alt

চিঠিপত্র

চিঠিপত্র : জীবিকা যেন ব্যাহত না হয়

: বৃহস্পতিবার, ০৮ এপ্রিল ২০২১

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

জীবিকা যেন ব্যাহত না হয়

হঠাৎ করে করোনার দ্বিতীয় স্রোত বাংলাদেশে ভয়াল থাবা বিস্তার করায় অর্থনীতির জন্য তা কতটা বিপদ সৃষ্টি করবে সে সংশয়ে দানা বেঁধে উঠছে। বিশেষত লকডাউনকে হেলাফেলার সুযোগ নিলে তা হিতেবিপরীত হওয়ার আশঙ্কা সৃষ্টি করবে। লকডাউনকে গত বছরের মতো কেউ যেন সাধারণ ছুটি হিসেবে না নেয় তা নিশ্চিত করা জরুরি। এ সময়ে সমাজের যারা গরিব-একদম দিন আনে দিন খায় তাদের খাদ্য জোগানোর ব্যবস্থা নেয়া দরকার। গার্মেন্ট খাতে স্বাস্থ্যসেবা কীভাবে নিশ্চিত হবে সে ব্যাপারেও ফলপ্রসূ ব্যবস্থা নিতে হবে। গার্মেন্ট মালিকরা যাতে স্বাস্থ্য সুরক্ষায় কার্যকর পদক্ষেপ নেন তা নিশ্চিত করতে হবে।

অতীতের দৃষ্টান্ত থেকে বলা যায়, কোনো ধরনের দায়িত্বহীনতার যেন পুনরাবৃত্তি না হয় সেদিকে নজর রাখতে হবে। দেশের অর্থনীতির জন্য করোনা কতটা আঘাত হানবে তা নির্ভর করছে এ সংক্রান্ত প্রস্তুতির ওপর। করোনাকালে অর্থনীতি বড় ধরনের ঝুঁকির মধ্যে পড়লে তা হবে আত্মহত্যার নামান্তর।

ইতিমধ্যে গত বছরের করোনাকালীন ক্ষয়ক্ষতিতে সামাজিক অস্থিরতা বেড়েছে। মানুষের জীবন-জীবিকায় সংকট ঘনীভূত হওয়ায় সহিংসতা উৎসাহিত হচ্ছে। ফলে লকডাউন নয়, কীভাবে সবকিছু চালু রেখে অর্থনীতি এগিয়ে নেওয়া যায় সে কৌশল রপ্ত করতে হবে। সেটিই হবে দেশবাসীর জীবন-জীবিকা সুরক্ষার প্রকৃষ্ট পথ।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হওয়ার ৩৭৩ দিন পর হঠাৎ সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় লকডাউনের সোজাসাপ্টা পথে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এর ফলে শিল্পোৎপাদন এবং প্রাতিষ্ঠানিক খাতের চেয়েও বিপর্যস্ত হয়ে পড়বে অপ্রাতিষ্ঠানিক খাত।

সংক্রমণ রোধে লকডাউন ঘোষণা করা হলেও এটিকে কেন্দ্র করে যে হারে মানুষ শহর থেকে গ্রামের দিকে ফিরেছে এবং সামাজিক দূরত্বের তোয়াক্কা না করে যানবাহন ব্যবহার করেছে তাতে এর সুফল প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়েছে। লকডাউনের ফলে অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের লাখ লাখ মানুষের জীবন-জীবিকা সংকটের মুখে পড়বে। এসব অসহায় মানুষের পাশে কীভাবে দাঁড়ানো যায় সে উদ্যোগও থাকতে হবে।

বৃহত্তর জাতীয় স্বার্থে স্বাস্থ্যঝুঁকি এবং অর্থনীতি দুই বিষয়কে গুরুত্ব দিতে হবে। করোনাভাইরাসের জীবনহানির চেয়েও কেউ যাতে না খেয়ে প্রাণ না হারায় সেটি নিশ্চিত করা জরুরি। যে কারণে প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক সব ধরনের কর্মকান্ড সচল রাখতে যত্নবান হতে হবে। মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করতে কঠোর হওয়ারও বিকল্প নেই। সপ্তাহ অন্তে, লকডাউনের অবসান ঘটিয়ে গরিব ও নিম্নবিত্তদের স্বার্থে সর্বস্তরে কঠোর স্বাস্থ্যবিধি পালন করা হলে সেটিই হবে সর্বোত্তম পথ।

দিলীপ কুমার আগরওয়ালা

হঠাৎ করে করোনার দ্বিতীয় স্রোত বাংলাদেশে ভয়াল থাবা বিস্তার করায় অর্থনীতির জন্য তা কতটা বিপদ সৃষ্টি করবে সে সংশয়ে দানা বেঁধে উঠছে। বিশেষত লকডাউনকে হেলাফেলার সুযোগ নিলে তা হিতেবিপরীত হওয়ার আশঙ্কা সৃষ্টি করবে। লকডাউনকে গত বছরের মতো কেউ যেন সাধারণ ছুটি হিসেবে না নেয় তা নিশ্চিত করা জরুরি। এ সময়ে সমাজের যারা গরিব-একদম দিন আনে দিন খায় তাদের খাদ্য জোগানোর ব্যবস্থা নেয়া দরকার। গার্মেন্ট খাতে স্বাস্থ্যসেবা কীভাবে নিশ্চিত হবে সে ব্যাপারেও ফলপ্রসূ ব্যবস্থা নিতে হবে। গার্মেন্ট মালিকরা যাতে স্বাস্থ্য সুরক্ষায় কার্যকর পদক্ষেপ নেন তা নিশ্চিত করতে হবে।

অতীতের দৃষ্টান্ত থেকে বলা যায়, কোনো ধরনের দায়িত্বহীনতার যেন পুনরাবৃত্তি না হয় সেদিকে নজর রাখতে হবে। দেশের অর্থনীতির জন্য করোনা কতটা আঘাত হানবে তা নির্ভর করছে এ সংক্রান্ত প্রস্তুতির ওপর। করোনাকালে অর্থনীতি বড় ধরনের ঝুঁকির মধ্যে পড়লে তা হবে আত্মহত্যার নামান্তর।

ইতিমধ্যে গত বছরের করোনাকালীন ক্ষয়ক্ষতিতে সামাজিক অস্থিরতা বেড়েছে। মানুষের জীবন-জীবিকায় সংকট ঘনীভূত হওয়ায় সহিংসতা উৎসাহিত হচ্ছে। ফলে লকডাউন নয়, কীভাবে সবকিছু চালু রেখে অর্থনীতি এগিয়ে নেওয়া যায় সে কৌশল রপ্ত করতে হবে। সেটিই হবে দেশবাসীর জীবন-জীবিকা সুরক্ষার প্রকৃষ্ট পথ।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হওয়ার ৩৭৩ দিন পর হঠাৎ সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় লকডাউনের সোজাসাপ্টা পথে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এর ফলে শিল্পোৎপাদন এবং প্রাতিষ্ঠানিক খাতের চেয়েও বিপর্যস্ত হয়ে পড়বে অপ্রাতিষ্ঠানিক খাত।

সংক্রমণ রোধে লকডাউন ঘোষণা করা হলেও এটিকে কেন্দ্র করে যে হারে মানুষ শহর থেকে গ্রামের দিকে ফিরেছে এবং সামাজিক দূরত্বের তোয়াক্কা না করে যানবাহন ব্যবহার করেছে তাতে এর সুফল প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়েছে। লকডাউনের ফলে অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের লাখ লাখ মানুষের জীবন-জীবিকা সংকটের মুখে পড়বে। এসব অসহায় মানুষের পাশে কীভাবে দাঁড়ানো যায় সে উদ্যোগও থাকতে হবে।

বৃহত্তর জাতীয় স্বার্থে স্বাস্থ্যঝুঁকি এবং অর্থনীতি দুই বিষয়কে গুরুত্ব দিতে হবে। করোনাভাইরাসের জীবনহানির চেয়েও কেউ যাতে না খেয়ে প্রাণ না হারায় সেটি নিশ্চিত করা জরুরি। যে কারণে প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক সব ধরনের কর্মকান্ড সচল রাখতে যত্নবান হতে হবে। মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করতে কঠোর হওয়ারও বিকল্প নেই। সপ্তাহ অন্তে, লকডাউনের অবসান ঘটিয়ে গরিব ও নিম্নবিত্তদের স্বার্থে সর্বস্তরে কঠোর স্বাস্থ্যবিধি পালন করা হলে সেটিই হবে সর্বোত্তম পথ।

দিলীপ কুমার আগরওয়ালা

ছবি

বেকারত্ব নিরসনে কুটির শিল্পের ভূমিকা

দুর্যোগ পূর্ববর্তী প্রস্তুতি

ছবি

সোনালি পাটের প্রয়োজনীয়তা

কালীকচ্ছের ধর্মতীর্থ বধ্যভূমিতে স্মৃতিসৌধ নির্মাণের দাবি

চিঠি : হলে খাবারের মান উন্নত করুন

চিঠি : স্বাস্থ্য শিক্ষা বিষয়ে ডিপ্লোমাধারীদের বৈষম্য দূর করুন

চিঠি : শিক্ষার মান উন্নয়ন চাই

চিঠি : সড়ক আইন বাস্তবায়ন করুন

চিঠি : রাস্তায় বাইক সন্ত্রাস

চিঠি : কঠিন হয়ে পড়ছে ক্যাম্পাস সাংবাদিকতা

চিঠি : ডিসেম্বরের স্মৃতি

চিঠি : টেকসই ও সাশ্রয়ী ক্লিন এনার্জি

চিঠি : নকল গুড় জব্দ হোক

চিঠি : সড়কে বাড়ছে লেন ঝরছে প্রাণ

চিঠি : ঢাকাবাসীর কাছে মেট্রোরেল আশীর্বাদ

চিঠি : কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন জরুরি

চিঠি : পরিচ্ছন্ন ক্যাম্পাস চাই

চিঠি : তারুণ্যের শক্তি কাজে লাগান

চিঠি : এইডস থেকে বাঁচতে সচেতন হোন

চিঠি : অতিথি পাখি নিধন বন্ধ হোক

চিঠি : হাসুন, সুস্থ থাকুন

চিঠি : হাতি দিয়ে চাঁদাবাজি বন্ধ হোক

চিঠি : রাজনীতিতে তরুণ সমাজের অংশগ্রহণ

চিঠি : মাদককে ‘না’ বলুন

চিঠি : পুনরুন্নয়ন প্রকল্প : পাল্টে যাবে পুরান ঢাকা

চিঠি : শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ান

চিঠি : চন্দ্রগঞ্জে ফায়ার সার্ভিস স্টেশন চাই

চিঠি : বাড়ছে বাল্যবিয়ে

চিঠি : টিকটকের অপব্যবহার রোধ করতে হবে

চিঠি : আত্মবিশ্বাস ও আস্থা

চিঠি : শিক্ষকরা কি প্রকৃত মর্যাদা পাচ্ছে

চিঠি : শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সম্প্রীতি চাই

চিঠি : সকালে ও বিকেলে মেট্রোরেল চলুক

চিঠি : অতিথি পাখি নিধন বন্ধ করতে হবে

চিঠি : ঢাবি’র কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার আধুনিকায়ন করা হোক

চিঠি : নিত্যপণ্যের দাম

tab

চিঠিপত্র

চিঠিপত্র : জীবিকা যেন ব্যাহত না হয়

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

বৃহস্পতিবার, ০৮ এপ্রিল ২০২১

জীবিকা যেন ব্যাহত না হয়

হঠাৎ করে করোনার দ্বিতীয় স্রোত বাংলাদেশে ভয়াল থাবা বিস্তার করায় অর্থনীতির জন্য তা কতটা বিপদ সৃষ্টি করবে সে সংশয়ে দানা বেঁধে উঠছে। বিশেষত লকডাউনকে হেলাফেলার সুযোগ নিলে তা হিতেবিপরীত হওয়ার আশঙ্কা সৃষ্টি করবে। লকডাউনকে গত বছরের মতো কেউ যেন সাধারণ ছুটি হিসেবে না নেয় তা নিশ্চিত করা জরুরি। এ সময়ে সমাজের যারা গরিব-একদম দিন আনে দিন খায় তাদের খাদ্য জোগানোর ব্যবস্থা নেয়া দরকার। গার্মেন্ট খাতে স্বাস্থ্যসেবা কীভাবে নিশ্চিত হবে সে ব্যাপারেও ফলপ্রসূ ব্যবস্থা নিতে হবে। গার্মেন্ট মালিকরা যাতে স্বাস্থ্য সুরক্ষায় কার্যকর পদক্ষেপ নেন তা নিশ্চিত করতে হবে।

অতীতের দৃষ্টান্ত থেকে বলা যায়, কোনো ধরনের দায়িত্বহীনতার যেন পুনরাবৃত্তি না হয় সেদিকে নজর রাখতে হবে। দেশের অর্থনীতির জন্য করোনা কতটা আঘাত হানবে তা নির্ভর করছে এ সংক্রান্ত প্রস্তুতির ওপর। করোনাকালে অর্থনীতি বড় ধরনের ঝুঁকির মধ্যে পড়লে তা হবে আত্মহত্যার নামান্তর।

ইতিমধ্যে গত বছরের করোনাকালীন ক্ষয়ক্ষতিতে সামাজিক অস্থিরতা বেড়েছে। মানুষের জীবন-জীবিকায় সংকট ঘনীভূত হওয়ায় সহিংসতা উৎসাহিত হচ্ছে। ফলে লকডাউন নয়, কীভাবে সবকিছু চালু রেখে অর্থনীতি এগিয়ে নেওয়া যায় সে কৌশল রপ্ত করতে হবে। সেটিই হবে দেশবাসীর জীবন-জীবিকা সুরক্ষার প্রকৃষ্ট পথ।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হওয়ার ৩৭৩ দিন পর হঠাৎ সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় লকডাউনের সোজাসাপ্টা পথে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এর ফলে শিল্পোৎপাদন এবং প্রাতিষ্ঠানিক খাতের চেয়েও বিপর্যস্ত হয়ে পড়বে অপ্রাতিষ্ঠানিক খাত।

সংক্রমণ রোধে লকডাউন ঘোষণা করা হলেও এটিকে কেন্দ্র করে যে হারে মানুষ শহর থেকে গ্রামের দিকে ফিরেছে এবং সামাজিক দূরত্বের তোয়াক্কা না করে যানবাহন ব্যবহার করেছে তাতে এর সুফল প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়েছে। লকডাউনের ফলে অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের লাখ লাখ মানুষের জীবন-জীবিকা সংকটের মুখে পড়বে। এসব অসহায় মানুষের পাশে কীভাবে দাঁড়ানো যায় সে উদ্যোগও থাকতে হবে।

বৃহত্তর জাতীয় স্বার্থে স্বাস্থ্যঝুঁকি এবং অর্থনীতি দুই বিষয়কে গুরুত্ব দিতে হবে। করোনাভাইরাসের জীবনহানির চেয়েও কেউ যাতে না খেয়ে প্রাণ না হারায় সেটি নিশ্চিত করা জরুরি। যে কারণে প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক সব ধরনের কর্মকান্ড সচল রাখতে যত্নবান হতে হবে। মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করতে কঠোর হওয়ারও বিকল্প নেই। সপ্তাহ অন্তে, লকডাউনের অবসান ঘটিয়ে গরিব ও নিম্নবিত্তদের স্বার্থে সর্বস্তরে কঠোর স্বাস্থ্যবিধি পালন করা হলে সেটিই হবে সর্বোত্তম পথ।

দিলীপ কুমার আগরওয়ালা

হঠাৎ করে করোনার দ্বিতীয় স্রোত বাংলাদেশে ভয়াল থাবা বিস্তার করায় অর্থনীতির জন্য তা কতটা বিপদ সৃষ্টি করবে সে সংশয়ে দানা বেঁধে উঠছে। বিশেষত লকডাউনকে হেলাফেলার সুযোগ নিলে তা হিতেবিপরীত হওয়ার আশঙ্কা সৃষ্টি করবে। লকডাউনকে গত বছরের মতো কেউ যেন সাধারণ ছুটি হিসেবে না নেয় তা নিশ্চিত করা জরুরি। এ সময়ে সমাজের যারা গরিব-একদম দিন আনে দিন খায় তাদের খাদ্য জোগানোর ব্যবস্থা নেয়া দরকার। গার্মেন্ট খাতে স্বাস্থ্যসেবা কীভাবে নিশ্চিত হবে সে ব্যাপারেও ফলপ্রসূ ব্যবস্থা নিতে হবে। গার্মেন্ট মালিকরা যাতে স্বাস্থ্য সুরক্ষায় কার্যকর পদক্ষেপ নেন তা নিশ্চিত করতে হবে।

অতীতের দৃষ্টান্ত থেকে বলা যায়, কোনো ধরনের দায়িত্বহীনতার যেন পুনরাবৃত্তি না হয় সেদিকে নজর রাখতে হবে। দেশের অর্থনীতির জন্য করোনা কতটা আঘাত হানবে তা নির্ভর করছে এ সংক্রান্ত প্রস্তুতির ওপর। করোনাকালে অর্থনীতি বড় ধরনের ঝুঁকির মধ্যে পড়লে তা হবে আত্মহত্যার নামান্তর।

ইতিমধ্যে গত বছরের করোনাকালীন ক্ষয়ক্ষতিতে সামাজিক অস্থিরতা বেড়েছে। মানুষের জীবন-জীবিকায় সংকট ঘনীভূত হওয়ায় সহিংসতা উৎসাহিত হচ্ছে। ফলে লকডাউন নয়, কীভাবে সবকিছু চালু রেখে অর্থনীতি এগিয়ে নেওয়া যায় সে কৌশল রপ্ত করতে হবে। সেটিই হবে দেশবাসীর জীবন-জীবিকা সুরক্ষার প্রকৃষ্ট পথ।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হওয়ার ৩৭৩ দিন পর হঠাৎ সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় লকডাউনের সোজাসাপ্টা পথে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এর ফলে শিল্পোৎপাদন এবং প্রাতিষ্ঠানিক খাতের চেয়েও বিপর্যস্ত হয়ে পড়বে অপ্রাতিষ্ঠানিক খাত।

সংক্রমণ রোধে লকডাউন ঘোষণা করা হলেও এটিকে কেন্দ্র করে যে হারে মানুষ শহর থেকে গ্রামের দিকে ফিরেছে এবং সামাজিক দূরত্বের তোয়াক্কা না করে যানবাহন ব্যবহার করেছে তাতে এর সুফল প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়েছে। লকডাউনের ফলে অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের লাখ লাখ মানুষের জীবন-জীবিকা সংকটের মুখে পড়বে। এসব অসহায় মানুষের পাশে কীভাবে দাঁড়ানো যায় সে উদ্যোগও থাকতে হবে।

বৃহত্তর জাতীয় স্বার্থে স্বাস্থ্যঝুঁকি এবং অর্থনীতি দুই বিষয়কে গুরুত্ব দিতে হবে। করোনাভাইরাসের জীবনহানির চেয়েও কেউ যাতে না খেয়ে প্রাণ না হারায় সেটি নিশ্চিত করা জরুরি। যে কারণে প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক সব ধরনের কর্মকান্ড সচল রাখতে যত্নবান হতে হবে। মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করতে কঠোর হওয়ারও বিকল্প নেই। সপ্তাহ অন্তে, লকডাউনের অবসান ঘটিয়ে গরিব ও নিম্নবিত্তদের স্বার্থে সর্বস্তরে কঠোর স্বাস্থ্যবিধি পালন করা হলে সেটিই হবে সর্বোত্তম পথ।

দিলীপ কুমার আগরওয়ালা

back to top