alt

উপ-সম্পাদকীয়

শিক্ষকদের বোবাকান্না

প্রদীপ কুমার দেবনাথ

: শুক্রবার, ১১ জুন ২০২১

জাতি গঠনের কারিগর, জাতির বিবেক, জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানখ্যাত শিক্ষকরা আজ বড় অসহায়। সর্বোচ্চ ডিগ্রিধারী জাতির এ বাতিঘর দের করুণ জীবন-যাপন, কষ্টের দিনাতিপাত, তাদের অসহায়ত্ব, সীমাহীন কষ্টের নিদারুণ প্রাত্যহিক জীবন যেন আদিম কালকেই হার মানায়। বর্তমানকালে শিক্ষকতার পেশাটাই যেন এক অভিশাপের নাম।

স্কুলজীবনে লক্ষ্য নির্বাচনে শিক্ষকতাকেই আমরা অনেকে নির্ধারণ করি। তখন মনে থাকে রঙ্গিন স্বপ্ন। আমাদের শিক্ষকদের হাসিমাখানো মুখ, সুন্দর পরিপাটি থাকা, গুছিয়ে গুছিয়ে কথা বলা ও চমৎকার অঙ্গভঙ্গি দেখে আমরা কখনও অনুভব করতে পারি না যে একজন শিক্ষক কত কষ্ট, কত অভাব ও কত যন্ত্রণা মনে পোষণ কওে এখানে হাসিমাখা মুখ নিয়ে আমাদের সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। কখনও ভাবি না মাত্র ১৪,০০০ বা ১৬,০০০ টাকায় কীভাবে চলে একজন শিক্ষকের পরিবার? ভাবুন তো এই ক্ষুধার্ত শিক্ষক পরিবার ও নিজের পেট চালানোর চিন্তা করবে না সৃজনশীল শিক্ষা নিয়ে পড়ে থাকবে? অর্থনৈতিক নিরাপত্তা ছাড়া একজন শিক্ষকের নিকট থেকে শতভাগ সেবা আশা করা শুধু বোকামি নয় আত্মঘাতীও বটে।

‘শিক্ষক’ শব্দটিতেই কেমন একটা গাম্ভীর্যের ছাপ থাকে, শব্দটিতে শ্রদ্ধা, ভক্তি, ভালোবাসা আর আভিজাত্য সবকিছুই মিশেল। এই গাম্ভীর্য, আভিজাত্য সবকিছু টিকিয়ে রাখতে চাই প্রয়োজনীয় রসদ। চাই সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা। পৃথিবীর অধিকাংশ দেশে শিক্ষকদের মর্যাদা, আর্থিক নিরাপত্তা, সামাজিক অবস্থান ও রাষ্ট্রীয় স্বচ্ছতার কাজে শিক্ষকদের নিয়োগ প্রদান করা হয়। আর বিপরীত চিত্র আমাদের দেশে। এখানে নেই শিক্ষকদের আর্থিক নিরাপত্তা, নেই রাষ্ট্রীয় বা সামাজিক মর্যাদা, নেই বাস্তবমুখী দিকনির্দেশনা। সর্বত্রই এলোমেলো অবাস্তব সিস্টেম।

সরকারি বেতন কাঠামোর অন্তর্ভুক্ত বেসরকারি মাধ্যমিক শিক্ষা, মাদ্রাসা শিক্ষা, কারিগরি ও উচ্চ শিক্ষায় লেজে গোবওে অবস্থা। এমপিওভুক্তি নামক পদ্ধতিটিই শিক্ষকদের জন্য এক বিষফোঁড়া। এই পদ্ধতিতে নব্য নিয়োগপ্রাপ্ত একজন শিক্ষকের সব কাগজপত্র আপডেট থাকার পরও অনলাইন আবেদন করলে দেখা যায় হঠাৎ জারি হওয়া পরিপত্র মোতাবেক আবার নতুন করে কাগজপত্র দাখিল করতে হয়। অনেক ক্ষেত্রে কর্তাদের নিজস্ব জারি করা আদেশে দীর্ঘসূত্রতা শুরু হয় এমপিওভুক্তিতে, চলে মাসের পর মাস বছরের পর বছর।

দুশ্চিন্তা এবং চরম উৎকণ্ঠায় কাটানো শিক্ষকরা অবশেষে এমপিওভুক্ত হলেও স্বল্প বেতনে কষ্টের জীবনযাপন শুরু হয়। আশায় বুক বাঁধে হয়তো স্বল্পত সময়ে পেয়ে যাবে জাতীয়করণ। স্বপ্ন আজীবনই স্বপ্ন হয়ে থাকে। এক সময় চাকরির মেয়াদ শেষ হয়। মেয়াদ শেষে যেখানে নিয়মমাফিক নিজের সঞ্চিত কল্যাণ ট্রাস্ট ও অবসর ভাতা পাওয়ার কথা, সেখানে শুরু হয় আরও চরম ভোগান্তি। এখানে আরও এলোমেলো অবস্থা। দফায় দফায় কাগজপত্র নেয়া শুরু হয়। একটার পর একটা। এভাবে সব চাহিদা পূরণ করার পরও, বছরে ৩৫ বার অবসর ও কল্যাণ ট্রাস্টের কর্তাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করতে করতে না খেয়ে বিনা চিকিৎসায় মারা গেলেও জুটে না চাকরিকালীন সময়ে জমানো অর্থ। এ যেন কল্যাণ নামক অকল্যাণের ভূত। অসহায়, বৃদ্ধ, শারীরিকভাবে অক্ষম জাতির বিবেকদের জীবনে খরগ হয়ে দেখা দেয়।

বেসরকারি শিক্ষকদের ওপর যে কত প্রকারের নির্যাতন, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের যে বিমাতাসুলভ আচরণ তাতে মনে হয় শিক্ষকতাটাই একটা অভিশাপ। এ যেন অভিশপ্তদের জন্য নির্ধারিত চাকরি। চাকরিতে প্রবেশের সময় অসুবিধা (অধিকাংশ ক্ষেত্রেই মোটা অঙ্কের ঘুষ নিয়ে নিয়োগ প্রদান), এমপিওভুক্তিতে সমস্যা, টাইমস্কেল ও উচ্চতর স্কেলে সমস্যা, পদোন্নতি নেই, পদোন্নতি চাইলে চাকরি ছেড়ে নতুনভাবে বিনিয়োগ প্রাপ্ত হওয়া (অদ্ভুতপদ্ধতি), সিকিভাগ বোনাস (নামেমাত্র), শ্রান্তি বা বিনোদন ভাতা নেই, হাস্যকর বাড়িভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা সর্বোপরি পেনশন ও কল্যাণের নামে নির্যাতন। তাছাড়া একজন শিক্ষককে প্রাতিষ্ঠানিক ও ম্যানেজিং কমিটি কর্তৃক নির্যাতনসহ অসংখ্য নির্যাতনের নীরব সাক্ষী নিরীহ এই শিক্ষকরা।

তাই এমপিওভুক্তি নামক নির্যাতন থেকে মুক্তি চায় বেসরকারি শিক্ষক সমাজ। যেখানে শতভাগ বেতন, বৈশাখী ভাতা, বোনাস, বাড়িভাড়া, চিকিৎসা ভাতা সবই সরকারি, সেখানে বেসরকারি তকমা লাগিয়ে অসহায় এই শিক্ষকদের কল্যাণ ট্রাস্ট আর অবসর বোর্ডেও নির্যাতন আর সংশ্লিষ্ট অফিস কর্তা ও ম্যানেজিং কমিটির রোষানলের শিকারসহ অসংখ্য প্রতিবন্ধকতা সমাধানের একমাত্র পথ জাতীয়করণ। জাতীয়করণ হলে শুধু শিক্ষকরা উপকৃত হবে এমন নয়, উপকৃত হবে শিক্ষার্থীরা, উপকৃত হবে জাতি ও উপকৃত হবে সমগ্র দেশ। তাই, শিক্ষা ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জন ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে শিক্ষা ও প্রযুক্তিতে কাক্সিক্ষত সাফল্য অর্জনে বেসরকারি শিক্ষাকে জাতীয়করণ এখন সময়ের দাবি। নয়তো শিক্ষকদের বোবাকান্না কখনও শেষ হবে না আর জাতিও প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত হবে না।

[লেখক : শিক্ষক]

ছবি

স্মরণ : কাঙ্গাল হরিনাথ মজুমদার

ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস

দাবদাহে সুস্থ থাকবেন কীভাবে

কত দিন পরে এলে, একটু শোনো

রম্যগদ্য : আনন্দ, দ্বিগুণ আনন্দ...

ছবি

ইতিহাসের এক অবিস্মরণীয় নাম

বৈসাবি : ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর বর্ষবরণ উৎসব

‘ইন্ডিয়া আউট’ ক্যাম্পেইন

উদার-উদ্দাম বৈশাখ চাই

ঈদ নিয়ে আসুক শান্তি ও সমৃদ্ধি, বিস্তৃত হোক সম্প্রীতি ও সৌহার্দ

প্রসঙ্গ: বিদেশি ঋণ

ছাত্ররাজনীতি কি খারাপ?

জাকাত : বিশ্বের প্রথম সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা

বাংলাদেশ স্কাউটস দিবস : শুরুর কথা

ছবি

সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দৃষ্টান্ত

প্রবাসীর ঈদ-ভাবনা

বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস

ধানের ফলন বাড়াতে ক্লাইমেট স্মার্ট গুটি ইউরিয়া প্রযুক্তি

কমিশন কিংবা ভিজিটে জমি রেজিস্ট্রির আইনি বিধান ও প্রাসঙ্গিকতা

ছবি

ঈদের অর্থনীতি

পশ্চিমবঙ্গে ভোটের রাজনীতিতে ‘পোস্ট পার্টিশন সিনড্রম’

শিক্ষকের বঞ্চনা, শিক্ষকের বেদনা

নিরাপদ সড়ক কেন চাই

রম্যগদ্য : ‘প্রহরীর সাতশ কোটি টাকা...’

ছবি

অবন্তিকাদের আত্মহনন

শিক্ষাবিষয়ক ভাবনা

অপ্রয়োজনে সিজারিয়ান নয়

পণ্য রপ্তানিতে বৈচিত্র্য আনতে হবে

আত্মহত্যা রোধে নৈতিক শিক্ষা

আউশ ধান : পরিবেশ ও কৃষকবান্ধব ফসল

ছবি

বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস

জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের আতুড়ঘর

চেক ডিজঅনার মামলার অধিক্ষেত্র ও প্রাসঙ্গিকতা

বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন ও বাংলাদেশের কৃষি

ছবি

‘হৃৎ কলমের’ পাখি এবং আমাদের জেগে ওঠা

ছবি

ভূগর্ভস্থ পানি সুরক্ষায় বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ

tab

উপ-সম্পাদকীয়

শিক্ষকদের বোবাকান্না

প্রদীপ কুমার দেবনাথ

শুক্রবার, ১১ জুন ২০২১

জাতি গঠনের কারিগর, জাতির বিবেক, জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানখ্যাত শিক্ষকরা আজ বড় অসহায়। সর্বোচ্চ ডিগ্রিধারী জাতির এ বাতিঘর দের করুণ জীবন-যাপন, কষ্টের দিনাতিপাত, তাদের অসহায়ত্ব, সীমাহীন কষ্টের নিদারুণ প্রাত্যহিক জীবন যেন আদিম কালকেই হার মানায়। বর্তমানকালে শিক্ষকতার পেশাটাই যেন এক অভিশাপের নাম।

স্কুলজীবনে লক্ষ্য নির্বাচনে শিক্ষকতাকেই আমরা অনেকে নির্ধারণ করি। তখন মনে থাকে রঙ্গিন স্বপ্ন। আমাদের শিক্ষকদের হাসিমাখানো মুখ, সুন্দর পরিপাটি থাকা, গুছিয়ে গুছিয়ে কথা বলা ও চমৎকার অঙ্গভঙ্গি দেখে আমরা কখনও অনুভব করতে পারি না যে একজন শিক্ষক কত কষ্ট, কত অভাব ও কত যন্ত্রণা মনে পোষণ কওে এখানে হাসিমাখা মুখ নিয়ে আমাদের সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। কখনও ভাবি না মাত্র ১৪,০০০ বা ১৬,০০০ টাকায় কীভাবে চলে একজন শিক্ষকের পরিবার? ভাবুন তো এই ক্ষুধার্ত শিক্ষক পরিবার ও নিজের পেট চালানোর চিন্তা করবে না সৃজনশীল শিক্ষা নিয়ে পড়ে থাকবে? অর্থনৈতিক নিরাপত্তা ছাড়া একজন শিক্ষকের নিকট থেকে শতভাগ সেবা আশা করা শুধু বোকামি নয় আত্মঘাতীও বটে।

‘শিক্ষক’ শব্দটিতেই কেমন একটা গাম্ভীর্যের ছাপ থাকে, শব্দটিতে শ্রদ্ধা, ভক্তি, ভালোবাসা আর আভিজাত্য সবকিছুই মিশেল। এই গাম্ভীর্য, আভিজাত্য সবকিছু টিকিয়ে রাখতে চাই প্রয়োজনীয় রসদ। চাই সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা। পৃথিবীর অধিকাংশ দেশে শিক্ষকদের মর্যাদা, আর্থিক নিরাপত্তা, সামাজিক অবস্থান ও রাষ্ট্রীয় স্বচ্ছতার কাজে শিক্ষকদের নিয়োগ প্রদান করা হয়। আর বিপরীত চিত্র আমাদের দেশে। এখানে নেই শিক্ষকদের আর্থিক নিরাপত্তা, নেই রাষ্ট্রীয় বা সামাজিক মর্যাদা, নেই বাস্তবমুখী দিকনির্দেশনা। সর্বত্রই এলোমেলো অবাস্তব সিস্টেম।

সরকারি বেতন কাঠামোর অন্তর্ভুক্ত বেসরকারি মাধ্যমিক শিক্ষা, মাদ্রাসা শিক্ষা, কারিগরি ও উচ্চ শিক্ষায় লেজে গোবওে অবস্থা। এমপিওভুক্তি নামক পদ্ধতিটিই শিক্ষকদের জন্য এক বিষফোঁড়া। এই পদ্ধতিতে নব্য নিয়োগপ্রাপ্ত একজন শিক্ষকের সব কাগজপত্র আপডেট থাকার পরও অনলাইন আবেদন করলে দেখা যায় হঠাৎ জারি হওয়া পরিপত্র মোতাবেক আবার নতুন করে কাগজপত্র দাখিল করতে হয়। অনেক ক্ষেত্রে কর্তাদের নিজস্ব জারি করা আদেশে দীর্ঘসূত্রতা শুরু হয় এমপিওভুক্তিতে, চলে মাসের পর মাস বছরের পর বছর।

দুশ্চিন্তা এবং চরম উৎকণ্ঠায় কাটানো শিক্ষকরা অবশেষে এমপিওভুক্ত হলেও স্বল্প বেতনে কষ্টের জীবনযাপন শুরু হয়। আশায় বুক বাঁধে হয়তো স্বল্পত সময়ে পেয়ে যাবে জাতীয়করণ। স্বপ্ন আজীবনই স্বপ্ন হয়ে থাকে। এক সময় চাকরির মেয়াদ শেষ হয়। মেয়াদ শেষে যেখানে নিয়মমাফিক নিজের সঞ্চিত কল্যাণ ট্রাস্ট ও অবসর ভাতা পাওয়ার কথা, সেখানে শুরু হয় আরও চরম ভোগান্তি। এখানে আরও এলোমেলো অবস্থা। দফায় দফায় কাগজপত্র নেয়া শুরু হয়। একটার পর একটা। এভাবে সব চাহিদা পূরণ করার পরও, বছরে ৩৫ বার অবসর ও কল্যাণ ট্রাস্টের কর্তাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করতে করতে না খেয়ে বিনা চিকিৎসায় মারা গেলেও জুটে না চাকরিকালীন সময়ে জমানো অর্থ। এ যেন কল্যাণ নামক অকল্যাণের ভূত। অসহায়, বৃদ্ধ, শারীরিকভাবে অক্ষম জাতির বিবেকদের জীবনে খরগ হয়ে দেখা দেয়।

বেসরকারি শিক্ষকদের ওপর যে কত প্রকারের নির্যাতন, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের যে বিমাতাসুলভ আচরণ তাতে মনে হয় শিক্ষকতাটাই একটা অভিশাপ। এ যেন অভিশপ্তদের জন্য নির্ধারিত চাকরি। চাকরিতে প্রবেশের সময় অসুবিধা (অধিকাংশ ক্ষেত্রেই মোটা অঙ্কের ঘুষ নিয়ে নিয়োগ প্রদান), এমপিওভুক্তিতে সমস্যা, টাইমস্কেল ও উচ্চতর স্কেলে সমস্যা, পদোন্নতি নেই, পদোন্নতি চাইলে চাকরি ছেড়ে নতুনভাবে বিনিয়োগ প্রাপ্ত হওয়া (অদ্ভুতপদ্ধতি), সিকিভাগ বোনাস (নামেমাত্র), শ্রান্তি বা বিনোদন ভাতা নেই, হাস্যকর বাড়িভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা সর্বোপরি পেনশন ও কল্যাণের নামে নির্যাতন। তাছাড়া একজন শিক্ষককে প্রাতিষ্ঠানিক ও ম্যানেজিং কমিটি কর্তৃক নির্যাতনসহ অসংখ্য নির্যাতনের নীরব সাক্ষী নিরীহ এই শিক্ষকরা।

তাই এমপিওভুক্তি নামক নির্যাতন থেকে মুক্তি চায় বেসরকারি শিক্ষক সমাজ। যেখানে শতভাগ বেতন, বৈশাখী ভাতা, বোনাস, বাড়িভাড়া, চিকিৎসা ভাতা সবই সরকারি, সেখানে বেসরকারি তকমা লাগিয়ে অসহায় এই শিক্ষকদের কল্যাণ ট্রাস্ট আর অবসর বোর্ডেও নির্যাতন আর সংশ্লিষ্ট অফিস কর্তা ও ম্যানেজিং কমিটির রোষানলের শিকারসহ অসংখ্য প্রতিবন্ধকতা সমাধানের একমাত্র পথ জাতীয়করণ। জাতীয়করণ হলে শুধু শিক্ষকরা উপকৃত হবে এমন নয়, উপকৃত হবে শিক্ষার্থীরা, উপকৃত হবে জাতি ও উপকৃত হবে সমগ্র দেশ। তাই, শিক্ষা ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জন ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে শিক্ষা ও প্রযুক্তিতে কাক্সিক্ষত সাফল্য অর্জনে বেসরকারি শিক্ষাকে জাতীয়করণ এখন সময়ের দাবি। নয়তো শিক্ষকদের বোবাকান্না কখনও শেষ হবে না আর জাতিও প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত হবে না।

[লেখক : শিক্ষক]

back to top