মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
করোনায় আক্রান্ত হয়ে যেসব রোগী মারা গেছেন তাদের মধ্যে সিংহভাগ বিভিন্ন রোগব্যাধিতে আক্রান্ত ছিলেন। যারা হৃদরোগে আক্রান্ত ছিলেন তাদের করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর হার তুলনামূলক বেশি। কোভিড-১৯ এর মূল সংক্রমণস্থল হল শ্বাসনালি ও ফুসফুস। যাদের হার্টের পাম্প করার ক্ষমতা কম তাদের শরীরের অক্সিজেন লেভেল কমে যায়। স্বাভাবিকভাবে তখন হার্টের ওপর বাড়তি চাপ পরে।
হার্টের সমস্যা থাকা অবস্থায় কোভিড-১৯ তে আক্রান্ত হলে শরীরে অক্সিজেনের পরিমাণ কমে গিয়ে অ্যাকিউট রেসপিরেটরি ডিসট্রেস সিনড্রোম বা ‘এআরডিএস’ এর ঝুঁকি অত্যন্ত বেড়ে যায়। যার ফলে রোগী সেপটিসিমিক শকে চলে যেতে পারে। তখন রোগীকে ভেন্টিলেটর ব্যতীত চিকিৎসা দেয়া সম্ভব হয় না। ফলশ্রুতিতে, রোগীর জীবন মৃত্যুর ঝুঁকি বেড়ে যায়।
আমেরিকান কলেজ অফ কার্ডিয়োলজির রিপোর্ট থেকে জানা গেছে, সাধারণ কোভিড রোগীদের মধ্যে যেখানে মৃত্যুর হার ২.৩ শতাংশ, হৃদরোগ আছে এমন কোভিড রোগীদের ক্ষেত্রে তা পৌঁছে যায় ১০.৫ শতাংশে।
তবে কিছু নিয়মকানুন মেনে চললে এ মৃত্যুর হার কমিয়ে আনা সম্ভব। যেমন, রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী নিয়মিত ওষুধ খেতে হবে, হার্ট ভালো রাখার জন্য ব্রিদিং এক্সারসাইজ করতে হবে। বাড়িতে কারো জ্বর-সর্দি-কাশি হলে তাদের থেবে দূরে থাকতে হবে। পুষ্টিকর খাবার ও ভিটামিন-সি, এ এবং ই সম্মৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। সর্বোপরি, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বেঁধে দেয়া গাইডলাইন অনুসরণ করে চলতে হবে। তাহলেই আমরা করোনা মহামারিকালে হৃদরোগের ঝুঁকি থেকে কিছুটা ঝুঁকি মুক্ত থাকতে পারব।
হাসান মাহমুদ শুভ
শিক্ষার্থী, এমবিবিএস (২য় বর্ষ)
ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ, টঙ্গী, গাজীপুর
মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
শুক্রবার, ২৩ জুলাই ২০২১
করোনায় আক্রান্ত হয়ে যেসব রোগী মারা গেছেন তাদের মধ্যে সিংহভাগ বিভিন্ন রোগব্যাধিতে আক্রান্ত ছিলেন। যারা হৃদরোগে আক্রান্ত ছিলেন তাদের করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর হার তুলনামূলক বেশি। কোভিড-১৯ এর মূল সংক্রমণস্থল হল শ্বাসনালি ও ফুসফুস। যাদের হার্টের পাম্প করার ক্ষমতা কম তাদের শরীরের অক্সিজেন লেভেল কমে যায়। স্বাভাবিকভাবে তখন হার্টের ওপর বাড়তি চাপ পরে।
হার্টের সমস্যা থাকা অবস্থায় কোভিড-১৯ তে আক্রান্ত হলে শরীরে অক্সিজেনের পরিমাণ কমে গিয়ে অ্যাকিউট রেসপিরেটরি ডিসট্রেস সিনড্রোম বা ‘এআরডিএস’ এর ঝুঁকি অত্যন্ত বেড়ে যায়। যার ফলে রোগী সেপটিসিমিক শকে চলে যেতে পারে। তখন রোগীকে ভেন্টিলেটর ব্যতীত চিকিৎসা দেয়া সম্ভব হয় না। ফলশ্রুতিতে, রোগীর জীবন মৃত্যুর ঝুঁকি বেড়ে যায়।
আমেরিকান কলেজ অফ কার্ডিয়োলজির রিপোর্ট থেকে জানা গেছে, সাধারণ কোভিড রোগীদের মধ্যে যেখানে মৃত্যুর হার ২.৩ শতাংশ, হৃদরোগ আছে এমন কোভিড রোগীদের ক্ষেত্রে তা পৌঁছে যায় ১০.৫ শতাংশে।
তবে কিছু নিয়মকানুন মেনে চললে এ মৃত্যুর হার কমিয়ে আনা সম্ভব। যেমন, রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী নিয়মিত ওষুধ খেতে হবে, হার্ট ভালো রাখার জন্য ব্রিদিং এক্সারসাইজ করতে হবে। বাড়িতে কারো জ্বর-সর্দি-কাশি হলে তাদের থেবে দূরে থাকতে হবে। পুষ্টিকর খাবার ও ভিটামিন-সি, এ এবং ই সম্মৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। সর্বোপরি, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বেঁধে দেয়া গাইডলাইন অনুসরণ করে চলতে হবে। তাহলেই আমরা করোনা মহামারিকালে হৃদরোগের ঝুঁকি থেকে কিছুটা ঝুঁকি মুক্ত থাকতে পারব।
হাসান মাহমুদ শুভ
শিক্ষার্থী, এমবিবিএস (২য় বর্ষ)
ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ, টঙ্গী, গাজীপুর