alt

সারাদেশ

সাটুরিয়ায় ভিক্ষুক পুনর্বাসন প্রকল্পে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ

প্রতিনিধি, সাটুরিয়া (মানিকগঞ্জ) : মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫

ভিক্ষাবৃত্তিকে নিরুৎসাহিত করতে সারাদেশের মতো মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার নয়টি ইউনিয়নে ভিক্ষুক পুর্নবাসন কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয় ছয় বছর আগে। এর অংশ হিসেবে কাউকে দেওয়া হয় উন্নতজাতের ছাগল, ভ্যান,সেলাই মেশিন, হুইল চেয়ার, বাঁশের দ্রব্য সামগ্রী, পান ও চায়ের টলি, দোকান ও দোকান ঘরের মালপত্র দেওয়া হয়েছে। এত কিছু দেওয়ার পরও ভাগ্য ফেরেনি অনেকেরই। কারণ হিসেবে দেখছেন বিতরণ সংশ্লিষ্ট কর্তাদের অনিয়ম ও দুনীর্তির কথা বলছেন প্রকল্পের সুফলভোগী পরিবারের সদস্যরা।

ভিক্ষুক পুর্নবাসনের পর সুফলভোগীরা কেমন আছেন— জানতে সরেজমিনে অনুন্ধান করে দেখা যায়, প্রকল্পের বরাদ্দ সঠিকভাবে করা হয়নি।

পুনর্বাসন পরবর্তী করণীয় বিষয়েও উদাসীন ছিল দায়িত্বপ্রাপ্ত কমিটি। তাদের মধ্যে ছিল সমন্বয়হীনতা। এ রকম নানা কারণে প্রকল্প সফলতার মুখ দেখেনি। তাই স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার কথা থাকলেও অনেকেই সেই স্বপ্ন পূরণ হয়নি।

সাটুরিয়া উপজেলা সদর ইউনিয়নের উত্তর কাওন্নারা গ্রামের গেদুমিয়া ভিক্ষাবৃত্তি করতেন। তাকে এ প্রকল্পের আওতায় এনে দেওয়া হয় একটি দোকান ঘর ও কিছু মালপত্র। ভিক্ষুক গেদুমিয়া মারা যাওয়ার এক বছর আগে বলেন, ঘরসহ আমাকে সব মিলিয়ে হাজার দশেক টাকার মালপত্র দিয়েছিল সমাজসেবা অফিস। যারমধ্যে ছিল চকলেট,চিপস,বিড়ি সিগারেট,সাবান ও দিয়াসলাই। মালপত্র দেওয়ার পর আমার পরিবার কেমন আছে সরকারি অফিসের কেউ আর খোঁজ নেননি। তার মৃত্যুর পর লাল সবুজ টিনের দোকানটি বন্ধ রয়েছে।

প্রকল্পের আরেক সুফলভোগী হরগজ ইউনিয়নের নয়াপাড়া চাটনি বাধা গ্রামের সরস্বতী রানী দাস জানান, সমাজসেবা অফিস থেকে ৪ থেকে ৫ হাজার টাকার মালপত্র দেওয়া হয়েছে।সেখানে বেশির ভাগ চিপস ছিলো। তার খোঁজ পর্যন্ত নেননি কেউ দোকান কিভাবে চলবে। টুকরি একটি ঘর তৈরী করে একটি সাইনবোর্ড দিয়ে ছবি তোলেই দায় সেরেছেন সংশ্লিষ্ট অফিস।

সাটুরিয়া উপজেলার সুবিধা বঞ্চিত তিল্লি ইউনিয়নের চরাঞ্চলের ২৩ জন ভিক্ষুকদের দেওয়া হয়েছে উন্নতজাতের ছাগল।

এসব ছাগল দেশীয় হলেও কাগজ কলমে দেখানো হয়েছে উন্নতজাতের। কাকে কত টাকার মূল্যের উন্নতজাতের ছাগল দেওয়া হয়েছে,কয়টা ছাগল দেওয়া হয়েছে,তার কোন হিসেব নেই। যাদেরকে ছাগল দেওয়া হয়েছে তারা ভিক্ষুক কিনা যাছাই বাছাই না করে ইউপি চেয়ারম্যানদের তালিকা অনুযায়ী দেওয়া হয়েছে। তবে খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, যাদের ছাগল দেওয়া হয়েছে তাদের বেশির ভাগ সুফলভোগীর ঘরে ছাগল নেই।

একই অভিযোগ বালিয়াটি এলাকার গোপালনগরের ভিক্ষুক মো. আইয়ুব আলীর। এই ভিক্ষুক জানান, আমার টুকরি দোকানের পাশে রয়েছে আরেকটি দোকান। এলাকার মানুষ সেই দোকান থেকে মালপত্র নগদ ও বাকিতে নিয়ে থাকেন।

ওই দোকানের কারণে আমার দোকান চলে না। পুঁজি যা দিয়েছিল তা খেয়ে পূর্বে পেশায় ফিরে গেছি। স্থানীয়ভাবে একটি দোকান চালাতে হলে লক্ষাধিক টাকার দরকার হয়। শুনেছি একজন ভিক্ষুক পুনর্বাসনের জন্য বরাদ্দ ছিল ২০ হাজার টাকা। প্রকল্পের বরাদ্ধের পরিমানের চেয়ে অর্ধেক টাকা দিয়ে তারা নিজেরাই মালপত্র কিনে দিয়েছিল।

সাটুরিয়া উপজেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা ৭০ জন ভিক্ষুকের নামের তালিকা করে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ভিক্ষুকদের পুর্নবাসন করেছেন। এসব ভিক্ষুকদের পুর্ণবাসনের নামে বরাদ্ধ আসে ১৫ লক্ষ টাকা।

২০১৭-১৮ অর্থ বছরে তাদের পুর্নবাসনের প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। এতে চলতি বছর পর্যন্ত ৭০ জন ভিক্ষুককের পুর্ণবাসনের নামে ব্যয় করা হয় সাড়ে ১৪ লক্ষ টাকা। সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তর সেই টাকা দিয়ে উন্নতজাতের ছাগল, ভ্যান,সেলাই মেশিন, হুইল চেয়ার, বাঁশের দ্রব্য সামগ্রী, পান ও চায়ের টলি, দোকান ও দোকান ঘর এবং মালপত্র দেওয়া হয়েছে।

ভিক্ষুক পুর্নবাসন প্রকল্পের সদস্য সচিব ও সাটুরিয়া উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. সিরাজউদ্দিন বলেন, আমার উপজেলায় ৭০ জন ভিক্ষুককে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে এ প্রকল্পের সুবিধার আওতায় আনা হয়েছে। তাদের পুর্নবাসন সঠিকভাবে করা হয়েছে।

কাকে কত টাকার মালপত্র দিয়েছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, কাকে কত টাকা দিয়েছি তা আমার জানা নেই। এর কোন বিল ভাউচার আমার কাছে নেই। প্রকল্পের সভাপতি যেভাবে নির্দেশনা দিয়েছেন সেইভাবে কাজ করেছি। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রকল্পের কিছু ভুলক্রুটি থাকতে পারে। যেসব ভিক্ষককে ঘর ও মালপত্র দেওয়া হয়েছে তারা ৩৫ হাজার টাকা করে পেয়েছে।

সাটুরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইকবাল হোসেন বলেন, ভুক্তভোগীদের কেউ এখন পর্যন্ত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে সরেজমিনে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

ছবি

শরীয়তপুরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নাম ভাঙিয়ে রাতের আধাঁরে তাণ্ডব, এক নারীর মৃত্যু

ছবি

সিলেট সীমান্ত দিয়ে আরও ৭০ জনকে ঠেলে দিলো ভারত, বিজিবির আটক

ছবি

আসামি ছাড়াতে থানায় ছাত্রদল নেতা, লাখাইয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৪০

ছবি

উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যা

ছবি

টোল নিয়ে বাকবিতণ্ডায় সেনা সদস্যকে মারধর, আটক ৫

ছবি

চুলার ধোঁয়া নিয়ে বাগ্‌বিতণ্ডা, গরম পানি ঢেলে গৃহবধূকে ঝলসে দেওয়ার অভিযোগ

ছবি

ফারজানা রুপার মায়ের মৃত্যু, প্যারোলে মুক্তি পেলেন সাংবাদিক শাকিল ও ফারজানা

ছবি

কুষ্টিয়ায় চুরির অভিযোগে চুল কেটে নারীকে নির্যাতন, বাড়ি ভাঙচুর; পুলিশের সঙ্গে গ্রামবাসীর ধস্তাধস্তি

দর্শনার্থীকে মারধরের ঘটনায় রবীন্দ্র কাছারি বাড়িতে দর্শনার্থী প্রবেশ বন্ধ

ছবি

না.গঞ্জে ছাত্রলীগ নেতাকে ছাড়াতে সংঘর্ষ: যুবদল নেতার গুলিবিদ্ধ ভাইয়ের মৃত্যু

পাবনায় কভার্ড ভ্যান ও মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে প্রাণ গেল ৩ জনের

ছবি

উত্ত্যক্তের প্রতিবাদে সংঘর্ষ, নেত্রকোণায় প্রাণ গেল আনিসুরের

ছবি

নন্দনগাছীতে আন্তঃনগর ট্রেন থামানোর দাবি, ২ ঘণ্টা বন্ধ রাজশাহীর রেল

ছবি

ইনানী সৈকতে ঘুরতে গিয়ে নিখোঁজ রোহিঙ্গা শিশুর মরদেহ উদ্ধার

ছবি

ছাত্রলীগ নেতাকে ছাড়াতে গিয়ে যুবদল নেতাকে ছাত্রদল নেতা গুলি ছোড়ার অভিযোগ

ছবি

মাদারীপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা, আহত ৫

হাতিয়ায় বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত অন্তত ৩০

ছবি

টাঙ্গুয়ার হাওরে হাউসবোটে হয়রানি, সতর্ক বার্তা জেলা প্রশাসনের

ছবি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শসা চুরিকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে আহত ৫০ জন, আটক ৫

ছবি

নবীকে নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে পল্লী চিকিৎসক গ্রেপ্তার

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে দুই পাড়ার সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক আহত

ছবি

সিলেটের পর্যটনকেন্দ্রে পর্যটকদের সঙ্গে স্থানীয়দের হাতাহাতি, বাধার মুখে উৎমাছড়ায় প্রবেশ

ছবি

ফেইসবুকে মহানবীকে নিয়ে মন্তব্যে বিতর্ক: হুমকি ও সামাজিক লাঞ্ছনায় আত্মহত্যা করলেন ঢাবি ছাত্র

ছবি

কলকাতায় নিহত সাবেক এমপি আনারের কোটি টাকার গাড়ি পাওয়া গেছে কুষ্টিয়ায়

ছবি

গোদাগাড়িতে শহীদ বীর সামুন্ডার ১২৫ তম আত্মত্যাগ দিবস পালিত

ছবি

১৬ ঘণ্টায় কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে ছয়জনের মরদেহ উদ্ধার

ছবি

কক্সবাজার সৈকতে গোসল করতে নেমে বাবা-ছেলের মৃত্যু

ছবি

গারো পাহাড়ে হাতির চিৎকারের পর একদিন পর মিলল শাবকের মৃতদেহ

ছবি

হাসপাতালে ঢুকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১০ জনকে মারধর, আটক ৩

ঈদের নামাজ পড়াকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, একজন নিহত

মৌলভীবাজারে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় দুই ভাইসহ ৪ জনের মৃত্যু

বগুড়ায় ঈদের নামাজে যাওয়ার পথে গাড়ি চাপায় বাবা-ছেলে নিহত

ছবি

ঈদ করতে ঢাকা থেকে রংপুর আসা হাজার হাজার মানুষের চরম দুর্ভোগ, ১৮ থেকে ২০ ঘন্টা সময় লাগছে

স্বস্তির ঈদ যাত্রায় সন্তুষ্ট সিলেটবাসি

ফরিদপুরের মধুখালীতে বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছে ধাক্কা, ভ্যানচালকসহ আহত ২০ জন

ছবি

ফরিদপুরে দশ গ্রামের মানুষ আজ পালন করছে ঈদুল আযহা

tab

সারাদেশ

সাটুরিয়ায় ভিক্ষুক পুনর্বাসন প্রকল্পে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ

প্রতিনিধি, সাটুরিয়া (মানিকগঞ্জ)

মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫

ভিক্ষাবৃত্তিকে নিরুৎসাহিত করতে সারাদেশের মতো মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার নয়টি ইউনিয়নে ভিক্ষুক পুর্নবাসন কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয় ছয় বছর আগে। এর অংশ হিসেবে কাউকে দেওয়া হয় উন্নতজাতের ছাগল, ভ্যান,সেলাই মেশিন, হুইল চেয়ার, বাঁশের দ্রব্য সামগ্রী, পান ও চায়ের টলি, দোকান ও দোকান ঘরের মালপত্র দেওয়া হয়েছে। এত কিছু দেওয়ার পরও ভাগ্য ফেরেনি অনেকেরই। কারণ হিসেবে দেখছেন বিতরণ সংশ্লিষ্ট কর্তাদের অনিয়ম ও দুনীর্তির কথা বলছেন প্রকল্পের সুফলভোগী পরিবারের সদস্যরা।

ভিক্ষুক পুর্নবাসনের পর সুফলভোগীরা কেমন আছেন— জানতে সরেজমিনে অনুন্ধান করে দেখা যায়, প্রকল্পের বরাদ্দ সঠিকভাবে করা হয়নি।

পুনর্বাসন পরবর্তী করণীয় বিষয়েও উদাসীন ছিল দায়িত্বপ্রাপ্ত কমিটি। তাদের মধ্যে ছিল সমন্বয়হীনতা। এ রকম নানা কারণে প্রকল্প সফলতার মুখ দেখেনি। তাই স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার কথা থাকলেও অনেকেই সেই স্বপ্ন পূরণ হয়নি।

সাটুরিয়া উপজেলা সদর ইউনিয়নের উত্তর কাওন্নারা গ্রামের গেদুমিয়া ভিক্ষাবৃত্তি করতেন। তাকে এ প্রকল্পের আওতায় এনে দেওয়া হয় একটি দোকান ঘর ও কিছু মালপত্র। ভিক্ষুক গেদুমিয়া মারা যাওয়ার এক বছর আগে বলেন, ঘরসহ আমাকে সব মিলিয়ে হাজার দশেক টাকার মালপত্র দিয়েছিল সমাজসেবা অফিস। যারমধ্যে ছিল চকলেট,চিপস,বিড়ি সিগারেট,সাবান ও দিয়াসলাই। মালপত্র দেওয়ার পর আমার পরিবার কেমন আছে সরকারি অফিসের কেউ আর খোঁজ নেননি। তার মৃত্যুর পর লাল সবুজ টিনের দোকানটি বন্ধ রয়েছে।

প্রকল্পের আরেক সুফলভোগী হরগজ ইউনিয়নের নয়াপাড়া চাটনি বাধা গ্রামের সরস্বতী রানী দাস জানান, সমাজসেবা অফিস থেকে ৪ থেকে ৫ হাজার টাকার মালপত্র দেওয়া হয়েছে।সেখানে বেশির ভাগ চিপস ছিলো। তার খোঁজ পর্যন্ত নেননি কেউ দোকান কিভাবে চলবে। টুকরি একটি ঘর তৈরী করে একটি সাইনবোর্ড দিয়ে ছবি তোলেই দায় সেরেছেন সংশ্লিষ্ট অফিস।

সাটুরিয়া উপজেলার সুবিধা বঞ্চিত তিল্লি ইউনিয়নের চরাঞ্চলের ২৩ জন ভিক্ষুকদের দেওয়া হয়েছে উন্নতজাতের ছাগল।

এসব ছাগল দেশীয় হলেও কাগজ কলমে দেখানো হয়েছে উন্নতজাতের। কাকে কত টাকার মূল্যের উন্নতজাতের ছাগল দেওয়া হয়েছে,কয়টা ছাগল দেওয়া হয়েছে,তার কোন হিসেব নেই। যাদেরকে ছাগল দেওয়া হয়েছে তারা ভিক্ষুক কিনা যাছাই বাছাই না করে ইউপি চেয়ারম্যানদের তালিকা অনুযায়ী দেওয়া হয়েছে। তবে খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, যাদের ছাগল দেওয়া হয়েছে তাদের বেশির ভাগ সুফলভোগীর ঘরে ছাগল নেই।

একই অভিযোগ বালিয়াটি এলাকার গোপালনগরের ভিক্ষুক মো. আইয়ুব আলীর। এই ভিক্ষুক জানান, আমার টুকরি দোকানের পাশে রয়েছে আরেকটি দোকান। এলাকার মানুষ সেই দোকান থেকে মালপত্র নগদ ও বাকিতে নিয়ে থাকেন।

ওই দোকানের কারণে আমার দোকান চলে না। পুঁজি যা দিয়েছিল তা খেয়ে পূর্বে পেশায় ফিরে গেছি। স্থানীয়ভাবে একটি দোকান চালাতে হলে লক্ষাধিক টাকার দরকার হয়। শুনেছি একজন ভিক্ষুক পুনর্বাসনের জন্য বরাদ্দ ছিল ২০ হাজার টাকা। প্রকল্পের বরাদ্ধের পরিমানের চেয়ে অর্ধেক টাকা দিয়ে তারা নিজেরাই মালপত্র কিনে দিয়েছিল।

সাটুরিয়া উপজেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা ৭০ জন ভিক্ষুকের নামের তালিকা করে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ভিক্ষুকদের পুর্নবাসন করেছেন। এসব ভিক্ষুকদের পুর্ণবাসনের নামে বরাদ্ধ আসে ১৫ লক্ষ টাকা।

২০১৭-১৮ অর্থ বছরে তাদের পুর্নবাসনের প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। এতে চলতি বছর পর্যন্ত ৭০ জন ভিক্ষুককের পুর্ণবাসনের নামে ব্যয় করা হয় সাড়ে ১৪ লক্ষ টাকা। সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তর সেই টাকা দিয়ে উন্নতজাতের ছাগল, ভ্যান,সেলাই মেশিন, হুইল চেয়ার, বাঁশের দ্রব্য সামগ্রী, পান ও চায়ের টলি, দোকান ও দোকান ঘর এবং মালপত্র দেওয়া হয়েছে।

ভিক্ষুক পুর্নবাসন প্রকল্পের সদস্য সচিব ও সাটুরিয়া উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. সিরাজউদ্দিন বলেন, আমার উপজেলায় ৭০ জন ভিক্ষুককে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে এ প্রকল্পের সুবিধার আওতায় আনা হয়েছে। তাদের পুর্নবাসন সঠিকভাবে করা হয়েছে।

কাকে কত টাকার মালপত্র দিয়েছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, কাকে কত টাকা দিয়েছি তা আমার জানা নেই। এর কোন বিল ভাউচার আমার কাছে নেই। প্রকল্পের সভাপতি যেভাবে নির্দেশনা দিয়েছেন সেইভাবে কাজ করেছি। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রকল্পের কিছু ভুলক্রুটি থাকতে পারে। যেসব ভিক্ষককে ঘর ও মালপত্র দেওয়া হয়েছে তারা ৩৫ হাজার টাকা করে পেয়েছে।

সাটুরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইকবাল হোসেন বলেন, ভুক্তভোগীদের কেউ এখন পর্যন্ত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে সরেজমিনে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

back to top