উল্লাপাড়া (সিরাজগঞ্জ) : ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মাঝে গরু বিতরণ -সংবাদ
সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলায় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের মাঝে গরু বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। তালিকায় নাম থাকা সত্ত্বেও গরু পাননি ভুক্তভোগী সবিতা রানী ও ক্ষিতীশ তির্কী। কে বা কারা তাদের নামে বরাদ্দ পাওয়া অনুদানের গরু তুলে নিয়েছে—তা এখনো স্পষ্ট নয়। অভিযোগ করেও তারা প্রতিকার পাচ্ছেন না উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতাল থেকে।
তালম ইউনিয়নের মানিকচাপড় গ্রামের আরেক ভুক্তভোগী ক্ষিতীশ তির্কী বলেন, “তালিকার যাবতীয় তথ্য আমার দেওয়া। কিন্তু মোবাইল নম্বরটা আমার না। আমাকে গরু বিতরণ সম্পর্কে কিছুই জানানো হয়নি। পরে জানতে পারি, আমার বরাদ্দকৃত গরু অন্য কেউ নিয়ে গেছে
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, স্থানীয় বিএনপি নেতৃবৃন্দ আমাদের সুফলভোগীদের তালিকা দিয়েছেন। আমরা সে অনুযায়ী গরু বিতরণ করেছি। এখন দেখা যাচ্ছে তালিকাভুক্ত দুইজন সুফলভোগী গরু পাননি। এর দায় সংশ্লিষ্টদেরও নিতে হবে।
মাধাইনগর ইউনিয়নের ক্ষিরপোতা গ্রামের বাসুদেব সরকারের স্ত্রী সবিতা রানী বলেন, তালিকায় আমার জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর ব্যবহার করা হলেও, নাম দেওয়া হয়েছে সনজিতা রানী। আমার স্বামীর নাম বাসুদেব সরকারের জায়গায় দেওয়া হয়েছে দেবাসিস সরকার। এমনকি মোবাইল নম্বরও অন্য কারও। অথচ আমাদের গ্রামে এমন নামের কেউ নেই। ভুয়া তথ্য ব্যবহার করে গরু তুলে নেওয়া হয়েছে।
সবিতা রানীর স্বামী বাসুদেব সরকার বলেন, বিতরণের আগের রাত পর্যন্ত তালিকায় আমাদের সঠিক নাম ছিল। সকালে গরু আনতে গিয়ে দেখি, নাম পাল্টে দেওয়া হয়েছে। শুধু আমার স্ত্রীর জাতীয় পরিচয়পত্র ঠিক আছে। সরকারি ছুটি চলছে, সোমবার লিখিত অভিযোগ করব।
তালম ইউনিয়নের মানিকচাপড় গ্রামের আরেক ভুক্তভোগী ক্ষিতীশ তির্কী বলেন, “তালিকার যাবতীয় তথ্য আমার দেওয়া। কিন্তু মোবাইল নম্বরটা আমার না। আমাকে গরু বিতরণ সম্পর্কে কিছুই জানানো হয়নি। পরে জানতে পারি, আমার বরাদ্দকৃত গরু অন্য কেউ নিয়ে গেছে।”
প্রাণিসম্পদ দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, সমতল ভূমিতে বসবাসরত অনগ্রসর ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে সমন্বিত প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় গত ৩০ এপ্রিল (বুধবার) ৯০ জন সুফলভোগীর মাঝে বকনা বাছুর বিতরণ করা হয়।
গরু না পাওয়ার অভিযোগ করেছেন আরও কয়েকজন। রতন কুমার সিং নামের একজন সুফলভোগী প্রথমে গরু না পাওয়ার অভিযোগ করেন। প্রতিবেদকের হস্তক্ষেপে তাকে পরবর্তীতে গরু প্রদান করা হয়। তারা রানীথ নামের দুজন তালিকায় থাকলেও একজন গরু পেয়েছেন, অন্যজন পাননি বলে অভিযোগ করেছেন।
শনিবার সকালে প্রতিবেদক সরেজমিনে সবিতা রানী ও ক্ষিতীশ তির্কীর বাড়িতে যান এবং তাদের বাড়িতে অনুদানের গরু নেই এটা নিশ্চিত হন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নুরুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি দুঃখজনক। কারা এই অনিয়ম করেছে তা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির উপদেষ্টা খন্দকার সেলিম জাহাঙ্গীর বলেন, তাড়াশ উপজেলায় কিছু নেতা আগেও অনৈতিক কর্মকা-ে জড়িত ছিলেন, এখনো আছেন। এতে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হচ্ছে। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, তাদের বিরুদ্ধে নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করছি। দলীয় পরিচয় ব্যবহার করে কেউ অনৈতিক কাজ করলে তার কোনো ছাড় নেই।
উল্লাপাড়া (সিরাজগঞ্জ) : ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মাঝে গরু বিতরণ -সংবাদ
রোববার, ১১ মে ২০২৫
সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলায় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের মাঝে গরু বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। তালিকায় নাম থাকা সত্ত্বেও গরু পাননি ভুক্তভোগী সবিতা রানী ও ক্ষিতীশ তির্কী। কে বা কারা তাদের নামে বরাদ্দ পাওয়া অনুদানের গরু তুলে নিয়েছে—তা এখনো স্পষ্ট নয়। অভিযোগ করেও তারা প্রতিকার পাচ্ছেন না উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতাল থেকে।
তালম ইউনিয়নের মানিকচাপড় গ্রামের আরেক ভুক্তভোগী ক্ষিতীশ তির্কী বলেন, “তালিকার যাবতীয় তথ্য আমার দেওয়া। কিন্তু মোবাইল নম্বরটা আমার না। আমাকে গরু বিতরণ সম্পর্কে কিছুই জানানো হয়নি। পরে জানতে পারি, আমার বরাদ্দকৃত গরু অন্য কেউ নিয়ে গেছে
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, স্থানীয় বিএনপি নেতৃবৃন্দ আমাদের সুফলভোগীদের তালিকা দিয়েছেন। আমরা সে অনুযায়ী গরু বিতরণ করেছি। এখন দেখা যাচ্ছে তালিকাভুক্ত দুইজন সুফলভোগী গরু পাননি। এর দায় সংশ্লিষ্টদেরও নিতে হবে।
মাধাইনগর ইউনিয়নের ক্ষিরপোতা গ্রামের বাসুদেব সরকারের স্ত্রী সবিতা রানী বলেন, তালিকায় আমার জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর ব্যবহার করা হলেও, নাম দেওয়া হয়েছে সনজিতা রানী। আমার স্বামীর নাম বাসুদেব সরকারের জায়গায় দেওয়া হয়েছে দেবাসিস সরকার। এমনকি মোবাইল নম্বরও অন্য কারও। অথচ আমাদের গ্রামে এমন নামের কেউ নেই। ভুয়া তথ্য ব্যবহার করে গরু তুলে নেওয়া হয়েছে।
সবিতা রানীর স্বামী বাসুদেব সরকার বলেন, বিতরণের আগের রাত পর্যন্ত তালিকায় আমাদের সঠিক নাম ছিল। সকালে গরু আনতে গিয়ে দেখি, নাম পাল্টে দেওয়া হয়েছে। শুধু আমার স্ত্রীর জাতীয় পরিচয়পত্র ঠিক আছে। সরকারি ছুটি চলছে, সোমবার লিখিত অভিযোগ করব।
তালম ইউনিয়নের মানিকচাপড় গ্রামের আরেক ভুক্তভোগী ক্ষিতীশ তির্কী বলেন, “তালিকার যাবতীয় তথ্য আমার দেওয়া। কিন্তু মোবাইল নম্বরটা আমার না। আমাকে গরু বিতরণ সম্পর্কে কিছুই জানানো হয়নি। পরে জানতে পারি, আমার বরাদ্দকৃত গরু অন্য কেউ নিয়ে গেছে।”
প্রাণিসম্পদ দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, সমতল ভূমিতে বসবাসরত অনগ্রসর ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে সমন্বিত প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় গত ৩০ এপ্রিল (বুধবার) ৯০ জন সুফলভোগীর মাঝে বকনা বাছুর বিতরণ করা হয়।
গরু না পাওয়ার অভিযোগ করেছেন আরও কয়েকজন। রতন কুমার সিং নামের একজন সুফলভোগী প্রথমে গরু না পাওয়ার অভিযোগ করেন। প্রতিবেদকের হস্তক্ষেপে তাকে পরবর্তীতে গরু প্রদান করা হয়। তারা রানীথ নামের দুজন তালিকায় থাকলেও একজন গরু পেয়েছেন, অন্যজন পাননি বলে অভিযোগ করেছেন।
শনিবার সকালে প্রতিবেদক সরেজমিনে সবিতা রানী ও ক্ষিতীশ তির্কীর বাড়িতে যান এবং তাদের বাড়িতে অনুদানের গরু নেই এটা নিশ্চিত হন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নুরুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি দুঃখজনক। কারা এই অনিয়ম করেছে তা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির উপদেষ্টা খন্দকার সেলিম জাহাঙ্গীর বলেন, তাড়াশ উপজেলায় কিছু নেতা আগেও অনৈতিক কর্মকা-ে জড়িত ছিলেন, এখনো আছেন। এতে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হচ্ছে। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, তাদের বিরুদ্ধে নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করছি। দলীয় পরিচয় ব্যবহার করে কেউ অনৈতিক কাজ করলে তার কোনো ছাড় নেই।