কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে ১৯ শতাংশ জমির প্রায় ২০০টি কলাগাছ ও অর্ধশতাধিক পেঁপে গাছ কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। গত শুক্রবার দিবাগত রাতে উপজেলার সদকী ইউনিয়নের মহিষাখোলা গ্রামে ঘটে এ ঘটনা। এছাড়াও এসময় জমিতে ঘেরা দেওয়া সিমেন্টের খণ্ডটি ভাঙচুর ও জাল ছিড়ে ফেলারও অভিযোগ উঠেছে। এতে প্রায় দেড় লাখ টাকার ক্ষতির দাবি তুলে গত শনিবার সকালে কুমারখালী থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন এক ভুক্তভোগী। দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে থানা পুলিশ।

পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, প্রায় আট মাস আগে সদকী ইউনিয়নের নিশ্চিন্তপুর গ্রামের শাম্মী আরা’র কাছ থেকে মহিষাখোলা মৌজার ১২ শতাংশ জমি কিনেছেন সদকী চরপাড়া এলাকার শাজাহান শেখের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম এবং ৭ দশমিক ৮৭ শতাংশ জমি কিনেছেন মহিষাখোলা গ্রামের কাদের প্রামাণিকের ছেলে হান্নান হোসেন সাগর।

প্রতি শতাংশ জমি কেনা হয়েছে প্রায় ৯০ হাজার টাকা দরে। জমি ক্রয়ের পর তারা সেখান সিমেন্টের খুঁটি ও জাল দিয়ে ঘেরা দেন এবং কলা, পেঁপে, সুপারি, আমসহ বিভিন্ন গাছের চারা রোপন করেন। সম্প্রতি কলা ও পেঁপে গাছে ফল ধরতে শুরু করেছে। গত শুক্রবার রাতে দুর্বৃত্তরা সেখানকার প্রায় ২০০ টি কলা ও অর্ধশতাধিক পেঁপে গাছ কেটে দিয়েছেন। এ ছাড়াও বেশকিছু ঘেরার সিমেন্টের খুঁটি ও জাল ছিড়ে ফেলা হয়েছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করছে পুলিশ।

এ সময় থানায় লিখিত অভিযোগকারী জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আট মাস আগে শাম্মী আরার কাছ থেকে ১২ শতক জমি কিনেছি। সেসময় একবার দুর্বৃত্তরা খুঁটি ও বেড়া ভেঙে দিয়েছিল একবার। আবার গত শুক্রবার রাত ১১ টার দিকে কে বা কারা কলা ও পেঁপে গাছ কেটে দিয়েছে। এতে প্রায় দেড় লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। সঠিক বিচারের আশায় থানায় অভিযোগ দিয়েছি।

আরেক ভুক্তভোগী হান্নান হোসেন বলেন, জমি কেনার পর থেকেই স্থানীয় জামাল প্রামাণিক, কালাম, আলাউদ্দিসহ বেশ কয়েকজন ঈদগাহ মাঠ করার কথা বলে জমি দখলের পাঁয়তারা করছিল। তাঁর ভাষ্য, গতকাল রাতে ওরাই ২০০টি কলা ও অর্ধশতাধিক পেঁপে গাছ কাটেছে।

জানা গেছে, ওই জমির সামনেই অভিযুক্ত জামাল প্রামাণিক মুদিখানার দোকান। জানতে চাইলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে ফোনে বলেন, সকালে দোকানে গিয়ে দেখি গাছ কাটা। কিন্তু কারা কাটেছে তা জানিনা। তবে ওই জমিতে এলাকাবাসী ঈদগাহ মাঠ করতে চেয়েছিল। কুমারখালী থানার ওসি মো. সোলায়মান শেখ বলেন, লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। তদন্ত সাপক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।