বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) সাবেক প্রধান কর্মকর্তা মাসুদ বিশ্বাস এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক শিরীণ আখতারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বুধবার, দুদকের উপ-পরিচালক ও জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মাসুদ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে অভিযোগ:
বিএফআইইউ এর সাবেক প্রধান মাসুদ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, দায়িত্ব পালনের সময় তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ গড়ে তুলেছেন। দুদক জানিয়েছে, মাসুদ বিশ্বাস আর্থিক খাতে দুর্নীতির অভিযোগগুলিকে যথাযথভাবে তদন্ত না করে ব্যক্তিগত সুবিধা লাভের চেষ্টা করেছেন।
অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, তিনি ব্যাংকিং খাতের অনেক গুরুতর অনিয়মকে তদারকির অধীনে না এনে সাধারণ পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনের মাধ্যমে তদন্ত প্রক্রিয়াকে ধামাচাপা দিয়েছেন। উল্লেখযোগ্যভাবে, স্কাই ক্যাপিটাল এয়ারলাইনসের বিমান কেনাকাটা ও এনআরবি কমার্সিয়াল ব্যাংকের চেয়ারম্যান তমাল পারভেজের বিরুদ্ধে আনা প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা লুটপাটের অভিযোগ তদন্তে উপেক্ষিত হয়েছে। এছাড়াও, তিনি তানাকা গ্রুপ, এস.এ. গ্রুপ ও আনোয়ার গ্রুপের মানিলন্ডারিং সংক্রান্ত সুনির্দিষ্ট অভিযোগসমূহ আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে না পাঠিয়ে ব্যক্তিগতভাবে সুবিধা নিয়েছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
মাসুদ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ রয়েছে, তিনি এস আলম গ্রুপ ও ইসলামী ব্যাংক থেকে বিপুল অঙ্কের ঋণ নিয়ে বিদেশে অর্থপাচারে সহযোগিতা করেছেন এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ঘুষ নিয়ে অভিযোগ ধামাচাপা দিয়েছেন।
শিরীণ আখতারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ:
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক শিরীণ আখতারও দুদকের অনুসন্ধানের আওতায় রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, উপাচার্য পদে দায়িত্ব পালনকালে তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার করে নিয়োগ বাণিজ্য, ঘুষ গ্রহণ এবং আর্থিক সুবিধা নেওয়ার মাধ্যমে অনিয়ম করেছেন। অভিযোগে বলা হয়েছে, তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ঘুষের বিনিময়ে নিয়োগ দিয়েছেন এবং বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজনের মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ করেছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ শিরোনামে একটি সেমিনারের জন্য ১৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা খরচ দেখিয়ে এবং বিভিন্ন অনুষ্ঠানের নামে অর্থ আত্মসাৎ করেছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে।
দুদকের অবস্থান:
দুদকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মাসুদ বিশ্বাস ও শিরীণ আখতারের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো প্রাথমিক অনুসন্ধানে প্রমাণিত হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে অনুসন্ধান শুরু করা হচ্ছে। আকতারুল ইসলাম বলেন, এই অভিযোগগুলো প্রমাণিত হলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অন্যদিকে, অধ্যাপক শিরীণ আখতার অভিযোগগুলোকে অস্বীকার করে বলেছেন, আমি সব কাজ আইন ও নিয়ম মেনে করেছি। কোনো ধরনের দুর্নীতি করিনি এবং অভিযোগ থাকলে তা আইনিভাবে মোকাবেলা করব।
এর আগে, কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য সৌমিত্র শেখরের বিরুদ্ধেও দুদক দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।
বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) সাবেক প্রধান কর্মকর্তা মাসুদ বিশ্বাস এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক শিরীণ আখতারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বুধবার, দুদকের উপ-পরিচালক ও জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মাসুদ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে অভিযোগ:
বিএফআইইউ এর সাবেক প্রধান মাসুদ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, দায়িত্ব পালনের সময় তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ গড়ে তুলেছেন। দুদক জানিয়েছে, মাসুদ বিশ্বাস আর্থিক খাতে দুর্নীতির অভিযোগগুলিকে যথাযথভাবে তদন্ত না করে ব্যক্তিগত সুবিধা লাভের চেষ্টা করেছেন।
অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, তিনি ব্যাংকিং খাতের অনেক গুরুতর অনিয়মকে তদারকির অধীনে না এনে সাধারণ পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনের মাধ্যমে তদন্ত প্রক্রিয়াকে ধামাচাপা দিয়েছেন। উল্লেখযোগ্যভাবে, স্কাই ক্যাপিটাল এয়ারলাইনসের বিমান কেনাকাটা ও এনআরবি কমার্সিয়াল ব্যাংকের চেয়ারম্যান তমাল পারভেজের বিরুদ্ধে আনা প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা লুটপাটের অভিযোগ তদন্তে উপেক্ষিত হয়েছে। এছাড়াও, তিনি তানাকা গ্রুপ, এস.এ. গ্রুপ ও আনোয়ার গ্রুপের মানিলন্ডারিং সংক্রান্ত সুনির্দিষ্ট অভিযোগসমূহ আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে না পাঠিয়ে ব্যক্তিগতভাবে সুবিধা নিয়েছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
মাসুদ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ রয়েছে, তিনি এস আলম গ্রুপ ও ইসলামী ব্যাংক থেকে বিপুল অঙ্কের ঋণ নিয়ে বিদেশে অর্থপাচারে সহযোগিতা করেছেন এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ঘুষ নিয়ে অভিযোগ ধামাচাপা দিয়েছেন।
শিরীণ আখতারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ:
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক শিরীণ আখতারও দুদকের অনুসন্ধানের আওতায় রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, উপাচার্য পদে দায়িত্ব পালনকালে তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার করে নিয়োগ বাণিজ্য, ঘুষ গ্রহণ এবং আর্থিক সুবিধা নেওয়ার মাধ্যমে অনিয়ম করেছেন। অভিযোগে বলা হয়েছে, তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ঘুষের বিনিময়ে নিয়োগ দিয়েছেন এবং বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজনের মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ করেছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ শিরোনামে একটি সেমিনারের জন্য ১৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা খরচ দেখিয়ে এবং বিভিন্ন অনুষ্ঠানের নামে অর্থ আত্মসাৎ করেছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে।
দুদকের অবস্থান:
দুদকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মাসুদ বিশ্বাস ও শিরীণ আখতারের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো প্রাথমিক অনুসন্ধানে প্রমাণিত হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে অনুসন্ধান শুরু করা হচ্ছে। আকতারুল ইসলাম বলেন, এই অভিযোগগুলো প্রমাণিত হলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অন্যদিকে, অধ্যাপক শিরীণ আখতার অভিযোগগুলোকে অস্বীকার করে বলেছেন, আমি সব কাজ আইন ও নিয়ম মেনে করেছি। কোনো ধরনের দুর্নীতি করিনি এবং অভিযোগ থাকলে তা আইনিভাবে মোকাবেলা করব।
এর আগে, কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য সৌমিত্র শেখরের বিরুদ্ধেও দুদক দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।