মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
সমগ্র জীবনে একজন মানুষ যে নীতিকথাগুলো রপ্ত করে তন্মধ্যে একটি হলো আত্মহত্যা মহাপাপ। এই মহাপাপ জেনেও জীবনের এই কঠিনতম সিদ্ধান্তটি বেছে নেয় আত্মহননকারী। কারণ আত্মহত্যাকে মহাপাপ হিসেবে আখ্যায়িত করা হলেও এর থেকে বেঁচে থাকার কৌশল রপ্ত করানোর বিষয়টিতে আমাদের সমাজ এখনো অনেক পিছিয়ে। ফলস্বরূপ বর্তমানে গণমাধ্যমগুলোতে আত্মহত্যার খবর দেখা যায় হরহামেশাই। করোনা পরিস্থিতিতে আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে এ সমস্যা।
তরুণ সমাজের মাঝে এই আত্মহত্যার পথ বেছে নেওয়ার প্রবণতা সবচেয়ে বেশি। আত্মহননের মধ্য দিয়ে শেষ হয়ে যায় একটি সম্ভাবনাময় জীবনের, সমাপ্তি ঘটে জীবনকে নিয়ে গড়ে উঠা রং-বেরঙের স্বপ্নের, পরিসমাপ্তি ঘটে সব প্রত্যাশার।
দীর্ঘদিন বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত হয়ে অকালে ঝরে পড়ছে প্রাণগুলো। এ সংকটাপন্ন অবস্থা থেকে মুক্তি লাভের জন্য সমাজের সবাইকে সচেতন হতে হবে। মানসিক স্বাস্থ্যবিষয়ক বিভিন্ন পরামর্শ প্রচার করে মানসিক সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে হবে। কাউন্সিলিংয়ের মাধ্যমে সমস্যাগুলোর সমাধান করতে হবে। মানসিক স্বাস্থ্য রক্ষায় সোচ্চার হতে হবে।
তাছাড়া পারিবারিকভাবে মানসিক স্বাস্থ্যের প্রতি সচেতন হওয়ার ব্যবস্থা নিতে হবে। অবসাদ দূর করার জন্য সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন। সম্মিলিত প্রচেষ্টাই পারে অবসাদগ্রস্ত মানুষের জীবনে স্বাভাবিক গতি ফিরিয়ে আনতে। গড়ে তুলতে পারে শারীরিক ও মানসিক উভয় দিকে সমৃদ্ধ সমাজ।
নাজিয়া আফরিন
শিক্ষার্থী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
শুক্রবার, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২১
সমগ্র জীবনে একজন মানুষ যে নীতিকথাগুলো রপ্ত করে তন্মধ্যে একটি হলো আত্মহত্যা মহাপাপ। এই মহাপাপ জেনেও জীবনের এই কঠিনতম সিদ্ধান্তটি বেছে নেয় আত্মহননকারী। কারণ আত্মহত্যাকে মহাপাপ হিসেবে আখ্যায়িত করা হলেও এর থেকে বেঁচে থাকার কৌশল রপ্ত করানোর বিষয়টিতে আমাদের সমাজ এখনো অনেক পিছিয়ে। ফলস্বরূপ বর্তমানে গণমাধ্যমগুলোতে আত্মহত্যার খবর দেখা যায় হরহামেশাই। করোনা পরিস্থিতিতে আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে এ সমস্যা।
তরুণ সমাজের মাঝে এই আত্মহত্যার পথ বেছে নেওয়ার প্রবণতা সবচেয়ে বেশি। আত্মহননের মধ্য দিয়ে শেষ হয়ে যায় একটি সম্ভাবনাময় জীবনের, সমাপ্তি ঘটে জীবনকে নিয়ে গড়ে উঠা রং-বেরঙের স্বপ্নের, পরিসমাপ্তি ঘটে সব প্রত্যাশার।
দীর্ঘদিন বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত হয়ে অকালে ঝরে পড়ছে প্রাণগুলো। এ সংকটাপন্ন অবস্থা থেকে মুক্তি লাভের জন্য সমাজের সবাইকে সচেতন হতে হবে। মানসিক স্বাস্থ্যবিষয়ক বিভিন্ন পরামর্শ প্রচার করে মানসিক সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে হবে। কাউন্সিলিংয়ের মাধ্যমে সমস্যাগুলোর সমাধান করতে হবে। মানসিক স্বাস্থ্য রক্ষায় সোচ্চার হতে হবে।
তাছাড়া পারিবারিকভাবে মানসিক স্বাস্থ্যের প্রতি সচেতন হওয়ার ব্যবস্থা নিতে হবে। অবসাদ দূর করার জন্য সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন। সম্মিলিত প্রচেষ্টাই পারে অবসাদগ্রস্ত মানুষের জীবনে স্বাভাবিক গতি ফিরিয়ে আনতে। গড়ে তুলতে পারে শারীরিক ও মানসিক উভয় দিকে সমৃদ্ধ সমাজ।
নাজিয়া আফরিন
শিক্ষার্থী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়