবাসীর কাছে মেট্রোরেল আশীর্বাদ

চিঠি : কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন জরুরি

চিঠি : পরিচ্ছন্ন ক্যাম্পাস চাই

চিঠি : তারুণ্যের শক্তি কাজে লাগান

চিঠি : এইডস থেকে বাঁচতে সচেতন হোন

চিঠি : অতিথি পাখি নিধন বন্ধ হোক

চিঠি : হাসুন, সুস্থ থাকুন

চিঠি : হাতি দিয়ে চাঁদাবাজি বন্ধ হোক

চিঠি : রাজনীতিতে তরুণ সমাজের অংশগ্রহণ

চিঠি : মাদককে ‘না’ বলুন

চিঠি : পুনরুন্নয়ন প্রকল্প : পাল্টে যাবে পুরান ঢাকা

চিঠি : শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ান

চিঠি : চন্দ্রগঞ্জে ফায়ার সার্ভিস স্টেশন চাই

চিঠি : বাড়ছে বাল্যবিয়ে

চিঠি : টিকটকের অপব্যবহার রোধ করতে হবে

চিঠি : আত্মবিশ্বাস ও আস্থা

চিঠি : শিক্ষকরা কি প্রকৃত মর্যাদা পাচ্ছে

চিঠি : শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সম্প্রীতি চাই

চিঠি : সকালে ও বিকেলে মেট্রোরেল চলুক

চিঠি : অতিথি পাখি নিধন বন্ধ করতে হবে

চিঠি : ঢাবি’র কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার আধুনিকায়ন করা হোক

চিঠি : নিত্যপণ্যের দাম

tab

চিঠিপত্র

চিঠিপত্র : সড়ক হোক নিরাপদ

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

রোববার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২১

সড়ক হোক নিরাপদ

একটি দেশের টেকসই উন্নয়নের পূর্বশর্ত হলো সাশ্রয়ী ও নিরাপদ যোগাযোগ ব্যবস্থা। দেশে সড়ক পরিবহন খাতে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি নেই। গাড়ির চালক ও পথচারী উভয়কেই দক্ষ ও সচেতন করতে হবে। আইনের সুষ্ঠ প্রয়োগ করতে হবে। ট্রাফিক ব্যবস্থার উন্নয়ন করতে হবে। জাতীয় স্বার্থেই সড়কের নিরাপত্তা জরুরি। আসুন ট্রাফিক আইন মেনে চলি। সড়কে সতর্ক হয়ে চলাচল করি। সড়ক হোক নিরাপদ, বেঁচে থাকুক হাজারো প্রাণ- এটাই আমাদের প্রত্যাশা।

মো. ওমর ফারুক

ঢাকা কলেজ, ঢাকা।

মানবিক পৃথিবী প্রয়োজন

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি বিষয় প্রায়ই নজরে আসছে। সেটা হলো, চিড়িয়াখানায় জ্যান্ত খরগোশ সাপের খাবার হিসেবে দেয়া হচ্ছে। এ বিষয়টি নতুন না হলেও খুব কষ্টের । মায়াময় এ পৃথিবীতে কে না বাঁচতে চায়! জলজ্যান্ত একটি প্রাণীকে অন্য প্রাণীর খাবার হিসেবে দেয়ার বিষয়টি একদমই মানবিক নয়।

বন্য প্রাণী সংরক্ষণ আইন ও প্রাণীর অধিকার বিবেচনা করে এ বিষয়গুলো বিস্তর ভাবা প্রয়োজন। সাপ যদি মৃত খাবার খায় তবে জীবিত প্রাণী এভাবে না দেয়ার জন্য অনুরোধ রইলো। এ বিষয়ে কোন আইন বা গবেষণার প্রয়োজন হলে সেটিও পরিবেশ, বন, জলবায়ু মন্ত্রণালয় চিন্তা করবে- সেটাই প্রত্যাশা।

কয়েকদিন আগে গাজীপুরের তরুণ মেহেদী হাসান তার ফেসবুক ওয়ালে লিখেছিলেন বনের মধ্যে গাড়ির গতিসীমা বেঁধে দেয়ার জন্য। কারণ মধুপরের গড়ে প্রায়ই মেছো বাঘ, বন বিড়াল, বানরসহ অন্যান্য প্রাণী সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যায়। গাড়ির গতি কম থাকলে এদের প্রাণ রক্ষা করা সম্ভব।

নদী ভ্রমণের সময় যাতে মাইক না বাজানো হয় সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। কারণ নির্দিষ্ট তরঙ্গের বাইরে ভাইব্রেশনাল সাউন্ড জলে প্রবেশ করলে জলজ প্রাণীর ক্ষেত্রেও তা ক্ষতিকর হতে পারে। সুতরাং বনের ভেতরে, নদীতে আলাদা শব্দের মাত্রা নির্দিষ্ট করে প্রজ্ঞাপন জারি করা উচিত। বনের ভেতর গাড়ি চললে হর্ণ সম্পূর্ণ বন্ধ রাখার বিধান করা হোক। বন্য প্রাণী ও বনের সুরক্ষায় কার্যকরী চিন্তার পাশাপশি গবেষণা বাড়ানোও খুব প্রয়োজন।

সাঈদ চৌধুরী

প্রাত : ভ্রমণ

শরীর ঠিক রাখা এবং স্বাস্থ্য-উদ্ধারের এক সহজ-সরল উপায় মর্নিং ওয়াক। আজকাল মানুষের স্বাস্থ্য সচেতনতা বেড়েছে। বহু মানুষই নিজের থেকে অথবা চিকিৎসকের পরামর্শে প্রাতভ্রমণকে দৈনন্দিন রুটিনের অন্তর্ভুক্ত করে ফেলেছে। প্রতিদিন সকালে পাড়ায়-মহল্লায় ক্লাবের মাঠে, পার্কে, জলাশয়ের পাশে, সুসজ্জিত বাগানে, বোটানিক্যাল গার্ডেনে প্রচুর মানুষ বেরিয়ে পড়েন হাঁটতে। মর্নিং ওয়াক না হলে, অনেকেই সেটিকে দিনের ছন্দপতন বলে মনে করেন। মর্নিং ওয়াকের মাধ্যমে অনেকেই ব্লাড শুগার, প্রেশার ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হন।

মর্নিং ওয়াকের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক রয়েছে, আর তা হলো-পারস্পরিক কুশল বিনিময়, পরিবারের খোঁজ-খবর আদান প্রদান, সামাজিক-রাজনৈতিক আলাপ-আলোচনায় প্রাণময় হয়ে ওঠে প্রভাতী ভ্রমণের সময়কালে। এই ডিজিটাল, ফেসবুক ও আত্মমগ্নতার যুগে প্রাতঃকালীন বা প্রভাতী ভ্রমণের আসরগুলো যেন সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জিয়নকাঠি, সমাজবোধে উত্তরণের আলোকবর্তিকা।

লিয়াকত হোসেন খোকন

রূপনগর, ঢাকা।

back to top