মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
মূলত সংস্কৃতি এবং জীবন একে অপরের পরিপূরক। বেঁচে থাকার জন্য মানুষের নৈমিত্তিক প্রচেষ্টাই সংস্কৃতি আর অপসংস্কৃতি হলো এর বিপরীত। অপসংস্কৃতি মানুষকে কলুষিত করে এবং জীবনের সৌন্দর্যের বিকাশকে স্তব্ধ করে দিয়ে শ্রীহীনতার দিকে ঠেলে দেয়। পশ্চিমা সংস্কৃতির অন্ধ অনুকরণ নেশার মতো। নেশা যেমন একটি ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ বা রাষ্ট্রকে ধ্বংসের দিকে ধাবিত করে, ঠিক তেমনি সাংস্কৃতিক আগ্রাসন ও একটি দেশকে তিলে তিলে নিঃশেষ করে দেয়। সিরিয়াল নাটকগুলো আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতি ও পরিবার প্রথাকে ভেঙে দিচ্ছে। আমাদের যুব সমাজে পশ্চিমা সংস্কৃতির ভোগবাদ, পোশাক-পরিচ্ছদ, অশ্লীলতা আর বেলেল্লাপনার মহোৎসব শুরু হয়েছে। যে কারণে বাড়ছে ধর্ষণ, নারী নির্যাতন, বিবাহ-বিচ্ছেদ, অনৈতিক জীবনযাপনের অন্ধকারময় বিকৃত অনাচার।
জাতীয় সংস্কৃতির এমন চরম পর্যায়ে যুবসমাজের সিংহভাগ এক অনিশ্চিত গন্তব্যহীন জীবনের পথ বেছে নিচ্ছে। এ বস্তাপচা সংস্কৃতির প্রধানতম শিকার হয়ে তারা নিশ্চিত ধ্বংসের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। যুবসমাজেরই উচিত বিচারবুদ্ধি দ্বারা শত বাধা মোকাবিলা করে সামাজিক দায়বদ্ধতার শিক্ষাকে নিজেদের মাঝে সুচারুরূপে বপন করা। এ বিষাক্ত অপসংস্কৃতি থেকে যুবকদের রক্ষার দায়িত্ব যুবকদেরই নিতে হবে। সমাজের স্তরে স্তরে যে অসততা ও অপসংস্কৃতি ছড়িয়ে পড়েছে তা রোধ করতে হবে তাদেরই। সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে শিক্ষিত সমাজকে সচেতন ও সোচ্চার হতে হবে। সমাজের সর্বস্তরের বাঙালির সার্বজনীন সংস্কৃতির চর্চা করতে হবে। সর্বোপরি তরুণ-তরুণীদের সচেতন করতে হবে।
আবির হাসান সুজন
শিক্ষার্থী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
সোমবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২১
মূলত সংস্কৃতি এবং জীবন একে অপরের পরিপূরক। বেঁচে থাকার জন্য মানুষের নৈমিত্তিক প্রচেষ্টাই সংস্কৃতি আর অপসংস্কৃতি হলো এর বিপরীত। অপসংস্কৃতি মানুষকে কলুষিত করে এবং জীবনের সৌন্দর্যের বিকাশকে স্তব্ধ করে দিয়ে শ্রীহীনতার দিকে ঠেলে দেয়। পশ্চিমা সংস্কৃতির অন্ধ অনুকরণ নেশার মতো। নেশা যেমন একটি ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ বা রাষ্ট্রকে ধ্বংসের দিকে ধাবিত করে, ঠিক তেমনি সাংস্কৃতিক আগ্রাসন ও একটি দেশকে তিলে তিলে নিঃশেষ করে দেয়। সিরিয়াল নাটকগুলো আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতি ও পরিবার প্রথাকে ভেঙে দিচ্ছে। আমাদের যুব সমাজে পশ্চিমা সংস্কৃতির ভোগবাদ, পোশাক-পরিচ্ছদ, অশ্লীলতা আর বেলেল্লাপনার মহোৎসব শুরু হয়েছে। যে কারণে বাড়ছে ধর্ষণ, নারী নির্যাতন, বিবাহ-বিচ্ছেদ, অনৈতিক জীবনযাপনের অন্ধকারময় বিকৃত অনাচার।
জাতীয় সংস্কৃতির এমন চরম পর্যায়ে যুবসমাজের সিংহভাগ এক অনিশ্চিত গন্তব্যহীন জীবনের পথ বেছে নিচ্ছে। এ বস্তাপচা সংস্কৃতির প্রধানতম শিকার হয়ে তারা নিশ্চিত ধ্বংসের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। যুবসমাজেরই উচিত বিচারবুদ্ধি দ্বারা শত বাধা মোকাবিলা করে সামাজিক দায়বদ্ধতার শিক্ষাকে নিজেদের মাঝে সুচারুরূপে বপন করা। এ বিষাক্ত অপসংস্কৃতি থেকে যুবকদের রক্ষার দায়িত্ব যুবকদেরই নিতে হবে। সমাজের স্তরে স্তরে যে অসততা ও অপসংস্কৃতি ছড়িয়ে পড়েছে তা রোধ করতে হবে তাদেরই। সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে শিক্ষিত সমাজকে সচেতন ও সোচ্চার হতে হবে। সমাজের সর্বস্তরের বাঙালির সার্বজনীন সংস্কৃতির চর্চা করতে হবে। সর্বোপরি তরুণ-তরুণীদের সচেতন করতে হবে।
আবির হাসান সুজন
শিক্ষার্থী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়