alt

চিঠিপত্র

চিঠি : গ্রামের চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণ প্রসঙ্গে

: শনিবার, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২১

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

গ্রাম বাংলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে শতকরা ৮০ ভাগ লোকের বসবাস। গ্রামের অদক্ষ চিকিৎসকের ওপর এদের প্রায়ই নির্ভরশীল হতে হয়। কেউ ১ বছরের পল্লী চিকিৎসক প্রশিক্ষণ নিয়ে, কেউ ৬ মাসের প্রশিক্ষণ নিয়ে আবার অনেকেই কিছুদিন ফার্মেসিতে থেকে গ্রামে গিয়ে চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন। তাদের ওষুধ সম্পর্কে ধারণা খুবই সীমিত।

আবার এদের প্রয়োজনীয়তা কোন অংশে কম নয়। প্রত্যন্ত অঞ্চলে এমবিবিএস ডাক্তার পাওয়া খুবই কঠিন। রাতের বেলা কেউ অসুস্থ হলে গ্রামের চিকিৎসক ছাড়া কোন সুবিধা পাওয়া দুষ্কর। তাই বাধ্য হয়ে এদের শরণাপন্ন হতে হয়। এছাড়াও শহরের বড় ডাক্তারগণ যখন ব্যবস্থাপত্রে সেলাইন, ইঞ্জেকশন লিখে দেন তখন এই প্রয়োজনটুকু গ্রাম্য চিকিৎসক দিয়ে প্রয়োগ করতে হয়। হঠাৎ করেইকেউ অসুস্থ হলে ব্লাড প্রেশার মাপাটাও জরুরি হয়ে পরে, তখন নির্ভর করতে হয় গ্রাম্য চিকিৎসকদের ওপর।

যারা গ্রামে চিকৎসাসেবা দিচ্ছেন তাদের অনেক ভুল ভ্রান্তি স্বাভাবিক; কারণ তাদের উচ্চতর প্রশিক্ষণের অভাব। তবে তাদের প্রয়োজনটাও অবহেলা করা যায় না। বর্তমানে দেখা যায় গ্রামের বিভিন্ন মুদির দোকান, স্টেশনারি দোকানেও ওষুধ কিনতে পাওয়া যায়। কিছু মানুষ সাধারণ রোগে ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়াই ফার্মাসিতে ওষুধ কিনে খায়, যা অনেক সময় ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

সরকার গ্রামের চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে পারে। প্রতি উপজেলায় একটা ট্রেনিং সেন্টারের ব্যবস্থা করে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দিয়ে উন্নত প্রশিক্ষণ দিয়ে প্রতিটা গ্রামের মানুষের প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করা যেতে পারে। তাহলে এন্টিবায়োটিকসহ বিভিন্ন ওষুধের অপপ্রয়োগ বন্ধ হবে এবং গ্রামের সাধারণ মানুষ ভুল চিকিৎসা থেকে নিষ্কৃতি পাবে।

মৃনাল কান্তি দাশ

নবীগঞ্জ, হবিগঞ্জ।

ছবি

বেকারত্ব নিরসনে কুটির শিল্পের ভূমিকা

দুর্যোগ পূর্ববর্তী প্রস্তুতি

ছবি

সোনালি পাটের প্রয়োজনীয়তা

কালীকচ্ছের ধর্মতীর্থ বধ্যভূমিতে স্মৃতিসৌধ নির্মাণের দাবি

চিঠি : হলে খাবারের মান উন্নত করুন

চিঠি : স্বাস্থ্য শিক্ষা বিষয়ে ডিপ্লোমাধারীদের বৈষম্য দূর করুন

চিঠি : শিক্ষার মান উন্নয়ন চাই

চিঠি : সড়ক আইন বাস্তবায়ন করুন

চিঠি : রাস্তায় বাইক সন্ত্রাস

চিঠি : কঠিন হয়ে পড়ছে ক্যাম্পাস সাংবাদিকতা

চিঠি : ডিসেম্বরের স্মৃতি

চিঠি : টেকসই ও সাশ্রয়ী ক্লিন এনার্জি

চিঠি : নকল গুড় জব্দ হোক

চিঠি : সড়কে বাড়ছে লেন ঝরছে প্রাণ

চিঠি : ঢাকাবাসীর কাছে মেট্রোরেল আশীর্বাদ

চিঠি : কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন জরুরি

চিঠি : পরিচ্ছন্ন ক্যাম্পাস চাই

চিঠি : তারুণ্যের শক্তি কাজে লাগান

চিঠি : এইডস থেকে বাঁচতে সচেতন হোন

চিঠি : অতিথি পাখি নিধন বন্ধ হোক

চিঠি : হাসুন, সুস্থ থাকুন

চিঠি : হাতি দিয়ে চাঁদাবাজি বন্ধ হোক

চিঠি : রাজনীতিতে তরুণ সমাজের অংশগ্রহণ

চিঠি : মাদককে ‘না’ বলুন

চিঠি : পুনরুন্নয়ন প্রকল্প : পাল্টে যাবে পুরান ঢাকা

চিঠি : শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ান

চিঠি : চন্দ্রগঞ্জে ফায়ার সার্ভিস স্টেশন চাই

চিঠি : বাড়ছে বাল্যবিয়ে

চিঠি : টিকটকের অপব্যবহার রোধ করতে হবে

চিঠি : আত্মবিশ্বাস ও আস্থা

চিঠি : শিক্ষকরা কি প্রকৃত মর্যাদা পাচ্ছে

চিঠি : শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সম্প্রীতি চাই

চিঠি : সকালে ও বিকেলে মেট্রোরেল চলুক

চিঠি : অতিথি পাখি নিধন বন্ধ করতে হবে

চিঠি : ঢাবি’র কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার আধুনিকায়ন করা হোক

চিঠি : নিত্যপণ্যের দাম

tab

চিঠিপত্র

চিঠি : গ্রামের চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণ প্রসঙ্গে

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

শনিবার, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২১

গ্রাম বাংলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে শতকরা ৮০ ভাগ লোকের বসবাস। গ্রামের অদক্ষ চিকিৎসকের ওপর এদের প্রায়ই নির্ভরশীল হতে হয়। কেউ ১ বছরের পল্লী চিকিৎসক প্রশিক্ষণ নিয়ে, কেউ ৬ মাসের প্রশিক্ষণ নিয়ে আবার অনেকেই কিছুদিন ফার্মেসিতে থেকে গ্রামে গিয়ে চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন। তাদের ওষুধ সম্পর্কে ধারণা খুবই সীমিত।

আবার এদের প্রয়োজনীয়তা কোন অংশে কম নয়। প্রত্যন্ত অঞ্চলে এমবিবিএস ডাক্তার পাওয়া খুবই কঠিন। রাতের বেলা কেউ অসুস্থ হলে গ্রামের চিকিৎসক ছাড়া কোন সুবিধা পাওয়া দুষ্কর। তাই বাধ্য হয়ে এদের শরণাপন্ন হতে হয়। এছাড়াও শহরের বড় ডাক্তারগণ যখন ব্যবস্থাপত্রে সেলাইন, ইঞ্জেকশন লিখে দেন তখন এই প্রয়োজনটুকু গ্রাম্য চিকিৎসক দিয়ে প্রয়োগ করতে হয়। হঠাৎ করেইকেউ অসুস্থ হলে ব্লাড প্রেশার মাপাটাও জরুরি হয়ে পরে, তখন নির্ভর করতে হয় গ্রাম্য চিকিৎসকদের ওপর।

যারা গ্রামে চিকৎসাসেবা দিচ্ছেন তাদের অনেক ভুল ভ্রান্তি স্বাভাবিক; কারণ তাদের উচ্চতর প্রশিক্ষণের অভাব। তবে তাদের প্রয়োজনটাও অবহেলা করা যায় না। বর্তমানে দেখা যায় গ্রামের বিভিন্ন মুদির দোকান, স্টেশনারি দোকানেও ওষুধ কিনতে পাওয়া যায়। কিছু মানুষ সাধারণ রোগে ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়াই ফার্মাসিতে ওষুধ কিনে খায়, যা অনেক সময় ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

সরকার গ্রামের চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে পারে। প্রতি উপজেলায় একটা ট্রেনিং সেন্টারের ব্যবস্থা করে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দিয়ে উন্নত প্রশিক্ষণ দিয়ে প্রতিটা গ্রামের মানুষের প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করা যেতে পারে। তাহলে এন্টিবায়োটিকসহ বিভিন্ন ওষুধের অপপ্রয়োগ বন্ধ হবে এবং গ্রামের সাধারণ মানুষ ভুল চিকিৎসা থেকে নিষ্কৃতি পাবে।

মৃনাল কান্তি দাশ

নবীগঞ্জ, হবিগঞ্জ।

back to top