শেখ হাসিনার পদত্যাগের ঘোষণার পর
সারাদেশে জ্বলছে আওয়ামী লীগ অফিস। দলটির নেতাদের বাসাবাড়িতে আগুন, ভাঙচুর চালানো হচ্ছে। আগুন দেয়া হয়েছে আওয়ামী লীগের ধানমন্ডি অফিস, বঙ্গবন্ধু ভবনসহ রাজধানীর বেশিরভাগ স্থানীয় কার্যালয়।
অন্যদিকে রাজধানীর উত্তরা পূর্ব থানাসহ অধিকাংশ থানায় হামলা ও লুটপাট করা হয়েছে। শুধু রাজধানীই নয়, আগুন ও হামলা ছড়িয়ে পড়েছে সারাদেশে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না থাকায় জনমনে ভিতিকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে। একের পর এক আগুনের খবর সারাদেশ থেকে পুলিশ কন্ট্রোলে যাচ্ছে। কন্ট্রোল থেকে পুরো হিসাব পাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে।
ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানায়, শেখ হাসিনার পতনের পরপর উত্তেজিত ছাত্র জনতা ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরেও হামলা চালিয়ে আগুন দিয়েছে। সোমবার (৫ আগস্ট) বিকেল ৪টার দিকে এই হামলা ও আগুন দেয়া হয়েছে।
রাজধানীর বিজয় স্বরণীতে বঙ্গবন্ধু ভাস্কর্যে একদল যুবক হামলা চালিয়েছে। তারা ভাস্কর্য ভাঙচুর ও কুড়াল দিয়ে কুপিয়েছে। এরপর রশি দিয়ে টেনে-হেঁচড়ে ভাঙার চেষ্টা করছেন।
সোমবার বিকেলে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হামলা চালিয়েছে। সেখানে দলীয় সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ সংবাদকে মুঠোফোনে জানান, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে শুরু করে রাজধানীর অধিকাংশ অফিসে হামলা ও ভাঙচুর ও তা-ব চালিয়েছে। শুধু তাই না তার চাঁদপুরের গ্রামের বাড়িতেও হামলা চালিয়েছে।
ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানায়, রাজধানী ছাড়াও ঢাকার বাইরে জেলা ও বিভাগীয় শহর গুলোতে আগুনের খবর পাওয়া গেছে। তবে ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানায়, দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে অগণিত আগুনের খবর পাওয়া গেছে। সংখ্যা কত এখন বলা কষ্টকর বলে ফায়ার সার্ভিস থেকে জানিছেন।
এ দিকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সোমবার রাজধানীর উত্তরা সারাদেশে জ্বলসে আওয়ামী লীগ
পূর্ব থানা থানায় হামলা ও লুটপাট চালানো হয়েছে। এছাড়া বাটারা থানা, মিরপুর থানা, শ্যামপুর থানা, আদাবর থানা, যাত্রাবাড়ী থানা, কদমতলী থানা, সূত্রাপুর থানা, খিলগাঁও থানা, বাড্ডা, মানিকগঞ্জের শিবালয় সাভার, আশুলিয়াসহ সারাদেশের বিভিন্ন স্থানে থানা, পুলিশ বক্স, পুলিশ ফাড়িসহ বিভিন্ন স্থানে হামলা ও ভাঙচুর অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। এ সংখ্যা বেড়েই চলছে।
সরজমিনে শ্যামপুর থানার সামনে গিয়ে দেখা গেরেছ। উত্তেজিত জনতা রাজধানীর শ্যামপুর থানায় আগুন দিয়েছে। সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে এ আগুন দেয়া হয়। বিক্ষোকারীরা থানার ভিতরে ঢুকে আগুন দেয়। তারা থানার আশবাবপত্রসহ অন্যান্য জিনিসপত্র লুটপাট করছে।
যাত্রাবাড়ী থানায় আগুন, হামলা চালানো হয়। সেখানে সেনাবাহিনীসহ অন্যান্য সংস্থা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। এই ভাবে রাজধানীজুড়ে ব্যাপক সহিংয়সতা ও তা-ব চালানো হয়। হামলা থেকে বাসাবাড়িও রেহাই পায়নি। উত্তেজিত জনতা কয়েকটি প্রাইভেট টিভি চ্যানেল অফিসে হামলা চালিয়েছে।
জাতীয় পাটির বিজয় নগরে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হামলা ও তা-ব চালিয়েছে। এই ভাবে সারাদেশে হামলা ও আগুন দেয়া হয়েছে। আগুন ও হামলা আতঙ্কে অনেকে ভয়ে নিরাপদ আশ্রয় আবার স্বজনদের বাসায় গিয়েও আশ্রয় নিয়েছে। দেশজুড়ে থম থমে অবস্থা বিরাজ করছে।
সোমবার রাত পৌনে ৮টার দিকে সর্বশেষ খবরে জানা গেছে, রাজধানীর বেশির ভাগ থানায় হামলা ও আগুন দেয়া হয়েছে। স্বরষ্ট্রমন্ত্রীর বাসায় আগুনের খবর জানা গেছে। রাতজুড়ে আগুনের খবর বাড়ছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে ফায়ার সার্ভিসের যানবাহনে হামলা ও তা-ব চালানো হয়েছে। আগুনে হতাহত হয়েছে। তবে কত হয়েছে তা জানা যায়নি।
শেখ হাসিনার পদত্যাগের ঘোষণার পর
মঙ্গলবার, ০৬ আগস্ট ২০২৪
সারাদেশে জ্বলছে আওয়ামী লীগ অফিস। দলটির নেতাদের বাসাবাড়িতে আগুন, ভাঙচুর চালানো হচ্ছে। আগুন দেয়া হয়েছে আওয়ামী লীগের ধানমন্ডি অফিস, বঙ্গবন্ধু ভবনসহ রাজধানীর বেশিরভাগ স্থানীয় কার্যালয়।
অন্যদিকে রাজধানীর উত্তরা পূর্ব থানাসহ অধিকাংশ থানায় হামলা ও লুটপাট করা হয়েছে। শুধু রাজধানীই নয়, আগুন ও হামলা ছড়িয়ে পড়েছে সারাদেশে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না থাকায় জনমনে ভিতিকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে। একের পর এক আগুনের খবর সারাদেশ থেকে পুলিশ কন্ট্রোলে যাচ্ছে। কন্ট্রোল থেকে পুরো হিসাব পাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে।
ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানায়, শেখ হাসিনার পতনের পরপর উত্তেজিত ছাত্র জনতা ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরেও হামলা চালিয়ে আগুন দিয়েছে। সোমবার (৫ আগস্ট) বিকেল ৪টার দিকে এই হামলা ও আগুন দেয়া হয়েছে।
রাজধানীর বিজয় স্বরণীতে বঙ্গবন্ধু ভাস্কর্যে একদল যুবক হামলা চালিয়েছে। তারা ভাস্কর্য ভাঙচুর ও কুড়াল দিয়ে কুপিয়েছে। এরপর রশি দিয়ে টেনে-হেঁচড়ে ভাঙার চেষ্টা করছেন।
সোমবার বিকেলে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হামলা চালিয়েছে। সেখানে দলীয় সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ সংবাদকে মুঠোফোনে জানান, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে শুরু করে রাজধানীর অধিকাংশ অফিসে হামলা ও ভাঙচুর ও তা-ব চালিয়েছে। শুধু তাই না তার চাঁদপুরের গ্রামের বাড়িতেও হামলা চালিয়েছে।
ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানায়, রাজধানী ছাড়াও ঢাকার বাইরে জেলা ও বিভাগীয় শহর গুলোতে আগুনের খবর পাওয়া গেছে। তবে ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানায়, দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে অগণিত আগুনের খবর পাওয়া গেছে। সংখ্যা কত এখন বলা কষ্টকর বলে ফায়ার সার্ভিস থেকে জানিছেন।
এ দিকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সোমবার রাজধানীর উত্তরা সারাদেশে জ্বলসে আওয়ামী লীগ
পূর্ব থানা থানায় হামলা ও লুটপাট চালানো হয়েছে। এছাড়া বাটারা থানা, মিরপুর থানা, শ্যামপুর থানা, আদাবর থানা, যাত্রাবাড়ী থানা, কদমতলী থানা, সূত্রাপুর থানা, খিলগাঁও থানা, বাড্ডা, মানিকগঞ্জের শিবালয় সাভার, আশুলিয়াসহ সারাদেশের বিভিন্ন স্থানে থানা, পুলিশ বক্স, পুলিশ ফাড়িসহ বিভিন্ন স্থানে হামলা ও ভাঙচুর অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। এ সংখ্যা বেড়েই চলছে।
সরজমিনে শ্যামপুর থানার সামনে গিয়ে দেখা গেরেছ। উত্তেজিত জনতা রাজধানীর শ্যামপুর থানায় আগুন দিয়েছে। সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে এ আগুন দেয়া হয়। বিক্ষোকারীরা থানার ভিতরে ঢুকে আগুন দেয়। তারা থানার আশবাবপত্রসহ অন্যান্য জিনিসপত্র লুটপাট করছে।
যাত্রাবাড়ী থানায় আগুন, হামলা চালানো হয়। সেখানে সেনাবাহিনীসহ অন্যান্য সংস্থা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। এই ভাবে রাজধানীজুড়ে ব্যাপক সহিংয়সতা ও তা-ব চালানো হয়। হামলা থেকে বাসাবাড়িও রেহাই পায়নি। উত্তেজিত জনতা কয়েকটি প্রাইভেট টিভি চ্যানেল অফিসে হামলা চালিয়েছে।
জাতীয় পাটির বিজয় নগরে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হামলা ও তা-ব চালিয়েছে। এই ভাবে সারাদেশে হামলা ও আগুন দেয়া হয়েছে। আগুন ও হামলা আতঙ্কে অনেকে ভয়ে নিরাপদ আশ্রয় আবার স্বজনদের বাসায় গিয়েও আশ্রয় নিয়েছে। দেশজুড়ে থম থমে অবস্থা বিরাজ করছে।
সোমবার রাত পৌনে ৮টার দিকে সর্বশেষ খবরে জানা গেছে, রাজধানীর বেশির ভাগ থানায় হামলা ও আগুন দেয়া হয়েছে। স্বরষ্ট্রমন্ত্রীর বাসায় আগুনের খবর জানা গেছে। রাতজুড়ে আগুনের খবর বাড়ছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে ফায়ার সার্ভিসের যানবাহনে হামলা ও তা-ব চালানো হয়েছে। আগুনে হতাহত হয়েছে। তবে কত হয়েছে তা জানা যায়নি।