alt

চিঠিপত্র

চিঠি : অপার সম্ভাবনার ব্লু-ইকোনমি

: শনিবার, ০৯ অক্টোবর ২০২১

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

ব্লু-ইকোনমি বা সুনীল অর্থনীতি হলো সমুদ্রনির্ভর অর্থনীতি। সাগরের বিশাল জলরাশি এবং সমুদ্র তলদেশে সম্পদ ব্যবহার করে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্ভব।

সমুদ্রকে বলা হয় সম্পদের ভান্ডার। তেল, গ্যাস, শৈবাল, ইউরেনিয়াম, জিরকন, শামুক, ৪৭৫ প্রজাতির মাছসহ রয়েছে অফুরন্ত খনিজ সম্পদ। সমদ্রের এসব সম্পদকে আহরণ করে রপ্তানির মাধ্যমে আয় করা সম্ভব মিলিয়ন মিলিয়ন বৈদেশিক মুদ্রা। বাংলাদেশের জন্য ব্লু-ইকোনমি হতে পারে অপার সম্ভাবনাময় খাত।

গভীর সমুদ্র পর্যন্ত গিয়ে মাছ আহরণ করতে পারলে বাংলাদেশের মৎস্য রপ্তানিতে সৃষ্টি হবে নতুন মাইল ফলক। বঙ্গোপসাগরকে বলা হয় সম্পদের ভান্ডার। তেল, গ্যাসসহ নানা মূল্যবান পদার্থের খোঁজ মিলেছে বঙ্গোপসাগরে। গ্যাস ও অন্যান্য খনিজ সম্পদের অনুসন্ধান চালিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। সিমেন্ট শিল্পের অন্যতম কাঁচামালে ক্লে’র সন্ধান মিলেছে বঙ্গোপসাগরে, এই সকল কাঁচামাল উত্তোলন করতে পারলে সিমেন্ট শিল্প রপ্তানিতে বাংলাদেশ হবে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি দেশের মধ্যে একটি। বঙ্গোপসাগরে তীরবর্তী অঞ্চল থেকে প্রচুর পরিমাণে লবণ উৎপাদন করা সম্ভব। বাংলাদেশের সমুদ্রসীমায় এতসব সম্পদ থাকা সত্ত্বেও এ সম্পদের যথাযথ ব্যবহার হচ্ছে না নানা সীমাবদ্ধতার কারণে।

তবে আশার কথা হলো, বাংলাদেশ সরকার ব্লু-ইকোনমিকে গুরুত্ব দিয়ে ইতোমধ্যে বেশকিছু পদক্ষেপ নিয়েছেন। এর মধ্যে সমুদ্র গবেষণা, খনিজ সম্পদ অনুসন্ধান, সঠিক পরিসংখ্যান বিনিয়োগের পরিবেশ, মেগাপকল্প, নৌ ও বন্দর ব্যবহার সুবিধা ইত্যাদি অন্যতম। যথাযথ উদ্যোগ নিয়ে বিনিয়োগের পরিবেশ সৃষ্টি করতে পারলে ব্লু-ইকোনমি হতে পারে বাংলাদেশর অর্থনীতির একটি উল্লেখযোগ্য খাত। সুনীল অর্থনীতির হাত ধরে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে আসবে আরো একটি অর্থনৈতিক বিপ্লব। আশা করি সরকার এদিকে বিশেষ দৃষ্টি দেবেন।

কাজী মোহাম্মদ হাসান

শিক্ষার্থী, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়

ছবি

বেকারত্ব নিরসনে কুটির শিল্পের ভূমিকা

দুর্যোগ পূর্ববর্তী প্রস্তুতি

ছবি

সোনালি পাটের প্রয়োজনীয়তা

কালীকচ্ছের ধর্মতীর্থ বধ্যভূমিতে স্মৃতিসৌধ নির্মাণের দাবি

চিঠি : হলে খাবারের মান উন্নত করুন

চিঠি : স্বাস্থ্য শিক্ষা বিষয়ে ডিপ্লোমাধারীদের বৈষম্য দূর করুন

চিঠি : শিক্ষার মান উন্নয়ন চাই

চিঠি : সড়ক আইন বাস্তবায়ন করুন

চিঠি : রাস্তায় বাইক সন্ত্রাস

চিঠি : কঠিন হয়ে পড়ছে ক্যাম্পাস সাংবাদিকতা

চিঠি : ডিসেম্বরের স্মৃতি

চিঠি : টেকসই ও সাশ্রয়ী ক্লিন এনার্জি

চিঠি : নকল গুড় জব্দ হোক

চিঠি : সড়কে বাড়ছে লেন ঝরছে প্রাণ

চিঠি : ঢাকাবাসীর কাছে মেট্রোরেল আশীর্বাদ

চিঠি : কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন জরুরি

চিঠি : পরিচ্ছন্ন ক্যাম্পাস চাই

চিঠি : তারুণ্যের শক্তি কাজে লাগান

চিঠি : এইডস থেকে বাঁচতে সচেতন হোন

চিঠি : অতিথি পাখি নিধন বন্ধ হোক

চিঠি : হাসুন, সুস্থ থাকুন

চিঠি : হাতি দিয়ে চাঁদাবাজি বন্ধ হোক

চিঠি : রাজনীতিতে তরুণ সমাজের অংশগ্রহণ

চিঠি : মাদককে ‘না’ বলুন

চিঠি : পুনরুন্নয়ন প্রকল্প : পাল্টে যাবে পুরান ঢাকা

চিঠি : শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ান

চিঠি : চন্দ্রগঞ্জে ফায়ার সার্ভিস স্টেশন চাই

চিঠি : বাড়ছে বাল্যবিয়ে

চিঠি : টিকটকের অপব্যবহার রোধ করতে হবে

চিঠি : আত্মবিশ্বাস ও আস্থা

চিঠি : শিক্ষকরা কি প্রকৃত মর্যাদা পাচ্ছে

চিঠি : শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সম্প্রীতি চাই

চিঠি : সকালে ও বিকেলে মেট্রোরেল চলুক

চিঠি : অতিথি পাখি নিধন বন্ধ করতে হবে

চিঠি : ঢাবি’র কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার আধুনিকায়ন করা হোক

চিঠি : নিত্যপণ্যের দাম

tab

চিঠিপত্র

চিঠি : অপার সম্ভাবনার ব্লু-ইকোনমি

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

শনিবার, ০৯ অক্টোবর ২০২১

ব্লু-ইকোনমি বা সুনীল অর্থনীতি হলো সমুদ্রনির্ভর অর্থনীতি। সাগরের বিশাল জলরাশি এবং সমুদ্র তলদেশে সম্পদ ব্যবহার করে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্ভব।

সমুদ্রকে বলা হয় সম্পদের ভান্ডার। তেল, গ্যাস, শৈবাল, ইউরেনিয়াম, জিরকন, শামুক, ৪৭৫ প্রজাতির মাছসহ রয়েছে অফুরন্ত খনিজ সম্পদ। সমদ্রের এসব সম্পদকে আহরণ করে রপ্তানির মাধ্যমে আয় করা সম্ভব মিলিয়ন মিলিয়ন বৈদেশিক মুদ্রা। বাংলাদেশের জন্য ব্লু-ইকোনমি হতে পারে অপার সম্ভাবনাময় খাত।

গভীর সমুদ্র পর্যন্ত গিয়ে মাছ আহরণ করতে পারলে বাংলাদেশের মৎস্য রপ্তানিতে সৃষ্টি হবে নতুন মাইল ফলক। বঙ্গোপসাগরকে বলা হয় সম্পদের ভান্ডার। তেল, গ্যাসসহ নানা মূল্যবান পদার্থের খোঁজ মিলেছে বঙ্গোপসাগরে। গ্যাস ও অন্যান্য খনিজ সম্পদের অনুসন্ধান চালিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। সিমেন্ট শিল্পের অন্যতম কাঁচামালে ক্লে’র সন্ধান মিলেছে বঙ্গোপসাগরে, এই সকল কাঁচামাল উত্তোলন করতে পারলে সিমেন্ট শিল্প রপ্তানিতে বাংলাদেশ হবে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি দেশের মধ্যে একটি। বঙ্গোপসাগরে তীরবর্তী অঞ্চল থেকে প্রচুর পরিমাণে লবণ উৎপাদন করা সম্ভব। বাংলাদেশের সমুদ্রসীমায় এতসব সম্পদ থাকা সত্ত্বেও এ সম্পদের যথাযথ ব্যবহার হচ্ছে না নানা সীমাবদ্ধতার কারণে।

তবে আশার কথা হলো, বাংলাদেশ সরকার ব্লু-ইকোনমিকে গুরুত্ব দিয়ে ইতোমধ্যে বেশকিছু পদক্ষেপ নিয়েছেন। এর মধ্যে সমুদ্র গবেষণা, খনিজ সম্পদ অনুসন্ধান, সঠিক পরিসংখ্যান বিনিয়োগের পরিবেশ, মেগাপকল্প, নৌ ও বন্দর ব্যবহার সুবিধা ইত্যাদি অন্যতম। যথাযথ উদ্যোগ নিয়ে বিনিয়োগের পরিবেশ সৃষ্টি করতে পারলে ব্লু-ইকোনমি হতে পারে বাংলাদেশর অর্থনীতির একটি উল্লেখযোগ্য খাত। সুনীল অর্থনীতির হাত ধরে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে আসবে আরো একটি অর্থনৈতিক বিপ্লব। আশা করি সরকার এদিকে বিশেষ দৃষ্টি দেবেন।

কাজী মোহাম্মদ হাসান

শিক্ষার্থী, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়

back to top