মেনহাজুল ইসলাম তারেক
রেলে চলাচলের সময় পানি খেতে চাইলে যাত্রীদের খেতে হবে বাংলাদেশ রেলওয়ের নিজস্ব ব্র্যান্ড ‘রেল পানি’। কিন্তু এ পানির মান নিয়ে উঠেছে নানা প্রশ্ন। গত ১০ অক্টোবর বুয়েটের ল্যাব পরীক্ষাও বলছে, এ পানি খাওয়ার অনুপযোগী। দেশের সব রেলস্টেশনের দোকানগুলো ও ট্রেনের ভেতরে অন্য সব কোম্পানির পানি বিক্রি বন্ধ। পানি খেতে চাইলে যাত্রীদের একটি কোম্পানির পানিই খেতে হবে, নাম -‘রেল পানি’।
গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে এ পানি সরবরাহের জন্য শ্যামলী ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেডের সঙ্গে পাঁচ বছর মেয়াদি চুক্তি করে ‘বাংলাদেশ রেলওয়ে’। চুক্তি অনুযায়ী প্রতি লিটার পানির জন্য রেলওয়েকে ১ টাকা ৫০ পয়সা রাজস্ব প্রদান করবে শ্যামলী ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লি.। আর সারা দেশের রেল আঙ্গিনায় পানি পৌঁছে দিতে বিনা ভাড়ায় ট্রেন ব্যবহারেরও সুযোগ রাখা হয়েছে তাদের জন্য। শুরুর দিন থেকেই এই পানির মান নিয়ে অভিযোগ করে আসছিল যাত্রীরা।
এই পানির নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষা করতে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়-বুয়েটের ল্যাবে যায় কিছুদিন আগে। পুরাকৌশল বিভাগের এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং ল্যবরেটরিতে পাঠানো হয় নমুনা। ল্যাবে ১৯৯৭ সালের পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ও ২০০৪ সালের বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বেঁধে দেয়া বিশুদ্ধ পানির মানদন্ড অনুযায়ী পরীক্ষা করে এ পানি পানের অনুপযোগী বলে জানান, বুয়েটের ব্যুরো অব রিসার্চ টেস্টিং অ্যান্ড কনসালটেশন অধ্যাপক ড. এম এ জলিল। এই ফল আমলে নিয়ে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জোর দাবি জানাচ্ছি। এ বিষয়ে রেলমন্ত্রীর সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
মেনহাজুল ইসলাম তারেক
মঙ্গলবার, ১৭ নভেম্বর ২০২০
রেলে চলাচলের সময় পানি খেতে চাইলে যাত্রীদের খেতে হবে বাংলাদেশ রেলওয়ের নিজস্ব ব্র্যান্ড ‘রেল পানি’। কিন্তু এ পানির মান নিয়ে উঠেছে নানা প্রশ্ন। গত ১০ অক্টোবর বুয়েটের ল্যাব পরীক্ষাও বলছে, এ পানি খাওয়ার অনুপযোগী। দেশের সব রেলস্টেশনের দোকানগুলো ও ট্রেনের ভেতরে অন্য সব কোম্পানির পানি বিক্রি বন্ধ। পানি খেতে চাইলে যাত্রীদের একটি কোম্পানির পানিই খেতে হবে, নাম -‘রেল পানি’।
গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে এ পানি সরবরাহের জন্য শ্যামলী ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেডের সঙ্গে পাঁচ বছর মেয়াদি চুক্তি করে ‘বাংলাদেশ রেলওয়ে’। চুক্তি অনুযায়ী প্রতি লিটার পানির জন্য রেলওয়েকে ১ টাকা ৫০ পয়সা রাজস্ব প্রদান করবে শ্যামলী ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লি.। আর সারা দেশের রেল আঙ্গিনায় পানি পৌঁছে দিতে বিনা ভাড়ায় ট্রেন ব্যবহারেরও সুযোগ রাখা হয়েছে তাদের জন্য। শুরুর দিন থেকেই এই পানির মান নিয়ে অভিযোগ করে আসছিল যাত্রীরা।
এই পানির নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষা করতে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়-বুয়েটের ল্যাবে যায় কিছুদিন আগে। পুরাকৌশল বিভাগের এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং ল্যবরেটরিতে পাঠানো হয় নমুনা। ল্যাবে ১৯৯৭ সালের পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ও ২০০৪ সালের বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বেঁধে দেয়া বিশুদ্ধ পানির মানদন্ড অনুযায়ী পরীক্ষা করে এ পানি পানের অনুপযোগী বলে জানান, বুয়েটের ব্যুরো অব রিসার্চ টেস্টিং অ্যান্ড কনসালটেশন অধ্যাপক ড. এম এ জলিল। এই ফল আমলে নিয়ে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জোর দাবি জানাচ্ছি। এ বিষয়ে রেলমন্ত্রীর সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।