পার্বত্য চট্টগ্রাম রেগুলেশন আইন বাতিলসহ আট দফা দাবিতে ১৩ অক্টোবর বান্দরবানে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল আহ্বান জানিয়েছে ‘পার্বত্য নাগরিক পরিষদ’।
বৃহস্পতিবার জেলার একটি হোটেলের হল রুমে সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের কেন্দ্রীয় চেয়ারম্যান কাজী মো. মজিবর রহমান এই ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, “চট্টগ্রামে বাঙালি সম্প্রদায় দীর্ঘ সময় ধরে বৈষম্যের শিকার হয়ে আসছে। তাদের ন্যায্য ও সাংবিধানিক অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এই আট দফা দাবি উত্থাপন করা হয়েছে।”
আট দফা দাবির মধ্যে রয়েছে:
* ব্রিটিশ আমলে প্রণীত **পার্বত্য চট্টগ্রাম বিশেষ শাসনবিধি-১৯০০** বাতিল করে সংবিধানের আলোকে তিন পার্বত্য জেলার শাসন ব্যবস্থা চালু করা।
* জমি ক্রয়-বিক্রয়, চাকরি ও শিক্ষাক্ষেত্রে রাজার সনদ ব্যবস্থা বাতিল করা।
* অন্যান্য জেলার মতো রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানে জমি ক্রয়-বিক্রয় ও ভূমি ব্যবস্থাপনা চালু করা।
* বাজার ফান্ড পুটের লিজ মেয়াদ ৯৯ বছরে উন্নীত করা এবং বন্ধ থাকা ব্যাংক ঋণ পুনরায় চালু করা।
* উন্নয়ন ও কর্মসংস্থানের স্বার্থে পরিবেশবান্ধব ইটভাটা, কলকারখানা ও ইন্ডাস্ট্রি স্থাপন করা।
* আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও নিরাপত্তার স্বার্থে প্রত্যাহার করা ২৪৬টি সেনা ক্যাম্প পুনঃস্থাপন করা।
* অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও চাঁদাবাজি, গুম, খুন ও ধর্ষণ বন্ধ করে সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার।
* শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ব্যবসা ও চাকরিক্ষেত্রে বৈষম্য দূর করে সমান অধিকার ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা।
হরতালের আওতায় সরকারি অফিস-আদালত, সরকারি কর্মকর্তাদের গাড়ি, অ্যাম্বুলেন্স, খাবারের দোকান, ওষুধের দোকান, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর যানবাহন এবং মিডিয়ার সংবাদ পরিবহনের যানবাহন থাকবে না।
কাজী মো. মজিবর রহমান বলেন, “পার্বত্য নাগরিক পরিষদ ও সর্বস্তরের জনগণের পক্ষ থেকে বান্দরবানে এই হরতাল আয়োজন করা হয়েছে।”
---
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
বৃহস্পতিবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৫
পার্বত্য চট্টগ্রাম রেগুলেশন আইন বাতিলসহ আট দফা দাবিতে ১৩ অক্টোবর বান্দরবানে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল আহ্বান জানিয়েছে ‘পার্বত্য নাগরিক পরিষদ’।
বৃহস্পতিবার জেলার একটি হোটেলের হল রুমে সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের কেন্দ্রীয় চেয়ারম্যান কাজী মো. মজিবর রহমান এই ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, “চট্টগ্রামে বাঙালি সম্প্রদায় দীর্ঘ সময় ধরে বৈষম্যের শিকার হয়ে আসছে। তাদের ন্যায্য ও সাংবিধানিক অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এই আট দফা দাবি উত্থাপন করা হয়েছে।”
আট দফা দাবির মধ্যে রয়েছে:
* ব্রিটিশ আমলে প্রণীত **পার্বত্য চট্টগ্রাম বিশেষ শাসনবিধি-১৯০০** বাতিল করে সংবিধানের আলোকে তিন পার্বত্য জেলার শাসন ব্যবস্থা চালু করা।
* জমি ক্রয়-বিক্রয়, চাকরি ও শিক্ষাক্ষেত্রে রাজার সনদ ব্যবস্থা বাতিল করা।
* অন্যান্য জেলার মতো রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানে জমি ক্রয়-বিক্রয় ও ভূমি ব্যবস্থাপনা চালু করা।
* বাজার ফান্ড পুটের লিজ মেয়াদ ৯৯ বছরে উন্নীত করা এবং বন্ধ থাকা ব্যাংক ঋণ পুনরায় চালু করা।
* উন্নয়ন ও কর্মসংস্থানের স্বার্থে পরিবেশবান্ধব ইটভাটা, কলকারখানা ও ইন্ডাস্ট্রি স্থাপন করা।
* আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও নিরাপত্তার স্বার্থে প্রত্যাহার করা ২৪৬টি সেনা ক্যাম্প পুনঃস্থাপন করা।
* অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও চাঁদাবাজি, গুম, খুন ও ধর্ষণ বন্ধ করে সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার।
* শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ব্যবসা ও চাকরিক্ষেত্রে বৈষম্য দূর করে সমান অধিকার ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা।
হরতালের আওতায় সরকারি অফিস-আদালত, সরকারি কর্মকর্তাদের গাড়ি, অ্যাম্বুলেন্স, খাবারের দোকান, ওষুধের দোকান, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর যানবাহন এবং মিডিয়ার সংবাদ পরিবহনের যানবাহন থাকবে না।
কাজী মো. মজিবর রহমান বলেন, “পার্বত্য নাগরিক পরিষদ ও সর্বস্তরের জনগণের পক্ষ থেকে বান্দরবানে এই হরতাল আয়োজন করা হয়েছে।”
---