alt

চিঠিপত্র

চিঠিপত্র : নদীগুলোকে বাঁচতে দিন

: রোববার, ২৫ এপ্রিল ২০২১

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

নদীগুলোকে বাঁচতে দিন

নদীমাতৃক বাংলাদেশের নদীগুলোর মাঝে আজ উচ্ছ্বাস নেই, নদীগুলো তার ভরা যৌবন হারিয়ে ফেলেছে। নদীগুলো যেন অসহায়, তাদের জন্য কথা বলার কেউ নেই। বাংলাদেশে প্রায় ৪০০ এর বেশি ছোট-বড় নদী রয়েছে। তবে সরকারি হিসাব মতে প্রধান নদী ৫৭টি, যার ৫৪ টি এসেছে ভারত থেকে আর বাকি ৩টি মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। জাতীয় নদীরক্ষা কমিটি থাকলেও নদ-নদীর প্রকৃত অবস্থা ও সংখ্যা নিয়ে তাদের মধ্যে ঘাটতি রয়েছে। বিআইডাব্লিউটিএর এক প্রতিবেধনে উঠে এসেছে গত চার দশকে বাংলাদেশে প্রায় ৫০ থেকে ৮০ টি নদী, শাখানদীর বিলীন হয়ে গিয়েছে। কতটা ভয়ংকর বিষয়, কিন্তু এটা নিয়ে নীতিনির্ধারকদের কোনো মাথাব্যথা নেই বললেই চলে।

উল্লেখ্য যে, বিশ্বে কলম্বিয়া ২০১৭ সালে প্রথম নদীকে জীবন্ত সত্তা (লিভিং এনটিটি) হিসেবে ঘোষণা করে। এর প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ২০১৯ সালে বাংলাদেশ প্রথম তুরাগ নদীকে জীবন্ত সত্তা হিসেবে ঘোষনা করে। জীবন্ত সত্তা বলতে, নদীর কিছু আইনি অধিকার থাকবে, ফলে নদী নিজেই তার ক্ষতির বা দখলের বিষয়ে আদালতের দ্বারস্থ হতে পারবে। কিন্তু এরপরেও কী নদীগুলো তার অধিকার ফিরে পেয়েছে!

আমরা যদি বুড়িগঙ্গা নদীর দিকে তাকাই, এক সময় মুঘলরা এই নদীর জোয়ারভাটার রূপ দেখে বিস্ময়াভিভূত হতো। মুঘলরা তাদের রাজধানী গড়ে তোলেন এই অঞ্চলে। উল্লেখ্য যে, ইলেন নামের একজন ব্রিটিশ প্রত্নতত্ত্ব বিশারদ, সামরিক নীতি নির্ধারক এবং লেখক ১৮০০ সালে বুড়িগঙ্গা নদী দেখে মুগ্ধ হয়ে লিখেছিলেন- বর্ষাকালে যখন বুড়িগঙ্গা পানিতে ভরপুর থাকে তখন দুর থেকে ঢাকাকে ভেনিসের মতো লাগতো। কিন্তু বর্তমানে বুড়িগঙ্গা কতটা মাত্রাতিরিক্ত দূষিত তা নিজ চোখে দেখা ছাড়া উপলব্ধি করা যাবে না। পানিগুলো গাঢ় কালো। যতো নদীর কাছাকাছি যাওয়া হয় ততো দুর্গন্ধের তীব্রতা বেড়ে যায়। অন্যদিকে দখলের উৎসব চলে তুরাগ নদীতে। নদীটির দুই পাড়ের এলাকাজুড়েই গড়ে উঠেছে শিল্প-কারখানা ও ঘনবসতি। নদীটি তার অবস্থানে নেই। নদীটি বর্তমানে দেখলে মনে হবে ডাস্টবিন হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে। শুধু ঢাকায় নয়, চট্টগ্রাম কর্তফুলী নদীও তার পূর্বের অবস্থানে নেই। কর্তফুলী বাংলাদেশ ভারতের একটি আন্তঃসীমান্ত নদী। বাংলাদেশের প্রধান সমুদ্র বন্দর এই নদীর মোহনায় অবস্থিত। কিন্তু প্রভাবশালী দখলদারদের হাতে দখল হচ্ছে এই নদীটিও। শহরের বর্জ্য, নদীপাড়ে গড়ে উঠা কারখানার বর্জ্য কর্তফুলীর প্রাণ কেড়ে নিতে সচেষ্ট। টাঙ্গাইল শহরের বুকে দিয়ে ধেয়ে চলা বংশী বর্তমানে ড্রেনে পরিণত হয়েছে। সিলেটের সুরমা নদী মরা গাঙের মতো অবস্থা। অপরিকল্পিত ভাবে বর্জ্য ফেলার ফলে সুরমা নদী নব্যতা হারিয়েছে। সিলেট প্রায় বন্যায় নদী দু’কূল ভেসে যাচ্ছে।

পলি জমতে জমতে নদী গুলো ভরাট হচ্ছে। দীর্ঘদিন যাবত খনন না হওয়ার কারণেও নদীগুলো নব্যতা হারাচ্ছে। বিভিন্ন জায়গায় নদী খননের প্রকল্প হাতে নিলেও, তা একেবারে ধীরগতিতে চলছে বললেই চলে।

ফারাক্কা বাঁধ, তিস্তা ব্যারেজ এবং মানুষের তৈরই আরো অনেক কারনেও নদীগুলো আজ মৃত প্রায়। চাঁদপুর শহরের পাশেই পদ্মা-মেঘনা-ডাকাতিয়া নদীর মোহনায় কোলঘেষে গড়ে উঠেছে এক অপরুপ সৌন্দর্যমন্ডিত ইলিশের বাড়ি চাঁদপুর নামে পর্যটন নগরী। নিস্তব্ধতা, ঝিরি ঝিরি বাতাস আর কিচিরমিচির পাখির শব্দ যে কারো হৃদয়কে শান্ত করবে মুহূর্তেই। কিন্তু সেখানকার পানিগুলোও কেমন তামাটে রঙ ধারণ করেছে এবং দুর্গন্ধ সৃষ্টি হয়েছে। উত্তরবঙ্গের নদীগুলোতে পানিকূন্যতা দেখা দিচ্ছে। যা কৃষির জন্য বিপদজনক। প্রকৃতির আর্শীবাদ এই নদীগুলোর জীবন আমরা নিস্তব্ধ করে দিচ্ছি। থামিয়ে দিচ্ছি তাদের ধেয়ে চলাকে।

নদীগুলো বিলীন হয়ে যাচ্ছে আমাদের অভাব পূরণ করতে করতে। বাংলাদেশে বর্তমানে এমন অনেক নদী রয়েছে যেগুলো দেখলে বিশ্বাস হবে না, এগুলো যে একসময় খরগ্রোতা নদী ছিল। বাঁধ এবং স্লুইস গেটের কারণে অনেক নদী খন্ড-বিখন্ড হয়ে গিয়েছে। ফলে থেমে গেছে নদীর প্রবাহ। ইতিমধ্যে অনেকগুলো নদী বাংলাদেশের মানচিত্র থেকে হারিয়ে গেছে। এক সময়ের খরগ্রোতা নদীগুলোর বুকে চর জেগে উঠছে। গ্রীষ্মে নদীতে পানি না থাকলেও, বর্ষায় নদীর দু’কূল চাপিয়ে দুর্দশাপন্ন অবস্থা হয়। যে নদীগুলোতে আগে বড় বড় লঞ্চ-স্টিমার চলতো সেগুলা দিয়ে হেঁটে পার হওয়া যায়। ‘ওরে নীল দরিয়া আমায় দে রে দে ছাড়িয়া ‘আমায় ভাসাইলিরে, আমায় ডুবাইলিরে, অকূল দরিয়ার বুজি কূল নাইরে’। বাংলাদেশের সংস্কৃতির বড় একটা অংশ জুড়ে রয়েছে এই নদীগুলো। অর্থনীতির একটা বিশাল অংশ আসে এই নদীগুলো থেকে। এদেশের মানুষের জীবন জীবিকার সঙ্গে নদীগুলো ওতপ্রোতভাবে জড়িত। নদী ছাড়া বাংলাদেশ কল্পনা করা যায় না। তাই দেশ বাঁচাতে, দেশের মানুষ বাচাঁতে নদীগুলো মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা করা খুবই জরুরি।

মোশারেফ হোসেন ফাহাদ

ভাষাবিজ্ঞান বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

ছবি

বেকারত্ব নিরসনে কুটির শিল্পের ভূমিকা

দুর্যোগ পূর্ববর্তী প্রস্তুতি

ছবি

সোনালি পাটের প্রয়োজনীয়তা

কালীকচ্ছের ধর্মতীর্থ বধ্যভূমিতে স্মৃতিসৌধ নির্মাণের দাবি

চিঠি : হলে খাবারের মান উন্নত করুন

চিঠি : স্বাস্থ্য শিক্ষা বিষয়ে ডিপ্লোমাধারীদের বৈষম্য দূর করুন

চিঠি : শিক্ষার মান উন্নয়ন চাই

চিঠি : সড়ক আইন বাস্তবায়ন করুন

চিঠি : রাস্তায় বাইক সন্ত্রাস

চিঠি : কঠিন হয়ে পড়ছে ক্যাম্পাস সাংবাদিকতা

চিঠি : ডিসেম্বরের স্মৃতি

চিঠি : টেকসই ও সাশ্রয়ী ক্লিন এনার্জি

চিঠি : নকল গুড় জব্দ হোক

চিঠি : সড়কে বাড়ছে লেন ঝরছে প্রাণ

চিঠি : ঢাকাবাসীর কাছে মেট্রোরেল আশীর্বাদ

চিঠি : কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন জরুরি

চিঠি : পরিচ্ছন্ন ক্যাম্পাস চাই

চিঠি : তারুণ্যের শক্তি কাজে লাগান

চিঠি : এইডস থেকে বাঁচতে সচেতন হোন

চিঠি : অতিথি পাখি নিধন বন্ধ হোক

চিঠি : হাসুন, সুস্থ থাকুন

চিঠি : হাতি দিয়ে চাঁদাবাজি বন্ধ হোক

চিঠি : রাজনীতিতে তরুণ সমাজের অংশগ্রহণ

চিঠি : মাদককে ‘না’ বলুন

চিঠি : পুনরুন্নয়ন প্রকল্প : পাল্টে যাবে পুরান ঢাকা

চিঠি : শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ান

চিঠি : চন্দ্রগঞ্জে ফায়ার সার্ভিস স্টেশন চাই

চিঠি : বাড়ছে বাল্যবিয়ে

চিঠি : টিকটকের অপব্যবহার রোধ করতে হবে

চিঠি : আত্মবিশ্বাস ও আস্থা

চিঠি : শিক্ষকরা কি প্রকৃত মর্যাদা পাচ্ছে

চিঠি : শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সম্প্রীতি চাই

চিঠি : সকালে ও বিকেলে মেট্রোরেল চলুক

চিঠি : অতিথি পাখি নিধন বন্ধ করতে হবে

চিঠি : ঢাবি’র কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার আধুনিকায়ন করা হোক

চিঠি : নিত্যপণ্যের দাম

tab

চিঠিপত্র

চিঠিপত্র : নদীগুলোকে বাঁচতে দিন

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

রোববার, ২৫ এপ্রিল ২০২১

নদীগুলোকে বাঁচতে দিন

নদীমাতৃক বাংলাদেশের নদীগুলোর মাঝে আজ উচ্ছ্বাস নেই, নদীগুলো তার ভরা যৌবন হারিয়ে ফেলেছে। নদীগুলো যেন অসহায়, তাদের জন্য কথা বলার কেউ নেই। বাংলাদেশে প্রায় ৪০০ এর বেশি ছোট-বড় নদী রয়েছে। তবে সরকারি হিসাব মতে প্রধান নদী ৫৭টি, যার ৫৪ টি এসেছে ভারত থেকে আর বাকি ৩টি মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। জাতীয় নদীরক্ষা কমিটি থাকলেও নদ-নদীর প্রকৃত অবস্থা ও সংখ্যা নিয়ে তাদের মধ্যে ঘাটতি রয়েছে। বিআইডাব্লিউটিএর এক প্রতিবেধনে উঠে এসেছে গত চার দশকে বাংলাদেশে প্রায় ৫০ থেকে ৮০ টি নদী, শাখানদীর বিলীন হয়ে গিয়েছে। কতটা ভয়ংকর বিষয়, কিন্তু এটা নিয়ে নীতিনির্ধারকদের কোনো মাথাব্যথা নেই বললেই চলে।

উল্লেখ্য যে, বিশ্বে কলম্বিয়া ২০১৭ সালে প্রথম নদীকে জীবন্ত সত্তা (লিভিং এনটিটি) হিসেবে ঘোষণা করে। এর প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ২০১৯ সালে বাংলাদেশ প্রথম তুরাগ নদীকে জীবন্ত সত্তা হিসেবে ঘোষনা করে। জীবন্ত সত্তা বলতে, নদীর কিছু আইনি অধিকার থাকবে, ফলে নদী নিজেই তার ক্ষতির বা দখলের বিষয়ে আদালতের দ্বারস্থ হতে পারবে। কিন্তু এরপরেও কী নদীগুলো তার অধিকার ফিরে পেয়েছে!

আমরা যদি বুড়িগঙ্গা নদীর দিকে তাকাই, এক সময় মুঘলরা এই নদীর জোয়ারভাটার রূপ দেখে বিস্ময়াভিভূত হতো। মুঘলরা তাদের রাজধানী গড়ে তোলেন এই অঞ্চলে। উল্লেখ্য যে, ইলেন নামের একজন ব্রিটিশ প্রত্নতত্ত্ব বিশারদ, সামরিক নীতি নির্ধারক এবং লেখক ১৮০০ সালে বুড়িগঙ্গা নদী দেখে মুগ্ধ হয়ে লিখেছিলেন- বর্ষাকালে যখন বুড়িগঙ্গা পানিতে ভরপুর থাকে তখন দুর থেকে ঢাকাকে ভেনিসের মতো লাগতো। কিন্তু বর্তমানে বুড়িগঙ্গা কতটা মাত্রাতিরিক্ত দূষিত তা নিজ চোখে দেখা ছাড়া উপলব্ধি করা যাবে না। পানিগুলো গাঢ় কালো। যতো নদীর কাছাকাছি যাওয়া হয় ততো দুর্গন্ধের তীব্রতা বেড়ে যায়। অন্যদিকে দখলের উৎসব চলে তুরাগ নদীতে। নদীটির দুই পাড়ের এলাকাজুড়েই গড়ে উঠেছে শিল্প-কারখানা ও ঘনবসতি। নদীটি তার অবস্থানে নেই। নদীটি বর্তমানে দেখলে মনে হবে ডাস্টবিন হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে। শুধু ঢাকায় নয়, চট্টগ্রাম কর্তফুলী নদীও তার পূর্বের অবস্থানে নেই। কর্তফুলী বাংলাদেশ ভারতের একটি আন্তঃসীমান্ত নদী। বাংলাদেশের প্রধান সমুদ্র বন্দর এই নদীর মোহনায় অবস্থিত। কিন্তু প্রভাবশালী দখলদারদের হাতে দখল হচ্ছে এই নদীটিও। শহরের বর্জ্য, নদীপাড়ে গড়ে উঠা কারখানার বর্জ্য কর্তফুলীর প্রাণ কেড়ে নিতে সচেষ্ট। টাঙ্গাইল শহরের বুকে দিয়ে ধেয়ে চলা বংশী বর্তমানে ড্রেনে পরিণত হয়েছে। সিলেটের সুরমা নদী মরা গাঙের মতো অবস্থা। অপরিকল্পিত ভাবে বর্জ্য ফেলার ফলে সুরমা নদী নব্যতা হারিয়েছে। সিলেট প্রায় বন্যায় নদী দু’কূল ভেসে যাচ্ছে।

পলি জমতে জমতে নদী গুলো ভরাট হচ্ছে। দীর্ঘদিন যাবত খনন না হওয়ার কারণেও নদীগুলো নব্যতা হারাচ্ছে। বিভিন্ন জায়গায় নদী খননের প্রকল্প হাতে নিলেও, তা একেবারে ধীরগতিতে চলছে বললেই চলে।

ফারাক্কা বাঁধ, তিস্তা ব্যারেজ এবং মানুষের তৈরই আরো অনেক কারনেও নদীগুলো আজ মৃত প্রায়। চাঁদপুর শহরের পাশেই পদ্মা-মেঘনা-ডাকাতিয়া নদীর মোহনায় কোলঘেষে গড়ে উঠেছে এক অপরুপ সৌন্দর্যমন্ডিত ইলিশের বাড়ি চাঁদপুর নামে পর্যটন নগরী। নিস্তব্ধতা, ঝিরি ঝিরি বাতাস আর কিচিরমিচির পাখির শব্দ যে কারো হৃদয়কে শান্ত করবে মুহূর্তেই। কিন্তু সেখানকার পানিগুলোও কেমন তামাটে রঙ ধারণ করেছে এবং দুর্গন্ধ সৃষ্টি হয়েছে। উত্তরবঙ্গের নদীগুলোতে পানিকূন্যতা দেখা দিচ্ছে। যা কৃষির জন্য বিপদজনক। প্রকৃতির আর্শীবাদ এই নদীগুলোর জীবন আমরা নিস্তব্ধ করে দিচ্ছি। থামিয়ে দিচ্ছি তাদের ধেয়ে চলাকে।

নদীগুলো বিলীন হয়ে যাচ্ছে আমাদের অভাব পূরণ করতে করতে। বাংলাদেশে বর্তমানে এমন অনেক নদী রয়েছে যেগুলো দেখলে বিশ্বাস হবে না, এগুলো যে একসময় খরগ্রোতা নদী ছিল। বাঁধ এবং স্লুইস গেটের কারণে অনেক নদী খন্ড-বিখন্ড হয়ে গিয়েছে। ফলে থেমে গেছে নদীর প্রবাহ। ইতিমধ্যে অনেকগুলো নদী বাংলাদেশের মানচিত্র থেকে হারিয়ে গেছে। এক সময়ের খরগ্রোতা নদীগুলোর বুকে চর জেগে উঠছে। গ্রীষ্মে নদীতে পানি না থাকলেও, বর্ষায় নদীর দু’কূল চাপিয়ে দুর্দশাপন্ন অবস্থা হয়। যে নদীগুলোতে আগে বড় বড় লঞ্চ-স্টিমার চলতো সেগুলা দিয়ে হেঁটে পার হওয়া যায়। ‘ওরে নীল দরিয়া আমায় দে রে দে ছাড়িয়া ‘আমায় ভাসাইলিরে, আমায় ডুবাইলিরে, অকূল দরিয়ার বুজি কূল নাইরে’। বাংলাদেশের সংস্কৃতির বড় একটা অংশ জুড়ে রয়েছে এই নদীগুলো। অর্থনীতির একটা বিশাল অংশ আসে এই নদীগুলো থেকে। এদেশের মানুষের জীবন জীবিকার সঙ্গে নদীগুলো ওতপ্রোতভাবে জড়িত। নদী ছাড়া বাংলাদেশ কল্পনা করা যায় না। তাই দেশ বাঁচাতে, দেশের মানুষ বাচাঁতে নদীগুলো মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা করা খুবই জরুরি।

মোশারেফ হোসেন ফাহাদ

ভাষাবিজ্ঞান বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

back to top