মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর কর আরোপ প্রসঙ্গে
করোনাকালে শিক্ষা ব্যবস্থাকে বাঁচিয়ে রাখা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ওপর বর্ধিত কর আরোপ শিক্ষা ব্যবস্থাকে পিছিয়ে দেবে। করোনা মহামারীতে চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়ে ইতোমধ্যে দেশে কতিপয় প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের মালিকানা হস্তান্তরিত হয়েছে। অনেক শিক্ষক-কর্মকর্তার চাকরি চলে গেছে। অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের বেতন কমিয়ে দেয়া হয়েছে। এসব বিশ্ববিদ্যালয়কে বাঁচিয়ে রাখতে প্রণোদনা না দিয়ে বরং এর ওপর কর আরোপ কর্পোরেট চিন্তা চেতনার বহির্প্রকাশ যা সংবিধান, জাতীয় শিক্ষানীতি ও ২০১০ সালের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইনের পরিপন্থী।
এই বর্ধিত কর নিঃসন্দেহে শিক্ষার্থীদের ওপর আরোপিত হবে। কারণ অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের এ বর্ধিত কর প্রদান করার সামর্থ্য নেই। মনে রাখতে হবে সব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরাই উচ্চবিত্ত বা ধনী পরিবারের সন্তান নয়। অনেক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে নিম্ন মধ্যবিত্ত ও দরিদ্র পরিবারের সন্তানেরা লেখাপড়া করে।
সরকারের নিকট আবেদন বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করুন, অন্যথায় শিক্ষা ব্যবস্থা বিপর্যয়ের মধ্যে পড়বে।
জহুরুল ইসলাম
প্রতিষ্ঠাতা ও ভাইস চেয়ারম্যান, ইড়ঞ
রবীন্দ্র মৈত্রী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া।
উপকূলের মানুষের অশ্রুর মূল্য
ঘূর্ণিঝড় কিংবা বন্যায় বাঁধ ভেঙে উপকূলীয় এলাকা প্লাবিত হওয়া নতুন কোনো ঘটনা নয়। এসব এলাকায় একদিকে যেমন নতুন বাঁধ নির্মাণ বা সংস্কার করা হচ্ছে অন্যদিকে ভাঙছেও। এই ভাঙা-গড়ার মধ্যেই সিডর, আইলা, বুলবুল, আম্পানের পর গত ২৫ মে আসে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস। এর প্রভাবে বাঁধ ভেঙে সাতক্ষীরার শ্যামনগর, আশাশুনিতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
এসব এলাকায় আম্পানে পর সংস্কার বা নির্মাণ করা বাঁধ ভেঙে গ্রামের পর গ্রাম প্লাবিত হয়। এরপরই দেখা দেয় নিদারুণ খাদ্য ও পানীয় জলের অভাব। পরে সরকারের পক্ষ থেকে যে ত্রাণসমগ্রী বিতরণ করা হয় তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই নগণ্য। বিগত দিনে রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় বানের জলে ডুবে বহু মানুষ মারা গেছে। বহু কষ্ট সহ্য করে দুর্যোগপ্রবণ এলাকার মানুষেরা টিকে আছে। আবার অনেকে নিজ বাস্তুভিটা ছেড়ে শহরে পাড়ি জমিয়েছে। তাদের ঠাঁই হয়েছে শহরের বিভিন্ন বস্তিতে।
এ অঞ্চলের মানুষ একটু ঝুঁকিমুক্ত হয়ে নিরাপদ জীবন যাপন করতে চায়। তাদের মনে একটাই প্রশ্ন, কবে নির্মাণ করা হবে টেকসই বেড়িবাঁধ? প্রতিবছর সরকার এসব এলাকার উন্নয়নের জন্য কোটি কোটি টাকার বাজেটে ঘোষণা করেন। কিন্তু মানুষের ভাগ্যের আর উন্নয়ন হয় না। কারণ তাদের একটি কান্নার চোখের জল শুকাতে না শুনাতে নতুন আরেকটি বিষাদের কান্না এসে হাজির হয়। উপকূলীয় অঞ্চলের এসব মানুষের অশ্রুর মূল্য দেবে কে?
গাজী আবদুর রহিম
বামনহাট, কালিগঞ্জ, সাতক্ষীরা
মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
রোববার, ০৪ জুলাই ২০২১
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর কর আরোপ প্রসঙ্গে
করোনাকালে শিক্ষা ব্যবস্থাকে বাঁচিয়ে রাখা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ওপর বর্ধিত কর আরোপ শিক্ষা ব্যবস্থাকে পিছিয়ে দেবে। করোনা মহামারীতে চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়ে ইতোমধ্যে দেশে কতিপয় প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের মালিকানা হস্তান্তরিত হয়েছে। অনেক শিক্ষক-কর্মকর্তার চাকরি চলে গেছে। অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের বেতন কমিয়ে দেয়া হয়েছে। এসব বিশ্ববিদ্যালয়কে বাঁচিয়ে রাখতে প্রণোদনা না দিয়ে বরং এর ওপর কর আরোপ কর্পোরেট চিন্তা চেতনার বহির্প্রকাশ যা সংবিধান, জাতীয় শিক্ষানীতি ও ২০১০ সালের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইনের পরিপন্থী।
এই বর্ধিত কর নিঃসন্দেহে শিক্ষার্থীদের ওপর আরোপিত হবে। কারণ অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের এ বর্ধিত কর প্রদান করার সামর্থ্য নেই। মনে রাখতে হবে সব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরাই উচ্চবিত্ত বা ধনী পরিবারের সন্তান নয়। অনেক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে নিম্ন মধ্যবিত্ত ও দরিদ্র পরিবারের সন্তানেরা লেখাপড়া করে।
সরকারের নিকট আবেদন বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করুন, অন্যথায় শিক্ষা ব্যবস্থা বিপর্যয়ের মধ্যে পড়বে।
জহুরুল ইসলাম
প্রতিষ্ঠাতা ও ভাইস চেয়ারম্যান, ইড়ঞ
রবীন্দ্র মৈত্রী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া।
উপকূলের মানুষের অশ্রুর মূল্য
ঘূর্ণিঝড় কিংবা বন্যায় বাঁধ ভেঙে উপকূলীয় এলাকা প্লাবিত হওয়া নতুন কোনো ঘটনা নয়। এসব এলাকায় একদিকে যেমন নতুন বাঁধ নির্মাণ বা সংস্কার করা হচ্ছে অন্যদিকে ভাঙছেও। এই ভাঙা-গড়ার মধ্যেই সিডর, আইলা, বুলবুল, আম্পানের পর গত ২৫ মে আসে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস। এর প্রভাবে বাঁধ ভেঙে সাতক্ষীরার শ্যামনগর, আশাশুনিতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
এসব এলাকায় আম্পানে পর সংস্কার বা নির্মাণ করা বাঁধ ভেঙে গ্রামের পর গ্রাম প্লাবিত হয়। এরপরই দেখা দেয় নিদারুণ খাদ্য ও পানীয় জলের অভাব। পরে সরকারের পক্ষ থেকে যে ত্রাণসমগ্রী বিতরণ করা হয় তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই নগণ্য। বিগত দিনে রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় বানের জলে ডুবে বহু মানুষ মারা গেছে। বহু কষ্ট সহ্য করে দুর্যোগপ্রবণ এলাকার মানুষেরা টিকে আছে। আবার অনেকে নিজ বাস্তুভিটা ছেড়ে শহরে পাড়ি জমিয়েছে। তাদের ঠাঁই হয়েছে শহরের বিভিন্ন বস্তিতে।
এ অঞ্চলের মানুষ একটু ঝুঁকিমুক্ত হয়ে নিরাপদ জীবন যাপন করতে চায়। তাদের মনে একটাই প্রশ্ন, কবে নির্মাণ করা হবে টেকসই বেড়িবাঁধ? প্রতিবছর সরকার এসব এলাকার উন্নয়নের জন্য কোটি কোটি টাকার বাজেটে ঘোষণা করেন। কিন্তু মানুষের ভাগ্যের আর উন্নয়ন হয় না। কারণ তাদের একটি কান্নার চোখের জল শুকাতে না শুনাতে নতুন আরেকটি বিষাদের কান্না এসে হাজির হয়। উপকূলীয় অঞ্চলের এসব মানুষের অশ্রুর মূল্য দেবে কে?
গাজী আবদুর রহিম
বামনহাট, কালিগঞ্জ, সাতক্ষীরা