সতীর্থ রহমান
নিয়মিত যোগাভ্যাসের ফলে মানবদেহে রোধ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। শারীরিক, মানসিক, আত্মিক বিকাশ সাধনে যোগাসন মহৌষধের মতো কাজ করে। যোগব্যায়াম সুস্থদেহে দীর্ঘ জীবন লাভের শিক্ষাই শুধু দেয় না, জীবনকে সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালিত করারও পথ দেখায়। যে কারণে আজ বিশ্ববাসীর কাছে যোগব্যায়াম দারুণভাবে সমাদৃত।
নিরোগ দেহে জীবনধারণের জন্য ভারতবর্ষের মানুষ আদিকাল থেকে যোগব্যায়াম করে আসছেন। জাতিসংঘ প্রতি বছর ২১ জুনকে আন্তর্জাতিক ‘যোগ’ দিবস ঘোষণা করেছে। আভিধানিক অর্থে যোগ শব্দের অর্থ ঐক্য; মিলন। হিন্দুদর্শন মতে, জীবাত্মা ও পরমাত্মার মিলন; তপস্যা; ধ্যান; সাধনা। যোগশাস্ত্রে যোগ সাধনার নিয়মপদ্ধতি জানা যায়। যোগসাধন হলো যোগাভ্যাস বা যম নিয়ম প্রাণায়ামাদি অভ্যাস করা। যোগাসন হলো যোগ সাধনায় উপবেশন বা উপবেশনের পদ্ধতি। যোগী যোগ সাধন করে।
গীতাভাষ্য মতে, যোগস্থ হয়ে, ফলাসক্তি বর্জন করে, সিদ্ধি ও অসিদ্ধি তুল্যজ্ঞান করে তুমি কর্ম কর। এরূপ সমত্ব বুদ্ধিকেই যোগ বলে। তোমার বিক্ষিপ্ত বুদ্ধি যখন পরমেশ্বরে সমাহিত হবে, তখন তোমার বিষয়ে আসক্তি বিদূরিত হবে, তোমার প্রজ্ঞা স্থির হবে, তুমি কর্মযোগে সিদ্ধ হবে। কেউ কখনো ক্ষণকালও কর্ম না করে থাকতে পারে না, কেননা প্রভৃতির গুণে অবশ হয়ে সকলেই কর্ম করতে বাধ্য হয়। যিনি মনের দ্বারা জ্ঞানেন্দ্রিয় সকল সংযত করে অনাসক্ত হয়ে কর্মেন্দ্রিয়ের দ্বারা কর্মযোগের আরম্ভ করেন, তিনিই শ্রেষ্ঠ। তুমি নিয়ত কর্ম কর; কর্মশূন্যতা অপেক্ষা কর্ম শ্রেষ্ঠ; কর্ম না করলে তোমার দেহযাত্রাও নির্বাহ হতে পারে না।
বন্ধন আর মুক্তি। বাসনা, অজ্ঞান ও ভেদদৃষ্টি-এই তিনটি বন্ধন। জীবনে অনাসক্তি, জ্ঞান ও সমদর্শিতা এই তিনটি মুক্তি। মুক্তিই বিশ্বব্রহ্মান্ডের লক্ষ্য। এসো মুক্তির পথে, শান্তির পথে, একত্বের দিকে। জ্ঞানযোগ, কর্মযোগ আর ভক্তিযোগের মাধ্যমে সমৃদ্ধ হোক সবার জীবন।
[লেখক : সহকারী শিক্ষক, নুনসাহার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দিনাজপুর]
সতীর্থ রহমান
রোববার, ২০ জুন ২০২১
নিয়মিত যোগাভ্যাসের ফলে মানবদেহে রোধ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। শারীরিক, মানসিক, আত্মিক বিকাশ সাধনে যোগাসন মহৌষধের মতো কাজ করে। যোগব্যায়াম সুস্থদেহে দীর্ঘ জীবন লাভের শিক্ষাই শুধু দেয় না, জীবনকে সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালিত করারও পথ দেখায়। যে কারণে আজ বিশ্ববাসীর কাছে যোগব্যায়াম দারুণভাবে সমাদৃত।
নিরোগ দেহে জীবনধারণের জন্য ভারতবর্ষের মানুষ আদিকাল থেকে যোগব্যায়াম করে আসছেন। জাতিসংঘ প্রতি বছর ২১ জুনকে আন্তর্জাতিক ‘যোগ’ দিবস ঘোষণা করেছে। আভিধানিক অর্থে যোগ শব্দের অর্থ ঐক্য; মিলন। হিন্দুদর্শন মতে, জীবাত্মা ও পরমাত্মার মিলন; তপস্যা; ধ্যান; সাধনা। যোগশাস্ত্রে যোগ সাধনার নিয়মপদ্ধতি জানা যায়। যোগসাধন হলো যোগাভ্যাস বা যম নিয়ম প্রাণায়ামাদি অভ্যাস করা। যোগাসন হলো যোগ সাধনায় উপবেশন বা উপবেশনের পদ্ধতি। যোগী যোগ সাধন করে।
গীতাভাষ্য মতে, যোগস্থ হয়ে, ফলাসক্তি বর্জন করে, সিদ্ধি ও অসিদ্ধি তুল্যজ্ঞান করে তুমি কর্ম কর। এরূপ সমত্ব বুদ্ধিকেই যোগ বলে। তোমার বিক্ষিপ্ত বুদ্ধি যখন পরমেশ্বরে সমাহিত হবে, তখন তোমার বিষয়ে আসক্তি বিদূরিত হবে, তোমার প্রজ্ঞা স্থির হবে, তুমি কর্মযোগে সিদ্ধ হবে। কেউ কখনো ক্ষণকালও কর্ম না করে থাকতে পারে না, কেননা প্রভৃতির গুণে অবশ হয়ে সকলেই কর্ম করতে বাধ্য হয়। যিনি মনের দ্বারা জ্ঞানেন্দ্রিয় সকল সংযত করে অনাসক্ত হয়ে কর্মেন্দ্রিয়ের দ্বারা কর্মযোগের আরম্ভ করেন, তিনিই শ্রেষ্ঠ। তুমি নিয়ত কর্ম কর; কর্মশূন্যতা অপেক্ষা কর্ম শ্রেষ্ঠ; কর্ম না করলে তোমার দেহযাত্রাও নির্বাহ হতে পারে না।
বন্ধন আর মুক্তি। বাসনা, অজ্ঞান ও ভেদদৃষ্টি-এই তিনটি বন্ধন। জীবনে অনাসক্তি, জ্ঞান ও সমদর্শিতা এই তিনটি মুক্তি। মুক্তিই বিশ্বব্রহ্মান্ডের লক্ষ্য। এসো মুক্তির পথে, শান্তির পথে, একত্বের দিকে। জ্ঞানযোগ, কর্মযোগ আর ভক্তিযোগের মাধ্যমে সমৃদ্ধ হোক সবার জীবন।
[লেখক : সহকারী শিক্ষক, নুনসাহার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দিনাজপুর]