alt

চিঠিপত্র

চিঠি : বিলুপ্তপ্রায় কালোমুখ হনুমান

: শুক্রবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২১

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

পৃথিবীর পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য, বন্যপ্রাণীকে সুরক্ষার মাধ্যমে বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব। কিন্তু কিছু অসৎ মানুষের স্বার্থান্বেষী মনোভাবের কারণে প্রতিনিয়ত পরিবেশ ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। ফলে বেশিরভাগ বন্যপ্রাণী হয়ে পড়ছে বিলুপ্ত। যশোরের কেশবপুরের ঐতিহ্যবাহী কালোমুখ হনুমানও এর ব্যতিক্রম নয়।

ব্রিটিশ শাসনামলে দক্ষিণ ভারতের কয়েকজন মারোয়ারি ব্যবসার উদ্দেশ্যে কেশবপুরে আসেন। তারাই কয়েকটি হনুমান সাথে করে নিয়ে আসেন। পরে এদের বংশবিস্তার ঘটে। স্বাধীনতার পূর্ববর্তী সময়ে কেশবপুরে দুই হাজারের মতো হনুমান ছিল। কিন্তু ধীরে ধীরে ফলের গাছ কমে যাওয়ায় খাদ্য সংকট দেখা দেয়। ফলে দলছুট হয়ে কেশবপুর ছেড়ে অন্যত্র চলে যাওয়া শুরু করে। অভয়ারণ্যের অভাবে মিলিত হতে না পেরে প্রজনন ক্ষমতা হ্রাসের কারণে এদের সংখ্যা প্রতিনিয়ত কমেই চলেছে। বর্তমানে কেশবপুর ও তার আশপাশে প্রায় পাঁচশত হনুমান বসবাস করছে।

প্রত্যেক মাসে সরকারিভাবে হনুমানের জন্য খাদ্য বরাদ্দ থাকলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় যৎসামান্য। তাই পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার্থে এবং বিরল প্রজাতির এই প্রাণীকে বাঁচিয়ে রাখতে সচেতন মহলকে এগিয়ে আসতে হবে। যেহেতু হনুমানের প্রধান খাদ্য ফলমূল, তাই তাদের বাসস্থানের আশপাশের বৃক্ষ নিধন রোধ করে পর্যাপ্ত ফলজ বৃক্ষের চারা রোপণ করতে হবে। এছাড়া খাদ্য বরাদ্দের পরিমাণ বৃদ্ধি করে সরকারিভাবেও খাদ্যের অপ্রতুলতা কমিয়ে আনা সম্ভব।

বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞদের মতে হনুমান প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বর্ধনকারী একটি প্রাণী। এরা বন বৃদ্ধিতে এবং পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার্থে সহায়তা করে থাকে। তাই এখনই আমাদের সবাইকে এ বিরল প্রজাতির প্রাণীকে সংরক্ষণে এগিয়ে আসতে হবে। অন্যথায় এ বিপন্ন প্রাণীটি আমাদের দেশ থেকে অচিরেই হারিয়ে যাবে।

শেখ শাহরিয়ার হোসেন

শিক্ষার্থী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

ছবি

বেকারত্ব নিরসনে কুটির শিল্পের ভূমিকা

দুর্যোগ পূর্ববর্তী প্রস্তুতি

ছবি

সোনালি পাটের প্রয়োজনীয়তা

কালীকচ্ছের ধর্মতীর্থ বধ্যভূমিতে স্মৃতিসৌধ নির্মাণের দাবি

চিঠি : হলে খাবারের মান উন্নত করুন

চিঠি : স্বাস্থ্য শিক্ষা বিষয়ে ডিপ্লোমাধারীদের বৈষম্য দূর করুন

চিঠি : শিক্ষার মান উন্নয়ন চাই

চিঠি : সড়ক আইন বাস্তবায়ন করুন

চিঠি : রাস্তায় বাইক সন্ত্রাস

চিঠি : কঠিন হয়ে পড়ছে ক্যাম্পাস সাংবাদিকতা

চিঠি : ডিসেম্বরের স্মৃতি

চিঠি : টেকসই ও সাশ্রয়ী ক্লিন এনার্জি

চিঠি : নকল গুড় জব্দ হোক

চিঠি : সড়কে বাড়ছে লেন ঝরছে প্রাণ

চিঠি : ঢাকাবাসীর কাছে মেট্রোরেল আশীর্বাদ

চিঠি : কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন জরুরি

চিঠি : পরিচ্ছন্ন ক্যাম্পাস চাই

চিঠি : তারুণ্যের শক্তি কাজে লাগান

চিঠি : এইডস থেকে বাঁচতে সচেতন হোন

চিঠি : অতিথি পাখি নিধন বন্ধ হোক

চিঠি : হাসুন, সুস্থ থাকুন

চিঠি : হাতি দিয়ে চাঁদাবাজি বন্ধ হোক

চিঠি : রাজনীতিতে তরুণ সমাজের অংশগ্রহণ

চিঠি : মাদককে ‘না’ বলুন

চিঠি : পুনরুন্নয়ন প্রকল্প : পাল্টে যাবে পুরান ঢাকা

চিঠি : শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ান

চিঠি : চন্দ্রগঞ্জে ফায়ার সার্ভিস স্টেশন চাই

চিঠি : বাড়ছে বাল্যবিয়ে

চিঠি : টিকটকের অপব্যবহার রোধ করতে হবে

চিঠি : আত্মবিশ্বাস ও আস্থা

চিঠি : শিক্ষকরা কি প্রকৃত মর্যাদা পাচ্ছে

চিঠি : শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সম্প্রীতি চাই

চিঠি : সকালে ও বিকেলে মেট্রোরেল চলুক

চিঠি : অতিথি পাখি নিধন বন্ধ করতে হবে

চিঠি : ঢাবি’র কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার আধুনিকায়ন করা হোক

চিঠি : নিত্যপণ্যের দাম

tab

চিঠিপত্র

চিঠি : বিলুপ্তপ্রায় কালোমুখ হনুমান

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

শুক্রবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২১

পৃথিবীর পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য, বন্যপ্রাণীকে সুরক্ষার মাধ্যমে বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব। কিন্তু কিছু অসৎ মানুষের স্বার্থান্বেষী মনোভাবের কারণে প্রতিনিয়ত পরিবেশ ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। ফলে বেশিরভাগ বন্যপ্রাণী হয়ে পড়ছে বিলুপ্ত। যশোরের কেশবপুরের ঐতিহ্যবাহী কালোমুখ হনুমানও এর ব্যতিক্রম নয়।

ব্রিটিশ শাসনামলে দক্ষিণ ভারতের কয়েকজন মারোয়ারি ব্যবসার উদ্দেশ্যে কেশবপুরে আসেন। তারাই কয়েকটি হনুমান সাথে করে নিয়ে আসেন। পরে এদের বংশবিস্তার ঘটে। স্বাধীনতার পূর্ববর্তী সময়ে কেশবপুরে দুই হাজারের মতো হনুমান ছিল। কিন্তু ধীরে ধীরে ফলের গাছ কমে যাওয়ায় খাদ্য সংকট দেখা দেয়। ফলে দলছুট হয়ে কেশবপুর ছেড়ে অন্যত্র চলে যাওয়া শুরু করে। অভয়ারণ্যের অভাবে মিলিত হতে না পেরে প্রজনন ক্ষমতা হ্রাসের কারণে এদের সংখ্যা প্রতিনিয়ত কমেই চলেছে। বর্তমানে কেশবপুর ও তার আশপাশে প্রায় পাঁচশত হনুমান বসবাস করছে।

প্রত্যেক মাসে সরকারিভাবে হনুমানের জন্য খাদ্য বরাদ্দ থাকলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় যৎসামান্য। তাই পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার্থে এবং বিরল প্রজাতির এই প্রাণীকে বাঁচিয়ে রাখতে সচেতন মহলকে এগিয়ে আসতে হবে। যেহেতু হনুমানের প্রধান খাদ্য ফলমূল, তাই তাদের বাসস্থানের আশপাশের বৃক্ষ নিধন রোধ করে পর্যাপ্ত ফলজ বৃক্ষের চারা রোপণ করতে হবে। এছাড়া খাদ্য বরাদ্দের পরিমাণ বৃদ্ধি করে সরকারিভাবেও খাদ্যের অপ্রতুলতা কমিয়ে আনা সম্ভব।

বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞদের মতে হনুমান প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বর্ধনকারী একটি প্রাণী। এরা বন বৃদ্ধিতে এবং পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার্থে সহায়তা করে থাকে। তাই এখনই আমাদের সবাইকে এ বিরল প্রজাতির প্রাণীকে সংরক্ষণে এগিয়ে আসতে হবে। অন্যথায় এ বিপন্ন প্রাণীটি আমাদের দেশ থেকে অচিরেই হারিয়ে যাবে।

শেখ শাহরিয়ার হোসেন

শিক্ষার্থী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

back to top