চট্টগ্রামের পুরাতন সার্কিট হাউজ ও এর সামনের মাঠটিকে সর্বজনীন ‘নাগরিক মুক্তাঙ্গন’ হিসেবে ঘোষণার দাবি জানিয়েছে পরিকল্পিত চট্টগ্রাম ফোরাম। সোমবার সকালে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটি এই দাবি তোলে।
সংগঠনের পক্ষ থেকে লিখিত বক্তব্যে স্থপতি জেরিনা হোসেন বলেন, “১৯১৩ সালে নির্মিত ঐতিহাসিক সার্কিট হাউজ চত্বরটিকে জনবান্ধব মুক্তাঙ্গনে রূপান্তর করতে হবে। এখানে কোনো স্থাপনা না করে উন্মুক্ত নাগরিক পরিসর হিসেবে সংরক্ষণ করতে হবে।”
তিনি বলেন, “চট্টগ্রামে জনসংখ্যার তুলনায় উন্মুক্ত পরিসর চরমভাবে সংকুচিত। অথচ শহর পরিকল্পনায় এই স্থানটি দীর্ঘদিন ধরে মুক্ত পরিসর হিসেবে চিহ্নিত। ১৯৬১ সাল থেকে প্রণীত সকল মহাপরিকল্পনাতেই এই মাঠের নাম রয়েছে।”
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা জানান, শিশুপার্ক স্থাপন এবং বাণিজ্যিক ইজারা প্রদান করে পূর্বে মাঠটি জনসাধারণের নাগাল থেকে দূরে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তবে ২০২৩ সালের অক্টোবরে জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে মাঠটি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে হস্তান্তরের পর অপরিকল্পিত স্থাপনা উচ্ছেদ হয় এবং জনগণের জন্য উন্মুক্ত করার আশা জাগে।
তবে সম্প্রতি মাঠে ‘মালিকানা দাবিমূলক’ সাইনবোর্ড ও নিয়ন্ত্রণমূলক প্রবেশ নির্দেশনা দেখা যাওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন তারা।
ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক মুহাম্মদ সিকান্দার খান বলেন, “এই মাঠ সব সময় উন্মুক্ত ছিল। সরকারের দায়িত্ব এটি রক্ষণাবেক্ষণ করা, দখল নয়। এটি জনগণের সম্পদ—সবার জন্য উন্মুক্ত রাখতে হবে।”
অতিরিক্ত সচিব (অব.) জাফর আলম বলেন, “মহাপরিকল্পনায় চিহ্নিত উন্মুক্ত জনপরিসরের শ্রেণি পরিবর্তন আইনত অপরাধ। এমনকি ব্যক্তি মালিকানার হলেও জনসাধারণের ব্যবহারে থাকা কোনো জমি বন্ধ করা যায় না।”
বক্তারা ১৯৭১ সালের ১৭ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রথম জাতীয় পতাকা উত্তোলনের স্মৃতিবিজড়িত এই স্থানটিকে ‘মুক্তাঙ্গন’ হিসেবে সংরক্ষণের দাবি জানান। তারা বলেন, এখানেই ১৯৮৮ সাল থেকে বিজয় মেলা এবং বিজয় মঞ্চ স্থাপন হয়ে আসছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রকৌশলী এবিএমএ বাসেত, স্থপতি আহমেদ জিল্লুর চৌধুরী, অধ্যাপক নাজিম উদ্দিন, অধ্যাপক মনজুরুল কিবরিয়া, প্রকৌশলী শহীদুল ইসলাম ও পরিবেশবিদ তসলিমা মুনা।
সোমবার, ১২ মে ২০২৫
চট্টগ্রামের পুরাতন সার্কিট হাউজ ও এর সামনের মাঠটিকে সর্বজনীন ‘নাগরিক মুক্তাঙ্গন’ হিসেবে ঘোষণার দাবি জানিয়েছে পরিকল্পিত চট্টগ্রাম ফোরাম। সোমবার সকালে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটি এই দাবি তোলে।
সংগঠনের পক্ষ থেকে লিখিত বক্তব্যে স্থপতি জেরিনা হোসেন বলেন, “১৯১৩ সালে নির্মিত ঐতিহাসিক সার্কিট হাউজ চত্বরটিকে জনবান্ধব মুক্তাঙ্গনে রূপান্তর করতে হবে। এখানে কোনো স্থাপনা না করে উন্মুক্ত নাগরিক পরিসর হিসেবে সংরক্ষণ করতে হবে।”
তিনি বলেন, “চট্টগ্রামে জনসংখ্যার তুলনায় উন্মুক্ত পরিসর চরমভাবে সংকুচিত। অথচ শহর পরিকল্পনায় এই স্থানটি দীর্ঘদিন ধরে মুক্ত পরিসর হিসেবে চিহ্নিত। ১৯৬১ সাল থেকে প্রণীত সকল মহাপরিকল্পনাতেই এই মাঠের নাম রয়েছে।”
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা জানান, শিশুপার্ক স্থাপন এবং বাণিজ্যিক ইজারা প্রদান করে পূর্বে মাঠটি জনসাধারণের নাগাল থেকে দূরে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তবে ২০২৩ সালের অক্টোবরে জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে মাঠটি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে হস্তান্তরের পর অপরিকল্পিত স্থাপনা উচ্ছেদ হয় এবং জনগণের জন্য উন্মুক্ত করার আশা জাগে।
তবে সম্প্রতি মাঠে ‘মালিকানা দাবিমূলক’ সাইনবোর্ড ও নিয়ন্ত্রণমূলক প্রবেশ নির্দেশনা দেখা যাওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন তারা।
ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক মুহাম্মদ সিকান্দার খান বলেন, “এই মাঠ সব সময় উন্মুক্ত ছিল। সরকারের দায়িত্ব এটি রক্ষণাবেক্ষণ করা, দখল নয়। এটি জনগণের সম্পদ—সবার জন্য উন্মুক্ত রাখতে হবে।”
অতিরিক্ত সচিব (অব.) জাফর আলম বলেন, “মহাপরিকল্পনায় চিহ্নিত উন্মুক্ত জনপরিসরের শ্রেণি পরিবর্তন আইনত অপরাধ। এমনকি ব্যক্তি মালিকানার হলেও জনসাধারণের ব্যবহারে থাকা কোনো জমি বন্ধ করা যায় না।”
বক্তারা ১৯৭১ সালের ১৭ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রথম জাতীয় পতাকা উত্তোলনের স্মৃতিবিজড়িত এই স্থানটিকে ‘মুক্তাঙ্গন’ হিসেবে সংরক্ষণের দাবি জানান। তারা বলেন, এখানেই ১৯৮৮ সাল থেকে বিজয় মেলা এবং বিজয় মঞ্চ স্থাপন হয়ে আসছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রকৌশলী এবিএমএ বাসেত, স্থপতি আহমেদ জিল্লুর চৌধুরী, অধ্যাপক নাজিম উদ্দিন, অধ্যাপক মনজুরুল কিবরিয়া, প্রকৌশলী শহীদুল ইসলাম ও পরিবেশবিদ তসলিমা মুনা।