alt

পাঠকের চিঠি

চিঠিপত্র : হাট-বাজারে ডিজিটাল ওজন স্কেল স্থাপন করুন

: শুক্রবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২০

হাট-বাজারে ডিজিটাল ওজন স্কেল স্থাপন করুন

আমাদের দৈনন্দিন জীবনে সব কাজে ওজন পরিমাপের বিষয়টি জড়িত। হাট-বাজারে, ক্রয়-বিক্রয়ে কাঁচা সবজি, মাছ, মাংস, চাল, ডাল, তেল প্রায় জিনিসপত্র ওজন পরিমাপ করে কিনতে হয়। একশ্রেণীর অসাধু বিক্রেতা ওজনে কারচুপি করে প্রতিনিয়ত ক্রেতাদেও ঠকাচ্ছেন। ক্রেতাদের সামনে মেশিনের মাধ্যমে ওজন মাপা হলেও সেখানে বিভিন্ন কায়দায় ওজনে কম দেওয়া হচ্ছে। মাঝেমধ্যে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে এটা ধরা পড়ে। অনেক বিক্রেতা বিএসটিআই অনুমোদনহীন মিটার স্কেল ব্যবহার করেন। বাজারে ক্রয়কৃত পণ্যেও সঠিক ওজন যাচাইয়ের ব্যবস্থা না থাকায় ওজনে কম দিয়ে অধিক লাভবান হওয়ার প্রবণতা যেমন বৃদ্ধি পাচ্ছে বিপরীতে ক্রেতা সাধারণ আর্থিক ক্ষতিগ্রস্ত ও প্রতারণার শিকার হচ্ছেন।

তাই ক্রেতা ও ভোক্তাদের স্বার্থে প্রতিটি হাটবাজারে ক্রয়কৃত পণ্যের ওজন যাচাইয়ের জন্য দৃষ্টিগোচর স্থানে ডিজিটাল মিটার স্কেল স্থাপনের জন্য ইজারাদার, বাজার ব্যবস্থাপক ও সরকার সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। বিএসটিআই অনুমোদনহীন মিটার ব্যবহার বন্ধে, মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করা, অধিক মূল্যে পণ্য বিক্রি, নকল ও মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য বিক্রি বন্ধে, বাজারে পণ্যসামগ্রীর পর্যাপ্ত সরবারাহ নিশ্চিত ও ওজনে কারচুপি অপরাধ আইন বিষয়ে গণসচেতনতা সৃষ্টি করতে প্রশাসনের নিয়মিত বাজার মনিটরিং কার্যক্রম জোরদার করা প্রয়োজন।

মো.সাইমুন

রাস্তায় ধুলোবালি প্রতিরোধে ব্যবস্থা নিন

চট্টগ্রাম নগরসহ দক্ষিণ ও উত্তর চট্টগ্রামের মহাসড়কগুলোতে ধুলোবালির পরিমাণ এতই বেড়েছে, যেটাকে ধুলোর রাজত্ব বলা যায়। বাতাসে প্রতি ঘনমিটারে ২.৫ মাইক্রোমিটার ব্যাসের বস্তুকণার পরিমাণ যেখানে ১০০ পিপিএম পার হলেই বিপজ্জনক মাত্রা ধরা হয়, সেখানে চলতি মৌসুমে প্রায় প্রতিদিনই চট্টগ্রামের বাতাসে এই পরিমাণ ৩৫০০ পিপিএমেরও বেশি।

সড়কসহ বিভিন্ন অপরিকল্পিত উন্নয়ন ও সড়ক কর্তৃপক্ষের অব্যবস্থাপনার কারণেই রাস্তাজুড়ে ধুলোর পরিমাণ অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। যার কারণে প্রতিদিনই ধুলোর দুর্ভোগে পড়ছে অসংখ্য শিক্ষার্থী, চাকরিজীবী, চালক ও পথচারী। সঙ্গে ফুসফুস সংক্রমণ, শ্বাসকষ্ট, সর্দিকাশি ও চোখের সংক্রমণও বাড়ছে।

রাস্তায় ধুলোবালির অস্বাভাবিক পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করতে কর্তৃপক্ষকে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে, এ ঝুঁকিপূর্ণ দুর্ভোগ থেকে মানুষকে বাঁচাতে হবে।

এম নাজমুল হক চৌধুরী

নারী জাগরণের পথিকৃৎ বেগম রোকেয়া

বেগম রোকেয়া ১৮৮০ সালের ৯ ডিসেম্বর রংপুর জেলার পায়রাবন্দ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। সে সময় সমাজ ছিল নানা রকম কুসংস্কারে নিমজ্জিত। রক্ষণশীল মুসলিম পরিবারের মেয়ে হয়েও তিনি তৎকালীন সময়ে নারী জাগরণের বাতিঘর রূপে অবতীর্ণ হয়েছিলেন। তার স্বপ্ন ছিল সমাজে নারী ও পুরুষ সমান মর্যাদা আর অধিকার নিয়ে বাঁচবে। সেই স্বপ্নের কথাই তিনি তার লেখায় তুলে ধরেছিলেন। অবরোধবাসিনী পরাধীন নারীদের হয়ে তিনি আওয়াজ তুলেছিলেন। ১৯৩২ সালের ৯ ডিসেম্বর এই খ্যাতিমান বাঙালি সাহিত্যিক ও সমাজ সংস্কারকের মহাপ্রয়াণ ঘটে। বেগম রোকেয়ার আদর্শ, সাহস আর কর্মময় জীবন নারী সমাজের এক অন্তহীন প্রেরণার উৎস।

মারিয়া অনি

শিক্ষার্থী, বাংলা বিভাগ

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

আত্মহত্যা প্রতিরোধে চাই সচেতনতা

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মতে বিশ্বজুড়ে বছরে প্রায় ৮ লাখের মতো মানুষ আত্মহত্যা করে। অর্থাৎ প্রতি চল্লিশ সেকেন্ডে একজন মানুষ আত্মহত্যা করছে। সাম্প্রতিক তথ্যানুসারে বর্তমানে বাংলাদেশে বছরে প্রায় ১১ হাজার মানুষ আত্মহত্যা করে। আত্মহত্যার প্রবণতা যে কোনো বয়সসীমার মানুষের মধ্যেই দেখা যায়। তবে ১৫ থেকে ২৯ বছর বয়সীদের মৃত্যুর পেছনে দ্বিতীয় প্রধান কারণ হচ্ছে আত্মহত্যা।

আত্মহত্যাকে মনে করা হয় মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতির এক চূড়ান্তফল হিসাবে। আত্মহত্যার কারণ হিসেবে বিশেষজ্ঞদের অভিমত- বৈষম্য, বঞ্চনা, বিভ্রান্তি, হতাশা এবং না পাওয়ার যন্ত্রণার কারণে জীবনের প্রতি বিতৃষ্ণা থেকেই মানুষ আত্মহত্যা করে। যেখানে সমাজের ভারসাম্য কম, অগ্রগতির সুফল সবাই সমানভাবে পায় না এবং বিভক্তি বেশি, সেখানেই আত্মহত্যার প্রবণতাও বেশি।

আত্মহত্যা ঠেকাতে সচেতনতার বিকল্প নেই। সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। জাগ্রত করতে হবে সুস্থ মানবিক মূল্যবোধ। হতাশাগ্রস্ত মানুষকে তাদের জীবনের প্রতি ভালোবাসায় উদ্বুদ্ধ করতে হবে। যারা বিভিন্ন মানসিক ব্যাধিতে আক্রান্ত, তাদের স্বাস্থ্যসেবা এবং সামাজিক সেবা নিশ্চিত করতে হবে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আত্মহত্যার পেছনে একটি নয় বরং একাধিক কারণ শনাক্ত হয়। তাই আত্মহত্যা প্রতিরোধে সর্বস্তরের উদ্যোগ, সমন্বয় ও সহযোগিতা প্রয়োজন।

আহনাফ তাহমিদ

এ কেমন প্রহসন

দেশের একমাত্র রাষ্ট্রীয় জীবন বীমা প্রতিষ্ঠান ‘জীবন বীমা করপোরেশন’-এর অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার টাইপিস্ট এবং অফিস সহায়ক পদে নিয়োগ পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করা হয় ১৩ নভেম্বর, ২০২০ তারিখ। অনিবার্য কারণ দেখিয়ে ১১ নভেম্বর রাতে হঠাৎ করেই পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। পরবর্তীতে আবারও ২২ নভেম্বর, ২০২০ তারিখ ২৬ নভেম্বর তারিখে পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করে প্রার্থীদের ফোনে ও জীবন বীমা করপোরেশনের ওয়েবসাইটে জানানো হয়। পরীক্ষার ৪৮ ঘণ্টা পূর্বে আবারও হঠাৎ করে অনিবার্য কারণ দেখিয়ে পরীক্ষা স্থগিত করা হলো। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে লাখো চাকরিপ্রার্থী।

পরীক্ষাকেন্দ্র ঢাকা হবার দরুণ অনেকেই বাস, ট্রেন বা লঞ্চের গন্তব্যস্থলে যাওয়া এবং ফিরতি টিকিট ক্রয় করেছে। হঠাৎ পরীক্ষা স্থগিত হওয়ায় বারবার আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে লাখো চাকরিপ্রার্থী। এমন অসতর্কতামূলক অনাকাক্সিক্ষত কর্মকান্ডের জন্য রাষ্ট্রায়ত্ত জীবন বীমা প্রতিষ্ঠান ‘জীবন বীমা করপোরেশন’কে দুঃখপ্রকাশ করে চাকরিপ্রার্থীদের আর্থিক ক্ষতিপূরণ প্রদানে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণে দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

আখতার হোসেন আজাদ

চাকরিপ্রার্থী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ

ছবি

গ্রামীণ এলাকায় বিদ্যুতের লোডশেডিং কমাতে হবে

কেন এত আত্মহত্যা

দুর্নীতি বন্ধ হবে কবে

ছবি

বজ্রপাত থেকে বাঁচতে চাই সচেতনতা

পিতা-মাতার স্থান হোক সন্তানের কাছে, বৃদ্ধাশ্রমে নয়

ছবি

ট্রেনের বিলম্বে যাত্রীদের দুর্ভোগ

অভিনব কৌশলে প্রতারণা

ট্রেনে ডাস্টবিনের ব্যবস্থা করা হোক

ঈদে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে তৎপর হতে হবে

পথশিশুদের পাশে দাঁড়ান

ছবি

অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধ হোক

ছবি

অগ্নিকাণ্ড প্রতিরোধে চাই সচেতনতা

ঈদযাত্রা হোক ভোগান্তিমুক্ত

আত্মহত্যা সমাধান নয়

বেকারত্ব দূর করতে ব্যবস্থা নিতে হবে

ছবি

মশার যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ নগরবাসী

কোচিং ব্যবসা আর কত?

কর্মক্ষেত্রে নারীর অধিকার

ছবি

সময়সূচি মেনে চলুক ট্রেন

ছবি

উপকূলীয় বন রক্ষা করুন

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী নির্যাতন

রাবিতে মশার উপদ্রব

ছবি

চমেক হাসপাতালে নিরাপত্তা চাই

নারী-পুরুষের বৈষম্য দূর হোক

জাতীয় দিবস

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে র‌্যাগিং বাড়ছে কেন

মানসিকভাবেও সুস্থ থাকা প্রয়োজন

ছবি

মেট্রোরেলে টিকেট ভোগান্তি

রাস্তা নির্মাণে দুর্নীতি বন্ধ হোক

ডিভাইস মুক্ত পরীক্ষা চাই

সড়ক হোক নিরাপদ

ছবি

গণপরিবহনে নারীরা কতটুকু নিরাপদ?

ছবি

তরমুজের দাম এত বেশি

নিরাপদে বেড়ে উঠুক প্রতিটি শিশু

রমজানে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির দায়ভার কার?

চিকিৎসায় বিদেশমুখিতা

tab

পাঠকের চিঠি

চিঠিপত্র : হাট-বাজারে ডিজিটাল ওজন স্কেল স্থাপন করুন

শুক্রবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২০

হাট-বাজারে ডিজিটাল ওজন স্কেল স্থাপন করুন

আমাদের দৈনন্দিন জীবনে সব কাজে ওজন পরিমাপের বিষয়টি জড়িত। হাট-বাজারে, ক্রয়-বিক্রয়ে কাঁচা সবজি, মাছ, মাংস, চাল, ডাল, তেল প্রায় জিনিসপত্র ওজন পরিমাপ করে কিনতে হয়। একশ্রেণীর অসাধু বিক্রেতা ওজনে কারচুপি করে প্রতিনিয়ত ক্রেতাদেও ঠকাচ্ছেন। ক্রেতাদের সামনে মেশিনের মাধ্যমে ওজন মাপা হলেও সেখানে বিভিন্ন কায়দায় ওজনে কম দেওয়া হচ্ছে। মাঝেমধ্যে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে এটা ধরা পড়ে। অনেক বিক্রেতা বিএসটিআই অনুমোদনহীন মিটার স্কেল ব্যবহার করেন। বাজারে ক্রয়কৃত পণ্যেও সঠিক ওজন যাচাইয়ের ব্যবস্থা না থাকায় ওজনে কম দিয়ে অধিক লাভবান হওয়ার প্রবণতা যেমন বৃদ্ধি পাচ্ছে বিপরীতে ক্রেতা সাধারণ আর্থিক ক্ষতিগ্রস্ত ও প্রতারণার শিকার হচ্ছেন।

তাই ক্রেতা ও ভোক্তাদের স্বার্থে প্রতিটি হাটবাজারে ক্রয়কৃত পণ্যের ওজন যাচাইয়ের জন্য দৃষ্টিগোচর স্থানে ডিজিটাল মিটার স্কেল স্থাপনের জন্য ইজারাদার, বাজার ব্যবস্থাপক ও সরকার সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। বিএসটিআই অনুমোদনহীন মিটার ব্যবহার বন্ধে, মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করা, অধিক মূল্যে পণ্য বিক্রি, নকল ও মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য বিক্রি বন্ধে, বাজারে পণ্যসামগ্রীর পর্যাপ্ত সরবারাহ নিশ্চিত ও ওজনে কারচুপি অপরাধ আইন বিষয়ে গণসচেতনতা সৃষ্টি করতে প্রশাসনের নিয়মিত বাজার মনিটরিং কার্যক্রম জোরদার করা প্রয়োজন।

মো.সাইমুন

রাস্তায় ধুলোবালি প্রতিরোধে ব্যবস্থা নিন

চট্টগ্রাম নগরসহ দক্ষিণ ও উত্তর চট্টগ্রামের মহাসড়কগুলোতে ধুলোবালির পরিমাণ এতই বেড়েছে, যেটাকে ধুলোর রাজত্ব বলা যায়। বাতাসে প্রতি ঘনমিটারে ২.৫ মাইক্রোমিটার ব্যাসের বস্তুকণার পরিমাণ যেখানে ১০০ পিপিএম পার হলেই বিপজ্জনক মাত্রা ধরা হয়, সেখানে চলতি মৌসুমে প্রায় প্রতিদিনই চট্টগ্রামের বাতাসে এই পরিমাণ ৩৫০০ পিপিএমেরও বেশি।

সড়কসহ বিভিন্ন অপরিকল্পিত উন্নয়ন ও সড়ক কর্তৃপক্ষের অব্যবস্থাপনার কারণেই রাস্তাজুড়ে ধুলোর পরিমাণ অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। যার কারণে প্রতিদিনই ধুলোর দুর্ভোগে পড়ছে অসংখ্য শিক্ষার্থী, চাকরিজীবী, চালক ও পথচারী। সঙ্গে ফুসফুস সংক্রমণ, শ্বাসকষ্ট, সর্দিকাশি ও চোখের সংক্রমণও বাড়ছে।

রাস্তায় ধুলোবালির অস্বাভাবিক পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করতে কর্তৃপক্ষকে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে, এ ঝুঁকিপূর্ণ দুর্ভোগ থেকে মানুষকে বাঁচাতে হবে।

এম নাজমুল হক চৌধুরী

নারী জাগরণের পথিকৃৎ বেগম রোকেয়া

বেগম রোকেয়া ১৮৮০ সালের ৯ ডিসেম্বর রংপুর জেলার পায়রাবন্দ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। সে সময় সমাজ ছিল নানা রকম কুসংস্কারে নিমজ্জিত। রক্ষণশীল মুসলিম পরিবারের মেয়ে হয়েও তিনি তৎকালীন সময়ে নারী জাগরণের বাতিঘর রূপে অবতীর্ণ হয়েছিলেন। তার স্বপ্ন ছিল সমাজে নারী ও পুরুষ সমান মর্যাদা আর অধিকার নিয়ে বাঁচবে। সেই স্বপ্নের কথাই তিনি তার লেখায় তুলে ধরেছিলেন। অবরোধবাসিনী পরাধীন নারীদের হয়ে তিনি আওয়াজ তুলেছিলেন। ১৯৩২ সালের ৯ ডিসেম্বর এই খ্যাতিমান বাঙালি সাহিত্যিক ও সমাজ সংস্কারকের মহাপ্রয়াণ ঘটে। বেগম রোকেয়ার আদর্শ, সাহস আর কর্মময় জীবন নারী সমাজের এক অন্তহীন প্রেরণার উৎস।

মারিয়া অনি

শিক্ষার্থী, বাংলা বিভাগ

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

আত্মহত্যা প্রতিরোধে চাই সচেতনতা

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মতে বিশ্বজুড়ে বছরে প্রায় ৮ লাখের মতো মানুষ আত্মহত্যা করে। অর্থাৎ প্রতি চল্লিশ সেকেন্ডে একজন মানুষ আত্মহত্যা করছে। সাম্প্রতিক তথ্যানুসারে বর্তমানে বাংলাদেশে বছরে প্রায় ১১ হাজার মানুষ আত্মহত্যা করে। আত্মহত্যার প্রবণতা যে কোনো বয়সসীমার মানুষের মধ্যেই দেখা যায়। তবে ১৫ থেকে ২৯ বছর বয়সীদের মৃত্যুর পেছনে দ্বিতীয় প্রধান কারণ হচ্ছে আত্মহত্যা।

আত্মহত্যাকে মনে করা হয় মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতির এক চূড়ান্তফল হিসাবে। আত্মহত্যার কারণ হিসেবে বিশেষজ্ঞদের অভিমত- বৈষম্য, বঞ্চনা, বিভ্রান্তি, হতাশা এবং না পাওয়ার যন্ত্রণার কারণে জীবনের প্রতি বিতৃষ্ণা থেকেই মানুষ আত্মহত্যা করে। যেখানে সমাজের ভারসাম্য কম, অগ্রগতির সুফল সবাই সমানভাবে পায় না এবং বিভক্তি বেশি, সেখানেই আত্মহত্যার প্রবণতাও বেশি।

আত্মহত্যা ঠেকাতে সচেতনতার বিকল্প নেই। সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। জাগ্রত করতে হবে সুস্থ মানবিক মূল্যবোধ। হতাশাগ্রস্ত মানুষকে তাদের জীবনের প্রতি ভালোবাসায় উদ্বুদ্ধ করতে হবে। যারা বিভিন্ন মানসিক ব্যাধিতে আক্রান্ত, তাদের স্বাস্থ্যসেবা এবং সামাজিক সেবা নিশ্চিত করতে হবে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আত্মহত্যার পেছনে একটি নয় বরং একাধিক কারণ শনাক্ত হয়। তাই আত্মহত্যা প্রতিরোধে সর্বস্তরের উদ্যোগ, সমন্বয় ও সহযোগিতা প্রয়োজন।

আহনাফ তাহমিদ

এ কেমন প্রহসন

দেশের একমাত্র রাষ্ট্রীয় জীবন বীমা প্রতিষ্ঠান ‘জীবন বীমা করপোরেশন’-এর অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার টাইপিস্ট এবং অফিস সহায়ক পদে নিয়োগ পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করা হয় ১৩ নভেম্বর, ২০২০ তারিখ। অনিবার্য কারণ দেখিয়ে ১১ নভেম্বর রাতে হঠাৎ করেই পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। পরবর্তীতে আবারও ২২ নভেম্বর, ২০২০ তারিখ ২৬ নভেম্বর তারিখে পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করে প্রার্থীদের ফোনে ও জীবন বীমা করপোরেশনের ওয়েবসাইটে জানানো হয়। পরীক্ষার ৪৮ ঘণ্টা পূর্বে আবারও হঠাৎ করে অনিবার্য কারণ দেখিয়ে পরীক্ষা স্থগিত করা হলো। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে লাখো চাকরিপ্রার্থী।

পরীক্ষাকেন্দ্র ঢাকা হবার দরুণ অনেকেই বাস, ট্রেন বা লঞ্চের গন্তব্যস্থলে যাওয়া এবং ফিরতি টিকিট ক্রয় করেছে। হঠাৎ পরীক্ষা স্থগিত হওয়ায় বারবার আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে লাখো চাকরিপ্রার্থী। এমন অসতর্কতামূলক অনাকাক্সিক্ষত কর্মকান্ডের জন্য রাষ্ট্রায়ত্ত জীবন বীমা প্রতিষ্ঠান ‘জীবন বীমা করপোরেশন’কে দুঃখপ্রকাশ করে চাকরিপ্রার্থীদের আর্থিক ক্ষতিপূরণ প্রদানে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণে দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

আখতার হোসেন আজাদ

চাকরিপ্রার্থী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ

back to top