এপ্রিল মাসেই আত্মহত্যা করেছেন ৩৫ জন
এনজিওর কিস্তি দিতে পারেননি বাবা জহুরুল ইসলাম (৫৫)। বেসরকারি সংস্থার আরআরএফ এনজিও দুই ক্রেডিট অফিসার তাই জহুরুলের সদ্য বিবাহিত মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে তাকে অপমান করেন। ডেকে আনেন অফিসে। সেখানে কিস্তি দিতে দুইদিন সময় চেয়েছিলেন জহুরুল। কিন্তু সেই সময় তাকে দেওয়া হয়নি। তখন এনজিও অফিসেই বিষপান করেছেন তিনি। জহুরুল এখন মৃত্যুর মুখে রামেক হাসপাতালে। তার বাড়ি রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার বিড়ালদহ নয়াপাড়া গ্রামে। ২৯ এপ্রিল দুপুরে পুঠিয়ার বানেশ্বর এলাকায় র্যুরাল রিকনস্ট্রাকশন ফাউন্ডেশনের (আরআরএফ) শাখা কার্যালয়ের ভেতরেই তিনি বিষপান করেন। চিকিৎসক বলছেন, তার শরীরিক অবস্থা ভালো নয়।
চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দাম্পত্য কলহ, সংসারে অভাব-অনটন, পরকীয়া এবং যুবক-যুবতীদের পছন্দমতো বিয়ে না হওয়া, ঋণগ্রস্ত হয়ে যাওয়া, আত্মধারণা বা আত্মবিশ্লেষণের ঘাটতির কারণে বাড়ছে আত্মহত্যার ঘটনা। শুধু ১৫ থেকে ৩৫ বছরই না এর সঙ্গে এখন বয়োজ্যেষ্ঠরাও আত্মহনন করছেন।
আর্থসামাজিক অবস্থার পরিবর্তনের কারণে আত্মহত্যার প্রবণতা বাড়ছে বলে সংশ্লিষ্টরা ধারণা করছেন। পারিবারিক সম্পর্কগুলোর পারস্পরিক অবস্থান দুর্বল হয়ে পড়েছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, আত্মহত্যা কমাতে নারীর ক্ষমতায়ন, সম্পদে তার অধিকার নিশ্চিত করা, ঋণ গ্রহণ ও পরিশোধে সহজ শর্ত আরোপ, সকল হাসপাতালে মনোরোগ বিশেষজ্ঞ দ্বারা কাউন্সিলিং চালুর ব্যবস্থা করা প্রয়োজন।
মাদার বখ্শ্ গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের মনোবিজ্ঞানের সহকারী অধ্যাপক আকতার বানুর বলেন, প্রাতিষ্ঠানিকভাবে মানসিক স্বাস্থ্য দেখভাল করার বিষয়টি জরুরি হয়ে পড়েছে। এছাড়াও পারিবারের সদস্যদের সহায়তা, প্রশাসনের সহায়তা এবং মানসিক রোগকে রোগ হিসেবে মেনে নেয়ার প্রবণতা গড়ে তুলতে হবে।
বয়োবৃদ্ধ থেকে শুরু করে কিশোর-কিশোরী কিংবা তরুণ-যুবক-যুবতী কেউই বাদ যাচ্ছে না। এপ্রিলে রাজশাহী অঞ্চলে আত্মহনন করেছেন ৩৫ জন। তবে এর বাইরেও আরও অনেকে আত্মহত্যা করছেন যেগুলো পুলিশের তালিকায় নাই।
রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার যোগীপাড়া ইউনিয়নের এক কলেজছাত্রী শুক্রবার রাতে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। ওই ছাত্রীর নাম বিলকিস নাহার (২৬)। তিনি রাজশাহীর বাগমারা যোগিপাড়া ইউনিয়নের ভাগনদী গ্রামের বজলুর রহমানের মেয়ে। পাশের গ্রাম কাতিলায় নানার বাড়িতে থেকে লেখাপড়া করতেন। গতকাল শনিবার সকালে নানার বাড়ি থেকে পুলিশ তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে। তিনি অবিবাহিত ছিলেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিলকিস নাহার দীর্ঘদিন থেকে নানার বাড়িতে বসবাস করছিলেন। সেখান থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পাশ করার পর রাজশাহীর কলেজে মাস্টার্সে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হন। তবে তিনি নানার বাড়িতেই অবস্থান করতেন। শুক্রবার গভীর রাতে ঘর থেকে বেরিয়ে বারান্দার বাঁশের তীরের সঙ্গে রশি পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন। গতকাল শনিবার সকালে স্থানীয় যোগীপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে জানানো হয়।
যোগীপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পরিদর্শক আবদুল করিম বলেন, বিলকিস নাহার মানসিক ও শারীরিকভাবে অসুস্থ ছিলেন। পুলিশ ওই ছাত্রীর ঘর থেকে চিকিৎসকের কিছু ব্যবস্থাপত্র উদ্ধার করেছে। এ বিষয়ে বাগমারা থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের হয়েছে?
গত ১৪ এপ্রিল পয়লা বৈশাখের দিন রাজশাহীর নন্দনগাছি স্টেশনে ষাটোর্ধ রুহুল আমিন ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেন। সেই ভিডিও ভাইরাল হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। পরিবার থেকে জানানো হয়, ঋণের বোঝা সইতে না পেরে তার এমন সিদ্ধান্ত। একইভাবে ২০২৪ সালের জুনে পুঠিয়ার তরুণী রেমীর আত্মহত্যার ভিডিও তখন দেশজুড়ে আলোচনার সৃষ্টি করে।
হাসপাতালের তথ্য ও গণমাধ্যমের খবর বিশ্লেষন করে দেখা গেছে, রাজশাহীতে চলতি বছর উল্যেখযোগ্য হারে বেড়েছে আত্মহত্যার সংখ্যা।
এর মধ্যে রয়েছে- ১১ জানুয়ারি রুয়েট শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান, ১১ ফেব্রুয়ারি পুলিশের এএসআই আমিনুল ইসলাম, ২১ ফেব্রুয়ারি রাবি শিক্ষার্থী সিফাতুল্লাহ, ১ মার্চ দুর্গাপুরে দুজন গৃহবধূ বিষপান করেন। চেষ্টা করেন আরও ৬ জন, ৬ এপ্রিল ৮ তলা ভবন থেকে লাফিয়ে আত্মহত্যা করেন বুয়েটের সাবেক শিক্ষার্থী ও আমেরিকা প্রবাসী ফারিহা নাজনীন, ২০ এপ্রিল পুলিশের কনস্টেবল মাসুদ রানা।
হাসপাতালটির মুখপাত্র বলছেন, শুধু এপ্রিল মাসেই তারা এই ধরণের মরদেহ বা মৃত্যুর ঘটনা পেয়েছেন ৩৫টি। এর বাইরেও রয়েছে আরও বড় সংখ্যক অংশ যারা পুলিশি তদন্তের বাইরে।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল জরুরি বিভাগের ইনচার্জ ডা. শংকর কে বিশ্বাসের বলেন, রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মর্গে প্রায় প্রতিদিনই বিভাগের বিভিন্ন জেলা থেকে আত্মহত্যার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য আসছে।
এ ব্যাপারে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মানসিক বিভাগের বিভাগীয় প্রধান (অবসরপ্রাপ্ত ) ডা. মামুন,হোসাইন বলেন, বিষন্ন যখন গভীর নৈরাশ্য হয় তখন আত্মহত্যার প্রবনতা বেড়ে যায়। এছাড়াও সমাজের মধ্যে ভাংচুর, অস্থিতিশীলতা, পরিবারের অশান্তিসহ বিভিন্ন কারনে মানুষ যখন নিজের প্রতি আস্থা রাখতে পারে না, তখন তাদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবনতা দেখা দেয়। তিনি বলেন সমাজে গভীর বৈষম্য সৃষ্টি হচ্ছে।
আত্নহত্যা ও আত্নহত্যার চেষ্টা সংখ্যা একটু প্রাপ্তবয়ষ্কদের ক্ষেত্রে তাদের আবেগ বেশি থাকে। আরেকটু বেশি বয়সের ক্ষেত্রে মানুষজন ডিপ্রেশন বা বিষন্নতায় ভোগেযেমন ধনী- গরিবের পার্থক্য। এছাড়াও আমাদের সমাজে এখন অন্যেকে অনুকরণ করার প্রতিযোগিতায় প্রায় সবাই ব্যাস্ত । যখন এই প্রতিযোগিতায় পেরে উঠতে পারছেনা তখন এর থেকে অপরাধ, অভিমান অতি আবেগসহ আরো অনান্য মানসিক সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে । সামাজিক যে সব ব্যাধি মানুষকে পীড়া দেয় সেগুলো আগে রোধ করতে হবে । এছাড়াও সামাজিক বিভিন্ন সমস্যাও দুর করতে হবে।
এপ্রিল মাসেই আত্মহত্যা করেছেন ৩৫ জন
রোববার, ১১ মে ২০২৫
এনজিওর কিস্তি দিতে পারেননি বাবা জহুরুল ইসলাম (৫৫)। বেসরকারি সংস্থার আরআরএফ এনজিও দুই ক্রেডিট অফিসার তাই জহুরুলের সদ্য বিবাহিত মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে তাকে অপমান করেন। ডেকে আনেন অফিসে। সেখানে কিস্তি দিতে দুইদিন সময় চেয়েছিলেন জহুরুল। কিন্তু সেই সময় তাকে দেওয়া হয়নি। তখন এনজিও অফিসেই বিষপান করেছেন তিনি। জহুরুল এখন মৃত্যুর মুখে রামেক হাসপাতালে। তার বাড়ি রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার বিড়ালদহ নয়াপাড়া গ্রামে। ২৯ এপ্রিল দুপুরে পুঠিয়ার বানেশ্বর এলাকায় র্যুরাল রিকনস্ট্রাকশন ফাউন্ডেশনের (আরআরএফ) শাখা কার্যালয়ের ভেতরেই তিনি বিষপান করেন। চিকিৎসক বলছেন, তার শরীরিক অবস্থা ভালো নয়।
চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দাম্পত্য কলহ, সংসারে অভাব-অনটন, পরকীয়া এবং যুবক-যুবতীদের পছন্দমতো বিয়ে না হওয়া, ঋণগ্রস্ত হয়ে যাওয়া, আত্মধারণা বা আত্মবিশ্লেষণের ঘাটতির কারণে বাড়ছে আত্মহত্যার ঘটনা। শুধু ১৫ থেকে ৩৫ বছরই না এর সঙ্গে এখন বয়োজ্যেষ্ঠরাও আত্মহনন করছেন।
আর্থসামাজিক অবস্থার পরিবর্তনের কারণে আত্মহত্যার প্রবণতা বাড়ছে বলে সংশ্লিষ্টরা ধারণা করছেন। পারিবারিক সম্পর্কগুলোর পারস্পরিক অবস্থান দুর্বল হয়ে পড়েছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, আত্মহত্যা কমাতে নারীর ক্ষমতায়ন, সম্পদে তার অধিকার নিশ্চিত করা, ঋণ গ্রহণ ও পরিশোধে সহজ শর্ত আরোপ, সকল হাসপাতালে মনোরোগ বিশেষজ্ঞ দ্বারা কাউন্সিলিং চালুর ব্যবস্থা করা প্রয়োজন।
মাদার বখ্শ্ গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের মনোবিজ্ঞানের সহকারী অধ্যাপক আকতার বানুর বলেন, প্রাতিষ্ঠানিকভাবে মানসিক স্বাস্থ্য দেখভাল করার বিষয়টি জরুরি হয়ে পড়েছে। এছাড়াও পারিবারের সদস্যদের সহায়তা, প্রশাসনের সহায়তা এবং মানসিক রোগকে রোগ হিসেবে মেনে নেয়ার প্রবণতা গড়ে তুলতে হবে।
বয়োবৃদ্ধ থেকে শুরু করে কিশোর-কিশোরী কিংবা তরুণ-যুবক-যুবতী কেউই বাদ যাচ্ছে না। এপ্রিলে রাজশাহী অঞ্চলে আত্মহনন করেছেন ৩৫ জন। তবে এর বাইরেও আরও অনেকে আত্মহত্যা করছেন যেগুলো পুলিশের তালিকায় নাই।
রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার যোগীপাড়া ইউনিয়নের এক কলেজছাত্রী শুক্রবার রাতে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। ওই ছাত্রীর নাম বিলকিস নাহার (২৬)। তিনি রাজশাহীর বাগমারা যোগিপাড়া ইউনিয়নের ভাগনদী গ্রামের বজলুর রহমানের মেয়ে। পাশের গ্রাম কাতিলায় নানার বাড়িতে থেকে লেখাপড়া করতেন। গতকাল শনিবার সকালে নানার বাড়ি থেকে পুলিশ তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে। তিনি অবিবাহিত ছিলেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিলকিস নাহার দীর্ঘদিন থেকে নানার বাড়িতে বসবাস করছিলেন। সেখান থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পাশ করার পর রাজশাহীর কলেজে মাস্টার্সে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হন। তবে তিনি নানার বাড়িতেই অবস্থান করতেন। শুক্রবার গভীর রাতে ঘর থেকে বেরিয়ে বারান্দার বাঁশের তীরের সঙ্গে রশি পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন। গতকাল শনিবার সকালে স্থানীয় যোগীপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে জানানো হয়।
যোগীপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পরিদর্শক আবদুল করিম বলেন, বিলকিস নাহার মানসিক ও শারীরিকভাবে অসুস্থ ছিলেন। পুলিশ ওই ছাত্রীর ঘর থেকে চিকিৎসকের কিছু ব্যবস্থাপত্র উদ্ধার করেছে। এ বিষয়ে বাগমারা থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের হয়েছে?
গত ১৪ এপ্রিল পয়লা বৈশাখের দিন রাজশাহীর নন্দনগাছি স্টেশনে ষাটোর্ধ রুহুল আমিন ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেন। সেই ভিডিও ভাইরাল হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। পরিবার থেকে জানানো হয়, ঋণের বোঝা সইতে না পেরে তার এমন সিদ্ধান্ত। একইভাবে ২০২৪ সালের জুনে পুঠিয়ার তরুণী রেমীর আত্মহত্যার ভিডিও তখন দেশজুড়ে আলোচনার সৃষ্টি করে।
হাসপাতালের তথ্য ও গণমাধ্যমের খবর বিশ্লেষন করে দেখা গেছে, রাজশাহীতে চলতি বছর উল্যেখযোগ্য হারে বেড়েছে আত্মহত্যার সংখ্যা।
এর মধ্যে রয়েছে- ১১ জানুয়ারি রুয়েট শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান, ১১ ফেব্রুয়ারি পুলিশের এএসআই আমিনুল ইসলাম, ২১ ফেব্রুয়ারি রাবি শিক্ষার্থী সিফাতুল্লাহ, ১ মার্চ দুর্গাপুরে দুজন গৃহবধূ বিষপান করেন। চেষ্টা করেন আরও ৬ জন, ৬ এপ্রিল ৮ তলা ভবন থেকে লাফিয়ে আত্মহত্যা করেন বুয়েটের সাবেক শিক্ষার্থী ও আমেরিকা প্রবাসী ফারিহা নাজনীন, ২০ এপ্রিল পুলিশের কনস্টেবল মাসুদ রানা।
হাসপাতালটির মুখপাত্র বলছেন, শুধু এপ্রিল মাসেই তারা এই ধরণের মরদেহ বা মৃত্যুর ঘটনা পেয়েছেন ৩৫টি। এর বাইরেও রয়েছে আরও বড় সংখ্যক অংশ যারা পুলিশি তদন্তের বাইরে।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল জরুরি বিভাগের ইনচার্জ ডা. শংকর কে বিশ্বাসের বলেন, রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মর্গে প্রায় প্রতিদিনই বিভাগের বিভিন্ন জেলা থেকে আত্মহত্যার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য আসছে।
এ ব্যাপারে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মানসিক বিভাগের বিভাগীয় প্রধান (অবসরপ্রাপ্ত ) ডা. মামুন,হোসাইন বলেন, বিষন্ন যখন গভীর নৈরাশ্য হয় তখন আত্মহত্যার প্রবনতা বেড়ে যায়। এছাড়াও সমাজের মধ্যে ভাংচুর, অস্থিতিশীলতা, পরিবারের অশান্তিসহ বিভিন্ন কারনে মানুষ যখন নিজের প্রতি আস্থা রাখতে পারে না, তখন তাদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবনতা দেখা দেয়। তিনি বলেন সমাজে গভীর বৈষম্য সৃষ্টি হচ্ছে।
আত্নহত্যা ও আত্নহত্যার চেষ্টা সংখ্যা একটু প্রাপ্তবয়ষ্কদের ক্ষেত্রে তাদের আবেগ বেশি থাকে। আরেকটু বেশি বয়সের ক্ষেত্রে মানুষজন ডিপ্রেশন বা বিষন্নতায় ভোগেযেমন ধনী- গরিবের পার্থক্য। এছাড়াও আমাদের সমাজে এখন অন্যেকে অনুকরণ করার প্রতিযোগিতায় প্রায় সবাই ব্যাস্ত । যখন এই প্রতিযোগিতায় পেরে উঠতে পারছেনা তখন এর থেকে অপরাধ, অভিমান অতি আবেগসহ আরো অনান্য মানসিক সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে । সামাজিক যে সব ব্যাধি মানুষকে পীড়া দেয় সেগুলো আগে রোধ করতে হবে । এছাড়াও সামাজিক বিভিন্ন সমস্যাও দুর করতে হবে।