alt

উপ-সম্পাদকীয়

রাজধানী লক্কড়-ঝক্কড় গাড়ির অত্যাচার থেকে মুক্ত হবে কবে?

আর কে চৌধুরী

: রোববার, ১৭ অক্টোবর ২০২১

ঢাকা ও এর আশপাশে দুই শর বেশি রুটে সাড়ে তিন হাজার বাস চলাচল করে। অনুমতি রয়েছে ১২ হাজার ৫২৬টি বাস চলাচলের। দেখা যায়, যাত্রী তোলার জন্য এক বাসের চালক অন্য বাসের সঙ্গে পাল্লায় লিপ্ত হন। এর ফলে দুর্ঘটনা বাড়ে।

সুস্থ মস্তিষ্কের কেউ রাজধানী দূরের কথা দেশের কোথাও ফিটনেসবিহীন গাড়ি চলুক তা চাইতেও পারেন না। কিন্তু ট্রাফিক পুলিশসহ অন্যান্য কর্তৃপক্ষের নাকের ডগায় ফিটনেসবিহীন গাড়ি বছরের পর বছর ধরে চলছে যা ওপেন সিক্রেট। যে কারণে রাস্তায় ধোঁয়া ছেড়ে শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করলেও ত্রুটিযুক্ত গাড়ির বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয় না। জানালা-দরজা ভাঙা গণপরিবহনও রাজধানীজুড়ে অবাধে চলে সব সম্ভবের এই দেশে।

যাত্রীরা এমন যানবাহনে চলাচলকে তাদের নিয়তির লিখন বলে মেনেও নিয়েছেন। সে লিখন খন্ডানো নয়, যাত্রীদের দুর্ভোগ আরও বাড়ানোর জন্যই যেন অভিযান চলছে ফিটনেসবিহীন গাড়ির বিরুদ্ধে। যারা এগুলো চলতে দেন অভিযানের সঙ্গে সেসব কর্তৃপক্ষের সংশ্লিষ্টতায় আশঙ্কা করা হচ্ছে শেষ পর্যন্ত এটি হয়তো অশ্বডিম্বই প্রসব করবে।

সভ্য কোনো দেশে ফিটনেসবিহীন গাড়ির বিরুদ্ধে যৌথ অভিযানের প্রয়োজন পড়ে না। এসব উদ্ভট অভিযান ছাড়াই সেসব দেশের সড়ক যে ফিটনেসবিহীন গাড়িমুক্ত থাকে তার কারণ একটাই। আর তা হলো ট্রাফিক পুলিশের সততা। সেসব দেশে এমপি-মন্ত্রীদের গাড়িও আইন ভঙ্গ করলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়। আমাদের দেশে যা কল্পনারও বাইরে।

ফিটনেসবিহীন গাড়ির চলাচল বন্ধ করতে হলে অভিযান চালিয়ে সাধারণ যাত্রীদের দুর্ভোগে ফেলা নয়, সততার সংকট থেকে বিআরটিএ ও ট্রাফিক পুলিশকে বেরিয়ে আসতে হবে। তারা তৎপর হলে রাজধানী লক্কড়-ঝক্কড় গাড়ির অত্যাচার থেকে মুক্ত হবে। তারা সততার সংকটে না ভুগলে লাইসেন্স ছাড়া কারোর পক্ষে গাড়ি চালানো অসম্ভব হয়ে দাঁড়াবে। সততার দ্বারা পরিচালিত হলে রাজধানীতে যেখানে সেখানে বাস থামিয়ে যাত্রী নেয়া ও যানজট সৃষ্টি করা অসম্ভব হয়ে পড়বে। তা না করে লোক দেখানো অভিযান পরিচালনা করলে জনদুর্ভোগই শুধু বাড়বে। সাধারণ যাত্রীদের ভোগান্তিই নিশ্চিত করা হবে; যা হওয়া উচিত নয়।

[লেখক : সাবেক চেয়ারম্যান, রাজউক]

চিকিৎসা জগতের বাতিঘর জন হপকিনস বিশ^বিদ্যালয়

জলবায়ু পরিবর্তনের দৃশ্যমান প্রভাব

দুর্নীতির বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর অবস্থান ও আজকের বাংলাদেশ

আবিষ্কারমূলক শিখন পদ্ধতি

টেকসই কৃষিতে নবায়নযোগ্য জ্বালানির সম্ভাবনা

ছবি

জয়নুলের সাঁওতাল দম্পতি এবং সুমনের সৌন্দর্যপ্রিয়তা

এরপরও কি গাছ লাগাবেন না, বন রক্ষা করবেন না?

বিশ্ব ধরিত্রী দিবস

সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর মিছিলের শেষ কোথায়

খুব জানতে ইচ্ছে করে

কোন দিকে মোড় নিচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের সংকট?

কৃষিগুচ্ছ : ভর্তির আবেদনের নূ্যূনতম যোগ্যতা ও ফলাফল প্রস্তুতিতে বৈষম্য

ছবি

গণপরিবহনে নৈরাজ্যের শেষ কোথায়

ছাত্র রাজনীতি : পক্ষে-বিপক্ষে

ছবি

বি আর আম্বেদকর : নিম্নবর্গের মানুষের প্রতিনিধি

চেকের মামলায় আসামির মুক্তির পথ কী

রাম-নবমী : হিন্দুত্বের নয়া গবেষণাগার

‘একটি গ্রাম একটি পণ্য’ উদ্যোগ কি সফল হবে

কিশোর গ্যাং : সমস্যার মূলে যেতে হবে

গীতি চলচ্চিত্র ‘কাজল রেখা’ : সুস্থধারার চলচ্চিত্র বিকাশ ঘটুক

ছবি

ঋতুভিত্তিক চিরায়ত বাঙালি সংস্কৃতি

ছবি

স্মরণ : কাঙ্গাল হরিনাথ মজুমদার

ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস

দাবদাহে সুস্থ থাকবেন কীভাবে

কত দিন পরে এলে, একটু শোনো

রম্যগদ্য : আনন্দ, দ্বিগুণ আনন্দ...

ছবি

ইতিহাসের এক অবিস্মরণীয় নাম

বৈসাবি : ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর বর্ষবরণ উৎসব

‘ইন্ডিয়া আউট’ ক্যাম্পেইন

উদার-উদ্দাম বৈশাখ চাই

ঈদ নিয়ে আসুক শান্তি ও সমৃদ্ধি, বিস্তৃত হোক সম্প্রীতি ও সৌহার্দ

প্রসঙ্গ: বিদেশি ঋণ

ছাত্ররাজনীতি কি খারাপ?

জাকাত : বিশ্বের প্রথম সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা

বাংলাদেশ স্কাউটস দিবস : শুরুর কথা

ছবি

সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দৃষ্টান্ত

tab

উপ-সম্পাদকীয়

রাজধানী লক্কড়-ঝক্কড় গাড়ির অত্যাচার থেকে মুক্ত হবে কবে?

আর কে চৌধুরী

রোববার, ১৭ অক্টোবর ২০২১

ঢাকা ও এর আশপাশে দুই শর বেশি রুটে সাড়ে তিন হাজার বাস চলাচল করে। অনুমতি রয়েছে ১২ হাজার ৫২৬টি বাস চলাচলের। দেখা যায়, যাত্রী তোলার জন্য এক বাসের চালক অন্য বাসের সঙ্গে পাল্লায় লিপ্ত হন। এর ফলে দুর্ঘটনা বাড়ে।

সুস্থ মস্তিষ্কের কেউ রাজধানী দূরের কথা দেশের কোথাও ফিটনেসবিহীন গাড়ি চলুক তা চাইতেও পারেন না। কিন্তু ট্রাফিক পুলিশসহ অন্যান্য কর্তৃপক্ষের নাকের ডগায় ফিটনেসবিহীন গাড়ি বছরের পর বছর ধরে চলছে যা ওপেন সিক্রেট। যে কারণে রাস্তায় ধোঁয়া ছেড়ে শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করলেও ত্রুটিযুক্ত গাড়ির বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয় না। জানালা-দরজা ভাঙা গণপরিবহনও রাজধানীজুড়ে অবাধে চলে সব সম্ভবের এই দেশে।

যাত্রীরা এমন যানবাহনে চলাচলকে তাদের নিয়তির লিখন বলে মেনেও নিয়েছেন। সে লিখন খন্ডানো নয়, যাত্রীদের দুর্ভোগ আরও বাড়ানোর জন্যই যেন অভিযান চলছে ফিটনেসবিহীন গাড়ির বিরুদ্ধে। যারা এগুলো চলতে দেন অভিযানের সঙ্গে সেসব কর্তৃপক্ষের সংশ্লিষ্টতায় আশঙ্কা করা হচ্ছে শেষ পর্যন্ত এটি হয়তো অশ্বডিম্বই প্রসব করবে।

সভ্য কোনো দেশে ফিটনেসবিহীন গাড়ির বিরুদ্ধে যৌথ অভিযানের প্রয়োজন পড়ে না। এসব উদ্ভট অভিযান ছাড়াই সেসব দেশের সড়ক যে ফিটনেসবিহীন গাড়িমুক্ত থাকে তার কারণ একটাই। আর তা হলো ট্রাফিক পুলিশের সততা। সেসব দেশে এমপি-মন্ত্রীদের গাড়িও আইন ভঙ্গ করলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়। আমাদের দেশে যা কল্পনারও বাইরে।

ফিটনেসবিহীন গাড়ির চলাচল বন্ধ করতে হলে অভিযান চালিয়ে সাধারণ যাত্রীদের দুর্ভোগে ফেলা নয়, সততার সংকট থেকে বিআরটিএ ও ট্রাফিক পুলিশকে বেরিয়ে আসতে হবে। তারা তৎপর হলে রাজধানী লক্কড়-ঝক্কড় গাড়ির অত্যাচার থেকে মুক্ত হবে। তারা সততার সংকটে না ভুগলে লাইসেন্স ছাড়া কারোর পক্ষে গাড়ি চালানো অসম্ভব হয়ে দাঁড়াবে। সততার দ্বারা পরিচালিত হলে রাজধানীতে যেখানে সেখানে বাস থামিয়ে যাত্রী নেয়া ও যানজট সৃষ্টি করা অসম্ভব হয়ে পড়বে। তা না করে লোক দেখানো অভিযান পরিচালনা করলে জনদুর্ভোগই শুধু বাড়বে। সাধারণ যাত্রীদের ভোগান্তিই নিশ্চিত করা হবে; যা হওয়া উচিত নয়।

[লেখক : সাবেক চেয়ারম্যান, রাজউক]

back to top