alt

চিঠিপত্র

চিঠি : বিক্ষিপ্ত মনোজগৎ

: শুক্রবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২১

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

দীর্ঘদিন স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের মনোজগতে এসেছে নানা পরিবর্তন। ছোটরা তো বটেই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝেও দেখা দিয়েছে নানা বিরূপ প্রতিক্রিয়া। দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এখনও খুলে দেয়া হয়নি। কিন্তু খুলে দেয়ার সম্ভাব্য নির্দেশনা শুনেই ভয়ে মুষড়ে পড়েছেন অনেকেই। দীর্ঘদিন যাবত পরিবারের সঙ্গে অবস্থান করায় দূরত্ব বেড়ে যাওয়া সম্পর্কগুলোর মাঝে তৈরি হয়েছে নিবিড় এক মায়ার বাঁধন। সেই বাঁধন ছিঁড়ে চলে যাবার কথা মাথায় এলেই মানসিকভাবে ভেঙে পড়ছেন শিক্ষার্থীরা।

পড়ালেখার সুবাধে যারা রাজধানীসহ বিভিন্ন এলাকার বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যয়ন করেন তাদের মধ্যেই এই সমস্যাটা বেশি দেখা দিয়েছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে পরীক্ষা ভীতি। বিশ্ববিদ্যালয় খুললেই ঠমকে থাকা পরীক্ষাগুলো দ্রুত সম্পন্ন করবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। পরীক্ষার সঙ্গে টানা দেড় বছর ধরে সংস্পর্শহীনভাবে কাটানোর ফলে পরীক্ষার কথা শুনলেই অজানা এক ভীতির প্রাচীরে আবদ্ধ হয়ে যাচ্ছে শিক্ষার্থীরা।

বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেয়ার সম্ভাব্য নির্দেশনা দেয়ায় আবাসিক হলবিহীন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা পড়েছেন বিপাকে। করোনায় মেসের সিট ছেড়ে ঢাকার বাইরে চলে যাওয়া শিক্ষার্থীদের মাঝে বিরাজ করছে অনিশ্চিত আশঙ্কা। পছন্দমতো মেসে সিট খোঁজার হিড়িক পড়ে গেছে ইতোমধ্যেই। তাছাড়া মায়ের হাতের সুস্বাদু খাবার থেকে বঞ্চিত হওয়ার কথা ভেবেও আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন অনেকেই। মেসের খালা/বুয়ার হাতের স্বাদগন্ধহীন অরুচিকর খাবার গলধকরণের ভয়েও অনেকে ফিরতে চায় না। দেড় বছরের স্বাচ্ছন্দ্যময় জীবন ছেড়ে পুনরায় কর্মচঞ্চল সেই প্রতিযোগিতামূলক জীবনে নিজেকে মানিয়ে নিতে শিক্ষার্থীদের কিছুটা বেগ পেতে হবে।

পুছাইনু মারমা

শিক্ষার্থী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

ছবি

বেকারত্ব নিরসনে কুটির শিল্পের ভূমিকা

দুর্যোগ পূর্ববর্তী প্রস্তুতি

ছবি

সোনালি পাটের প্রয়োজনীয়তা

কালীকচ্ছের ধর্মতীর্থ বধ্যভূমিতে স্মৃতিসৌধ নির্মাণের দাবি

চিঠি : হলে খাবারের মান উন্নত করুন

চিঠি : স্বাস্থ্য শিক্ষা বিষয়ে ডিপ্লোমাধারীদের বৈষম্য দূর করুন

চিঠি : শিক্ষার মান উন্নয়ন চাই

চিঠি : সড়ক আইন বাস্তবায়ন করুন

চিঠি : রাস্তায় বাইক সন্ত্রাস

চিঠি : কঠিন হয়ে পড়ছে ক্যাম্পাস সাংবাদিকতা

চিঠি : ডিসেম্বরের স্মৃতি

চিঠি : টেকসই ও সাশ্রয়ী ক্লিন এনার্জি

চিঠি : নকল গুড় জব্দ হোক

চিঠি : সড়কে বাড়ছে লেন ঝরছে প্রাণ

চিঠি : ঢাকাবাসীর কাছে মেট্রোরেল আশীর্বাদ

চিঠি : কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন জরুরি

চিঠি : পরিচ্ছন্ন ক্যাম্পাস চাই

চিঠি : তারুণ্যের শক্তি কাজে লাগান

চিঠি : এইডস থেকে বাঁচতে সচেতন হোন

চিঠি : অতিথি পাখি নিধন বন্ধ হোক

চিঠি : হাসুন, সুস্থ থাকুন

চিঠি : হাতি দিয়ে চাঁদাবাজি বন্ধ হোক

চিঠি : রাজনীতিতে তরুণ সমাজের অংশগ্রহণ

চিঠি : মাদককে ‘না’ বলুন

চিঠি : পুনরুন্নয়ন প্রকল্প : পাল্টে যাবে পুরান ঢাকা

চিঠি : শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ান

চিঠি : চন্দ্রগঞ্জে ফায়ার সার্ভিস স্টেশন চাই

চিঠি : বাড়ছে বাল্যবিয়ে

চিঠি : টিকটকের অপব্যবহার রোধ করতে হবে

চিঠি : আত্মবিশ্বাস ও আস্থা

চিঠি : শিক্ষকরা কি প্রকৃত মর্যাদা পাচ্ছে

চিঠি : শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সম্প্রীতি চাই

চিঠি : সকালে ও বিকেলে মেট্রোরেল চলুক

চিঠি : অতিথি পাখি নিধন বন্ধ করতে হবে

চিঠি : ঢাবি’র কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার আধুনিকায়ন করা হোক

চিঠি : নিত্যপণ্যের দাম

tab

চিঠিপত্র

চিঠি : বিক্ষিপ্ত মনোজগৎ

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

শুক্রবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২১

দীর্ঘদিন স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের মনোজগতে এসেছে নানা পরিবর্তন। ছোটরা তো বটেই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝেও দেখা দিয়েছে নানা বিরূপ প্রতিক্রিয়া। দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এখনও খুলে দেয়া হয়নি। কিন্তু খুলে দেয়ার সম্ভাব্য নির্দেশনা শুনেই ভয়ে মুষড়ে পড়েছেন অনেকেই। দীর্ঘদিন যাবত পরিবারের সঙ্গে অবস্থান করায় দূরত্ব বেড়ে যাওয়া সম্পর্কগুলোর মাঝে তৈরি হয়েছে নিবিড় এক মায়ার বাঁধন। সেই বাঁধন ছিঁড়ে চলে যাবার কথা মাথায় এলেই মানসিকভাবে ভেঙে পড়ছেন শিক্ষার্থীরা।

পড়ালেখার সুবাধে যারা রাজধানীসহ বিভিন্ন এলাকার বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যয়ন করেন তাদের মধ্যেই এই সমস্যাটা বেশি দেখা দিয়েছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে পরীক্ষা ভীতি। বিশ্ববিদ্যালয় খুললেই ঠমকে থাকা পরীক্ষাগুলো দ্রুত সম্পন্ন করবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। পরীক্ষার সঙ্গে টানা দেড় বছর ধরে সংস্পর্শহীনভাবে কাটানোর ফলে পরীক্ষার কথা শুনলেই অজানা এক ভীতির প্রাচীরে আবদ্ধ হয়ে যাচ্ছে শিক্ষার্থীরা।

বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেয়ার সম্ভাব্য নির্দেশনা দেয়ায় আবাসিক হলবিহীন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা পড়েছেন বিপাকে। করোনায় মেসের সিট ছেড়ে ঢাকার বাইরে চলে যাওয়া শিক্ষার্থীদের মাঝে বিরাজ করছে অনিশ্চিত আশঙ্কা। পছন্দমতো মেসে সিট খোঁজার হিড়িক পড়ে গেছে ইতোমধ্যেই। তাছাড়া মায়ের হাতের সুস্বাদু খাবার থেকে বঞ্চিত হওয়ার কথা ভেবেও আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন অনেকেই। মেসের খালা/বুয়ার হাতের স্বাদগন্ধহীন অরুচিকর খাবার গলধকরণের ভয়েও অনেকে ফিরতে চায় না। দেড় বছরের স্বাচ্ছন্দ্যময় জীবন ছেড়ে পুনরায় কর্মচঞ্চল সেই প্রতিযোগিতামূলক জীবনে নিজেকে মানিয়ে নিতে শিক্ষার্থীদের কিছুটা বেগ পেতে হবে।

পুছাইনু মারমা

শিক্ষার্থী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

back to top