চোর সন্দেহে চট্টগ্রাম নগরীর আখতারুজ্জামান উড়াল সেতুর নিচে ২ নম্বর গেট মোড় এলাকায় দুটি খুঁটির সঙ্গে দুই হাত বেঁধে ‘মধু হই হই আরে বিষ হাওয়াইলা’ গানের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নেচে-গেয়ে শাহাদাত হোসেন (২৪) নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়।
শাহাদাত হোসেন নামের ওই যুবককে হত্যার সময় উল্লাসে মেতে উঠতে দেখা যায় হামলাকারী যুবকদের। ওই যুবককে পেটানোর সময় হামলাকারীদের একজন আশপাশের পথচারীদের ডেকে বলছিল, ‘ভাইয়া, সবাই একটা সেলফি তুলে চলে যান।’
ঘটনায় জড়িত তিনজনকে মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) নগরীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তারের পর আজ বুধবার দুপুরে নগর পুলিশের কার্যালয়ের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ এ তথ্য জানায়।
গ্রেপ্তার তিনজন হলেন ফরহাদ আহমেদ চৌধুরী (৪২), আনিসুর রহমান (১৯) এবং ১৬ বছরের এক কিশোর।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, আসামিরা ‘চট্টগ্রাম ছাত্র–জনতা ট্রাফিক গ্রুপ’ নামের একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের সদস্য। গ্রেপ্তার ফরহাদ হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপটির অ্যাডমিন। তবে আন্দোলনকারী মূল ধারার ছাত্র–জনতার সঙ্গে তাঁদের কোনো সম্পর্ক ছিল না। ফরহাদ নিজে গ্রুপটি খোলেন।
গত ১৩ আগস্ট নগরের পাঁচলাইশ ২ নম্বর গেট এলাকায় ছিনতাইকারী সন্দেহে শাহাদাত হোসেনকে ট্রাফিক পুলিশ বক্সের খুঁটির সঙ্গে বেঁধে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। পেটানোর সময় উল্লাস করতে থাকা গ্রেপ্তার কিশোর আশপাশে থাকা লোকজনকে সেলফি তুলতে বলে। পরে তাঁর লাশ নগরের প্রবর্তক মোড় এলাকায় ফেলে আসা হয় ঘটনা ধামাচাপা দিতে।
তদন্তসংশ্লিষ্ট পুলিশ সূত্র জানায়, ঘটনার দিন ‘ছিনতাইকারী’, ‘ধর ধর’, বলে চিৎকার করে ধাওয়া দিয়ে শাহাদাতকে ধরা হয়। শাহাদাতের সঙ্গে সাগর নামের তাঁর এক বন্ধুও ছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। সাগর পালিয়ে গেলও ধরা পড়ে যান শাহাদাত। তবে সেদিন অনেক লোকের ভিড়ে কাদের কাছ থেকে তাঁরা ছিনতাইয়ের চেষ্টা করেছিলেন, তা জানতে পারেনি পুলিশ। শাহাদাতের বিরুদ্ধে নগরের বিভিন্ন থানায় অস্ত্র, ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের নয়টি মামলা রয়েছে। সাগরও পুলিশের তালিকাভুক্ত ছিনতাইকারী।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (গণমাধ্যম) কাজী তারেক আজিজ ও পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সুলাইমান।
ওসি মোহাম্মদ সুলাইমান বলেন, গ্রেপ্তার আসামিদের মধ্যে ফরহাদ ইট–বালুর ব্যবসা করেন। আনিস নগরের একটি কলেজে উচ্চমাধ্যমিকে পড়েন। গ্রেপ্তার কিশোর এসএসসি পাস করেছে কি না, নিশ্চিত হওয়া যায়নি। গ্রেপ্তার তিনজনকে আদালতে পাঠানো হচ্ছে ।
নিহত শাহাদাত নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি থানার পাঁচবাড়িয়া ইউনিয়নের নদনা গ্রামের মিয়াজান ভুঁইয়াবাড়ির মোহাম্মদ হারুনের ছেলে। তবে পরিবার নিয়ে শাহাদাত নগরের কোতোয়ালি থানার বিআরটিসি এলাকার ব্রয়লার কলোনিতে থাকতেন।
বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
চোর সন্দেহে চট্টগ্রাম নগরীর আখতারুজ্জামান উড়াল সেতুর নিচে ২ নম্বর গেট মোড় এলাকায় দুটি খুঁটির সঙ্গে দুই হাত বেঁধে ‘মধু হই হই আরে বিষ হাওয়াইলা’ গানের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নেচে-গেয়ে শাহাদাত হোসেন (২৪) নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়।
শাহাদাত হোসেন নামের ওই যুবককে হত্যার সময় উল্লাসে মেতে উঠতে দেখা যায় হামলাকারী যুবকদের। ওই যুবককে পেটানোর সময় হামলাকারীদের একজন আশপাশের পথচারীদের ডেকে বলছিল, ‘ভাইয়া, সবাই একটা সেলফি তুলে চলে যান।’
ঘটনায় জড়িত তিনজনকে মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) নগরীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তারের পর আজ বুধবার দুপুরে নগর পুলিশের কার্যালয়ের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ এ তথ্য জানায়।
গ্রেপ্তার তিনজন হলেন ফরহাদ আহমেদ চৌধুরী (৪২), আনিসুর রহমান (১৯) এবং ১৬ বছরের এক কিশোর।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, আসামিরা ‘চট্টগ্রাম ছাত্র–জনতা ট্রাফিক গ্রুপ’ নামের একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের সদস্য। গ্রেপ্তার ফরহাদ হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপটির অ্যাডমিন। তবে আন্দোলনকারী মূল ধারার ছাত্র–জনতার সঙ্গে তাঁদের কোনো সম্পর্ক ছিল না। ফরহাদ নিজে গ্রুপটি খোলেন।
গত ১৩ আগস্ট নগরের পাঁচলাইশ ২ নম্বর গেট এলাকায় ছিনতাইকারী সন্দেহে শাহাদাত হোসেনকে ট্রাফিক পুলিশ বক্সের খুঁটির সঙ্গে বেঁধে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। পেটানোর সময় উল্লাস করতে থাকা গ্রেপ্তার কিশোর আশপাশে থাকা লোকজনকে সেলফি তুলতে বলে। পরে তাঁর লাশ নগরের প্রবর্তক মোড় এলাকায় ফেলে আসা হয় ঘটনা ধামাচাপা দিতে।
তদন্তসংশ্লিষ্ট পুলিশ সূত্র জানায়, ঘটনার দিন ‘ছিনতাইকারী’, ‘ধর ধর’, বলে চিৎকার করে ধাওয়া দিয়ে শাহাদাতকে ধরা হয়। শাহাদাতের সঙ্গে সাগর নামের তাঁর এক বন্ধুও ছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। সাগর পালিয়ে গেলও ধরা পড়ে যান শাহাদাত। তবে সেদিন অনেক লোকের ভিড়ে কাদের কাছ থেকে তাঁরা ছিনতাইয়ের চেষ্টা করেছিলেন, তা জানতে পারেনি পুলিশ। শাহাদাতের বিরুদ্ধে নগরের বিভিন্ন থানায় অস্ত্র, ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের নয়টি মামলা রয়েছে। সাগরও পুলিশের তালিকাভুক্ত ছিনতাইকারী।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (গণমাধ্যম) কাজী তারেক আজিজ ও পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সুলাইমান।
ওসি মোহাম্মদ সুলাইমান বলেন, গ্রেপ্তার আসামিদের মধ্যে ফরহাদ ইট–বালুর ব্যবসা করেন। আনিস নগরের একটি কলেজে উচ্চমাধ্যমিকে পড়েন। গ্রেপ্তার কিশোর এসএসসি পাস করেছে কি না, নিশ্চিত হওয়া যায়নি। গ্রেপ্তার তিনজনকে আদালতে পাঠানো হচ্ছে ।
নিহত শাহাদাত নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি থানার পাঁচবাড়িয়া ইউনিয়নের নদনা গ্রামের মিয়াজান ভুঁইয়াবাড়ির মোহাম্মদ হারুনের ছেলে। তবে পরিবার নিয়ে শাহাদাত নগরের কোতোয়ালি থানার বিআরটিসি এলাকার ব্রয়লার কলোনিতে থাকতেন।