মায়ানমারের রাখাইন রাজ্যে চলমান যুদ্ধে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি (এএ) মংডু শহরের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। এর ফলে বাংলাদেশ-মায়ানমারের প্রায় ২৭০ কিলোমিটার সীমান্তের পুরো এলাকাই বিদ্রোহীদের দখলে চলে গেছে।
আরাকান আর্মি জান্তা বাহিনীর শেষ সীমান্ত ঘাঁটি বিজিপি-৫ ব্যাটালিয়নও দখলে নিয়েছে। এই ব্যাটালিয়নটি মংডু শহরের বাইরে অবস্থিত ছিল। দীর্ঘ কয়েক মাস ধরে চলা তীব্র লড়াইয়ের পর গত রোববার এই ঘাঁটি দখল হয়। ভিডিওতে দেখা যায়, আরাকান আর্মির যোদ্ধারা ঘাঁটিতে তীব্র গুলি বর্ষণ করছে এবং পাল্টা হামলা চালাচ্ছে বিমান বাহিনীও।
২০২১ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকেই মায়ানমারে ভয়াবহ গৃহযুদ্ধ চলছে। গত আট মাস ধরে জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করছে আরাকান আর্মি। নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের মতে, কিছু রোহিঙ্গা গোষ্ঠী যেমন আরাকান রোহিঙ্গা আর্মি (এআরএ) ও আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা) জান্তার পক্ষে ছিল, কিন্তু তারা আরাকান আর্মির হামলার মুখে পিছু হটেছে।
বিজিপি-৫ ক্যাম্পটি ছিল মায়ো থু গি নামের একটি মুসলিম রোহিঙ্গা গ্রামে, যা ২০১৭ সালে সেনাবাহিনীর অভিযানে ধ্বংস হয়েছিল। মংডুর দখল নিয়ে বিদ্রোহীদের দাবি, লড়াইয়ে ৪৫০ জনের বেশি সেনা নিহত হয়েছে।
মংডুর পরিস্থিতি ভয়াবহ। শহরের ৮০ শতাংশেরও বেশি বাড়িঘর ধ্বংস হয়ে গেছে। অনেক রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে বাধ্য হয়েছেন। সাম্প্রতিক লড়াইয়ে আরাকান আর্মির কাছে জান্তার একের পর এক শহর ও ঘাঁটি হারানোর ঘটনা সামরিক নেতা মিন অং হ্লাইংয়ের জন্য বড় পরাজয় হিসেবে দেখা হচ্ছে।
রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ভবিষ্যৎ এখন অনিশ্চিত। একদিকে জান্তা সরকার তাদের নাগরিকত্ব দিতে অনীহা প্রকাশ করছে, অন্যদিকে রাখাইন জনগোষ্ঠীও রোহিঙ্গাদের এই অঞ্চলে দেখতে চায় না।
শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪
মায়ানমারের রাখাইন রাজ্যে চলমান যুদ্ধে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি (এএ) মংডু শহরের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। এর ফলে বাংলাদেশ-মায়ানমারের প্রায় ২৭০ কিলোমিটার সীমান্তের পুরো এলাকাই বিদ্রোহীদের দখলে চলে গেছে।
আরাকান আর্মি জান্তা বাহিনীর শেষ সীমান্ত ঘাঁটি বিজিপি-৫ ব্যাটালিয়নও দখলে নিয়েছে। এই ব্যাটালিয়নটি মংডু শহরের বাইরে অবস্থিত ছিল। দীর্ঘ কয়েক মাস ধরে চলা তীব্র লড়াইয়ের পর গত রোববার এই ঘাঁটি দখল হয়। ভিডিওতে দেখা যায়, আরাকান আর্মির যোদ্ধারা ঘাঁটিতে তীব্র গুলি বর্ষণ করছে এবং পাল্টা হামলা চালাচ্ছে বিমান বাহিনীও।
২০২১ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকেই মায়ানমারে ভয়াবহ গৃহযুদ্ধ চলছে। গত আট মাস ধরে জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করছে আরাকান আর্মি। নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের মতে, কিছু রোহিঙ্গা গোষ্ঠী যেমন আরাকান রোহিঙ্গা আর্মি (এআরএ) ও আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা) জান্তার পক্ষে ছিল, কিন্তু তারা আরাকান আর্মির হামলার মুখে পিছু হটেছে।
বিজিপি-৫ ক্যাম্পটি ছিল মায়ো থু গি নামের একটি মুসলিম রোহিঙ্গা গ্রামে, যা ২০১৭ সালে সেনাবাহিনীর অভিযানে ধ্বংস হয়েছিল। মংডুর দখল নিয়ে বিদ্রোহীদের দাবি, লড়াইয়ে ৪৫০ জনের বেশি সেনা নিহত হয়েছে।
মংডুর পরিস্থিতি ভয়াবহ। শহরের ৮০ শতাংশেরও বেশি বাড়িঘর ধ্বংস হয়ে গেছে। অনেক রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে বাধ্য হয়েছেন। সাম্প্রতিক লড়াইয়ে আরাকান আর্মির কাছে জান্তার একের পর এক শহর ও ঘাঁটি হারানোর ঘটনা সামরিক নেতা মিন অং হ্লাইংয়ের জন্য বড় পরাজয় হিসেবে দেখা হচ্ছে।
রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ভবিষ্যৎ এখন অনিশ্চিত। একদিকে জান্তা সরকার তাদের নাগরিকত্ব দিতে অনীহা প্রকাশ করছে, অন্যদিকে রাখাইন জনগোষ্ঠীও রোহিঙ্গাদের এই অঞ্চলে দেখতে চায় না।