উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার যমুনা সেতুর পশ্চিম সংযোগ মহাসড়কে সরকারি বিধি নিষেধ না মেনে অবাধে চলছে তিন চাকার সিএনজি, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, নছিমন-করিমন, ভটভটিসহ ধীরগতির যানবাহন যার ফলে প্রতিনিয়তই ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। এসব দুর্ঘটনায় ঘটছে প্রাণহানি। অবৈধ এই তিন চাকার যানবাহনের দৌরাত্ম্যে মহাসড়ক দিয়ে দূরপাল্লার বাস-ট্রাকসহ অন্যান্য নিয়মিত ভারি যানবাহন চলাচল কঠিন হয়ে পড়েছে। চালকরা মানছে না আইন। নিজের ইচ্ছে এত উঠে পড়ছে মহাসড়কে। এসব অবৈধ যানবাহনের কারণে গত ছয় সপ্তাহে হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানা এরিয়ায় ১৫-২০টি দুর্ঘটনায় প্রাণহানি ঘটে ১২-১৩ জনের এবং আহত হয়েছেন প্রায় শতাধিক।
হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানা ও যমুনা সেতু সূত্রে জানা যায়, উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার যমুনা সেতুর পশ্চিম মহাসড়ক দিয়ে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের ২১টি জেলার যানবাহন চলাচল করে। এর মধ্যে সিরাজগঞ্জের যমুনা সেতু পশ্চিম সংযোগ মহাসড়কের হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার আওতায় মহাসড়ক রয়েছে ১০৫ কিমি। এর মধ্যে হাটিকুমরুল হতে যমুনা সেতু টোল প্লাজা ২৮ কিমি, হাটিকুমরুল হতে রায়গঞ্জের চান্দাইকোনা ২১ কিমি, হাটিকুমরুল হতে শাহজাদ পুরের বাঘাবাড়ী ঘাট ৩৪ কিমি, হাটিকুমরুল হতে নাটোর টোল প্লাজা ২৮ কিমি। যমুনা সেতু টোল প্লাজা থেকে হাটিকুমরুল গোলচত্বর পর্যন্ত এই সংযোগ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন গড়ে ১৮ থেকে ১৯ হাজার যানবাহন চলাচল করে। ঈদে এ সংখ্যা বেড়ে দ্বিগুণেরও বেশি হয়।
এই মহাসড়কগুলোতে বিনা বাধায় চলছে সিএনজি চালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, নছিমন, করিমন। দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি এসব বাহনে নেই ব্রেক, সিগন্যাল লাইট, লুকিং গ্লাস যার কারণে বিপাকে পড়েন দুরপাল্লার বাস ও ট্রাক চালকরা। এসব যানবাহন একে অন্যের সঙ্গে পাল্লা দিতে গিয়ে কখনও মাঝ সড়ক দিয়ে, আবার কখনও উল্টো পথে চলাচল করছে। ফলে রাস্তার কৃঙ্খলা ব্যাহত হচ্ছে। এবং তাদের নিয়ন্ত্রণ করতে হিমশিম খেতে হয় আইন কৃঙ্খলা বাহিনীর।
সিরাজগঞ্জ থেকে রাজশাহীগামী শুভযাত্রা বাসের চালক জুলহাস উদ্দিন বলেন, বর্তমান মহাসড়কে দুর্ঘটনার কারণ হচ্ছে তিন চাকার সিএনজি, অটোরিকশা, নছিমন ও করিমন। এ গাড়িগুলোতে দ্রুত নিয়ন্ত্রক ব্যবস্থাও নাই। যে কারণে ওভারটেক করতে গিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়তে হয়। এদের কারণে আমাদের অনিরাপদে মহাসড়কে গাড়ি চালাতে হচ্ছে। তিনি নিরাপদে গাড়ি চালাতে অবৈধ তিন চাকার গাড়ি মহাসড়কে না চালাতে দেয়ার দাবি জানান।
সিরাজগঞ্জ থেকে ঢাকাগামী সিরাজগঞ্জ লাইন পরিবহনের চালক সিরাজুল ইসলাম বলেন, সিরাজগঞ্জের মহাসড়কে অবৈধ তিন চাকার গাড়ির দৌরাত্ম বেড়েছে যার কারণে মহাসড়কে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটছে। এ গাড়িগুলোর চালকেরা দক্ষ না, প্রশিক্ষণ নেই। এদের অধিকাংশই ধানকাটা শ্রমিক। এক বেলা জমিতে শ্রমিকের কাজ করে, অন্য বেলায় নছিমন, করিমন ও সিএনজি নিয়ে সড়কে আসে। এদের কারণে ভারি যানবাহন সড়কে ব্রেক দিতে হয়। গতি নিয়ন্ত্রণ করতে না পারায় ঘটছে দুর্ঘটনা। এদের রোধ করতে না পারলে দুর্ঘটনা বেড়েই চলবে। মানুষের মৃত্যুর মিছিল লম্বায় হবে।
ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাচালক ওসামা বলেন, অটোরিকশা নিয়ে মহাসড়কে যাওয়া নিষেধ। তবে কী করার? যাত্রী পেলে মহাসড়কে ওঠে যাই। মহাসড়কে অল্প জায়গা যাওয়ার কোনো যানবাহন নাই। কেমন করে মানুষ গন্তব্যে পৌঁছাবে। তাই আমরা ঝুঁকি নিয়ে যাত্রীদের নিয়ে যায়। একই সুরে কথা বলেন, সিএনজি চালক মিন্টু চক্রবর্তী ও নছিমন চালক সুজন মিয়া।
এ বিষয়ে হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুর রউফ বলেন, মহাসড়কে অবৈধ যানবাহন চলাচল না করতে পারে সে জন্য হাইওয়ে পুলিশ তৎপর রয়েছে। নিয়মিত অভিযান চলছে, চালকদের সর্তক ও জরিমানাও করা হচ্ছে। গতি নিয়ন্ত্রণেও কাজ করাও হচ্ছে। মূলত চালক-মালিকসহ আমরা সহ সকলে সচেতন হলেই দুর্ঘটনা।
সোমবার, ১২ মে ২০২৫
উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার যমুনা সেতুর পশ্চিম সংযোগ মহাসড়কে সরকারি বিধি নিষেধ না মেনে অবাধে চলছে তিন চাকার সিএনজি, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, নছিমন-করিমন, ভটভটিসহ ধীরগতির যানবাহন যার ফলে প্রতিনিয়তই ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। এসব দুর্ঘটনায় ঘটছে প্রাণহানি। অবৈধ এই তিন চাকার যানবাহনের দৌরাত্ম্যে মহাসড়ক দিয়ে দূরপাল্লার বাস-ট্রাকসহ অন্যান্য নিয়মিত ভারি যানবাহন চলাচল কঠিন হয়ে পড়েছে। চালকরা মানছে না আইন। নিজের ইচ্ছে এত উঠে পড়ছে মহাসড়কে। এসব অবৈধ যানবাহনের কারণে গত ছয় সপ্তাহে হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানা এরিয়ায় ১৫-২০টি দুর্ঘটনায় প্রাণহানি ঘটে ১২-১৩ জনের এবং আহত হয়েছেন প্রায় শতাধিক।
হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানা ও যমুনা সেতু সূত্রে জানা যায়, উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার যমুনা সেতুর পশ্চিম মহাসড়ক দিয়ে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের ২১টি জেলার যানবাহন চলাচল করে। এর মধ্যে সিরাজগঞ্জের যমুনা সেতু পশ্চিম সংযোগ মহাসড়কের হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার আওতায় মহাসড়ক রয়েছে ১০৫ কিমি। এর মধ্যে হাটিকুমরুল হতে যমুনা সেতু টোল প্লাজা ২৮ কিমি, হাটিকুমরুল হতে রায়গঞ্জের চান্দাইকোনা ২১ কিমি, হাটিকুমরুল হতে শাহজাদ পুরের বাঘাবাড়ী ঘাট ৩৪ কিমি, হাটিকুমরুল হতে নাটোর টোল প্লাজা ২৮ কিমি। যমুনা সেতু টোল প্লাজা থেকে হাটিকুমরুল গোলচত্বর পর্যন্ত এই সংযোগ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন গড়ে ১৮ থেকে ১৯ হাজার যানবাহন চলাচল করে। ঈদে এ সংখ্যা বেড়ে দ্বিগুণেরও বেশি হয়।
এই মহাসড়কগুলোতে বিনা বাধায় চলছে সিএনজি চালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, নছিমন, করিমন। দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি এসব বাহনে নেই ব্রেক, সিগন্যাল লাইট, লুকিং গ্লাস যার কারণে বিপাকে পড়েন দুরপাল্লার বাস ও ট্রাক চালকরা। এসব যানবাহন একে অন্যের সঙ্গে পাল্লা দিতে গিয়ে কখনও মাঝ সড়ক দিয়ে, আবার কখনও উল্টো পথে চলাচল করছে। ফলে রাস্তার কৃঙ্খলা ব্যাহত হচ্ছে। এবং তাদের নিয়ন্ত্রণ করতে হিমশিম খেতে হয় আইন কৃঙ্খলা বাহিনীর।
সিরাজগঞ্জ থেকে রাজশাহীগামী শুভযাত্রা বাসের চালক জুলহাস উদ্দিন বলেন, বর্তমান মহাসড়কে দুর্ঘটনার কারণ হচ্ছে তিন চাকার সিএনজি, অটোরিকশা, নছিমন ও করিমন। এ গাড়িগুলোতে দ্রুত নিয়ন্ত্রক ব্যবস্থাও নাই। যে কারণে ওভারটেক করতে গিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়তে হয়। এদের কারণে আমাদের অনিরাপদে মহাসড়কে গাড়ি চালাতে হচ্ছে। তিনি নিরাপদে গাড়ি চালাতে অবৈধ তিন চাকার গাড়ি মহাসড়কে না চালাতে দেয়ার দাবি জানান।
সিরাজগঞ্জ থেকে ঢাকাগামী সিরাজগঞ্জ লাইন পরিবহনের চালক সিরাজুল ইসলাম বলেন, সিরাজগঞ্জের মহাসড়কে অবৈধ তিন চাকার গাড়ির দৌরাত্ম বেড়েছে যার কারণে মহাসড়কে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটছে। এ গাড়িগুলোর চালকেরা দক্ষ না, প্রশিক্ষণ নেই। এদের অধিকাংশই ধানকাটা শ্রমিক। এক বেলা জমিতে শ্রমিকের কাজ করে, অন্য বেলায় নছিমন, করিমন ও সিএনজি নিয়ে সড়কে আসে। এদের কারণে ভারি যানবাহন সড়কে ব্রেক দিতে হয়। গতি নিয়ন্ত্রণ করতে না পারায় ঘটছে দুর্ঘটনা। এদের রোধ করতে না পারলে দুর্ঘটনা বেড়েই চলবে। মানুষের মৃত্যুর মিছিল লম্বায় হবে।
ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাচালক ওসামা বলেন, অটোরিকশা নিয়ে মহাসড়কে যাওয়া নিষেধ। তবে কী করার? যাত্রী পেলে মহাসড়কে ওঠে যাই। মহাসড়কে অল্প জায়গা যাওয়ার কোনো যানবাহন নাই। কেমন করে মানুষ গন্তব্যে পৌঁছাবে। তাই আমরা ঝুঁকি নিয়ে যাত্রীদের নিয়ে যায়। একই সুরে কথা বলেন, সিএনজি চালক মিন্টু চক্রবর্তী ও নছিমন চালক সুজন মিয়া।
এ বিষয়ে হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুর রউফ বলেন, মহাসড়কে অবৈধ যানবাহন চলাচল না করতে পারে সে জন্য হাইওয়ে পুলিশ তৎপর রয়েছে। নিয়মিত অভিযান চলছে, চালকদের সর্তক ও জরিমানাও করা হচ্ছে। গতি নিয়ন্ত্রণেও কাজ করাও হচ্ছে। মূলত চালক-মালিকসহ আমরা সহ সকলে সচেতন হলেই দুর্ঘটনা।