মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
গ্রাম বাংলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে শতকরা ৮০ ভাগ লোকের বসবাস। গ্রামের অদক্ষ চিকিৎসকের ওপর এদের প্রায়ই নির্ভরশীল হতে হয়। কেউ ১ বছরের পল্লী চিকিৎসক প্রশিক্ষণ নিয়ে, কেউ ৬ মাসের প্রশিক্ষণ নিয়ে আবার অনেকেই কিছুদিন ফার্মেসিতে থেকে গ্রামে গিয়ে চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন। তাদের ওষুধ সম্পর্কে ধারণা খুবই সীমিত।
আবার এদের প্রয়োজনীয়তা কোন অংশে কম নয়। প্রত্যন্ত অঞ্চলে এমবিবিএস ডাক্তার পাওয়া খুবই কঠিন। রাতের বেলা কেউ অসুস্থ হলে গ্রামের চিকিৎসক ছাড়া কোন সুবিধা পাওয়া দুষ্কর। তাই বাধ্য হয়ে এদের শরণাপন্ন হতে হয়। এছাড়াও শহরের বড় ডাক্তারগণ যখন ব্যবস্থাপত্রে সেলাইন, ইঞ্জেকশন লিখে দেন তখন এই প্রয়োজনটুকু গ্রাম্য চিকিৎসক দিয়ে প্রয়োগ করতে হয়। হঠাৎ করেইকেউ অসুস্থ হলে ব্লাড প্রেশার মাপাটাও জরুরি হয়ে পরে, তখন নির্ভর করতে হয় গ্রাম্য চিকিৎসকদের ওপর।
যারা গ্রামে চিকৎসাসেবা দিচ্ছেন তাদের অনেক ভুল ভ্রান্তি স্বাভাবিক; কারণ তাদের উচ্চতর প্রশিক্ষণের অভাব। তবে তাদের প্রয়োজনটাও অবহেলা করা যায় না। বর্তমানে দেখা যায় গ্রামের বিভিন্ন মুদির দোকান, স্টেশনারি দোকানেও ওষুধ কিনতে পাওয়া যায়। কিছু মানুষ সাধারণ রোগে ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়াই ফার্মাসিতে ওষুধ কিনে খায়, যা অনেক সময় ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
সরকার গ্রামের চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে পারে। প্রতি উপজেলায় একটা ট্রেনিং সেন্টারের ব্যবস্থা করে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দিয়ে উন্নত প্রশিক্ষণ দিয়ে প্রতিটা গ্রামের মানুষের প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করা যেতে পারে। তাহলে এন্টিবায়োটিকসহ বিভিন্ন ওষুধের অপপ্রয়োগ বন্ধ হবে এবং গ্রামের সাধারণ মানুষ ভুল চিকিৎসা থেকে নিষ্কৃতি পাবে।
মৃনাল কান্তি দাশ
নবীগঞ্জ, হবিগঞ্জ।
মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
শনিবার, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২১
গ্রাম বাংলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে শতকরা ৮০ ভাগ লোকের বসবাস। গ্রামের অদক্ষ চিকিৎসকের ওপর এদের প্রায়ই নির্ভরশীল হতে হয়। কেউ ১ বছরের পল্লী চিকিৎসক প্রশিক্ষণ নিয়ে, কেউ ৬ মাসের প্রশিক্ষণ নিয়ে আবার অনেকেই কিছুদিন ফার্মেসিতে থেকে গ্রামে গিয়ে চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন। তাদের ওষুধ সম্পর্কে ধারণা খুবই সীমিত।
আবার এদের প্রয়োজনীয়তা কোন অংশে কম নয়। প্রত্যন্ত অঞ্চলে এমবিবিএস ডাক্তার পাওয়া খুবই কঠিন। রাতের বেলা কেউ অসুস্থ হলে গ্রামের চিকিৎসক ছাড়া কোন সুবিধা পাওয়া দুষ্কর। তাই বাধ্য হয়ে এদের শরণাপন্ন হতে হয়। এছাড়াও শহরের বড় ডাক্তারগণ যখন ব্যবস্থাপত্রে সেলাইন, ইঞ্জেকশন লিখে দেন তখন এই প্রয়োজনটুকু গ্রাম্য চিকিৎসক দিয়ে প্রয়োগ করতে হয়। হঠাৎ করেইকেউ অসুস্থ হলে ব্লাড প্রেশার মাপাটাও জরুরি হয়ে পরে, তখন নির্ভর করতে হয় গ্রাম্য চিকিৎসকদের ওপর।
যারা গ্রামে চিকৎসাসেবা দিচ্ছেন তাদের অনেক ভুল ভ্রান্তি স্বাভাবিক; কারণ তাদের উচ্চতর প্রশিক্ষণের অভাব। তবে তাদের প্রয়োজনটাও অবহেলা করা যায় না। বর্তমানে দেখা যায় গ্রামের বিভিন্ন মুদির দোকান, স্টেশনারি দোকানেও ওষুধ কিনতে পাওয়া যায়। কিছু মানুষ সাধারণ রোগে ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়াই ফার্মাসিতে ওষুধ কিনে খায়, যা অনেক সময় ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
সরকার গ্রামের চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে পারে। প্রতি উপজেলায় একটা ট্রেনিং সেন্টারের ব্যবস্থা করে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দিয়ে উন্নত প্রশিক্ষণ দিয়ে প্রতিটা গ্রামের মানুষের প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করা যেতে পারে। তাহলে এন্টিবায়োটিকসহ বিভিন্ন ওষুধের অপপ্রয়োগ বন্ধ হবে এবং গ্রামের সাধারণ মানুষ ভুল চিকিৎসা থেকে নিষ্কৃতি পাবে।
মৃনাল কান্তি দাশ
নবীগঞ্জ, হবিগঞ্জ।