মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
সাহিত্য ছড়িয়ে আছে যুগ যুগ ধরে মানুষের হৃদয়ের শিরা-উপশিরাতে। নিজ সংস্কৃতিকেন্দ্রিক দেশীয় সাহিত্যের পাশাপাশি মানুষের মন চলে যায় সুদূরের বিদেশী সাহিত্যের দিকেও। বিদ্যালয়ের পাঠাগার থেকে দেশের জাতীয় পাঠাগারে থরে থরে সাজানো লাখ লাখ সাহিত্যের বই। ওপার বাংলা থেকে এপার বাংলায় এক অদৃশ্য সেতু এই বাংলা সাহিত্য। প্রাচীনকাল থেকেই বাংলায় সাহিত্যচর্চার অনুকূল পরিবেশে সৃষ্টি হয়েছে। ইংরেজি সাহিত্যের মতোই বাংলা সাহিত্য পেরিয়েছে কতো যুগ! বিবর্তনের মধ্য দিয়ে স্থান করে নিয়েছে আধুনিক বাংলা সাহিত্য হিসেবে।
তবে এই আধুনিকতা শব্দটিই বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে সকল সৃজনশীলতার বিপরীতে। সাহিত্যচর্চার পরিবেশ হয়ে উঠেছে অসুস্থ ও খাপছাড়া। বইয়ের সংগ্রহ তালিকা গিয়ে ঠেকেছে বিজ্ঞানের সব যোগাযোগ যন্ত্রে। হারিয়ে যাচ্ছে ইতিহাসে উজ্জ্বল প্রকাশনাগুলো, কমে আসছে বইয়ের দোকানের সংখ্যা এবং মিলিয়ে যাচ্ছে নতুন বইয়ের গন্ধ। তালাবন্ধ হচ্ছে এলাকাভিত্তিক কতো সাহিত্যক্লাব ও পাঠাগার। দুঃখজনকভাবে বই উপহার দেয়াকে লোকে করেছে তাচ্ছিল্যের বিষয়।
হাজারো গুণীজন তাদের চিহ্ন রেখে গেছেন এই বাংলা সাহিত্যে। অল্পসংখ্যক নাম ছাড়া আমরা আজ ভুলতে বসেছি তাদের অবদান। নতুন প্রজন্ম থেকে আগামী প্রজন্ম অনেকেই হয়তো স্মরণ করবে না তাদেরও। ঝাপসা হয়ে আসছে বাংলা সাহিত্যের নক্ষত্ররাজি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে আজও রবীন্দ্রজয়ন্তী পালিত হলেও তাদের সাহিত্যের পাতাগুলো আজ পোকাকাটা ও জরাগ্রস্থ। ই-বুকে পড়তে গিয়ে বাড়ে ক্লান্তি বিরক্তি। চিরদিনের সাহিত্যিকেরা হারিয়ে গেলে নতুন প্রজন্ম থেকে হয়তো উঠে আসবে না আর কোনো বাংলা সাহিত্যিক!
জগৎ বিখ্যাত সমৃদ্ধ এই সাহিত্য হারিয়ে যাবে অচিরেই। নতুন প্রজন্মে চিহ্ন থাকবে না বাংলার ঐতিহ্যে, মুছে যাবে সংস্কৃতির রং। তাই গড়ে উঠুক আবার সেই পরিবেশ নতুন উদ্যোগে, সাহিত্যচর্চা হয়ে উঠুক নিত্যদিনের অভ্যাস। লেখালেখিকে কেন্দ্র করে জন্ম নেক নতুন পত্রিকা ও প্রকাশনা। অভ্যাস গড়ে উঠুক বই পড়ার, বই কেনার, বই উপহার দেয়ার। বাংলা সাহিত্য পুনরুজ্জিবীত হোক নতুন প্রজন্মের হাত ধরে।
লুৎফুন্নাহার লাইমা
মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
শনিবার, ০২ অক্টোবর ২০২১
সাহিত্য ছড়িয়ে আছে যুগ যুগ ধরে মানুষের হৃদয়ের শিরা-উপশিরাতে। নিজ সংস্কৃতিকেন্দ্রিক দেশীয় সাহিত্যের পাশাপাশি মানুষের মন চলে যায় সুদূরের বিদেশী সাহিত্যের দিকেও। বিদ্যালয়ের পাঠাগার থেকে দেশের জাতীয় পাঠাগারে থরে থরে সাজানো লাখ লাখ সাহিত্যের বই। ওপার বাংলা থেকে এপার বাংলায় এক অদৃশ্য সেতু এই বাংলা সাহিত্য। প্রাচীনকাল থেকেই বাংলায় সাহিত্যচর্চার অনুকূল পরিবেশে সৃষ্টি হয়েছে। ইংরেজি সাহিত্যের মতোই বাংলা সাহিত্য পেরিয়েছে কতো যুগ! বিবর্তনের মধ্য দিয়ে স্থান করে নিয়েছে আধুনিক বাংলা সাহিত্য হিসেবে।
তবে এই আধুনিকতা শব্দটিই বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে সকল সৃজনশীলতার বিপরীতে। সাহিত্যচর্চার পরিবেশ হয়ে উঠেছে অসুস্থ ও খাপছাড়া। বইয়ের সংগ্রহ তালিকা গিয়ে ঠেকেছে বিজ্ঞানের সব যোগাযোগ যন্ত্রে। হারিয়ে যাচ্ছে ইতিহাসে উজ্জ্বল প্রকাশনাগুলো, কমে আসছে বইয়ের দোকানের সংখ্যা এবং মিলিয়ে যাচ্ছে নতুন বইয়ের গন্ধ। তালাবন্ধ হচ্ছে এলাকাভিত্তিক কতো সাহিত্যক্লাব ও পাঠাগার। দুঃখজনকভাবে বই উপহার দেয়াকে লোকে করেছে তাচ্ছিল্যের বিষয়।
হাজারো গুণীজন তাদের চিহ্ন রেখে গেছেন এই বাংলা সাহিত্যে। অল্পসংখ্যক নাম ছাড়া আমরা আজ ভুলতে বসেছি তাদের অবদান। নতুন প্রজন্ম থেকে আগামী প্রজন্ম অনেকেই হয়তো স্মরণ করবে না তাদেরও। ঝাপসা হয়ে আসছে বাংলা সাহিত্যের নক্ষত্ররাজি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে আজও রবীন্দ্রজয়ন্তী পালিত হলেও তাদের সাহিত্যের পাতাগুলো আজ পোকাকাটা ও জরাগ্রস্থ। ই-বুকে পড়তে গিয়ে বাড়ে ক্লান্তি বিরক্তি। চিরদিনের সাহিত্যিকেরা হারিয়ে গেলে নতুন প্রজন্ম থেকে হয়তো উঠে আসবে না আর কোনো বাংলা সাহিত্যিক!
জগৎ বিখ্যাত সমৃদ্ধ এই সাহিত্য হারিয়ে যাবে অচিরেই। নতুন প্রজন্মে চিহ্ন থাকবে না বাংলার ঐতিহ্যে, মুছে যাবে সংস্কৃতির রং। তাই গড়ে উঠুক আবার সেই পরিবেশ নতুন উদ্যোগে, সাহিত্যচর্চা হয়ে উঠুক নিত্যদিনের অভ্যাস। লেখালেখিকে কেন্দ্র করে জন্ম নেক নতুন পত্রিকা ও প্রকাশনা। অভ্যাস গড়ে উঠুক বই পড়ার, বই কেনার, বই উপহার দেয়ার। বাংলা সাহিত্য পুনরুজ্জিবীত হোক নতুন প্রজন্মের হাত ধরে।
লুৎফুন্নাহার লাইমা