alt

চিঠিপত্র

চিঠি : আদালতের কর্মচারীদের অবৈধ অর্থ আদায় প্রসঙ্গে

: শনিবার, ২৭ নভেম্বর ২০২১

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

দেওয়ানী আদালতের কর্মকর্তা-কর্মচারীদে মধ্যে পেশকার, সেরেস্তাদার, প্রসেস সার্ভেয়ার (জারিকারক) রয়েছে। তারা সেবাগ্রহিতাদের কাছ থেকে অবৈধভাবে অর্থ আদায় করেই চলছে। সেরেস্তাদার অফিসে মামলা দায়েরের জন্য এক হাজার টাকা থেকে শুরু করে দুই তিন হাজার টাকা পর্যন্ত দাবি করে বসে। এছাড়া অফিসের প্রতিটি কর্মচারীকে দিতে হয় সর্বনিম্ন এক শত টাকা। নথি দেখতে লাগে পঞ্চাশ টাকা থেকে শুরু করে যত আদায় করা যায়।

মামলা দায়েরের পরে আসে সমন জারীর কাজ। এ দায়িত্ব পালন করে নেজারত অফিস। এ অফিসে দায়িত্বরত আছেন প্রসেস সার্ভেয়ার (জারিকারক)। জারীকারক প্রতিটি সমনের জন্য মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করে। আমার বাবার করা একটা মামলায় একই উপজেলার মধ্যে সমন জারি করতে নিয়েছে এক হাজার টাকা। তাও অনেক অনুনয়-বিনয়ের পর। একই মামলার একটি সমন জারি করতে কুষ্টিয়া জেলা জজ আদালতের জারিকারক আড়াইহাজার টাকা নিয়েছে। টাকা পেলে মূল সমন ফেরত আসে খুব দ্রুত। জারিকৃত ডাক সমনের দেখা মেলা ভার। কারণ একটাই পোস্ট অফিসের কর্মকর্তাদের সঙ্গে তো আর মামলাকারী দেখা হচ্ছে না।

সমন ইস্যু পরবর্তী কার্যক্রমের জন্য মামলার নথি জমা পড়ে সংশ্লিষ্ট আদালতে তথা পেশকারের হাতে। পেশকার টাকা না পেলে মামলার ধাপ পরিবর্তন না করে মামলার নথিপত্র ফেলে রাখে। তাছাড়া মামলার এক তারিখ থেকে অন্য তারিখের মধ্যে বিশাল ব্যবধান করে রাখে। এক্ষেত্রে শর্ট ডেট দেওয়ার নামে পাঁচ শত টাকা থেকে শুরু করে দুই হাজার টাকা পর্যন্ত নিয়ে থাকে।

সেরেস্তাদারের অফিস থেকে পেশকারের টেবিল পর্যন্ত অবৈধ অর্থ লেনদেনের আখড়া হয়ে দাড়িয়েছে। এসব দুর্নীতিবাজরা দাবীকৃত অর্থ ঠিকমত না পেলে তাদের যাচ্ছেতাই আচরণের শিকার হতে হয় বিচারপ্রার্থীদের। এতে সবচেয়ে ভুক্তভোগী নারী ও সিনিয়র সিটিজেনরা। এভাবে চলতে থাকলে মানুষ আইন-আদালতের প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলবে। অর্থাভাবে মামলা করতে চাইবে না। এ ব্যাপারে বাংলাদেশের আদালতসমূহের অভিভাবক সুপ্রীম কোর্ট তথা প্রধান বিচারপতি ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়সহ দুর্নীতি দমন কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

রায়হান মিসওয়ার

সাতকানিয়া, চট্টগ্রাম

ছবি

বেকারত্ব নিরসনে কুটির শিল্পের ভূমিকা

দুর্যোগ পূর্ববর্তী প্রস্তুতি

ছবি

সোনালি পাটের প্রয়োজনীয়তা

কালীকচ্ছের ধর্মতীর্থ বধ্যভূমিতে স্মৃতিসৌধ নির্মাণের দাবি

চিঠি : হলে খাবারের মান উন্নত করুন

চিঠি : স্বাস্থ্য শিক্ষা বিষয়ে ডিপ্লোমাধারীদের বৈষম্য দূর করুন

চিঠি : শিক্ষার মান উন্নয়ন চাই

চিঠি : সড়ক আইন বাস্তবায়ন করুন

চিঠি : রাস্তায় বাইক সন্ত্রাস

চিঠি : কঠিন হয়ে পড়ছে ক্যাম্পাস সাংবাদিকতা

চিঠি : ডিসেম্বরের স্মৃতি

চিঠি : টেকসই ও সাশ্রয়ী ক্লিন এনার্জি

চিঠি : নকল গুড় জব্দ হোক

চিঠি : সড়কে বাড়ছে লেন ঝরছে প্রাণ

চিঠি : ঢাকাবাসীর কাছে মেট্রোরেল আশীর্বাদ

চিঠি : কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন জরুরি

চিঠি : পরিচ্ছন্ন ক্যাম্পাস চাই

চিঠি : তারুণ্যের শক্তি কাজে লাগান

চিঠি : এইডস থেকে বাঁচতে সচেতন হোন

চিঠি : অতিথি পাখি নিধন বন্ধ হোক

চিঠি : হাসুন, সুস্থ থাকুন

চিঠি : হাতি দিয়ে চাঁদাবাজি বন্ধ হোক

চিঠি : রাজনীতিতে তরুণ সমাজের অংশগ্রহণ

চিঠি : মাদককে ‘না’ বলুন

চিঠি : পুনরুন্নয়ন প্রকল্প : পাল্টে যাবে পুরান ঢাকা

চিঠি : শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ান

চিঠি : চন্দ্রগঞ্জে ফায়ার সার্ভিস স্টেশন চাই

চিঠি : বাড়ছে বাল্যবিয়ে

চিঠি : টিকটকের অপব্যবহার রোধ করতে হবে

চিঠি : আত্মবিশ্বাস ও আস্থা

চিঠি : শিক্ষকরা কি প্রকৃত মর্যাদা পাচ্ছে

চিঠি : শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সম্প্রীতি চাই

চিঠি : সকালে ও বিকেলে মেট্রোরেল চলুক

চিঠি : অতিথি পাখি নিধন বন্ধ করতে হবে

চিঠি : ঢাবি’র কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার আধুনিকায়ন করা হোক

চিঠি : নিত্যপণ্যের দাম

tab

চিঠিপত্র

চিঠি : আদালতের কর্মচারীদের অবৈধ অর্থ আদায় প্রসঙ্গে

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

শনিবার, ২৭ নভেম্বর ২০২১

দেওয়ানী আদালতের কর্মকর্তা-কর্মচারীদে মধ্যে পেশকার, সেরেস্তাদার, প্রসেস সার্ভেয়ার (জারিকারক) রয়েছে। তারা সেবাগ্রহিতাদের কাছ থেকে অবৈধভাবে অর্থ আদায় করেই চলছে। সেরেস্তাদার অফিসে মামলা দায়েরের জন্য এক হাজার টাকা থেকে শুরু করে দুই তিন হাজার টাকা পর্যন্ত দাবি করে বসে। এছাড়া অফিসের প্রতিটি কর্মচারীকে দিতে হয় সর্বনিম্ন এক শত টাকা। নথি দেখতে লাগে পঞ্চাশ টাকা থেকে শুরু করে যত আদায় করা যায়।

মামলা দায়েরের পরে আসে সমন জারীর কাজ। এ দায়িত্ব পালন করে নেজারত অফিস। এ অফিসে দায়িত্বরত আছেন প্রসেস সার্ভেয়ার (জারিকারক)। জারীকারক প্রতিটি সমনের জন্য মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করে। আমার বাবার করা একটা মামলায় একই উপজেলার মধ্যে সমন জারি করতে নিয়েছে এক হাজার টাকা। তাও অনেক অনুনয়-বিনয়ের পর। একই মামলার একটি সমন জারি করতে কুষ্টিয়া জেলা জজ আদালতের জারিকারক আড়াইহাজার টাকা নিয়েছে। টাকা পেলে মূল সমন ফেরত আসে খুব দ্রুত। জারিকৃত ডাক সমনের দেখা মেলা ভার। কারণ একটাই পোস্ট অফিসের কর্মকর্তাদের সঙ্গে তো আর মামলাকারী দেখা হচ্ছে না।

সমন ইস্যু পরবর্তী কার্যক্রমের জন্য মামলার নথি জমা পড়ে সংশ্লিষ্ট আদালতে তথা পেশকারের হাতে। পেশকার টাকা না পেলে মামলার ধাপ পরিবর্তন না করে মামলার নথিপত্র ফেলে রাখে। তাছাড়া মামলার এক তারিখ থেকে অন্য তারিখের মধ্যে বিশাল ব্যবধান করে রাখে। এক্ষেত্রে শর্ট ডেট দেওয়ার নামে পাঁচ শত টাকা থেকে শুরু করে দুই হাজার টাকা পর্যন্ত নিয়ে থাকে।

সেরেস্তাদারের অফিস থেকে পেশকারের টেবিল পর্যন্ত অবৈধ অর্থ লেনদেনের আখড়া হয়ে দাড়িয়েছে। এসব দুর্নীতিবাজরা দাবীকৃত অর্থ ঠিকমত না পেলে তাদের যাচ্ছেতাই আচরণের শিকার হতে হয় বিচারপ্রার্থীদের। এতে সবচেয়ে ভুক্তভোগী নারী ও সিনিয়র সিটিজেনরা। এভাবে চলতে থাকলে মানুষ আইন-আদালতের প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলবে। অর্থাভাবে মামলা করতে চাইবে না। এ ব্যাপারে বাংলাদেশের আদালতসমূহের অভিভাবক সুপ্রীম কোর্ট তথা প্রধান বিচারপতি ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়সহ দুর্নীতি দমন কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

রায়হান মিসওয়ার

সাতকানিয়া, চট্টগ্রাম

back to top