alt

চিঠিপত্র

চিঠি : ভূমিকম্পের ঝুঁকি প্রয়োজন সতর্কতা

: বুধবার, ০১ সেপ্টেম্বর ২০২১

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

বাংলাদেশ পৃথিবীর অন্যতম প্রাকৃতিক দুর্যোগের দেশ। ঘূর্ণিঝড়, বন্যা, জলোচ্ছ্বাস, খরা এবং ভূমিকম্প ইত্যাদি প্রাকৃতিক দুর্যোগ প্রায় সারা বছরই আমাদের জীবন, সম্পদ ও পরিবেশের ব্যাপক ক্ষতিসাধন করে। দেশের ভৌগোলিক অবস্থান এসব দুর্যোগের অন্যতম কারণ। দেশের পূর্বাঞ্চল সিলেটে দফায় দফায় ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। এ নিয়ে দেশব্যাপী উৎকণ্ঠা প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।

সম্প্রতি নেচার জিওসায়েন্স জার্নালে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে- ভূ-গাঠনিক অবস্থানে বাংলাদেশ দাঁড়িয়ে আছে, সেখানে বড় ধরনের ভূমিকম্পের ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে। এ প্রতিবেদনে বিজ্ঞানীরা বিগত কয়েক বছরের তথ্য বিশ্লেষণ করে একটি কম্পিউটার মডেল তৈরির মাধ্যমে দেখিয়েছেন, বাংলাদেশ ও ভারতের পূর্ব অংশের ভূ-গাঠনিক প্লেট উত্তর-পূর্ব দিকে সরে গিয়ে মিয়ানমারের পশ্চিম অঞ্চলের ভূ-গাঠনিক প্লেটের উপর চাপ সৃষ্টি করছে, এতে সেখানে প্রচুর শক্তি সঞ্চয় হয়েছে। তাদের মতে, ৮ মাত্রার ভূমিকম্প হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে বাংলাদেশ।

আর এ মাত্রার ভূমিকম্প হলে ঢাকা শহরে অন্তত দুই লাখ মানুষের প্রাণহানি হবে। কেননা ঢাকা শহরে বিল্ডিংগুলো উচ্চমাত্রার ভূমিকম্প সহনশীল নয়। বুয়েটের করা এক জরিপে দেখা গেছে, ঢাকা শহরে এক লাখ বিল্ডিং দুর্বল অবকাঠামোর উপর নির্মিত। এছাড়া কোন বিল্ডিং ৭ মাত্রার বেশি ভূমিকম্প সহনশীল নয়।

যেহেতু অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগের মতে ভূমিকম্পের কোনো পূর্বাভাস দেওয়া সম্ভব না। তবে দুটি বিষয় আছে। একটি হলো বিফোর শক অর্থাৎ বড় ধরনের ভূমিকম্প আঘাত হানার আগে ছোট ছোট ভূমিকম্পন অনূভূত হবে। আর দ্বিতীয়টি হলো মেইন শক অর্থাৎ একদম বড় ভূমিকম্প হবে। সিলেটের ক্ষেত্রে প্রথমে ছোট ছোট ভূমিকম্পের মাধ্যমে বিশেষজ্ঞরা এমনটাই ধারণা করছেন।

তাই আমাদের পূর্ব সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন। এক্ষেত্রে ভূমিকম্পের দেশ হিসেবে খ্যাত জাপানকে রোল মডেল হিসেবে গ্রহণ করতে পারি।

ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি থেকে দেশ ও জাতিকে রক্ষা করতে হলে এখনি প্রয়োজন কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা। পরিবেশবিরোধী কার্যকলাপ রোধে জনসচেতনতা সৃষ্টি করা। ভূমিকম্প প্রাকৃতির দুর্যোগ হলেও মানবসৃষ্ট কিছু কারণও এর জন্য অনেকটা দায়ী।

প্রকৃতির স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় বাঁধা দিয়ে আমরা প্রকৃতির উপর অত্যাচার করে চলছি। তাই প্রকৃতিও মাঝে মধ্যে আমাদের সাথে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখায়। সর্বোপরি এ বাংলাদেশ আমি ও আমাদের সবার। তাই দেশকে সব ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষায় সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে।

গোলাম রাব্বি লিমন

শিক্ষার্থী, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

ছবি

বেকারত্ব নিরসনে কুটির শিল্পের ভূমিকা

দুর্যোগ পূর্ববর্তী প্রস্তুতি

ছবি

সোনালি পাটের প্রয়োজনীয়তা

কালীকচ্ছের ধর্মতীর্থ বধ্যভূমিতে স্মৃতিসৌধ নির্মাণের দাবি

চিঠি : হলে খাবারের মান উন্নত করুন

চিঠি : স্বাস্থ্য শিক্ষা বিষয়ে ডিপ্লোমাধারীদের বৈষম্য দূর করুন

চিঠি : শিক্ষার মান উন্নয়ন চাই

চিঠি : সড়ক আইন বাস্তবায়ন করুন

চিঠি : রাস্তায় বাইক সন্ত্রাস

চিঠি : কঠিন হয়ে পড়ছে ক্যাম্পাস সাংবাদিকতা

চিঠি : ডিসেম্বরের স্মৃতি

চিঠি : টেকসই ও সাশ্রয়ী ক্লিন এনার্জি

চিঠি : নকল গুড় জব্দ হোক

চিঠি : সড়কে বাড়ছে লেন ঝরছে প্রাণ

চিঠি : ঢাকাবাসীর কাছে মেট্রোরেল আশীর্বাদ

চিঠি : কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন জরুরি

চিঠি : পরিচ্ছন্ন ক্যাম্পাস চাই

চিঠি : তারুণ্যের শক্তি কাজে লাগান

চিঠি : এইডস থেকে বাঁচতে সচেতন হোন

চিঠি : অতিথি পাখি নিধন বন্ধ হোক

চিঠি : হাসুন, সুস্থ থাকুন

চিঠি : হাতি দিয়ে চাঁদাবাজি বন্ধ হোক

চিঠি : রাজনীতিতে তরুণ সমাজের অংশগ্রহণ

চিঠি : মাদককে ‘না’ বলুন

চিঠি : পুনরুন্নয়ন প্রকল্প : পাল্টে যাবে পুরান ঢাকা

চিঠি : শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ান

চিঠি : চন্দ্রগঞ্জে ফায়ার সার্ভিস স্টেশন চাই

চিঠি : বাড়ছে বাল্যবিয়ে

চিঠি : টিকটকের অপব্যবহার রোধ করতে হবে

চিঠি : আত্মবিশ্বাস ও আস্থা

চিঠি : শিক্ষকরা কি প্রকৃত মর্যাদা পাচ্ছে

চিঠি : শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সম্প্রীতি চাই

চিঠি : সকালে ও বিকেলে মেট্রোরেল চলুক

চিঠি : অতিথি পাখি নিধন বন্ধ করতে হবে

চিঠি : ঢাবি’র কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার আধুনিকায়ন করা হোক

চিঠি : নিত্যপণ্যের দাম

tab

চিঠিপত্র

চিঠি : ভূমিকম্পের ঝুঁকি প্রয়োজন সতর্কতা

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

বুধবার, ০১ সেপ্টেম্বর ২০২১

বাংলাদেশ পৃথিবীর অন্যতম প্রাকৃতিক দুর্যোগের দেশ। ঘূর্ণিঝড়, বন্যা, জলোচ্ছ্বাস, খরা এবং ভূমিকম্প ইত্যাদি প্রাকৃতিক দুর্যোগ প্রায় সারা বছরই আমাদের জীবন, সম্পদ ও পরিবেশের ব্যাপক ক্ষতিসাধন করে। দেশের ভৌগোলিক অবস্থান এসব দুর্যোগের অন্যতম কারণ। দেশের পূর্বাঞ্চল সিলেটে দফায় দফায় ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। এ নিয়ে দেশব্যাপী উৎকণ্ঠা প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।

সম্প্রতি নেচার জিওসায়েন্স জার্নালে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে- ভূ-গাঠনিক অবস্থানে বাংলাদেশ দাঁড়িয়ে আছে, সেখানে বড় ধরনের ভূমিকম্পের ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে। এ প্রতিবেদনে বিজ্ঞানীরা বিগত কয়েক বছরের তথ্য বিশ্লেষণ করে একটি কম্পিউটার মডেল তৈরির মাধ্যমে দেখিয়েছেন, বাংলাদেশ ও ভারতের পূর্ব অংশের ভূ-গাঠনিক প্লেট উত্তর-পূর্ব দিকে সরে গিয়ে মিয়ানমারের পশ্চিম অঞ্চলের ভূ-গাঠনিক প্লেটের উপর চাপ সৃষ্টি করছে, এতে সেখানে প্রচুর শক্তি সঞ্চয় হয়েছে। তাদের মতে, ৮ মাত্রার ভূমিকম্প হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে বাংলাদেশ।

আর এ মাত্রার ভূমিকম্প হলে ঢাকা শহরে অন্তত দুই লাখ মানুষের প্রাণহানি হবে। কেননা ঢাকা শহরে বিল্ডিংগুলো উচ্চমাত্রার ভূমিকম্প সহনশীল নয়। বুয়েটের করা এক জরিপে দেখা গেছে, ঢাকা শহরে এক লাখ বিল্ডিং দুর্বল অবকাঠামোর উপর নির্মিত। এছাড়া কোন বিল্ডিং ৭ মাত্রার বেশি ভূমিকম্প সহনশীল নয়।

যেহেতু অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগের মতে ভূমিকম্পের কোনো পূর্বাভাস দেওয়া সম্ভব না। তবে দুটি বিষয় আছে। একটি হলো বিফোর শক অর্থাৎ বড় ধরনের ভূমিকম্প আঘাত হানার আগে ছোট ছোট ভূমিকম্পন অনূভূত হবে। আর দ্বিতীয়টি হলো মেইন শক অর্থাৎ একদম বড় ভূমিকম্প হবে। সিলেটের ক্ষেত্রে প্রথমে ছোট ছোট ভূমিকম্পের মাধ্যমে বিশেষজ্ঞরা এমনটাই ধারণা করছেন।

তাই আমাদের পূর্ব সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন। এক্ষেত্রে ভূমিকম্পের দেশ হিসেবে খ্যাত জাপানকে রোল মডেল হিসেবে গ্রহণ করতে পারি।

ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি থেকে দেশ ও জাতিকে রক্ষা করতে হলে এখনি প্রয়োজন কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা। পরিবেশবিরোধী কার্যকলাপ রোধে জনসচেতনতা সৃষ্টি করা। ভূমিকম্প প্রাকৃতির দুর্যোগ হলেও মানবসৃষ্ট কিছু কারণও এর জন্য অনেকটা দায়ী।

প্রকৃতির স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় বাঁধা দিয়ে আমরা প্রকৃতির উপর অত্যাচার করে চলছি। তাই প্রকৃতিও মাঝে মধ্যে আমাদের সাথে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখায়। সর্বোপরি এ বাংলাদেশ আমি ও আমাদের সবার। তাই দেশকে সব ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষায় সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে।

গোলাম রাব্বি লিমন

শিক্ষার্থী, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

back to top