শেখ হাসিনা ও তাঁর ঘনিষ্ঠজনেরা এই দেশকে ফোকলা করেছে বলে মন্তব্য করেছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে অন্তত ১০০ বিলিয়ন ডলার অর্থ পাচার হয়েছে।
আজ শনিবার দুপুরে রাজশাহী নগরের সাহেববাজার জিরো পয়েন্টে জেলা গণসংহতি আন্দোলন আয়োজিত এক নাগরিক গণসংলাপে জোনায়েদ সাকি এ কথা বলেন
জোনায়েদ সাকি বলেন, এই রাষ্ট্র কতিপয়ের ছিল। শেখ হাসিনার এস আলম গ্রুপ একাই ১০ বিলিয়ন ডলার পাচার করেছে। সাত বিলিয়ন তাঁর আরও ঘনিষ্ঠজনেরা পাচার করেছেন। অন্ততপক্ষে ১০০ বিলিয়ন ডলারের বেশি পাচার হয়েছে। এই দেশের অর্থনীতির আকার ৫০০ বিলিয়ন ডলার। সেখানে ১০০ বিলিয়ন ডলার পাচার করা হলে আর কী থাকে। জমি দখল, ব্যবসা-বাণিজ্য দখল, উন্নয়নের নামে লুটপাট, বিদেশে টাকা পাচার এই ছিল ফ্যাসিস্ট সরকার।
জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘পুরো রাষ্ট্রে তারা ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল। আর লুটের ভাগ-বাঁটোয়ারা করেছে। এই ব্যবস্থা টিকিয়ে রেখে তারা মনে করেছিল, এটা তাদের চিরস্থায়ী ব্যবস্থা। তারা ভেবেছিল ছাত্রদেরও দমিয়ে রাখা যাবে। ১৪ জুলাই ছাত্রদের অপমান করল। তাদেরকে রাজাকার বলা হলো। মানুষের জীবনের চেয়ে মানুষের সম্মান বড়। যখন সম্মানে আঘাত লাগে, তখন জীবন দিতে প্রস্তুত থাকে। ছাত্রছাত্রীরা বেরিয়ে এসে জবাব দিয়ে দিয়েছে। ছাত্ররা থেমে থাকেনি। আমাদের তরুণেরা জীবন দিয়েও এই দেশের মর্যাদা রক্ষা করতে পারে, তার প্রমাণ জুলাই গণ-অভ্যুত্থান। শেখ হাসিনা গণহত্যা চালিয়েও তাঁর ক্ষমতা রাখতে পারেননি।’
গণসংহতি আন্দোলনের সংগঠক মহব্বত হোসেন ও নাদিম সিনার সঞ্চালনায় রাজশাহী জেলা গণসংহতি আন্দোলনের আহ্বায়ক মুরাদ মোর্শেদ নাগরিক গণসংলাপে সভাপতিত্ব করেন।
নাগরিক গণসংলাপে আরও বক্তব্য দেন সাংগঠনিক সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য জুলহাসনাইন বাবু, রাজশাহী জেলার সদস্যসচিব জুয়েল রানা, নদীগবেষক ও লেখক মাহবুব সিদ্দিকী, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের রাজশাহী বিভাগীয় সমন্বয়ক মাহমুদ জামান কাদেরী, জাতীয় নদী বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি এনামুল হক প্রমুখ।
শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪
শেখ হাসিনা ও তাঁর ঘনিষ্ঠজনেরা এই দেশকে ফোকলা করেছে বলে মন্তব্য করেছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে অন্তত ১০০ বিলিয়ন ডলার অর্থ পাচার হয়েছে।
আজ শনিবার দুপুরে রাজশাহী নগরের সাহেববাজার জিরো পয়েন্টে জেলা গণসংহতি আন্দোলন আয়োজিত এক নাগরিক গণসংলাপে জোনায়েদ সাকি এ কথা বলেন
জোনায়েদ সাকি বলেন, এই রাষ্ট্র কতিপয়ের ছিল। শেখ হাসিনার এস আলম গ্রুপ একাই ১০ বিলিয়ন ডলার পাচার করেছে। সাত বিলিয়ন তাঁর আরও ঘনিষ্ঠজনেরা পাচার করেছেন। অন্ততপক্ষে ১০০ বিলিয়ন ডলারের বেশি পাচার হয়েছে। এই দেশের অর্থনীতির আকার ৫০০ বিলিয়ন ডলার। সেখানে ১০০ বিলিয়ন ডলার পাচার করা হলে আর কী থাকে। জমি দখল, ব্যবসা-বাণিজ্য দখল, উন্নয়নের নামে লুটপাট, বিদেশে টাকা পাচার এই ছিল ফ্যাসিস্ট সরকার।
জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘পুরো রাষ্ট্রে তারা ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল। আর লুটের ভাগ-বাঁটোয়ারা করেছে। এই ব্যবস্থা টিকিয়ে রেখে তারা মনে করেছিল, এটা তাদের চিরস্থায়ী ব্যবস্থা। তারা ভেবেছিল ছাত্রদেরও দমিয়ে রাখা যাবে। ১৪ জুলাই ছাত্রদের অপমান করল। তাদেরকে রাজাকার বলা হলো। মানুষের জীবনের চেয়ে মানুষের সম্মান বড়। যখন সম্মানে আঘাত লাগে, তখন জীবন দিতে প্রস্তুত থাকে। ছাত্রছাত্রীরা বেরিয়ে এসে জবাব দিয়ে দিয়েছে। ছাত্ররা থেমে থাকেনি। আমাদের তরুণেরা জীবন দিয়েও এই দেশের মর্যাদা রক্ষা করতে পারে, তার প্রমাণ জুলাই গণ-অভ্যুত্থান। শেখ হাসিনা গণহত্যা চালিয়েও তাঁর ক্ষমতা রাখতে পারেননি।’
গণসংহতি আন্দোলনের সংগঠক মহব্বত হোসেন ও নাদিম সিনার সঞ্চালনায় রাজশাহী জেলা গণসংহতি আন্দোলনের আহ্বায়ক মুরাদ মোর্শেদ নাগরিক গণসংলাপে সভাপতিত্ব করেন।
নাগরিক গণসংলাপে আরও বক্তব্য দেন সাংগঠনিক সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য জুলহাসনাইন বাবু, রাজশাহী জেলার সদস্যসচিব জুয়েল রানা, নদীগবেষক ও লেখক মাহবুব সিদ্দিকী, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের রাজশাহী বিভাগীয় সমন্বয়ক মাহমুদ জামান কাদেরী, জাতীয় নদী বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি এনামুল হক প্রমুখ।