চানখাঁরপুল থেকে লিভারপুল
আচ্ছা, বারবার এই সর্ষেরঙা রোদটুকু
যায় কোথায় বলুন দেখি?
পায়রা-পাহাড়ের পেছনে
নাকি আকাশ-আলনায় ঝোলানো
মেঘের ভাঁজে ভাঁজে
চাপা পড়ে যায়?
নাকি থিতু হয়ে বসবার
কোনো স্থানই সে দেখছে না?
তবে কি আমিই তাঁকে
ঘর আর আঙিনার
খ-িত সুবাসের উপর কিছুতেই
বসতে দিচ্ছি না!
তা’হলে ঐ রাজকীয় রোদের
আর কী দোষ?
সে তো লাইসেন্স ও হেলমেট ছাড়া
সাইকেলে প্যাডেল মারবেই-
চানখারপুল থেকে লিভারপুল।
ওরে ও ফইটক্যা,
ওরে ফকফকা অইলদা রইদ
জানোস না,
বুঝোস না কি কুনু কুন্তাই?
এই যে এ এবেলাটাই তো শুধু
কুসুমের ক্রান্তিকাল।
দয়া করো
ধৈর্য ধরো
তিষ্টাও ক্ষণকাল।
কত কাল আর আমি কাটাবো
এ ভূতের বিছানায়!
আমারও তো
এ বিলেতের আমাদের জ্ঞাতিগোষ্ঠির
ব্যবহৃত তক্তপোষ আর
চোখের জলে ভেজা সিথানটা
একটু শুকোতে ইচ্ছে করে।
শোনো হে রোদবালক,
তুমি তো আর লর্ডস এ ক্রিকেট খেলছো না
যে প্রকাশ্যে ছক্কা মারতে হবে তোমায়?
একটু লুকিয়ে চুরিয়ে আসো না-
শীতের রাতে
গোপন গোলাপ চা’য়ের মতো,
ব্যাপক বর্ষায়
মাটির চুলোর ধারের উষ্ণতার মতো
মিশেল সন্ধ্যায়
মার্বলআর্চের গথিক গীর্জাচূড়োর
হাল্কা চাঁদের মতো।
তুমি আরেকবার আসিয়া
বাবু যাও মোরে ভাসাইয়া।
ঐ বিন্দু সময়েই অতি দ্রুত
আমি আমার কার্গোর বাক্সগুলোর ডালা
পেরেক ঠুকে ঠিক বন্ধ করে ফেলতে পারবো।
তারপর, যা হবার তাই হবে-
ইত্যকার এ ঘন সমুদ্রেরই পিঠে
সীগ্যালের ঠোঁটে ঠোঁটে
অন্ধকার ঠাহর করে করে
যার দরকার সে ঠিকই
খুঁজে লবে ঠিকানা তোমার।
চানখাঁরপুল থেকে লিভারপুল
বুধবার, ০৬ অক্টোবর ২০২১
আচ্ছা, বারবার এই সর্ষেরঙা রোদটুকু
যায় কোথায় বলুন দেখি?
পায়রা-পাহাড়ের পেছনে
নাকি আকাশ-আলনায় ঝোলানো
মেঘের ভাঁজে ভাঁজে
চাপা পড়ে যায়?
নাকি থিতু হয়ে বসবার
কোনো স্থানই সে দেখছে না?
তবে কি আমিই তাঁকে
ঘর আর আঙিনার
খ-িত সুবাসের উপর কিছুতেই
বসতে দিচ্ছি না!
তা’হলে ঐ রাজকীয় রোদের
আর কী দোষ?
সে তো লাইসেন্স ও হেলমেট ছাড়া
সাইকেলে প্যাডেল মারবেই-
চানখারপুল থেকে লিভারপুল।
ওরে ও ফইটক্যা,
ওরে ফকফকা অইলদা রইদ
জানোস না,
বুঝোস না কি কুনু কুন্তাই?
এই যে এ এবেলাটাই তো শুধু
কুসুমের ক্রান্তিকাল।
দয়া করো
ধৈর্য ধরো
তিষ্টাও ক্ষণকাল।
কত কাল আর আমি কাটাবো
এ ভূতের বিছানায়!
আমারও তো
এ বিলেতের আমাদের জ্ঞাতিগোষ্ঠির
ব্যবহৃত তক্তপোষ আর
চোখের জলে ভেজা সিথানটা
একটু শুকোতে ইচ্ছে করে।
শোনো হে রোদবালক,
তুমি তো আর লর্ডস এ ক্রিকেট খেলছো না
যে প্রকাশ্যে ছক্কা মারতে হবে তোমায়?
একটু লুকিয়ে চুরিয়ে আসো না-
শীতের রাতে
গোপন গোলাপ চা’য়ের মতো,
ব্যাপক বর্ষায়
মাটির চুলোর ধারের উষ্ণতার মতো
মিশেল সন্ধ্যায়
মার্বলআর্চের গথিক গীর্জাচূড়োর
হাল্কা চাঁদের মতো।
তুমি আরেকবার আসিয়া
বাবু যাও মোরে ভাসাইয়া।
ঐ বিন্দু সময়েই অতি দ্রুত
আমি আমার কার্গোর বাক্সগুলোর ডালা
পেরেক ঠুকে ঠিক বন্ধ করে ফেলতে পারবো।
তারপর, যা হবার তাই হবে-
ইত্যকার এ ঘন সমুদ্রেরই পিঠে
সীগ্যালের ঠোঁটে ঠোঁটে
অন্ধকার ঠাহর করে করে
যার দরকার সে ঠিকই
খুঁজে লবে ঠিকানা তোমার।