সোনাইমুড়ী পৌর এলাকার ৭নং ওয়ার্ডে (বরলা-দুঃশি^মপাড়া-নাওতলা গ্রাম) জন চলাচলে শত বছরের ব্যবহৃত মুল রাস্তা বাদ দিয়ে স্থানীয় কতিপয় ব্যক্তিকে খুশি করতে একই এলাকার ভূঁইয়া বাড়ির মনির আহম্মেদের ইন্দনে নকশা পরিবর্তন করে তাদের বাড়ির রাস্তা বর্ধনে পৌর তহবিলের টাকা দিয়ে ভিন্নভাবে রাস্তা নির্মান করার অভিযোগ উঠেছে পৌর কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। এই নিয়ে জনমনে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এতে করে ৩টি গ্রামের লোকজনের যাতায়াতে বাধার সৃষ্টি হয়েছে। তাই এ নিয়ে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
সরেজমিনে গিয়ে ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, সোনাইমুড়ী পৌর এলাকার বরলা আব্দুর রেজ্জাক মাষ্টার মার্কেটের পূর্ব পাশে খালের উপর ৬৫দ্ধ১৪ ফুট দৈর্ঘ্য প্রস্থের জন চলাচলে নির্মিত ব্রীজটির উত্তর মাথা থেকে পশ্চিম দিকে শত বছর আগ থেকেই খাল পাড় রাস্তাটি দিয়ে বরলা-দুঃশি^মপাড়া-নাওতলাস্থ গ্রামের হাজার লোকজন সোনাইমুড়ী রেল স্টেশন হয়ে চলাচল করে। এই রাস্তাটি জরিপি নকশায় রাস্তা হিসেবে রেকর্ডভূক্ত আছে। স্থানীয় মজু মিয়া, রতন, আলী আক্কাস সহ এলাকার অনেকেই জানান, রেজ্জাক মাষ্টার মার্কেটের সামনে পশ্চিম দিক থেকে এবং দুঃশ^ীমপাড়া পূর্ব পাড়ের বৃহৎ অংশ ও নাওতলা সহ তিনটি গ্রামের কয়েক হাজার লোকজন শত বছর আগ থেকেই এই রাস্তা দিয়ে সোনাইমুড়ী অভিমুখে চলাচল করে আসছে। কালেরক্রমে এলাকায় বেশ কয়েকটি মসজিদ ও মাদ্রাসা গড়ে উঠায় ছাত্র-ছাত্রী ও মুসল্লীগন সহজেই এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করে। পৌরসভার সাবেক মেয়র মোতাহের হোসেন মানিক এর সময়কালে ৩টি গ্রামের লোকজনের চলাচলের সুবিধার্থে পরিকল্পিতভাবে বরলা দুঃশি^মপাড়া ব্রীজটি নির্মান ও রাস্তাটি সংস্কার করে। কিন্তু বর্তমানে সোনাইমুড়ী পৌরসভার প্রশাসকের তত্ত্বাবধান ও নিয়ন্ত্রনে রাস্তাটি সংস্কারের নামে স্থানীয় ভূঁইয়া বাড়ির কয়েকটি পরিবারকে খুশি করতে অনৈতিক পন্থায় মুল রাস্তা বাদ দিয়ে ভিন্ন আঙ্গিকে রাস্তা নির্মানের কাজ করায় এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি সহ জনমনে অসন্তোষের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় এয়াকুব ও নুর ইসলাম ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, পৌর প্রশাসক একজন সরকারি কর্মকর্তা, তাহার বাড়ি এ এলাকায় নয় ও তিনি কখনোই এই রাস্তা দিয়ে তিন দিনও চলাফেরা করেনি, তাহলে তিনি তিনটি গ্রামের হাজার হাজার লোকের ভবিষ্যত চলাচলের সুবিধা-অসুবিধা কি বুঝবেন? অপরিকল্পিতভাবে এই রাস্তাটি নির্মাণ করায় জনগনের ট্যাক্সের টাকা অপব্যবহার ছাড়া আর কিছুই নয়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এলাকার অনেকেই জানান, ভূঁইয়া বাড়ির কয়েক ব্যক্তির কাছ থেকে নিয়মিত আপ্যায়ন ও অনৈতিক সুবিধা নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এমন কাজটি করছে বলে অভিমত প্রকাশ করেন।
পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর খোকন খান জানান, আমি দ্বায়িত্বে থাকাকালীন সময়ে শত বছরে লোকজনের ব্যবহারের রাস্তাটি সংস্কার ও পাকা করনের স্কিম দিয়েছিলাম, এরই মধ্যে সরকার ঘোষিত প্রজ্ঞাপনে আমাদেরকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়ায় রাস্তার স্কিম পাশ করাতে পারিনি। সেই স্কিম পরিবর্তন ও পরিবর্ধন করে মুল রাস্তা বাদ দিয়ে ও জনগনের চাহিদাকে উপেক্ষা করে কতিপয় ব্যক্তিদের খুশি করতে এরূপ রাস্তা নির্মান ও সংস্কার করা দুঃখজনক।
এ বিষয়ে সোনাইমুড়ী পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা মোস্তাক আহমেদ তালুকদারের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, বিষয়টি উন্নয়ন কমিটি ও পৌর প্রকৌশল সেক্টরের কাজ, কিভাবে কি হয়েছে বিষয়টি আমার জানা নেই।
পৌর প্রকৌশলী মোহাম্মদ সাইফুজ্জামানের কাছে জানতে চাইলে তিনি প্রসঙ্গ এড়িয়ে বলেন, যেহেতু আপনার কাছ থেকে প্রতিবেদন জানতে পেরেছি, পরবর্তীতে লোক পাঠিয়ে যাচাই করে দেখা হবে।
এ ব্যাপারে পৌর প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাসরিন আকতারের মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫
সোনাইমুড়ী পৌর এলাকার ৭নং ওয়ার্ডে (বরলা-দুঃশি^মপাড়া-নাওতলা গ্রাম) জন চলাচলে শত বছরের ব্যবহৃত মুল রাস্তা বাদ দিয়ে স্থানীয় কতিপয় ব্যক্তিকে খুশি করতে একই এলাকার ভূঁইয়া বাড়ির মনির আহম্মেদের ইন্দনে নকশা পরিবর্তন করে তাদের বাড়ির রাস্তা বর্ধনে পৌর তহবিলের টাকা দিয়ে ভিন্নভাবে রাস্তা নির্মান করার অভিযোগ উঠেছে পৌর কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। এই নিয়ে জনমনে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এতে করে ৩টি গ্রামের লোকজনের যাতায়াতে বাধার সৃষ্টি হয়েছে। তাই এ নিয়ে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
সরেজমিনে গিয়ে ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, সোনাইমুড়ী পৌর এলাকার বরলা আব্দুর রেজ্জাক মাষ্টার মার্কেটের পূর্ব পাশে খালের উপর ৬৫দ্ধ১৪ ফুট দৈর্ঘ্য প্রস্থের জন চলাচলে নির্মিত ব্রীজটির উত্তর মাথা থেকে পশ্চিম দিকে শত বছর আগ থেকেই খাল পাড় রাস্তাটি দিয়ে বরলা-দুঃশি^মপাড়া-নাওতলাস্থ গ্রামের হাজার লোকজন সোনাইমুড়ী রেল স্টেশন হয়ে চলাচল করে। এই রাস্তাটি জরিপি নকশায় রাস্তা হিসেবে রেকর্ডভূক্ত আছে। স্থানীয় মজু মিয়া, রতন, আলী আক্কাস সহ এলাকার অনেকেই জানান, রেজ্জাক মাষ্টার মার্কেটের সামনে পশ্চিম দিক থেকে এবং দুঃশ^ীমপাড়া পূর্ব পাড়ের বৃহৎ অংশ ও নাওতলা সহ তিনটি গ্রামের কয়েক হাজার লোকজন শত বছর আগ থেকেই এই রাস্তা দিয়ে সোনাইমুড়ী অভিমুখে চলাচল করে আসছে। কালেরক্রমে এলাকায় বেশ কয়েকটি মসজিদ ও মাদ্রাসা গড়ে উঠায় ছাত্র-ছাত্রী ও মুসল্লীগন সহজেই এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করে। পৌরসভার সাবেক মেয়র মোতাহের হোসেন মানিক এর সময়কালে ৩টি গ্রামের লোকজনের চলাচলের সুবিধার্থে পরিকল্পিতভাবে বরলা দুঃশি^মপাড়া ব্রীজটি নির্মান ও রাস্তাটি সংস্কার করে। কিন্তু বর্তমানে সোনাইমুড়ী পৌরসভার প্রশাসকের তত্ত্বাবধান ও নিয়ন্ত্রনে রাস্তাটি সংস্কারের নামে স্থানীয় ভূঁইয়া বাড়ির কয়েকটি পরিবারকে খুশি করতে অনৈতিক পন্থায় মুল রাস্তা বাদ দিয়ে ভিন্ন আঙ্গিকে রাস্তা নির্মানের কাজ করায় এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি সহ জনমনে অসন্তোষের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় এয়াকুব ও নুর ইসলাম ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, পৌর প্রশাসক একজন সরকারি কর্মকর্তা, তাহার বাড়ি এ এলাকায় নয় ও তিনি কখনোই এই রাস্তা দিয়ে তিন দিনও চলাফেরা করেনি, তাহলে তিনি তিনটি গ্রামের হাজার হাজার লোকের ভবিষ্যত চলাচলের সুবিধা-অসুবিধা কি বুঝবেন? অপরিকল্পিতভাবে এই রাস্তাটি নির্মাণ করায় জনগনের ট্যাক্সের টাকা অপব্যবহার ছাড়া আর কিছুই নয়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এলাকার অনেকেই জানান, ভূঁইয়া বাড়ির কয়েক ব্যক্তির কাছ থেকে নিয়মিত আপ্যায়ন ও অনৈতিক সুবিধা নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এমন কাজটি করছে বলে অভিমত প্রকাশ করেন।
পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর খোকন খান জানান, আমি দ্বায়িত্বে থাকাকালীন সময়ে শত বছরে লোকজনের ব্যবহারের রাস্তাটি সংস্কার ও পাকা করনের স্কিম দিয়েছিলাম, এরই মধ্যে সরকার ঘোষিত প্রজ্ঞাপনে আমাদেরকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়ায় রাস্তার স্কিম পাশ করাতে পারিনি। সেই স্কিম পরিবর্তন ও পরিবর্ধন করে মুল রাস্তা বাদ দিয়ে ও জনগনের চাহিদাকে উপেক্ষা করে কতিপয় ব্যক্তিদের খুশি করতে এরূপ রাস্তা নির্মান ও সংস্কার করা দুঃখজনক।
এ বিষয়ে সোনাইমুড়ী পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা মোস্তাক আহমেদ তালুকদারের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, বিষয়টি উন্নয়ন কমিটি ও পৌর প্রকৌশল সেক্টরের কাজ, কিভাবে কি হয়েছে বিষয়টি আমার জানা নেই।
পৌর প্রকৌশলী মোহাম্মদ সাইফুজ্জামানের কাছে জানতে চাইলে তিনি প্রসঙ্গ এড়িয়ে বলেন, যেহেতু আপনার কাছ থেকে প্রতিবেদন জানতে পেরেছি, পরবর্তীতে লোক পাঠিয়ে যাচাই করে দেখা হবে।
এ ব্যাপারে পৌর প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাসরিন আকতারের মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।