alt

চিঠিপত্র

চিঠি : শিক্ষা হোক বৈষম্যহীন

: রোববার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২১

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

করোনা মহামারীতে সারা দেশের মানুষ বিপর্যস্ত। আমাদের দেশে সাড়ে চার কোটি শিক্ষার্থীদের জীবন হুমকির মুখে। করোনার শুরু থেকেই হাট-বাজার, অফিস-আদালত, পরিবহন ও কল-কারখানা সবকিছু খোলা ছিল। কিন্তু নজিরবিহীনভাবে পৃথিবীর মধ্যে দ্বিতীয় দীর্ঘতম সময় ধরে বন্ধ রেখে, গত ১২ সেপ্টেম্বর স্কুল ও কলেজ খুলে দেওয়া হয়েছে। এখনও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ক্লাসের দাবিতে আন্দোলন করছে। আজ থেকে ৫৯ বছর আগে তৎকালীন পাকিস্তানি সামরিক শাসক আইয়ুব খানের চাপিয়ে দেওয়া ‘শরীফ কমিশন’র শিক্ষানীতি প্রতিহত করতে গড়ে উঠেছিল ব্যাপক ছাত্র আন্দোলন। সর্বপ্রথম স্নাতক শ্রেণীর ছাত্ররা বিক্ষোভ শুরু করে এ কমিশনের বিরুদ্ধে। ১৯৬২ সালে পাকিস্তানি শাসন, শোষণ ও শিক্ষা সংকোচন নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়ে শহীদ হন ওয়াজিউল্লাহ, গোলাম মোস্তফা, বাবুলসহ নাম না জানা অনেকে। বাঙালি জাতির জন্য নতুন ইতিহাস সৃষ্টি হয় ১৭ সেপ্টেম্বর মহান শিক্ষা দিবস। তবে শিক্ষার সংকট নিরসনের এখনও আন্দোলন চলছে। শিক্ষা দিবস সম্পর্কে আমাদের শিক্ষার্থীরা কতজনই বা জানে। তৎকালীন পাকিস্তান সরকারের গণবিরোধী শিক্ষা সংকোচনমূলক নীতির প্রতিবাদে এবং একটি গণমুখী শিক্ষানীতি প্রবর্তনের দাবিতে ছাত্র-জনতার ব্যাপক আন্দোলনের রক্তাক্ত স্মৃতিবিজড়িত দিন এটি। স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছরে আমাদের দেশে যতগুলো সরকার ক্ষমতায় এসেছে তাদের ছাত্রসংগঠন শিক্ষা দিবস পালনে বাধা দিয়েছে। এমন কি রাষ্ট্রীয়ভাবে দিবসটি পালন করা হয় না। যে জাতির শিক্ষা, সংস্কৃতি, ইতিহাস, ঐতিহ্যে যত বেশি দুর্বল সেই জাতি শিক্ষায় তত বেশি অনুন্নত। তাই একটি জাতিকে ধ্বংস করতে চাইলে তার শিক্ষাব্যবস্থাকে দুর্বল করে দিলেই হয়। আমাদের জাতিকে সেই পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি না তো? এই ক্রান্তিলগ্নে দাঁড়িয়ে রাষ্ট্রকে শিশু শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়ার হাত থেকে রক্ষা করতে হবে। সরকারি উদ্যোগে প্রত্যেক শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে মাস্ক দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্লাসে প্রবেশ করে পাঠদানের ব্যবস্থা করতে হবে। সব শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মচারীদের টিকাদান নিশ্চিত করতে হবে। দুর্বল শিক্ষার্থীদের জন্য ইংরেজি, গণিত ও বিজ্ঞান বিষয়ে ছুটির দিনে অতিরিক্ত ক্লাসের ব্যবস্থা করা, বাল্যবিবাহ রোধে প্রশাসনের নজরদারি করা, গরিব পরিবারগুলোকে আর্থিক ও খাদ্য সহায়তা দিয়ে ড্রপআউট ও শিশু অপুষ্টি দূর করতে হবে। বেসরকারি কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের বেতন-ফি মওকুফ করতে হবে। আগামী দশকে বাংলাদেশকে বিশ্বমানে পৌঁছাতে হলে শিক্ষাকে মৌলিক অধিকার হিসাবে রাষ্ট্রকে বাস্তবায়ন করতে হবে।

রাশেদ ইসলাম

শিক্ষার্থী, জয়পুরহাট সরকারি কলেজ

ছবি

বেকারত্ব নিরসনে কুটির শিল্পের ভূমিকা

দুর্যোগ পূর্ববর্তী প্রস্তুতি

ছবি

সোনালি পাটের প্রয়োজনীয়তা

কালীকচ্ছের ধর্মতীর্থ বধ্যভূমিতে স্মৃতিসৌধ নির্মাণের দাবি

চিঠি : হলে খাবারের মান উন্নত করুন

চিঠি : স্বাস্থ্য শিক্ষা বিষয়ে ডিপ্লোমাধারীদের বৈষম্য দূর করুন

চিঠি : শিক্ষার মান উন্নয়ন চাই

চিঠি : সড়ক আইন বাস্তবায়ন করুন

চিঠি : রাস্তায় বাইক সন্ত্রাস

চিঠি : কঠিন হয়ে পড়ছে ক্যাম্পাস সাংবাদিকতা

চিঠি : ডিসেম্বরের স্মৃতি

চিঠি : টেকসই ও সাশ্রয়ী ক্লিন এনার্জি

চিঠি : নকল গুড় জব্দ হোক

চিঠি : সড়কে বাড়ছে লেন ঝরছে প্রাণ

চিঠি : ঢাকাবাসীর কাছে মেট্রোরেল আশীর্বাদ

চিঠি : কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন জরুরি

চিঠি : পরিচ্ছন্ন ক্যাম্পাস চাই

চিঠি : তারুণ্যের শক্তি কাজে লাগান

চিঠি : এইডস থেকে বাঁচতে সচেতন হোন

চিঠি : অতিথি পাখি নিধন বন্ধ হোক

চিঠি : হাসুন, সুস্থ থাকুন

চিঠি : হাতি দিয়ে চাঁদাবাজি বন্ধ হোক

চিঠি : রাজনীতিতে তরুণ সমাজের অংশগ্রহণ

চিঠি : মাদককে ‘না’ বলুন

চিঠি : পুনরুন্নয়ন প্রকল্প : পাল্টে যাবে পুরান ঢাকা

চিঠি : শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ান

চিঠি : চন্দ্রগঞ্জে ফায়ার সার্ভিস স্টেশন চাই

চিঠি : বাড়ছে বাল্যবিয়ে

চিঠি : টিকটকের অপব্যবহার রোধ করতে হবে

চিঠি : আত্মবিশ্বাস ও আস্থা

চিঠি : শিক্ষকরা কি প্রকৃত মর্যাদা পাচ্ছে

চিঠি : শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সম্প্রীতি চাই

চিঠি : সকালে ও বিকেলে মেট্রোরেল চলুক

চিঠি : অতিথি পাখি নিধন বন্ধ করতে হবে

চিঠি : ঢাবি’র কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার আধুনিকায়ন করা হোক

চিঠি : নিত্যপণ্যের দাম

tab

চিঠিপত্র

চিঠি : শিক্ষা হোক বৈষম্যহীন

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

রোববার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২১

করোনা মহামারীতে সারা দেশের মানুষ বিপর্যস্ত। আমাদের দেশে সাড়ে চার কোটি শিক্ষার্থীদের জীবন হুমকির মুখে। করোনার শুরু থেকেই হাট-বাজার, অফিস-আদালত, পরিবহন ও কল-কারখানা সবকিছু খোলা ছিল। কিন্তু নজিরবিহীনভাবে পৃথিবীর মধ্যে দ্বিতীয় দীর্ঘতম সময় ধরে বন্ধ রেখে, গত ১২ সেপ্টেম্বর স্কুল ও কলেজ খুলে দেওয়া হয়েছে। এখনও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ক্লাসের দাবিতে আন্দোলন করছে। আজ থেকে ৫৯ বছর আগে তৎকালীন পাকিস্তানি সামরিক শাসক আইয়ুব খানের চাপিয়ে দেওয়া ‘শরীফ কমিশন’র শিক্ষানীতি প্রতিহত করতে গড়ে উঠেছিল ব্যাপক ছাত্র আন্দোলন। সর্বপ্রথম স্নাতক শ্রেণীর ছাত্ররা বিক্ষোভ শুরু করে এ কমিশনের বিরুদ্ধে। ১৯৬২ সালে পাকিস্তানি শাসন, শোষণ ও শিক্ষা সংকোচন নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়ে শহীদ হন ওয়াজিউল্লাহ, গোলাম মোস্তফা, বাবুলসহ নাম না জানা অনেকে। বাঙালি জাতির জন্য নতুন ইতিহাস সৃষ্টি হয় ১৭ সেপ্টেম্বর মহান শিক্ষা দিবস। তবে শিক্ষার সংকট নিরসনের এখনও আন্দোলন চলছে। শিক্ষা দিবস সম্পর্কে আমাদের শিক্ষার্থীরা কতজনই বা জানে। তৎকালীন পাকিস্তান সরকারের গণবিরোধী শিক্ষা সংকোচনমূলক নীতির প্রতিবাদে এবং একটি গণমুখী শিক্ষানীতি প্রবর্তনের দাবিতে ছাত্র-জনতার ব্যাপক আন্দোলনের রক্তাক্ত স্মৃতিবিজড়িত দিন এটি। স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছরে আমাদের দেশে যতগুলো সরকার ক্ষমতায় এসেছে তাদের ছাত্রসংগঠন শিক্ষা দিবস পালনে বাধা দিয়েছে। এমন কি রাষ্ট্রীয়ভাবে দিবসটি পালন করা হয় না। যে জাতির শিক্ষা, সংস্কৃতি, ইতিহাস, ঐতিহ্যে যত বেশি দুর্বল সেই জাতি শিক্ষায় তত বেশি অনুন্নত। তাই একটি জাতিকে ধ্বংস করতে চাইলে তার শিক্ষাব্যবস্থাকে দুর্বল করে দিলেই হয়। আমাদের জাতিকে সেই পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি না তো? এই ক্রান্তিলগ্নে দাঁড়িয়ে রাষ্ট্রকে শিশু শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়ার হাত থেকে রক্ষা করতে হবে। সরকারি উদ্যোগে প্রত্যেক শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে মাস্ক দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্লাসে প্রবেশ করে পাঠদানের ব্যবস্থা করতে হবে। সব শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মচারীদের টিকাদান নিশ্চিত করতে হবে। দুর্বল শিক্ষার্থীদের জন্য ইংরেজি, গণিত ও বিজ্ঞান বিষয়ে ছুটির দিনে অতিরিক্ত ক্লাসের ব্যবস্থা করা, বাল্যবিবাহ রোধে প্রশাসনের নজরদারি করা, গরিব পরিবারগুলোকে আর্থিক ও খাদ্য সহায়তা দিয়ে ড্রপআউট ও শিশু অপুষ্টি দূর করতে হবে। বেসরকারি কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের বেতন-ফি মওকুফ করতে হবে। আগামী দশকে বাংলাদেশকে বিশ্বমানে পৌঁছাতে হলে শিক্ষাকে মৌলিক অধিকার হিসাবে রাষ্ট্রকে বাস্তবায়ন করতে হবে।

রাশেদ ইসলাম

শিক্ষার্থী, জয়পুরহাট সরকারি কলেজ

back to top