মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
পৃথিবীর পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য, বন্যপ্রাণীকে সুরক্ষার মাধ্যমে বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব। কিন্তু কিছু অসৎ মানুষের স্বার্থান্বেষী মনোভাবের কারণে প্রতিনিয়ত পরিবেশ ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। ফলে বেশিরভাগ বন্যপ্রাণী হয়ে পড়ছে বিলুপ্ত। যশোরের কেশবপুরের ঐতিহ্যবাহী কালোমুখ হনুমানও এর ব্যতিক্রম নয়।
ব্রিটিশ শাসনামলে দক্ষিণ ভারতের কয়েকজন মারোয়ারি ব্যবসার উদ্দেশ্যে কেশবপুরে আসেন। তারাই কয়েকটি হনুমান সাথে করে নিয়ে আসেন। পরে এদের বংশবিস্তার ঘটে। স্বাধীনতার পূর্ববর্তী সময়ে কেশবপুরে দুই হাজারের মতো হনুমান ছিল। কিন্তু ধীরে ধীরে ফলের গাছ কমে যাওয়ায় খাদ্য সংকট দেখা দেয়। ফলে দলছুট হয়ে কেশবপুর ছেড়ে অন্যত্র চলে যাওয়া শুরু করে। অভয়ারণ্যের অভাবে মিলিত হতে না পেরে প্রজনন ক্ষমতা হ্রাসের কারণে এদের সংখ্যা প্রতিনিয়ত কমেই চলেছে। বর্তমানে কেশবপুর ও তার আশপাশে প্রায় পাঁচশত হনুমান বসবাস করছে।
প্রত্যেক মাসে সরকারিভাবে হনুমানের জন্য খাদ্য বরাদ্দ থাকলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় যৎসামান্য। তাই পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার্থে এবং বিরল প্রজাতির এই প্রাণীকে বাঁচিয়ে রাখতে সচেতন মহলকে এগিয়ে আসতে হবে। যেহেতু হনুমানের প্রধান খাদ্য ফলমূল, তাই তাদের বাসস্থানের আশপাশের বৃক্ষ নিধন রোধ করে পর্যাপ্ত ফলজ বৃক্ষের চারা রোপণ করতে হবে। এছাড়া খাদ্য বরাদ্দের পরিমাণ বৃদ্ধি করে সরকারিভাবেও খাদ্যের অপ্রতুলতা কমিয়ে আনা সম্ভব।
বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞদের মতে হনুমান প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বর্ধনকারী একটি প্রাণী। এরা বন বৃদ্ধিতে এবং পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার্থে সহায়তা করে থাকে। তাই এখনই আমাদের সবাইকে এ বিরল প্রজাতির প্রাণীকে সংরক্ষণে এগিয়ে আসতে হবে। অন্যথায় এ বিপন্ন প্রাণীটি আমাদের দেশ থেকে অচিরেই হারিয়ে যাবে।
শেখ শাহরিয়ার হোসেন
শিক্ষার্থী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
শুক্রবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২১
পৃথিবীর পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য, বন্যপ্রাণীকে সুরক্ষার মাধ্যমে বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব। কিন্তু কিছু অসৎ মানুষের স্বার্থান্বেষী মনোভাবের কারণে প্রতিনিয়ত পরিবেশ ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। ফলে বেশিরভাগ বন্যপ্রাণী হয়ে পড়ছে বিলুপ্ত। যশোরের কেশবপুরের ঐতিহ্যবাহী কালোমুখ হনুমানও এর ব্যতিক্রম নয়।
ব্রিটিশ শাসনামলে দক্ষিণ ভারতের কয়েকজন মারোয়ারি ব্যবসার উদ্দেশ্যে কেশবপুরে আসেন। তারাই কয়েকটি হনুমান সাথে করে নিয়ে আসেন। পরে এদের বংশবিস্তার ঘটে। স্বাধীনতার পূর্ববর্তী সময়ে কেশবপুরে দুই হাজারের মতো হনুমান ছিল। কিন্তু ধীরে ধীরে ফলের গাছ কমে যাওয়ায় খাদ্য সংকট দেখা দেয়। ফলে দলছুট হয়ে কেশবপুর ছেড়ে অন্যত্র চলে যাওয়া শুরু করে। অভয়ারণ্যের অভাবে মিলিত হতে না পেরে প্রজনন ক্ষমতা হ্রাসের কারণে এদের সংখ্যা প্রতিনিয়ত কমেই চলেছে। বর্তমানে কেশবপুর ও তার আশপাশে প্রায় পাঁচশত হনুমান বসবাস করছে।
প্রত্যেক মাসে সরকারিভাবে হনুমানের জন্য খাদ্য বরাদ্দ থাকলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় যৎসামান্য। তাই পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার্থে এবং বিরল প্রজাতির এই প্রাণীকে বাঁচিয়ে রাখতে সচেতন মহলকে এগিয়ে আসতে হবে। যেহেতু হনুমানের প্রধান খাদ্য ফলমূল, তাই তাদের বাসস্থানের আশপাশের বৃক্ষ নিধন রোধ করে পর্যাপ্ত ফলজ বৃক্ষের চারা রোপণ করতে হবে। এছাড়া খাদ্য বরাদ্দের পরিমাণ বৃদ্ধি করে সরকারিভাবেও খাদ্যের অপ্রতুলতা কমিয়ে আনা সম্ভব।
বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞদের মতে হনুমান প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বর্ধনকারী একটি প্রাণী। এরা বন বৃদ্ধিতে এবং পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার্থে সহায়তা করে থাকে। তাই এখনই আমাদের সবাইকে এ বিরল প্রজাতির প্রাণীকে সংরক্ষণে এগিয়ে আসতে হবে। অন্যথায় এ বিপন্ন প্রাণীটি আমাদের দেশ থেকে অচিরেই হারিয়ে যাবে।
শেখ শাহরিয়ার হোসেন
শিক্ষার্থী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়