alt

চিঠিপত্র

চিঠিপত্র: অপসংস্কৃতির অন্ধ অনুকরণ নয়

: সোমবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২১

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

মূলত সংস্কৃতি এবং জীবন একে অপরের পরিপূরক। বেঁচে থাকার জন্য মানুষের নৈমিত্তিক প্রচেষ্টাই সংস্কৃতি আর অপসংস্কৃতি হলো এর বিপরীত। অপসংস্কৃতি মানুষকে কলুষিত করে এবং জীবনের সৌন্দর্যের বিকাশকে স্তব্ধ করে দিয়ে শ্রীহীনতার দিকে ঠেলে দেয়। পশ্চিমা সংস্কৃতির অন্ধ অনুকরণ নেশার মতো। নেশা যেমন একটি ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ বা রাষ্ট্রকে ধ্বংসের দিকে ধাবিত করে, ঠিক তেমনি সাংস্কৃতিক আগ্রাসন ও একটি দেশকে তিলে তিলে নিঃশেষ করে দেয়। সিরিয়াল নাটকগুলো আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতি ও পরিবার প্রথাকে ভেঙে দিচ্ছে। আমাদের যুব সমাজে পশ্চিমা সংস্কৃতির ভোগবাদ, পোশাক-পরিচ্ছদ, অশ্লীলতা আর বেলেল্লাপনার মহোৎসব শুরু হয়েছে। যে কারণে বাড়ছে ধর্ষণ, নারী নির্যাতন, বিবাহ-বিচ্ছেদ, অনৈতিক জীবনযাপনের অন্ধকারময় বিকৃত অনাচার।

জাতীয় সংস্কৃতির এমন চরম পর্যায়ে যুবসমাজের সিংহভাগ এক অনিশ্চিত গন্তব্যহীন জীবনের পথ বেছে নিচ্ছে। এ বস্তাপচা সংস্কৃতির প্রধানতম শিকার হয়ে তারা নিশ্চিত ধ্বংসের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। যুবসমাজেরই উচিত বিচারবুদ্ধি দ্বারা শত বাধা মোকাবিলা করে সামাজিক দায়বদ্ধতার শিক্ষাকে নিজেদের মাঝে সুচারুরূপে বপন করা। এ বিষাক্ত অপসংস্কৃতি থেকে যুবকদের রক্ষার দায়িত্ব যুবকদেরই নিতে হবে। সমাজের স্তরে স্তরে যে অসততা ও অপসংস্কৃতি ছড়িয়ে পড়েছে তা রোধ করতে হবে তাদেরই। সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে শিক্ষিত সমাজকে সচেতন ও সোচ্চার হতে হবে। সমাজের সর্বস্তরের বাঙালির সার্বজনীন সংস্কৃতির চর্চা করতে হবে। সর্বোপরি তরুণ-তরুণীদের সচেতন করতে হবে।

আবির হাসান সুজন

শিক্ষার্থী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

ছবি

বেকারত্ব নিরসনে কুটির শিল্পের ভূমিকা

দুর্যোগ পূর্ববর্তী প্রস্তুতি

ছবি

সোনালি পাটের প্রয়োজনীয়তা

কালীকচ্ছের ধর্মতীর্থ বধ্যভূমিতে স্মৃতিসৌধ নির্মাণের দাবি

চিঠি : হলে খাবারের মান উন্নত করুন

চিঠি : স্বাস্থ্য শিক্ষা বিষয়ে ডিপ্লোমাধারীদের বৈষম্য দূর করুন

চিঠি : শিক্ষার মান উন্নয়ন চাই

চিঠি : সড়ক আইন বাস্তবায়ন করুন

চিঠি : রাস্তায় বাইক সন্ত্রাস

চিঠি : কঠিন হয়ে পড়ছে ক্যাম্পাস সাংবাদিকতা

চিঠি : ডিসেম্বরের স্মৃতি

চিঠি : টেকসই ও সাশ্রয়ী ক্লিন এনার্জি

চিঠি : নকল গুড় জব্দ হোক

চিঠি : সড়কে বাড়ছে লেন ঝরছে প্রাণ

চিঠি : ঢাকাবাসীর কাছে মেট্রোরেল আশীর্বাদ

চিঠি : কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন জরুরি

চিঠি : পরিচ্ছন্ন ক্যাম্পাস চাই

চিঠি : তারুণ্যের শক্তি কাজে লাগান

চিঠি : এইডস থেকে বাঁচতে সচেতন হোন

চিঠি : অতিথি পাখি নিধন বন্ধ হোক

চিঠি : হাসুন, সুস্থ থাকুন

চিঠি : হাতি দিয়ে চাঁদাবাজি বন্ধ হোক

চিঠি : রাজনীতিতে তরুণ সমাজের অংশগ্রহণ

চিঠি : মাদককে ‘না’ বলুন

চিঠি : পুনরুন্নয়ন প্রকল্প : পাল্টে যাবে পুরান ঢাকা

চিঠি : শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ান

চিঠি : চন্দ্রগঞ্জে ফায়ার সার্ভিস স্টেশন চাই

চিঠি : বাড়ছে বাল্যবিয়ে

চিঠি : টিকটকের অপব্যবহার রোধ করতে হবে

চিঠি : আত্মবিশ্বাস ও আস্থা

চিঠি : শিক্ষকরা কি প্রকৃত মর্যাদা পাচ্ছে

চিঠি : শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সম্প্রীতি চাই

চিঠি : সকালে ও বিকেলে মেট্রোরেল চলুক

চিঠি : অতিথি পাখি নিধন বন্ধ করতে হবে

চিঠি : ঢাবি’র কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার আধুনিকায়ন করা হোক

চিঠি : নিত্যপণ্যের দাম

tab

চিঠিপত্র

চিঠিপত্র: অপসংস্কৃতির অন্ধ অনুকরণ নয়

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

সোমবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২১

মূলত সংস্কৃতি এবং জীবন একে অপরের পরিপূরক। বেঁচে থাকার জন্য মানুষের নৈমিত্তিক প্রচেষ্টাই সংস্কৃতি আর অপসংস্কৃতি হলো এর বিপরীত। অপসংস্কৃতি মানুষকে কলুষিত করে এবং জীবনের সৌন্দর্যের বিকাশকে স্তব্ধ করে দিয়ে শ্রীহীনতার দিকে ঠেলে দেয়। পশ্চিমা সংস্কৃতির অন্ধ অনুকরণ নেশার মতো। নেশা যেমন একটি ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ বা রাষ্ট্রকে ধ্বংসের দিকে ধাবিত করে, ঠিক তেমনি সাংস্কৃতিক আগ্রাসন ও একটি দেশকে তিলে তিলে নিঃশেষ করে দেয়। সিরিয়াল নাটকগুলো আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতি ও পরিবার প্রথাকে ভেঙে দিচ্ছে। আমাদের যুব সমাজে পশ্চিমা সংস্কৃতির ভোগবাদ, পোশাক-পরিচ্ছদ, অশ্লীলতা আর বেলেল্লাপনার মহোৎসব শুরু হয়েছে। যে কারণে বাড়ছে ধর্ষণ, নারী নির্যাতন, বিবাহ-বিচ্ছেদ, অনৈতিক জীবনযাপনের অন্ধকারময় বিকৃত অনাচার।

জাতীয় সংস্কৃতির এমন চরম পর্যায়ে যুবসমাজের সিংহভাগ এক অনিশ্চিত গন্তব্যহীন জীবনের পথ বেছে নিচ্ছে। এ বস্তাপচা সংস্কৃতির প্রধানতম শিকার হয়ে তারা নিশ্চিত ধ্বংসের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। যুবসমাজেরই উচিত বিচারবুদ্ধি দ্বারা শত বাধা মোকাবিলা করে সামাজিক দায়বদ্ধতার শিক্ষাকে নিজেদের মাঝে সুচারুরূপে বপন করা। এ বিষাক্ত অপসংস্কৃতি থেকে যুবকদের রক্ষার দায়িত্ব যুবকদেরই নিতে হবে। সমাজের স্তরে স্তরে যে অসততা ও অপসংস্কৃতি ছড়িয়ে পড়েছে তা রোধ করতে হবে তাদেরই। সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে শিক্ষিত সমাজকে সচেতন ও সোচ্চার হতে হবে। সমাজের সর্বস্তরের বাঙালির সার্বজনীন সংস্কৃতির চর্চা করতে হবে। সর্বোপরি তরুণ-তরুণীদের সচেতন করতে হবে।

আবির হাসান সুজন

শিক্ষার্থী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

back to top