alt

উপ-সম্পাদকীয়

বিশ্ব রক্তদাতা দিবস

আয়েশা সিদ্দিকা

: রোববার, ১৩ জুন ২০২১

প্রতি বছর ১৪ জুন পালন করা হয় বিশ্ব রক্তদাতা দিবস। যারা স্বেচ্ছায় ও বিনামূল্যে রক্তদান করে মানুষের প্রাণ বাঁচাচ্ছেন তাদেরসহ সাধারণ জনগণকে রক্তদানে উৎসাহিত করাই এ দিবসের উদ্দেশ্য। মুমূর্ষু রোগীকে বাঁচাতে জরুরিভিত্তিতে রক্ত দেওয়ার প্রয়োজন হয়। শুধু থ্যালাসেমিয়া রোগী নয়, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ, দুর্ঘটনায় আহত, সন্তান প্রসব, অ্যানিমিয়া, হিমোফিলিয়া, অস্ত্রোপচার প্রভৃতি ক্ষেত্রেও রক্তের প্রয়োজন পড়ে।

বিশ্বের নানা দেশ থেকে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে জানা যায়, ‘নিরাপদ রক্ত সরবরাহের’ মূল ভিত্তি হলো স্বেচ্ছায় ও বিনামূল্যে দান করা রক্ত। কারণ তাদের রক্ত তুলনামূলকভাবে নিরাপদ এবং এসব রক্তে জীবনসংশয়ী সংক্রমণ যেমন এইচআইভি ও হেপাটাইটিস সংক্রমণের আশঙ্কা খুবই কম।

হৃদরোগ কিংবা হার্টঅ্যাটাক সঙ্গে হেপাটাইটিস-বি, হেপাটাইটিস-সি, সিফিলিস, এইচআইভি (এইডস) অথবা দূরারোগ্য ক্যান্সার, উচ্চ রক্তচাপরোববার এই কয়েকটা রোগের সবটির ঝুঁকি থেকেই আপনি নিরাপদ থাকতে পারেন নিয়মিত রক্তদানের মাধ্যমে। আপনার দান এক ব্যাগ রক্ত একজন মানুষের জীবন রক্ষা করতে পারে। বর্তমানে প্রায় ৭০-৭৫ ভাগ প্রসূতি মায়ের সন্তান জন্ম দেয়ার সময় রক্তের প্রয়োজন হয়। এছাড়াও দুর্ঘটনা, রোগীর অস্ত্রোপচারসহ নানা কারণে বিশুদ্ধ রক্তের চাহিদা সবসময়ই থাকে। স্বেচ্ছায় রক্তদাতার সংখ্যা গত কয়েক বছরে বৃদ্ধি পেয়েছে অনেকগুণ। তারপরও ৬০ হাজার ব্যাগ রক্ত ঘাটতি থেকে যায় প্রতি বছর।

প্রাপ্ত বয়স্ক সুস্থ মানুষ প্রতি তিন মাস অন্তর এক ব্যাগ করে রক্ত দান করতে পারেন। এতে শরীরের কোন ক্ষতি হয় না বরং নতুন রক্ত কণিকা জন্ম নেয় এবং শরীর রোগমুক্ত থাকে। রক্তদান শুধুমাত্র রোগ থেকে নিজেকে রক্ষা করা না, একজন মুমূর্ষু মানুষের পাশে দাঁড়ানো। সঙ্গে সঙ্গে ধর্মীয় দিক থেকেও পবিত্র কাজ। কিন্তু সব সময় খেয়াল রাখতে হবে রক্তদানে এবং গ্রহণে যেন সঠিকভাবে তা পরীক্ষা করে নেয়া হয়।

সাধারণত প্রাপ্তবয়স্ক সুস্থ মানুষের শরীরে ৪ থেকে ৬ লিটার রক্ত থাকে। প্রতিবার রক্তদানে মাত্র ৪৫০ মিলিলিটার খরচ হয়। তবে রক্তদানে ভয়, কুসংস্কার আর অবহেলা রয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরিসংখ্যান অনুযায়ী, প্রতি বছর বিশ্বের ৯ কোটি ২০ লাখ মানুষ রক্ত দিয়ে থাকে। তবে উন্নত বিশ্বে স্বেচ্ছায় রক্তদানের হার প্রতি এক হাজারে ৪০ জন হলেও উন্নয়নশীল বিশ্বে প্রতি এক হাজারে ৪ জনেরও কম।

করোনা কবে নির্মূল হবে আমরা কেউ জানি না, তবে এই করোনায়ও যাতে রক্তদান কর্মসূচি সচল থাকে সেটা নিশ্চিত করা জরুরি। এতে বাঁচবে প্রাণ, বাঁচবে দেশ।

[লেখক : শিক্ষার্থী,

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়]

চিকিৎসা জগতের বাতিঘর জন হপকিনস বিশ^বিদ্যালয়

জলবায়ু পরিবর্তনের দৃশ্যমান প্রভাব

দুর্নীতির বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর অবস্থান ও আজকের বাংলাদেশ

আবিষ্কারমূলক শিখন পদ্ধতি

টেকসই কৃষিতে নবায়নযোগ্য জ্বালানির সম্ভাবনা

ছবি

জয়নুলের সাঁওতাল দম্পতি এবং সুমনের সৌন্দর্যপ্রিয়তা

এরপরও কি গাছ লাগাবেন না, বন রক্ষা করবেন না?

বিশ্ব ধরিত্রী দিবস

সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর মিছিলের শেষ কোথায়

খুব জানতে ইচ্ছে করে

কোন দিকে মোড় নিচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের সংকট?

কৃষিগুচ্ছ : ভর্তির আবেদনের নূ্যূনতম যোগ্যতা ও ফলাফল প্রস্তুতিতে বৈষম্য

ছবি

গণপরিবহনে নৈরাজ্যের শেষ কোথায়

ছাত্র রাজনীতি : পক্ষে-বিপক্ষে

ছবি

বি আর আম্বেদকর : নিম্নবর্গের মানুষের প্রতিনিধি

চেকের মামলায় আসামির মুক্তির পথ কী

রাম-নবমী : হিন্দুত্বের নয়া গবেষণাগার

‘একটি গ্রাম একটি পণ্য’ উদ্যোগ কি সফল হবে

কিশোর গ্যাং : সমস্যার মূলে যেতে হবে

গীতি চলচ্চিত্র ‘কাজল রেখা’ : সুস্থধারার চলচ্চিত্র বিকাশ ঘটুক

ছবি

ঋতুভিত্তিক চিরায়ত বাঙালি সংস্কৃতি

ছবি

স্মরণ : কাঙ্গাল হরিনাথ মজুমদার

ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস

দাবদাহে সুস্থ থাকবেন কীভাবে

কত দিন পরে এলে, একটু শোনো

রম্যগদ্য : আনন্দ, দ্বিগুণ আনন্দ...

ছবি

ইতিহাসের এক অবিস্মরণীয় নাম

বৈসাবি : ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর বর্ষবরণ উৎসব

‘ইন্ডিয়া আউট’ ক্যাম্পেইন

উদার-উদ্দাম বৈশাখ চাই

ঈদ নিয়ে আসুক শান্তি ও সমৃদ্ধি, বিস্তৃত হোক সম্প্রীতি ও সৌহার্দ

প্রসঙ্গ: বিদেশি ঋণ

ছাত্ররাজনীতি কি খারাপ?

জাকাত : বিশ্বের প্রথম সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা

বাংলাদেশ স্কাউটস দিবস : শুরুর কথা

ছবি

সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দৃষ্টান্ত

tab

উপ-সম্পাদকীয়

বিশ্ব রক্তদাতা দিবস

আয়েশা সিদ্দিকা

রোববার, ১৩ জুন ২০২১

প্রতি বছর ১৪ জুন পালন করা হয় বিশ্ব রক্তদাতা দিবস। যারা স্বেচ্ছায় ও বিনামূল্যে রক্তদান করে মানুষের প্রাণ বাঁচাচ্ছেন তাদেরসহ সাধারণ জনগণকে রক্তদানে উৎসাহিত করাই এ দিবসের উদ্দেশ্য। মুমূর্ষু রোগীকে বাঁচাতে জরুরিভিত্তিতে রক্ত দেওয়ার প্রয়োজন হয়। শুধু থ্যালাসেমিয়া রোগী নয়, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ, দুর্ঘটনায় আহত, সন্তান প্রসব, অ্যানিমিয়া, হিমোফিলিয়া, অস্ত্রোপচার প্রভৃতি ক্ষেত্রেও রক্তের প্রয়োজন পড়ে।

বিশ্বের নানা দেশ থেকে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে জানা যায়, ‘নিরাপদ রক্ত সরবরাহের’ মূল ভিত্তি হলো স্বেচ্ছায় ও বিনামূল্যে দান করা রক্ত। কারণ তাদের রক্ত তুলনামূলকভাবে নিরাপদ এবং এসব রক্তে জীবনসংশয়ী সংক্রমণ যেমন এইচআইভি ও হেপাটাইটিস সংক্রমণের আশঙ্কা খুবই কম।

হৃদরোগ কিংবা হার্টঅ্যাটাক সঙ্গে হেপাটাইটিস-বি, হেপাটাইটিস-সি, সিফিলিস, এইচআইভি (এইডস) অথবা দূরারোগ্য ক্যান্সার, উচ্চ রক্তচাপরোববার এই কয়েকটা রোগের সবটির ঝুঁকি থেকেই আপনি নিরাপদ থাকতে পারেন নিয়মিত রক্তদানের মাধ্যমে। আপনার দান এক ব্যাগ রক্ত একজন মানুষের জীবন রক্ষা করতে পারে। বর্তমানে প্রায় ৭০-৭৫ ভাগ প্রসূতি মায়ের সন্তান জন্ম দেয়ার সময় রক্তের প্রয়োজন হয়। এছাড়াও দুর্ঘটনা, রোগীর অস্ত্রোপচারসহ নানা কারণে বিশুদ্ধ রক্তের চাহিদা সবসময়ই থাকে। স্বেচ্ছায় রক্তদাতার সংখ্যা গত কয়েক বছরে বৃদ্ধি পেয়েছে অনেকগুণ। তারপরও ৬০ হাজার ব্যাগ রক্ত ঘাটতি থেকে যায় প্রতি বছর।

প্রাপ্ত বয়স্ক সুস্থ মানুষ প্রতি তিন মাস অন্তর এক ব্যাগ করে রক্ত দান করতে পারেন। এতে শরীরের কোন ক্ষতি হয় না বরং নতুন রক্ত কণিকা জন্ম নেয় এবং শরীর রোগমুক্ত থাকে। রক্তদান শুধুমাত্র রোগ থেকে নিজেকে রক্ষা করা না, একজন মুমূর্ষু মানুষের পাশে দাঁড়ানো। সঙ্গে সঙ্গে ধর্মীয় দিক থেকেও পবিত্র কাজ। কিন্তু সব সময় খেয়াল রাখতে হবে রক্তদানে এবং গ্রহণে যেন সঠিকভাবে তা পরীক্ষা করে নেয়া হয়।

সাধারণত প্রাপ্তবয়স্ক সুস্থ মানুষের শরীরে ৪ থেকে ৬ লিটার রক্ত থাকে। প্রতিবার রক্তদানে মাত্র ৪৫০ মিলিলিটার খরচ হয়। তবে রক্তদানে ভয়, কুসংস্কার আর অবহেলা রয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরিসংখ্যান অনুযায়ী, প্রতি বছর বিশ্বের ৯ কোটি ২০ লাখ মানুষ রক্ত দিয়ে থাকে। তবে উন্নত বিশ্বে স্বেচ্ছায় রক্তদানের হার প্রতি এক হাজারে ৪০ জন হলেও উন্নয়নশীল বিশ্বে প্রতি এক হাজারে ৪ জনেরও কম।

করোনা কবে নির্মূল হবে আমরা কেউ জানি না, তবে এই করোনায়ও যাতে রক্তদান কর্মসূচি সচল থাকে সেটা নিশ্চিত করা জরুরি। এতে বাঁচবে প্রাণ, বাঁচবে দেশ।

[লেখক : শিক্ষার্থী,

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়]

back to top