alt

মুক্ত আলোচনা

ব্যালকনি বাগান : প্রসঙ্গ প্রকৃতি ও পরিবেশ

মোহাম্মদ ইসতাক হোসেন

: রোববার, ৩০ মে ২০২১

আজকাল ছাদবাগান বা ছাদকৃষি অনেক জনপ্রিয় একটি বিষয়। এরইমধ্যে ব্যালকনি বাগান বা ব্যালকনিকৃষি ক্রমাগত বেশ প্রসার লাভ করছে। করোনাকালে ছাদ বা ব্যালকনি বাগানের প্রয়োজনীয়তা কিংবা বাপ্তিও লক্ষ্য করা যাচ্ছে। শহর-নগরে উঁচু দালান-বাড়ির আধিক্য বাগান করার মাটি বা জমির স্বল্পতার পরিপ্রেক্ষিতেই ছাদবাগান বা ব্যালকনি বাগানের প্রচলন দিন দিন বেড়ে চলেছে। এখন শহরের অনেক ফ্ল্যাট বাড়ির ব্যালকনি বা ছাদে তৈরি করা বাগান চোখ জুড়িয়ে দেয়। এতে নগরের বাড়ির সৌন্দর্য যেমন বাড়ছে, তেমনি প্রকৃতি ও প্রতিবেশ তার প্রাণ কিছুটা হলেও ফিরে পাচ্ছে।

আমাদের নগরের এক ছোট পরিবারের গৃহিনী আফরোজা গড়ে তুলেছেন তার ব্যালকনি বাগান। তিনি তার পরিবার নিয়ে একটি ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকেন। তিনি বাড়ির ছাদ স্বাচ্ছন্দ্যে ব্যবহার করার সুযোগ পান না। এজন্য তিনি তার দুটি ছোট ব্যালকনি বাগান তৈরির কাজে বেছে নিয়েছেন। এ বাগানে ফুল, ফল ও সবজি ফলিয়েছেন তার মনের মতো করে। নয়নতারা, সন্ধ্যামালতী, বাগানবিলাস, কাঠ গোলাপ যখন ফুটে, তখন বাড়ির সবার মন প্রফুল্ল হয়ে ওঠে। তার বাগানের পুঁই, ডাটা শাক টবে এত ভালো হয়ে বেড়ে উঠতে পারে, না দেখলে বুঝাই যাবে না। তাছাড়া টব ভর্তি পুদিনা ব্যালকনির পরিবেশকে বিমোহিত করে তোলে। আফরোজার ব্যালকনি বাগানে সকাল-বিকাল পরিবারের সদস্যদের সময় কাটানোর একটা ভালো জায়গা। ছুটির দিন তার স্বামী ও দুই ছেলেমেয়ে নিয়ে গৃহকত্রী বাগানের ফুল-ফল দেখে অনেকটা সময় কাটান।

ফ্ল্যাট বাড়িতে এরকম ব্যালকনি বাগান পরিচর্যায় পরিবারের মায়েদের তাদের শিশুদের নিয়োজিত করা খুবই প্রয়োজন। এতে করে শিশুরা যেমন গাছের ফুল-ফলের সঙ্গে পরিচিত হয়ে উঠতে পারে তেমনি হালকা পরিচর্যার কাজের সঙ্গে যুক্ত হয়ে হালকা কায়িক শ্রমে অভ্যস্ত হতে পারে। এতে মন ও শরীর দুটোই ভালো থাকে।

বাগানে হরেক রকম গাছের মধ্যে ফুল গাছের সঙ্গে শিশুদের পরিচয় করিয়ে দেয়া খুব জরুরি। অনেক বয়স্ক মানুষকে জিজ্ঞেস করে সাধারণ ফুল-ফল গাছের নাম জানতে পারা যায় না। এ অজ্ঞতা পীড়াদায়ক। এ অজ্ঞতা থেকে দূরে রাখতে আমাদের শিশুদের ফুল-ফল গাছের সঙ্গে পরিচয় ঘটানো জরুরি। ফুল-ফলের নাম জানানোর সঙ্গে সঙ্গে এর বৈজ্ঞানিক নাম এবং এর উৎপত্তি অঞ্চল সম্পর্কে শিশুদের জ্ঞান দেয়া প্রয়োজন। এছাড়া, কোন ফল ও সবজি কখন জন্মায়, খেলে কি উপকার হয়- এসব বিষয়ে শিশুদের জানানো প্রয়োজন। এর ফলে বড় হয়ে শিশুরা সঠিক ও প্রয়োজনীয় খাদ্য নির্বাচনে মনোযোগী হতে পারবে, এমন আশা করা যায়। অন্তত এতে করে সঠিক ও সুষম খাদ্যসহ খাদ্যের গুণগত মান সম্পর্কে শিশুরা সচেতন হতে পারবে।

করোনাকালে বাড়ির ছোট-বড় সবার মন-মানসিকতার পরিবর্তন ঘটছে। বিশ্বব্যাপী এ জটিল সমস্যা নিরসনে শুধু উপদেশ বাণী সবাইকে আশ্বস্ত করতে পারে না। মন ভালো রাখার নির্দিষ্ট কোন দিকনির্দেশনা দেয়া যায় না। নিজের চার পাশের পরিবেশ-প্রতিবেশ উপযোগী কাজে নিজেকে নিয়োজিত করে মন-মানসিকতার ভারসাম্য কিছুটা হলেও বজায় রাখা যায়। গ্রামে যেমন অবারিত প্রান্তর, সেখানে শিশুদের খেলাধুলা ও ঘুরে বেড়ানোর জন্য ভাবতে হয় না। শহর-নগরে পরিবেশ-প্রতিবেশ অনুযায়ী ভাবতে হয়। নগরে ব্যালকনি বাগান পরিচর্যায় মনোনিবেশ করে মা ও শিশুর মনকে প্রফুল্ল রাখা যেতে পারে।

করোনাকালে শিশুদের ঘরে লেখাপড়ার পাশাপাশি সকাল-বিকাল ফুল ও ফল গাছে পরিমিত পানি দেয়া, আগাছা পরিষ্কার করা, মাটি নিড়ানো, শাক-সবজি তোলা, গাছে প্রয়োজনীয় সার দেয়ার সঙ্গে তাদের সম্পৃক্ত করা দরকার। এতে করে শিশুদের সঙ্গে বড়দেরও কায়িক শ্রম হয় এবং সবার মন প্রফুল্ল থাকে। তাছাড়া ভালো কাজে সময় কাটানোর এটা একটা ভালো সুযোগ।

ছাদ কৃষি যেমন বড় পরিসরে প্রকৃতি ও পরিবেশ অনুকূল রাখতে বেশ অনেকটাই অবদান রাখে, তেমনি ব্যালকনি বাগানও কিন্তু পরিবেশ-প্রতিবেশ ভালো রাখতে ছোট পরিসরে ভূমিকা রাখে। ব্যালকনি বাগানের সবুজ গাছ চারপাশের কার্বনডাই অকক্সাইড শোষণ করে। সবুজ গাছ-লতা-পাতা অক্সিজেন উৎপন্ন করে। এতে ঘরের ভেতর ও বাইরের চারপাশের বাতাসের মান ভালো থাকে। গাছ-পালা সূর্যের তাপ শোষণ করে বাতাস সহনীয় পর্যায়ে রাখতে সহায়তা করে। এর ফলে বাগানের চারপাশের বাতাসের তাপমাত্রা তুলনামূলকভাবে কম থাকে। ব্যালকনি বাগান ছোট হলেও এর গাছের পাতায় ও ডালে ছোট ছোট পাখি এসে বসে, ছোট পোকা-মাকড় খায়। এ বাগানে দিনের কোন এক সময় ছোট পাখিদের বিচরণক্ষেত্র হয়ে উঠতে পারে। এছাড়া, প্রজাপতি, মৌমাছিরও আনাগোনা হয় এখানে। ব্যালকনি বাগান চারপাশের পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখতে অবশ্যই ভূমিকা রাখে। পাশাপাশি শিশুরাও প্রকৃতি এবং সবুজকে ভালোভাবে শেখে।

আমাদের শিশুরা ব্যালকনি বাগান পরিচর্যার মতো ছোট কাজে সম্পৃক্ত হয়ে, বিশেষ করে করোনাকালে তাদের কিছুটা সময় আনন্দে কাটাক, পরিবেশ সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করুক, একটু দূর থেকে ছোট ছোট পাখির বিচরণ প্রত্যক্ষ করে মন ভালো রাখতে সচেষ্ট থাকুক, সুন্দর পরিবেশে মা-বাবার সান্নিধ্যে বাগানের সৌরভ উপভোগ করুক, সুন্দর থাকুক আমাদের প্রকৃতি ও প্রতিবেশ- এটিই হোক ব্যালকনি বাগান তৈরির সার্থকতা। আফরোজার মতো অন্য পরিবারের গৃহিনী ও মায়েরা সবাই ব্যালকনি বাগান তৈরি করে নাগরিক পরিবেশে শিশুদের নিয়ে কিছুটা আনন্দময় সান্নিধ্যের চেষ্টায় ব্যাপৃত থাকতে এগিয়ে আসুক- সংশ্লিষ্টদের সহায়তা এক্ষেত্রে অবারিত হোক।

(শিশু ও নারী উন্নয়নে সচেতনতামূলক যোগাযোগ কার্যক্রম ফিচার)

মুজিবনগরে স্বাধীনতার সূর্যোদয়

বঙ্গাব্দ প্রচলনের ইতিকথা

পহেলা বৈশাখ বাঙালির প্রাণের উৎসব

কেউতো অপেক্ষায় নেই

ফরগেট মি নট

ছবি

বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ সমার্থক

স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বীমা শিল্পের গুরুত্ব

একুশে ফেব্রুয়ারি আত্মপরিচয়ের দিন

দিদি, আপা, “বু” খালা

হিজল-করচ-আড়াংবন

ছবি

শেখ হাসিনা, এক উৎসারিত আলোকধারা

মনমাঝি

সেই ইটনা

ছবি

আংকর ওয়াট : উন্নত সভ্যতার স্মৃতিচিহ্ন যেখানে

নিয়ত ও নিয়তি

হারিয়ে যাওয়া ট্রেন

টম সয়ার না রবিনহুড

ছবি

‘ঝড়-বৃষ্টি আঁধার রাতে, আমরা আছি তোমার সাথে’

বাংলাদেশ-জাপান সহযোগিতা স্মারক: স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে অনন্য মাইলফলক

রাষ্ট্রের কূটনৈতিক মিশনের পরিবর্তন আশু প্রয়োজন

কুয়েতের জীবনযাত্রার সাতকাহন: পর্ব-১-বিয়ে

বিবেকের লড়াই

ছবি

ছবি যেন শুধু ছবি নয়

বাত ব্যথার কারণ ও আধুনিক চিকিৎসা

ছবি

স্বাধীন স্বদেশে মুক্ত বঙ্গবন্ধু

ছবি

মহান নেতার স্বভূমিতে ফিরে আসা

ছবি

মেট্রোরেল : প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী চিন্তার ফসল

ছবি

আমার মা

ডিজিটাল বাংলাদেশ: প্রগতিশীল প্রযুক্তি, অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নতি

ছবি

৩ নভেম্বর: ১৫ আগস্টের হত্যাকান্ডের ধারাবাহিকতা

দেশের ইতিহাসে কলঙ্কজনক দ্বিতীয় অধ্যায়

এইচ এস সি ও সমমান পরীক্ষার্থীদের অনুশীলন

ছবি

ত্রিশ বছর পূর্তিতে বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়

শিল্প কারখানার পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনায় এনভায়রনমেন্টাল ইন্জিনিয়ারিং

অসুর: এক পরাজিত বিপ্লবী

অসুর জাতির ইতিহাস

tab

মুক্ত আলোচনা

ব্যালকনি বাগান : প্রসঙ্গ প্রকৃতি ও পরিবেশ

মোহাম্মদ ইসতাক হোসেন

রোববার, ৩০ মে ২০২১

আজকাল ছাদবাগান বা ছাদকৃষি অনেক জনপ্রিয় একটি বিষয়। এরইমধ্যে ব্যালকনি বাগান বা ব্যালকনিকৃষি ক্রমাগত বেশ প্রসার লাভ করছে। করোনাকালে ছাদ বা ব্যালকনি বাগানের প্রয়োজনীয়তা কিংবা বাপ্তিও লক্ষ্য করা যাচ্ছে। শহর-নগরে উঁচু দালান-বাড়ির আধিক্য বাগান করার মাটি বা জমির স্বল্পতার পরিপ্রেক্ষিতেই ছাদবাগান বা ব্যালকনি বাগানের প্রচলন দিন দিন বেড়ে চলেছে। এখন শহরের অনেক ফ্ল্যাট বাড়ির ব্যালকনি বা ছাদে তৈরি করা বাগান চোখ জুড়িয়ে দেয়। এতে নগরের বাড়ির সৌন্দর্য যেমন বাড়ছে, তেমনি প্রকৃতি ও প্রতিবেশ তার প্রাণ কিছুটা হলেও ফিরে পাচ্ছে।

আমাদের নগরের এক ছোট পরিবারের গৃহিনী আফরোজা গড়ে তুলেছেন তার ব্যালকনি বাগান। তিনি তার পরিবার নিয়ে একটি ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকেন। তিনি বাড়ির ছাদ স্বাচ্ছন্দ্যে ব্যবহার করার সুযোগ পান না। এজন্য তিনি তার দুটি ছোট ব্যালকনি বাগান তৈরির কাজে বেছে নিয়েছেন। এ বাগানে ফুল, ফল ও সবজি ফলিয়েছেন তার মনের মতো করে। নয়নতারা, সন্ধ্যামালতী, বাগানবিলাস, কাঠ গোলাপ যখন ফুটে, তখন বাড়ির সবার মন প্রফুল্ল হয়ে ওঠে। তার বাগানের পুঁই, ডাটা শাক টবে এত ভালো হয়ে বেড়ে উঠতে পারে, না দেখলে বুঝাই যাবে না। তাছাড়া টব ভর্তি পুদিনা ব্যালকনির পরিবেশকে বিমোহিত করে তোলে। আফরোজার ব্যালকনি বাগানে সকাল-বিকাল পরিবারের সদস্যদের সময় কাটানোর একটা ভালো জায়গা। ছুটির দিন তার স্বামী ও দুই ছেলেমেয়ে নিয়ে গৃহকত্রী বাগানের ফুল-ফল দেখে অনেকটা সময় কাটান।

ফ্ল্যাট বাড়িতে এরকম ব্যালকনি বাগান পরিচর্যায় পরিবারের মায়েদের তাদের শিশুদের নিয়োজিত করা খুবই প্রয়োজন। এতে করে শিশুরা যেমন গাছের ফুল-ফলের সঙ্গে পরিচিত হয়ে উঠতে পারে তেমনি হালকা পরিচর্যার কাজের সঙ্গে যুক্ত হয়ে হালকা কায়িক শ্রমে অভ্যস্ত হতে পারে। এতে মন ও শরীর দুটোই ভালো থাকে।

বাগানে হরেক রকম গাছের মধ্যে ফুল গাছের সঙ্গে শিশুদের পরিচয় করিয়ে দেয়া খুব জরুরি। অনেক বয়স্ক মানুষকে জিজ্ঞেস করে সাধারণ ফুল-ফল গাছের নাম জানতে পারা যায় না। এ অজ্ঞতা পীড়াদায়ক। এ অজ্ঞতা থেকে দূরে রাখতে আমাদের শিশুদের ফুল-ফল গাছের সঙ্গে পরিচয় ঘটানো জরুরি। ফুল-ফলের নাম জানানোর সঙ্গে সঙ্গে এর বৈজ্ঞানিক নাম এবং এর উৎপত্তি অঞ্চল সম্পর্কে শিশুদের জ্ঞান দেয়া প্রয়োজন। এছাড়া, কোন ফল ও সবজি কখন জন্মায়, খেলে কি উপকার হয়- এসব বিষয়ে শিশুদের জানানো প্রয়োজন। এর ফলে বড় হয়ে শিশুরা সঠিক ও প্রয়োজনীয় খাদ্য নির্বাচনে মনোযোগী হতে পারবে, এমন আশা করা যায়। অন্তত এতে করে সঠিক ও সুষম খাদ্যসহ খাদ্যের গুণগত মান সম্পর্কে শিশুরা সচেতন হতে পারবে।

করোনাকালে বাড়ির ছোট-বড় সবার মন-মানসিকতার পরিবর্তন ঘটছে। বিশ্বব্যাপী এ জটিল সমস্যা নিরসনে শুধু উপদেশ বাণী সবাইকে আশ্বস্ত করতে পারে না। মন ভালো রাখার নির্দিষ্ট কোন দিকনির্দেশনা দেয়া যায় না। নিজের চার পাশের পরিবেশ-প্রতিবেশ উপযোগী কাজে নিজেকে নিয়োজিত করে মন-মানসিকতার ভারসাম্য কিছুটা হলেও বজায় রাখা যায়। গ্রামে যেমন অবারিত প্রান্তর, সেখানে শিশুদের খেলাধুলা ও ঘুরে বেড়ানোর জন্য ভাবতে হয় না। শহর-নগরে পরিবেশ-প্রতিবেশ অনুযায়ী ভাবতে হয়। নগরে ব্যালকনি বাগান পরিচর্যায় মনোনিবেশ করে মা ও শিশুর মনকে প্রফুল্ল রাখা যেতে পারে।

করোনাকালে শিশুদের ঘরে লেখাপড়ার পাশাপাশি সকাল-বিকাল ফুল ও ফল গাছে পরিমিত পানি দেয়া, আগাছা পরিষ্কার করা, মাটি নিড়ানো, শাক-সবজি তোলা, গাছে প্রয়োজনীয় সার দেয়ার সঙ্গে তাদের সম্পৃক্ত করা দরকার। এতে করে শিশুদের সঙ্গে বড়দেরও কায়িক শ্রম হয় এবং সবার মন প্রফুল্ল থাকে। তাছাড়া ভালো কাজে সময় কাটানোর এটা একটা ভালো সুযোগ।

ছাদ কৃষি যেমন বড় পরিসরে প্রকৃতি ও পরিবেশ অনুকূল রাখতে বেশ অনেকটাই অবদান রাখে, তেমনি ব্যালকনি বাগানও কিন্তু পরিবেশ-প্রতিবেশ ভালো রাখতে ছোট পরিসরে ভূমিকা রাখে। ব্যালকনি বাগানের সবুজ গাছ চারপাশের কার্বনডাই অকক্সাইড শোষণ করে। সবুজ গাছ-লতা-পাতা অক্সিজেন উৎপন্ন করে। এতে ঘরের ভেতর ও বাইরের চারপাশের বাতাসের মান ভালো থাকে। গাছ-পালা সূর্যের তাপ শোষণ করে বাতাস সহনীয় পর্যায়ে রাখতে সহায়তা করে। এর ফলে বাগানের চারপাশের বাতাসের তাপমাত্রা তুলনামূলকভাবে কম থাকে। ব্যালকনি বাগান ছোট হলেও এর গাছের পাতায় ও ডালে ছোট ছোট পাখি এসে বসে, ছোট পোকা-মাকড় খায়। এ বাগানে দিনের কোন এক সময় ছোট পাখিদের বিচরণক্ষেত্র হয়ে উঠতে পারে। এছাড়া, প্রজাপতি, মৌমাছিরও আনাগোনা হয় এখানে। ব্যালকনি বাগান চারপাশের পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখতে অবশ্যই ভূমিকা রাখে। পাশাপাশি শিশুরাও প্রকৃতি এবং সবুজকে ভালোভাবে শেখে।

আমাদের শিশুরা ব্যালকনি বাগান পরিচর্যার মতো ছোট কাজে সম্পৃক্ত হয়ে, বিশেষ করে করোনাকালে তাদের কিছুটা সময় আনন্দে কাটাক, পরিবেশ সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করুক, একটু দূর থেকে ছোট ছোট পাখির বিচরণ প্রত্যক্ষ করে মন ভালো রাখতে সচেষ্ট থাকুক, সুন্দর পরিবেশে মা-বাবার সান্নিধ্যে বাগানের সৌরভ উপভোগ করুক, সুন্দর থাকুক আমাদের প্রকৃতি ও প্রতিবেশ- এটিই হোক ব্যালকনি বাগান তৈরির সার্থকতা। আফরোজার মতো অন্য পরিবারের গৃহিনী ও মায়েরা সবাই ব্যালকনি বাগান তৈরি করে নাগরিক পরিবেশে শিশুদের নিয়ে কিছুটা আনন্দময় সান্নিধ্যের চেষ্টায় ব্যাপৃত থাকতে এগিয়ে আসুক- সংশ্লিষ্টদের সহায়তা এক্ষেত্রে অবারিত হোক।

(শিশু ও নারী উন্নয়নে সচেতনতামূলক যোগাযোগ কার্যক্রম ফিচার)

back to top