চট্টগ্রামের মীরসরাই উপজেলা সদরে অর্ধেকেরও কম জনবল দিয়ে চলছে প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতাল। গুরুত্বপূর্ণ এই প্রতিষ্ঠানের ১১টি পদের মধ্যে ৬টি পদই বর্তমানে শূন্য রয়েছে। ফলে অল্প সংখ্যক জনবল নিয়ে সেবা প্রদানে হিমশিম খাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। তাই দ্রুত জনবল নিয়োগের মাধ্যমে সেবা বৃদ্ধির দাবি জানান খামার মালিকরা।
মীরসরাই প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ১৬টি ইউনিয়ন ও ২টি পৌরসভা নিয়ে গঠিত মীরসরাই উপজেলায় মোট খামার রয়েছে ১ হাজার ৯১২টি। এগুলোর মধ্যে বাণিজ্যিক দুগ্ধ খামার ১২০টি, পারিবারিক দুগ্ধ খামার ১ হাজার ১৩৯টি, ছাগলের খামার ২৭টি, ভেড়ার খামার ৬টি, লেয়ার মুরগির খামার ৩২টি, ব্রয়লার মুরগির খামার ৫১৭টি, হাঁসের খামার ১৭টি, হ্যাচারি ৪টি, ব্রিডার ফার্ম ৬টি, ফিড মিল ৩টি, ব্রয়লার কন্ট্রোল সেড ৯টি এবং ৩২টি সোনালি মুরগির খামার রয়েছে। এগুলোর মধ্যে ১৫৫টি রেজিস্টার্ডকৃত। এসব খামারে গরু রয়েছে ২ লাখ ৩৬ হাজার ৪২৯টি, মহিষ রয়েছে ৪ হাজার ৭২৫টি, ছাগল রয়েছে ২৯ হাজার ৪৫০টি, ভেড়া রয়েছে ২ হাজার ৪৭৫টি, হরিণ রয়েছে ৫২২টি, ঘোড়া রয়েছে ৮টি, শুকর রয়েছে ৫৪৬টি, মুরগি রয়েছে ৯ লাখ ৮৫ হাজার ৯৭৫টি, হাঁস রয়েছে ৫৭ হাজার ১০টি এবং কবুতর রয়েছে ১২ হাজার ৩২৩টি। খামারগুলোর কোন গবাদি পশু কিংবা হাঁস-মুরগি অসুস্থ হলে চিকিৎসা সহায়তা দেয়ার জন্য প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালে ১১জন বিভিন্ন পর্যায়ের চিকিৎসক, কর্মকর্তা এবং কর্মচারীর পদ থাকলেও শূন্য রয়েছে ৬টি পদ।
এগুলোর হলো ভিএস (ভেটেরিনারি সার্জন) ১ জন, ইউএলএ ১ জন, ভিএফএ ১ জন, ভেটি. কম্পাউন্ডার ১ জন, অফিস সহকারী ১ জন এবং অফিস সহায়ক ১ জন। জনবল না থাকায় নিয়মিত সেবা প্রদান করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে কর্মকর্তাদের। গবাদিপশুর অপারেশন করাতে ১ জন ভেটেরিনারি সার্জনের পদ থাকলেও সেটি শূন্য রয়েছে। ফলে খামার মালিকরা বিভিন্ন গবাদি পশুর অপারেশনে ছুটছেন বেসরকারি চিকিৎসকের কাছে। এতে গুণতে হচ্ছে অতিরিক্ত টাকা।
উপজেলার হিঙ্গুলী ইউনিয়নের পূর্ব হিঙ্গুলী গ্রামের মানস কান্তি ভৌমিক বলেন, আমার ৪টি গবাদিপশু রয়েছে। বিভিন্ন সময় গবাদিপশুগুলো অসুস্থ হলে বেসরকারি চিকিৎসকের নিকট ছুটতে হয়। কারণ উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালে কোনো সার্জন নেই। উপজেলা পোল্ট্রি অ্যাসোশিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক জাহেদ হোসেন বাপ্পি বলেন, উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালে জনবল সঙ্কটের কারণে যথাসময়ে সেবা দিতে পারছে না। আমরা চাই, দ্রুত জনবল নিয়োগের মাধ্যমে সেবার মান বৃদ্ধি করা হোক।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে মীরসরাই উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. জাকিরুল ফরিদ বলেন, মীরসরাই একটি বড় উপজেলা। এত বড় একটি উপজেলায় অর্ধেকের কম জনবল নিয়ে সেবা প্রদান করা খুবই কঠিন কাজ। তবুও আমরা নিয়মিত সেবা প্রদান করার সর্বোচ্চ চেষ্ঠা করছি। চট্টগ্রাম জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. আলমগীর বলেন, শূন্য পদগুলো পূরণ করতে নিয়োগ প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে যথা সময়ের মধ্যে শূন্য পদগুলো পূরণ করার চেষ্টা করা হবে।
মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫
চট্টগ্রামের মীরসরাই উপজেলা সদরে অর্ধেকেরও কম জনবল দিয়ে চলছে প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতাল। গুরুত্বপূর্ণ এই প্রতিষ্ঠানের ১১টি পদের মধ্যে ৬টি পদই বর্তমানে শূন্য রয়েছে। ফলে অল্প সংখ্যক জনবল নিয়ে সেবা প্রদানে হিমশিম খাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। তাই দ্রুত জনবল নিয়োগের মাধ্যমে সেবা বৃদ্ধির দাবি জানান খামার মালিকরা।
মীরসরাই প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ১৬টি ইউনিয়ন ও ২টি পৌরসভা নিয়ে গঠিত মীরসরাই উপজেলায় মোট খামার রয়েছে ১ হাজার ৯১২টি। এগুলোর মধ্যে বাণিজ্যিক দুগ্ধ খামার ১২০টি, পারিবারিক দুগ্ধ খামার ১ হাজার ১৩৯টি, ছাগলের খামার ২৭টি, ভেড়ার খামার ৬টি, লেয়ার মুরগির খামার ৩২টি, ব্রয়লার মুরগির খামার ৫১৭টি, হাঁসের খামার ১৭টি, হ্যাচারি ৪টি, ব্রিডার ফার্ম ৬টি, ফিড মিল ৩টি, ব্রয়লার কন্ট্রোল সেড ৯টি এবং ৩২টি সোনালি মুরগির খামার রয়েছে। এগুলোর মধ্যে ১৫৫টি রেজিস্টার্ডকৃত। এসব খামারে গরু রয়েছে ২ লাখ ৩৬ হাজার ৪২৯টি, মহিষ রয়েছে ৪ হাজার ৭২৫টি, ছাগল রয়েছে ২৯ হাজার ৪৫০টি, ভেড়া রয়েছে ২ হাজার ৪৭৫টি, হরিণ রয়েছে ৫২২টি, ঘোড়া রয়েছে ৮টি, শুকর রয়েছে ৫৪৬টি, মুরগি রয়েছে ৯ লাখ ৮৫ হাজার ৯৭৫টি, হাঁস রয়েছে ৫৭ হাজার ১০টি এবং কবুতর রয়েছে ১২ হাজার ৩২৩টি। খামারগুলোর কোন গবাদি পশু কিংবা হাঁস-মুরগি অসুস্থ হলে চিকিৎসা সহায়তা দেয়ার জন্য প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালে ১১জন বিভিন্ন পর্যায়ের চিকিৎসক, কর্মকর্তা এবং কর্মচারীর পদ থাকলেও শূন্য রয়েছে ৬টি পদ।
এগুলোর হলো ভিএস (ভেটেরিনারি সার্জন) ১ জন, ইউএলএ ১ জন, ভিএফএ ১ জন, ভেটি. কম্পাউন্ডার ১ জন, অফিস সহকারী ১ জন এবং অফিস সহায়ক ১ জন। জনবল না থাকায় নিয়মিত সেবা প্রদান করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে কর্মকর্তাদের। গবাদিপশুর অপারেশন করাতে ১ জন ভেটেরিনারি সার্জনের পদ থাকলেও সেটি শূন্য রয়েছে। ফলে খামার মালিকরা বিভিন্ন গবাদি পশুর অপারেশনে ছুটছেন বেসরকারি চিকিৎসকের কাছে। এতে গুণতে হচ্ছে অতিরিক্ত টাকা।
উপজেলার হিঙ্গুলী ইউনিয়নের পূর্ব হিঙ্গুলী গ্রামের মানস কান্তি ভৌমিক বলেন, আমার ৪টি গবাদিপশু রয়েছে। বিভিন্ন সময় গবাদিপশুগুলো অসুস্থ হলে বেসরকারি চিকিৎসকের নিকট ছুটতে হয়। কারণ উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালে কোনো সার্জন নেই। উপজেলা পোল্ট্রি অ্যাসোশিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক জাহেদ হোসেন বাপ্পি বলেন, উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালে জনবল সঙ্কটের কারণে যথাসময়ে সেবা দিতে পারছে না। আমরা চাই, দ্রুত জনবল নিয়োগের মাধ্যমে সেবার মান বৃদ্ধি করা হোক।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে মীরসরাই উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. জাকিরুল ফরিদ বলেন, মীরসরাই একটি বড় উপজেলা। এত বড় একটি উপজেলায় অর্ধেকের কম জনবল নিয়ে সেবা প্রদান করা খুবই কঠিন কাজ। তবুও আমরা নিয়মিত সেবা প্রদান করার সর্বোচ্চ চেষ্ঠা করছি। চট্টগ্রাম জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. আলমগীর বলেন, শূন্য পদগুলো পূরণ করতে নিয়োগ প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে যথা সময়ের মধ্যে শূন্য পদগুলো পূরণ করার চেষ্টা করা হবে।