মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
দেওয়ানী আদালতের কর্মকর্তা-কর্মচারীদে মধ্যে পেশকার, সেরেস্তাদার, প্রসেস সার্ভেয়ার (জারিকারক) রয়েছে। তারা সেবাগ্রহিতাদের কাছ থেকে অবৈধভাবে অর্থ আদায় করেই চলছে। সেরেস্তাদার অফিসে মামলা দায়েরের জন্য এক হাজার টাকা থেকে শুরু করে দুই তিন হাজার টাকা পর্যন্ত দাবি করে বসে। এছাড়া অফিসের প্রতিটি কর্মচারীকে দিতে হয় সর্বনিম্ন এক শত টাকা। নথি দেখতে লাগে পঞ্চাশ টাকা থেকে শুরু করে যত আদায় করা যায়।
মামলা দায়েরের পরে আসে সমন জারীর কাজ। এ দায়িত্ব পালন করে নেজারত অফিস। এ অফিসে দায়িত্বরত আছেন প্রসেস সার্ভেয়ার (জারিকারক)। জারীকারক প্রতিটি সমনের জন্য মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করে। আমার বাবার করা একটা মামলায় একই উপজেলার মধ্যে সমন জারি করতে নিয়েছে এক হাজার টাকা। তাও অনেক অনুনয়-বিনয়ের পর। একই মামলার একটি সমন জারি করতে কুষ্টিয়া জেলা জজ আদালতের জারিকারক আড়াইহাজার টাকা নিয়েছে। টাকা পেলে মূল সমন ফেরত আসে খুব দ্রুত। জারিকৃত ডাক সমনের দেখা মেলা ভার। কারণ একটাই পোস্ট অফিসের কর্মকর্তাদের সঙ্গে তো আর মামলাকারী দেখা হচ্ছে না।
সমন ইস্যু পরবর্তী কার্যক্রমের জন্য মামলার নথি জমা পড়ে সংশ্লিষ্ট আদালতে তথা পেশকারের হাতে। পেশকার টাকা না পেলে মামলার ধাপ পরিবর্তন না করে মামলার নথিপত্র ফেলে রাখে। তাছাড়া মামলার এক তারিখ থেকে অন্য তারিখের মধ্যে বিশাল ব্যবধান করে রাখে। এক্ষেত্রে শর্ট ডেট দেওয়ার নামে পাঁচ শত টাকা থেকে শুরু করে দুই হাজার টাকা পর্যন্ত নিয়ে থাকে।
সেরেস্তাদারের অফিস থেকে পেশকারের টেবিল পর্যন্ত অবৈধ অর্থ লেনদেনের আখড়া হয়ে দাড়িয়েছে। এসব দুর্নীতিবাজরা দাবীকৃত অর্থ ঠিকমত না পেলে তাদের যাচ্ছেতাই আচরণের শিকার হতে হয় বিচারপ্রার্থীদের। এতে সবচেয়ে ভুক্তভোগী নারী ও সিনিয়র সিটিজেনরা। এভাবে চলতে থাকলে মানুষ আইন-আদালতের প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলবে। অর্থাভাবে মামলা করতে চাইবে না। এ ব্যাপারে বাংলাদেশের আদালতসমূহের অভিভাবক সুপ্রীম কোর্ট তথা প্রধান বিচারপতি ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়সহ দুর্নীতি দমন কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
রায়হান মিসওয়ার
সাতকানিয়া, চট্টগ্রাম
মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
শনিবার, ২৭ নভেম্বর ২০২১
দেওয়ানী আদালতের কর্মকর্তা-কর্মচারীদে মধ্যে পেশকার, সেরেস্তাদার, প্রসেস সার্ভেয়ার (জারিকারক) রয়েছে। তারা সেবাগ্রহিতাদের কাছ থেকে অবৈধভাবে অর্থ আদায় করেই চলছে। সেরেস্তাদার অফিসে মামলা দায়েরের জন্য এক হাজার টাকা থেকে শুরু করে দুই তিন হাজার টাকা পর্যন্ত দাবি করে বসে। এছাড়া অফিসের প্রতিটি কর্মচারীকে দিতে হয় সর্বনিম্ন এক শত টাকা। নথি দেখতে লাগে পঞ্চাশ টাকা থেকে শুরু করে যত আদায় করা যায়।
মামলা দায়েরের পরে আসে সমন জারীর কাজ। এ দায়িত্ব পালন করে নেজারত অফিস। এ অফিসে দায়িত্বরত আছেন প্রসেস সার্ভেয়ার (জারিকারক)। জারীকারক প্রতিটি সমনের জন্য মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করে। আমার বাবার করা একটা মামলায় একই উপজেলার মধ্যে সমন জারি করতে নিয়েছে এক হাজার টাকা। তাও অনেক অনুনয়-বিনয়ের পর। একই মামলার একটি সমন জারি করতে কুষ্টিয়া জেলা জজ আদালতের জারিকারক আড়াইহাজার টাকা নিয়েছে। টাকা পেলে মূল সমন ফেরত আসে খুব দ্রুত। জারিকৃত ডাক সমনের দেখা মেলা ভার। কারণ একটাই পোস্ট অফিসের কর্মকর্তাদের সঙ্গে তো আর মামলাকারী দেখা হচ্ছে না।
সমন ইস্যু পরবর্তী কার্যক্রমের জন্য মামলার নথি জমা পড়ে সংশ্লিষ্ট আদালতে তথা পেশকারের হাতে। পেশকার টাকা না পেলে মামলার ধাপ পরিবর্তন না করে মামলার নথিপত্র ফেলে রাখে। তাছাড়া মামলার এক তারিখ থেকে অন্য তারিখের মধ্যে বিশাল ব্যবধান করে রাখে। এক্ষেত্রে শর্ট ডেট দেওয়ার নামে পাঁচ শত টাকা থেকে শুরু করে দুই হাজার টাকা পর্যন্ত নিয়ে থাকে।
সেরেস্তাদারের অফিস থেকে পেশকারের টেবিল পর্যন্ত অবৈধ অর্থ লেনদেনের আখড়া হয়ে দাড়িয়েছে। এসব দুর্নীতিবাজরা দাবীকৃত অর্থ ঠিকমত না পেলে তাদের যাচ্ছেতাই আচরণের শিকার হতে হয় বিচারপ্রার্থীদের। এতে সবচেয়ে ভুক্তভোগী নারী ও সিনিয়র সিটিজেনরা। এভাবে চলতে থাকলে মানুষ আইন-আদালতের প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলবে। অর্থাভাবে মামলা করতে চাইবে না। এ ব্যাপারে বাংলাদেশের আদালতসমূহের অভিভাবক সুপ্রীম কোর্ট তথা প্রধান বিচারপতি ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়সহ দুর্নীতি দমন কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
রায়হান মিসওয়ার
সাতকানিয়া, চট্টগ্রাম