সেন্টমার্টিনে আবারও খাদ্য সঙ্কট প্রকট আকার ধারণ করেছে৷ দ্বীপ থেকে টেকনাফের নৌ যোগাযোগ ২০ দিন ধরে বন্ধ থাকায় এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে৷ মায়ানমার সেনাবাহিনী ও আরাকান আর্মির সংঘাতের কারণে নাফনদী ব্যবহার করা যাচ্ছে না৷ নৌপথ ছাড়া যোগাযোগের আর কোনো তেমন পথ নাই৷
আরেকটি বিকল্প সেন্টমার্টিন থেকে জাহাজযোগে কক্সবাজারের সাথে যোগাযোগ৷ এটা সময়সাপেক্ষ এবং শুধু জাহাজ দিয়েই সম্ভব৷তবে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান বলেছেন, এখন সেন্টমার্টিনের বাসিন্দারা চাইলে নাফ নদী ব্যবহার করে মূল ভূখণ্ডে যাতায়াত করতে পারেন৷
আর আইএসপিআর আর জানিয়েছে, সেন্টমার্টিন দ্বীপের কাছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও কোস্ট গার্ডের একাধিক জাহাজ মিয়ানমারের জাহাজের গতিবিধি পর্যবেক্ষণসহ বাংলাদেশের সমুদ্রসীমায় থেকে নিয়মিত টহল দিচ্ছে৷
সেন্টমার্টিনের জনসংখ্যা ১০ হাজারের মতো৷ সেন্টমার্টিনের ইউপি চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান জানান, এই ২০ দিনে মাত্র একবার জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সেন্টমার্টিনে খাদ্যসামগ্রী পঠানো হয়েছে৷ আর সেটা ছিল জেলে এবং যারা সরকারের ভিজিএফ কার্ডধারী৷ ফলে এখন খাদ্য সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে৷
তিনি বলেন, সেন্টমার্টিনের কিছু মানুষ জেলে আর অধিকাংশই কৃষক৷ চাহিদার ২০ ভাগ খাদ্যও এখানে উৎপাদন হয় না৷ জেলেদের মাছ ধরা বন্ধ আছে৷ বন্ধ আছে পর্যটন৷ ফলে আয়ের উৎস যেমন বন্ধ তেমনি বাইরে থেকে খাদ্য আনারও কোনো সুযোগ নাই৷ আর তিন-চার দিনের মধ্যে যদি খাদ্য সরবারাহ করা না হয় তাহলে অনেককেই অনাহারে থাকতে হবে বলে তিনি জানান৷
একই কথা বলেন সেন্টমার্টিনের বাসিন্দা হাবিবুর রহমান৷ তিনি বলেন, আমাদের এখানে ঈদ নাই৷ আতঙ্কে আর খাদ্য সংকটে আমাদের দিন কাটছে৷ দ্বীপের মানুষের হাতে কোনো কাজ নেই৷ নৌ চলাচল বন্ধ থাকায় তারা কাজের জন্য কোথাও যেতে পারছেন না৷ দোকানে যে চাল, তেল, ডাল পাওয়া যাচ্ছে তার দাম অনেক৷ শাকসবজি শেষ হয়ে গেছে৷ ট্রলার চলাচল শুরু না হলে সামনের দিনে আমরা কী খাবো তাই ভেবে পাচ্ছি না৷
মঙ্গলবার, ১৮ জুন ২০২৪
সেন্টমার্টিনে আবারও খাদ্য সঙ্কট প্রকট আকার ধারণ করেছে৷ দ্বীপ থেকে টেকনাফের নৌ যোগাযোগ ২০ দিন ধরে বন্ধ থাকায় এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে৷ মায়ানমার সেনাবাহিনী ও আরাকান আর্মির সংঘাতের কারণে নাফনদী ব্যবহার করা যাচ্ছে না৷ নৌপথ ছাড়া যোগাযোগের আর কোনো তেমন পথ নাই৷
আরেকটি বিকল্প সেন্টমার্টিন থেকে জাহাজযোগে কক্সবাজারের সাথে যোগাযোগ৷ এটা সময়সাপেক্ষ এবং শুধু জাহাজ দিয়েই সম্ভব৷তবে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান বলেছেন, এখন সেন্টমার্টিনের বাসিন্দারা চাইলে নাফ নদী ব্যবহার করে মূল ভূখণ্ডে যাতায়াত করতে পারেন৷
আর আইএসপিআর আর জানিয়েছে, সেন্টমার্টিন দ্বীপের কাছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও কোস্ট গার্ডের একাধিক জাহাজ মিয়ানমারের জাহাজের গতিবিধি পর্যবেক্ষণসহ বাংলাদেশের সমুদ্রসীমায় থেকে নিয়মিত টহল দিচ্ছে৷
সেন্টমার্টিনের জনসংখ্যা ১০ হাজারের মতো৷ সেন্টমার্টিনের ইউপি চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান জানান, এই ২০ দিনে মাত্র একবার জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সেন্টমার্টিনে খাদ্যসামগ্রী পঠানো হয়েছে৷ আর সেটা ছিল জেলে এবং যারা সরকারের ভিজিএফ কার্ডধারী৷ ফলে এখন খাদ্য সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে৷
তিনি বলেন, সেন্টমার্টিনের কিছু মানুষ জেলে আর অধিকাংশই কৃষক৷ চাহিদার ২০ ভাগ খাদ্যও এখানে উৎপাদন হয় না৷ জেলেদের মাছ ধরা বন্ধ আছে৷ বন্ধ আছে পর্যটন৷ ফলে আয়ের উৎস যেমন বন্ধ তেমনি বাইরে থেকে খাদ্য আনারও কোনো সুযোগ নাই৷ আর তিন-চার দিনের মধ্যে যদি খাদ্য সরবারাহ করা না হয় তাহলে অনেককেই অনাহারে থাকতে হবে বলে তিনি জানান৷
একই কথা বলেন সেন্টমার্টিনের বাসিন্দা হাবিবুর রহমান৷ তিনি বলেন, আমাদের এখানে ঈদ নাই৷ আতঙ্কে আর খাদ্য সংকটে আমাদের দিন কাটছে৷ দ্বীপের মানুষের হাতে কোনো কাজ নেই৷ নৌ চলাচল বন্ধ থাকায় তারা কাজের জন্য কোথাও যেতে পারছেন না৷ দোকানে যে চাল, তেল, ডাল পাওয়া যাচ্ছে তার দাম অনেক৷ শাকসবজি শেষ হয়ে গেছে৷ ট্রলার চলাচল শুরু না হলে সামনের দিনে আমরা কী খাবো তাই ভেবে পাচ্ছি না৷