alt

উপ-সম্পাদকীয়

সাইবার অপরাধ

দিলীপ কুমার আগরওয়ালা

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : সোমবার, ১৮ অক্টোবর ২০২১

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম দুনিয়াজুড়ে এক মানুষের সঙ্গে আরেক মানুষের যোগাযোগ এবং তথ্য জানার ক্ষেত্রে যে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছে তা অনস্বীকার্য। তবে এর অপব্যবহার দেশীয় এবং আন্তঃদেশীয় অপরাধের বিস্তার ঘটাচ্ছে। মানব পাচারের হাতিয়ার হয়ে দাঁড়িয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম। জঙ্গিবাদ বিস্তারেও তা অবদান রাখছে। সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প ছড়ানোর কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম। মুক্তিযুদ্ধবিরোধী অপতৎপরতায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে যুদ্ধাপরাধী ও তাদের স্বজনরা। অনেক ক্ষেত্রে জনপ্রতিনিধি, স্কুল-কলেজের শিক্ষক, ছাত্রছাত্রীসহ সমাজের বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষও বুলিংয়ের শিকার হচ্ছেন।

ধর্মের উসকানিমূলক অপব্যাখ্যা দিয়ে ফেসবুক-ইউটিউবে বিভিন্ন বক্তব্য প্রচার করা হচ্ছে। মূলববাজরা লাইক শেয়ারের জমজমাট ব্যবসায় অর্থ আয়ের উদ্দেশে উদ্ভট সব বিষয়ের অবতারণা করছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।

বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ভুক্তভোগীরা হয়রানি ও সম্মানের কথা ভেবে এসব বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে অভিযোগ করে না। সাইবার অপরাধ দমনে সরকার জোরালোভাবে কার্যক্রম শুরু করলেও বিচার ও শাস্তির হার খুবই কম। যার কারণে অনেক ভুক্তভোগী অভিযোগ করে না। এছাড়া স্বচ্ছ ধারণা না থাকা ও প্রতিকার পেতে সময়ক্ষেপণ হওয়ায় আইনের আশ্রয় নিতে অনীহা বেশি।

সাম্প্রতিক বছরগুলোয় সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে মানুষকে হয়রানি ও প্রতারিত করার ঘটনা সমাজে করোনা ভাইরাসের মতো ছড়িয়ে পড়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এখন প্রতিশোধ নেয়ার মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। আগে যেখানে মানুষ মারামারি করে রাগ কমাত এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় আরেকজনকে বিব্রত অবস্থায় ফেলে অপরাধী মানসিক তৃপ্তি পায়। সম্প্রতি এ ধরনের অপরাধ বেড়ে গেছে। বাংলাদেশ এখনও এমন অবস্থানে পৌঁছেনি যেখানে সচেতনুা দিয়েই সাইবার অপরাধের অপরাধ কমানো যাবে। এ অপরাধ নিয়ন্ত্রণে আইনের কঠোর প্রয়োগ দরকার।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এখন প্রতিশোধ নেয়ার মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অপব্যবহার করে মাত্রাহীন হয়রানি ও সাইবার অপরাধ চলছে। হয়রানি থেকে রেহাই পাচ্ছে না কেউই। নারী, শিশু থেকে শুরু করে সমাজের সম্মানিু ব্যক্তিদের টার্গেট করে হয়রানি করছে সাইবার অপরাধীরা। ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম ও ইউটিউবের মতো মাধ্যমগুলোকে বেপরোয়াভাবে সাইবার অপরাধে ব্যবহার করা হচ্ছে। সমাজবিজ্ঞানী ও মনোবিজ্ঞানীরা বলেছেন, সাইবার অপরাধ দ্রুত নিয়ন্ত্রণ দরকার।

[লেখক : পরিচালক, এফবিসিসিআই; সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি]

টেকসই কৃষিতে নবায়নযোগ্য জ্বালানির সম্ভাবনা

ছবি

জয়নুলের সাঁওতাল দম্পতি এবং সুমনের সৌন্দর্যপ্রিয়তা

এরপরও কি গাছ লাগাবেন না, বন রক্ষা করবেন না?

বিশ্ব ধরিত্রী দিবস

সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর মিছিলের শেষ কোথায়

খুব জানতে ইচ্ছে করে

কোন দিকে মোড় নিচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের সংকট?

কৃষিগুচ্ছ : ভর্তির আবেদনের নূ্যূনতম যোগ্যতা ও ফলাফল প্রস্তুতিতে বৈষম্য

ছবি

গণপরিবহনে নৈরাজ্যের শেষ কোথায়

ছাত্র রাজনীতি : পক্ষে-বিপক্ষে

ছবি

বি আর আম্বেদকর : নিম্নবর্গের মানুষের প্রতিনিধি

চেকের মামলায় আসামির মুক্তির পথ কী

রাম-নবমী : হিন্দুত্বের নয়া গবেষণাগার

‘একটি গ্রাম একটি পণ্য’ উদ্যোগ কি সফল হবে

কিশোর গ্যাং : সমস্যার মূলে যেতে হবে

গীতি চলচ্চিত্র ‘কাজল রেখা’ : সুস্থধারার চলচ্চিত্র বিকাশ ঘটুক

ছবি

ঋতুভিত্তিক চিরায়ত বাঙালি সংস্কৃতি

ছবি

স্মরণ : কাঙ্গাল হরিনাথ মজুমদার

ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস

দাবদাহে সুস্থ থাকবেন কীভাবে

কত দিন পরে এলে, একটু শোনো

রম্যগদ্য : আনন্দ, দ্বিগুণ আনন্দ...

ছবি

ইতিহাসের এক অবিস্মরণীয় নাম

বৈসাবি : ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর বর্ষবরণ উৎসব

‘ইন্ডিয়া আউট’ ক্যাম্পেইন

উদার-উদ্দাম বৈশাখ চাই

ঈদ নিয়ে আসুক শান্তি ও সমৃদ্ধি, বিস্তৃত হোক সম্প্রীতি ও সৌহার্দ

প্রসঙ্গ: বিদেশি ঋণ

ছাত্ররাজনীতি কি খারাপ?

জাকাত : বিশ্বের প্রথম সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা

বাংলাদেশ স্কাউটস দিবস : শুরুর কথা

ছবি

সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দৃষ্টান্ত

প্রবাসীর ঈদ-ভাবনা

বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস

ধানের ফলন বাড়াতে ক্লাইমেট স্মার্ট গুটি ইউরিয়া প্রযুক্তি

কমিশন কিংবা ভিজিটে জমি রেজিস্ট্রির আইনি বিধান ও প্রাসঙ্গিকতা

tab

উপ-সম্পাদকীয়

সাইবার অপরাধ

দিলীপ কুমার আগরওয়ালা

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

সোমবার, ১৮ অক্টোবর ২০২১

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম দুনিয়াজুড়ে এক মানুষের সঙ্গে আরেক মানুষের যোগাযোগ এবং তথ্য জানার ক্ষেত্রে যে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছে তা অনস্বীকার্য। তবে এর অপব্যবহার দেশীয় এবং আন্তঃদেশীয় অপরাধের বিস্তার ঘটাচ্ছে। মানব পাচারের হাতিয়ার হয়ে দাঁড়িয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম। জঙ্গিবাদ বিস্তারেও তা অবদান রাখছে। সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প ছড়ানোর কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম। মুক্তিযুদ্ধবিরোধী অপতৎপরতায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে যুদ্ধাপরাধী ও তাদের স্বজনরা। অনেক ক্ষেত্রে জনপ্রতিনিধি, স্কুল-কলেজের শিক্ষক, ছাত্রছাত্রীসহ সমাজের বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষও বুলিংয়ের শিকার হচ্ছেন।

ধর্মের উসকানিমূলক অপব্যাখ্যা দিয়ে ফেসবুক-ইউটিউবে বিভিন্ন বক্তব্য প্রচার করা হচ্ছে। মূলববাজরা লাইক শেয়ারের জমজমাট ব্যবসায় অর্থ আয়ের উদ্দেশে উদ্ভট সব বিষয়ের অবতারণা করছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।

বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ভুক্তভোগীরা হয়রানি ও সম্মানের কথা ভেবে এসব বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে অভিযোগ করে না। সাইবার অপরাধ দমনে সরকার জোরালোভাবে কার্যক্রম শুরু করলেও বিচার ও শাস্তির হার খুবই কম। যার কারণে অনেক ভুক্তভোগী অভিযোগ করে না। এছাড়া স্বচ্ছ ধারণা না থাকা ও প্রতিকার পেতে সময়ক্ষেপণ হওয়ায় আইনের আশ্রয় নিতে অনীহা বেশি।

সাম্প্রতিক বছরগুলোয় সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে মানুষকে হয়রানি ও প্রতারিত করার ঘটনা সমাজে করোনা ভাইরাসের মতো ছড়িয়ে পড়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এখন প্রতিশোধ নেয়ার মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। আগে যেখানে মানুষ মারামারি করে রাগ কমাত এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় আরেকজনকে বিব্রত অবস্থায় ফেলে অপরাধী মানসিক তৃপ্তি পায়। সম্প্রতি এ ধরনের অপরাধ বেড়ে গেছে। বাংলাদেশ এখনও এমন অবস্থানে পৌঁছেনি যেখানে সচেতনুা দিয়েই সাইবার অপরাধের অপরাধ কমানো যাবে। এ অপরাধ নিয়ন্ত্রণে আইনের কঠোর প্রয়োগ দরকার।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এখন প্রতিশোধ নেয়ার মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অপব্যবহার করে মাত্রাহীন হয়রানি ও সাইবার অপরাধ চলছে। হয়রানি থেকে রেহাই পাচ্ছে না কেউই। নারী, শিশু থেকে শুরু করে সমাজের সম্মানিু ব্যক্তিদের টার্গেট করে হয়রানি করছে সাইবার অপরাধীরা। ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম ও ইউটিউবের মতো মাধ্যমগুলোকে বেপরোয়াভাবে সাইবার অপরাধে ব্যবহার করা হচ্ছে। সমাজবিজ্ঞানী ও মনোবিজ্ঞানীরা বলেছেন, সাইবার অপরাধ দ্রুত নিয়ন্ত্রণ দরকার।

[লেখক : পরিচালক, এফবিসিসিআই; সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি]

back to top